করোনা হাসপাতাল
শুধু করোনা চিকিৎসা মিলবে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে
বরিশাল জেনারেল হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসায় ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তর করা হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ও জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. মনোয়ার হোসেন।
বুধবার সন্ধ্যায় তিনি জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত নির্দেশে জেনারেল হাসপাতালকে সম্পূর্ণরূপে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তরের প্রশাসনিক অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বরিশাল অঞ্চলে উদ্বেগজনক হারে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থায় মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয় জেনারেল হাসপাতালকে করোনা হাসপাতালে উন্নিতকরণে। আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) এই অনুমতি মেলে।
আরও পড়ুন: করোনা: বরিশাল বিভাগে আরও ৩১ মৃত্যু
জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মলয় চন্দ্র দাস বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত রোগীদের সামলাতে অন্যান্য হাসপাতাল হিমশিম খাচ্ছিল যখন আমরা ২২ বেড স্থাপন করে চিকিৎসা দেওয়া শুরু করি। পর্যায়ক্রমে তা বৃদ্ধি করে ৭০ বেড করা হয়েছিল। সর্বশেষ মন্ত্রণালয় থেকে পুরো হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড ঘোষণা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালটি একশ শয্যার হলেও আমরা ৮০ জনকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধা দিতে পারবো। জেনারেল হাসপাতালে আগে বহির্বিভাগেসহ অন্যান্য যেসব বিভাগ ছিল সেগুলো বন্ধ করা হবে। যেহেতু করোনা ডেডিকেটেড এজন্য অন্যন্য রোগের চিকিৎসা শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেওয়া হবে। এখানে শুধু করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় ফিরতে বরিশাল বাস টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড়
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ দক্ষিণাঞ্চলে বৃদ্ধি পাওয়ায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পর জেনারেল হাসপাতালকে ডেডিকেটেড করা হল। এছাড়া প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ বেডের করোনা ইউনিট স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাউথ এ্যাপোলো মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আম্বিয়া মেমোরিয়াল হাসপাতালে করোনা ইউনিট চালু করার প্রস্তাব রয়েছে।
৩ বছর আগে
খুলনার করোনা হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি
খুলনা করোনা হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বাইরে রেকর্ড সংখ্যক রোগী ভর্তি ও চিকিৎসাধীন রয়েছে। ১০০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১২৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
৩ বছর আগে
করোনা হাসপাতাল: খুলনায় আরও ২০টি আইসিইউ বেড সংযোজন হচ্ছে
নতুন লিকুইড অক্সিজেন প্লান্টের জন্য অপেক্ষা না করে আগের সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন থেকে বিকল্প পথেই পাইপ লাইনে অক্সিজেন সরবরাহ করে আরও ২০টি আইসিইউ বেড প্রস্তুত করা হয়েছে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে। ঈদুল ফিতরের পরই এর কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার ও পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড কাম আইসিইউ বিভাগের জন্য লিন্ডে অক্সিজেন কোম্পানির স্থাপন করা সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টকে পাঁচ ইউনিট থেকে ১০ ইউনিটে উন্নীত করেই করোনা হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ করা হলো। এর ফলে এ হাসপাতালে আগে থেকে থাকা ১০টি আইসিইউ বেডের পাশাপাশি আরও ২০টি বেড সংযোজন হবে। সেই সাথে নিচতলা ও দোতলা মিলিয়ে এখন থেকে এটি হবে পূর্ণাঙ্গ ১০০ বেডের করোনা হাসপাতাল।
খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ও করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, খুমেক হাসপাতালের জন্য পৃথক আইসিইউ ভবন নির্মাণ করে চালুর আগেই করোনার প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় প্রথমে এখানে ফ্লু কর্নার স্থাপন করে করোনার সন্দেহের রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। গত বছর যখন খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতালে অস্থায়ী ভিত্তিতে করোনা হাসপাতাল স্থাপন করে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল তখন খুমেক হাসপাতালের আইসিইউ ভবনটি ফ্লু কর্নার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেখানে করোনার উপসর্গ থাকা রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর পরীক্ষা করা হয়। এরপর করোনার প্রভাব কমলে এ বছরের শুরু থেকে ডায়াবেটিক হাসপাতাল ছেড়ে দিয়ে এখানেই করোনার রোগীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। একই সাথে দুটি জোন করে ইয়োলো জোনে করোনার সন্দেহের রোগীদের এবং রেড জোনে করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীদের ভর্তি করা হয়। রেড জোনে ১০টি আইসিইউ বেডও স্থাপন করা হয়। অন্যান্য সাধারণ বেডেও হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ করার পাশাপাশি মুমূর্ষ রোগীদের জন্য হাইফ্লো ন্যাজল ক্যানোলার সাপোর্টও দেয়া হয়। সেই সাথে সিলিন্ডার অক্সিজেন সরবরাহও স্বাভাবিক রাখা হয়। কিন্তু ওই ভবনের দোতলায় অক্সিজেন সরবরাহের জন্য পাইপ লাইন না থাকায় গত কয়েকদিন ধরে লাইন স্থাপন করা হয়।
বৃহস্পতিবার অক্সিজেন লাইনের কাজ শেষ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন বৈদ্যুতিক কাজসহ অন্যান্য আনুসাঙ্গিক কার্যক্রম এবং জনবলের রোস্টার করে ঈদের পরই এর কার্যক্রম শুরু করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, ১০০ বেডের করোনা হাসপাতালে এখন থেকে রেড জোনে ৭০টি এবং ইয়োলো জোনে ৩০টি বেড থাকবে। রেড জোনের ৭০ বেডের মধ্যে আবার ২০টি থাকবে আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্চাকেন্দ্র), ১০টি এইচডিইউ (উচ্চমাত্রিক নির্ভরকেন্দ্র) এবং ৪০টি সাধারণ (করোনার রোগীদের জন্য উপযুক্ত) বেড।
আরও পড়ুন: করোনা উপেক্ষা করে খুলনায় জমজমাট ঈদ কেনাকাটা
সরেজমিনে করোনা হাসপাতালের দোতলায় গিয়ে দেখা যায়, আইসিইউ জোন-২, কোভিড জোন, ইয়োলো জোন, নমুনা সংগ্রহ কক্ষ, ডাক্তার, নার্স সকলের জন্য পৃথক জোন করা হয়েছে। কোভিড জোনের জন্য বেডগুলোও প্রস্তুত। প্রতিটি বেডের সাথে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য লাইনও টানা হয়েছে। সব মিলিয়ে অন্যান্য আনুসাঙ্গিক কাজ শেষ করে এখন ওই অংশের কার্যক্রম শুরু করতে আর সপ্তাহখানেক লাগতে পারে বলে কর্তৃপক্ষ আশা করছেন। এজন্য আগামী ১৬ মে দিন নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ এগিয়ে যাচ্ছেন বলে খুমেক হাসপাতালের আরএমও জানিয়েছেন।
খুমেক হাসপাতালের করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বয়কারী ও খুমেক’র উপাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার অস্থায়ী গ্রিড হাসপাতালে সরকারি অর্থায়নে সরবরাহকৃত মালামাল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরের অংশ হিসেবে খুলনায়ও একটি লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের জন্য ট্যাংকসহ আনুসঙ্গিক মালামাল দেয়া হয়। স্পেক্ট্রা অক্সিজেন কোম্পানির ওই প্লান্টটি বসানোর দায়িত্ব নিয়েছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বা এইচইডি। কিন্তু সেটি স্থাপন সংক্রান্ত জটিলতায় প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হতে চললেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেজন্য বসে থাকেনি। বিকল্প পথে অক্সিজেন সরবাহ করে করোনা রোগীদের সেবার জন্য করোনা ইউনিটটি আরও বৃহৎ পরিসরে প্রস্তুত করা হয়েছে।
খুমেক হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. বিধান চন্দ্র ঘোষ বলেন, আইসিইউ ভবনটি আপাতত করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহৃত হলেও ভবিষ্যতে যখন এটি আইসিইউ হিসেবেই ব্যবহৃত হবে তখন যাতে খুব বেশি একটা কাজের প্রয়োজন না হয় সেভাবেই এটিকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। অর্থাৎ করোনার প্রভাব কমলে অথবা পৃথক করোনা হাসপাতাল করা হলে এ ভবনটি আইসিইউ ভবন হিসেবেই পরিচিতি পাবে। তাছাড়া এখন বিকল্প লাইনে অক্সিজেন সরবরাহ করা হলেও স্পেক্ট্রা অক্সিজেন কোম্পানির লিকুইড প্লান্ট বসানোর পর এখানে স্বতন্ত্র অক্সিজেন প্লান্টের মাধ্যমেই অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
৩ বছর আগে
খুলনা করোনা হাসপাতালের অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন ‘পত্র চালাচালির’ মধ্যেই সীমাবদ্ধ
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের জন্য অর্থসংস্থান পেতে শুধু পত্র চালাচালিতেই চলে গেল তিন মাস।
সর্বশেষ বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন বললেন, নতুন করে নোট দিয়ে কালই কাজ শুরু হয়েছে। এখন আবার এজন্য প্রশাসনিক অনুমোদন পেতে কতদিন লেগে যায় সেটি নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
তবে গত কয়েকদিনের চিত্রে খুলনা করোনা হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ কিছুটা কমতে দেখা গেলেও আবারও রোগী বাড়লে তখন রোগীরা অক্সিজেন সংকটে পড়তে পারে এমন আশঙ্কাকাও সংশ্লিষ্টদের।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে অক্সিজেনের সংকট নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এজন্য পত্র চালাচালির ধীরে চলো নীতির অবসান চায় খুলনাবাসী।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ঢাকা বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার অস্থায়ী গ্রীড হাসপাতালে সরকারি অর্থায়নে সরবরাহকৃত মালামাল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরপূর্বক চালুর উদ্যোগ নেয়া হলে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের জন্য একটি লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের জন্য একটি ট্যাংকসহ অন্যান্য আনুসঙ্গিক মালামাল আনা হয়। কিন্তু সেটি স্থাপনের জন্য প্রয়োজন প্রায় ১ কোটি টাকা। এ টাকার সংস্থান কে দেবে তার কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এজন্য ট্যাংকটি করোনা হাসপাতালের পাশে অর্থাৎ ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এ্যালায়েড সায়েন্সেস বা পরমানুর সামনে ফেলে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: করোনা: ঈদকে সামনে রেখে সরকারের ৬ নির্দেশনা
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে আরও জানা যায়, প্লান্টটি স্থাপনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অপর একটি প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বা এইচইডি। এজন্য এইচইডি থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পত্র দিয়ে ৯৭ লাখ টাকার একটি প্রস্তাবনা দেয়া হয়। খুলনাসহ অন্যান্য যেসব প্রতিষ্ঠানে বসুন্ধরার মালামাল দেয়া হয় সেগুলো স্থাপনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গত ৪ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওই পত্র দেয়া হয়। এতে অবশ্য খুলনাসহ দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অক্সিজেন প্লান্টসহ অন্যান্য মেশিনারিজ স্থাপনের জন্য সর্বমোট ২ কোটি ১৬ লাখ টাকার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করা হয়। সেই থেকে পত্র চালাচালি শুরু হয়ে এখনও চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে
এইচইডি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৪ মার্চ দেয়া এইচইডির পত্রটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গেলে সেখান থেকে আবার প্রস্তাব পাঠানো হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে। ওই পত্রটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালকের (হাসপাতাল ও ক্লিনিক)- স্বাক্ষর হওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যায় গত ৫ এপ্রিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন গত ১২ এপ্রিল আবারও পত্র দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে। ওই পত্রে সংশ্লিষ্ট কাজটি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে(ডিপিএম) বাস্তবায়ন করা যায় কি না সে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুধবার অর্থাৎ আরও প্রায় এক মাস পর আবারও পত্র দিয়ে জানানো হয় এটি মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত। সুতরাং মন্র্ ণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত একটি ই-মেইল তিনি বুধবার পেয়েছেন। যার আলোকে তিনি বুধবারই আবার ফাইল প্রস্তুত করে কার্যক্রম শুরু করেছেন। আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগরই এ সংক্রান্ত অনুমোদন দেয়া সম্ভব হবে। ফলে খুলনাসহ অন্যান্য যেসব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে বসুন্ধরা থেকে ফেরত দেয়া সরকারি মালামাল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা’ হয়তো অচিরেই স্থাপন শুরু হবে।
এ ব্যাপারে খুমেক হাসপাতালের করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বয়কারী বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন-বিএমএ খুলনার সাধারণ সম্পাদক এবং খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের জন্য যে প্রক্রিয়ায় পত্র চালাচালি হচ্ছে সেটি আরও সহজীকরণ করে ঈদের আগেই যাতে কাজটি শুরু করা যায় সে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কারণ কাজটি যেখানে বেধে আছে সেটি খুবই সামান্য একটি বিষয়। এখানে শুধুমাত্র আন্তরিকতাই যথেষ্ট। যে প্রক্রিয়ায় গেছে তাতে কাজটি হবে এটি ঠিক, কিন্তু কত দ্রুত হবে সেটি বোঝা যাচ্ছে না।
এজন্য তিনি পত্র চালাচালি আরও সহজ করে কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানান।
পত্র চালাচালি এবং পত্রের ভাষা আরও সহজ করে কাজটি দ্রুত করার দাবি জানিয়েছেন খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আব্দুল আহাদও।
তিনি বলেন, অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন হলে করোনা রোগীদের যেমন চিকিৎসা সহজ হবে তেমনি যেহেতু করোনা হাসপাতালটি আইসিইউ ভবনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে সেহেতু করোনার প্রাদুর্ভাব কমলেও আইসিইউ’র জন্যও অক্সিজেন প্লান্টের প্রয়োজন হবে। সুতরাং এটিকে কোনক্রমেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।
করোনা হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, অক্সিজেন প্লান্ট না থাকলেও বিকল্পভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করে রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে। খুমেক হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার ও পোষ্ট অপারেটিভ কাম আইসিইউ বিভাগের জন্য পূর্বে লিন্ডে অক্সিজেন কোম্পানী যে লিকুইড প্লান্টটি স্থাপন করেছিল সেটিও ডাবল ইউনিটে উন্নীত করে পাইপ লাইনে মাধ্যমে করোনা হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে করোনা হাসপাতালের দোতলায় ২০টি আইসিইউ বেড স্থাপন করা সম্ভব হবে। যেটি আজ থেকে চালু হতে পারে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (এইচইডি) খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী আশুতোষ কর্মকার বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদনপত্র এইচইডির প্রধান কার্যালয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে নির্দেশনা আসার সাথে সাথেই অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
৩ বছর আগে
বাগদাদে করোনা হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে করোনা হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণে প্রাথমিকভাবে ১৫ জন মারা গেছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দমকলকর্মীরা ইবনে খাতিব হাসপাতালে আগুন নেভাতে ছুটে আসে এবং নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে গুরুতর করোনাভাইরাস রোগীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে সহায়তা করছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ডা. সাবাহ আল-কুজায়ে বলেন, ‘আমি জানি না সেখানে কতজন দগ্ধ হয়েছে, পুরো জায়গা জুড়ে অনেক পুড়ে যাওয়া লাশ রয়েছে।’
আরও পড়ুন: করোনায় বিশ্বে আক্রান্ত ১৪ কোটি ৬১ লাখ ছাড়িয়েছে
চিকিত্সা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মতে, প্রাথমিক প্রতিবেদনে ১৫ জন নিহত হওয়া ছাড়াও কমপক্ষে ৩৬ জন আহত হয়েছেন।
দেশটির সরকার এখনো হতাহতের নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যার কথা জানায়নি।
অগ্নিকাণ্ডের সময় হাসপাতালে কমপক্ষে ১২০ জন রোগী ছিলেন বলে হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার হাসপাতালের ভিতরে বিস্ফোরিত হলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে থাকা কমপক্ষে দুজন চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন যে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় আগুন লেগেছে।
ইরাক ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। প্রতিদিন দেশটিতে ৮ হাজারের বেশি করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হচ্ছে। সরকার জনগণকে টিকা নেয়ার জন্য অনুরোধ করছে, তবে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এবং বিশেষ করে ভ্যাকসিনের প্রতি জনগণের অবিশ্বাসের কারণে চাহিদা কম রয়েছে।
৩ বছর আগে