উপদেষ্টা
গণঅভ্যুত্থানই অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
গণঅভ্যুত্থানই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈধতা বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
রবিবার (১০ নভেম্বর) সচিবালয়ে বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি পর্যালোচনা-সংক্রান্ত একটি সমন্বয় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এই মন্তব্য করেন।
এ সময় উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সরকারের বৈধতা এসেছে গণঅভ্যুত্থান থেকে। যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা হলো লিগ্যাল রেটিফিকেশন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম।’
আরও পড়ুন: নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন আরও তিনজন
সরকারকে বৈধতা দিতে অধ্যাদেশ হচ্ছে, একইসঙ্গে সংস্কার কাজ কতদূর এগোলো- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ১০৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আগেই এই সরকারের বৈধতাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং যে অধ্যাদেশের কথা বলা হচ্ছে, তার মাধ্যমে আরও লিগ্যাল রেটিফিকেশন হবে।’
‘গত তিন মাসে আমাদের কর্মকাণ্ডের অগ্রগতি আপনারা দেখেছেন। সংস্কার কমিশনের সঙ্গে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা নিয়মিত বৈঠক করছেন এবং রিপোর্টের ভিত্তিতে সংস্কার কার্যক্রম চলবে।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ করার জন্যই সংস্কার কমিশনগুলো গঠন করা হয়েছে। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বসে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে সংস্কার কার্যক্রম শেষ করার রূপরেখা ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা আশা করি একটি নতুন বাংলাদেশ যেটার কথা আমরা মুখে বলছি, সেটার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সিঙ্গাপুরের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশের বাইরে বসে তাদের অফিশিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া পেজে পোস্ট করছেন। শ্রমিকদের উস্কানি দিতে শনিবার তাদের পেজে কয়েকটি পোস্ট করা হয়, যা তার নজর এড়ায়নি।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এসব বিষয়ে আপনাদের একটা ভূমিকা থাকা উচিত। আমরাও কাজ করছি।’
‘(আওয়ামী লীগের) এসব কর্মকাণ্ডে কেউ সাড়া দেয়নি। তা না হলে আজকের আওয়ামী লীগের আহ্বানে এত বড় একটা কর্মসূচিতে শ্রমিকেরা মিছিল নিয়ে আসত। কেউ তো আসেনি।’
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়ছে, শপথ নিচ্ছেন আরও ৫ জন
২ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা পরিষদে যোগ হচ্ছে নতুন মুখ
অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে যোগ হচ্ছে নতুন সদস্য। রবিবার সন্ধ্যায় নতুন সদস্যদের শপথ গ্রহণের কথা রয়েছে।
অন্তবর্তী সরকারের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের সম্প্রসারণ হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে সংখ্যা বলতে পারছি না।’
সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। যেখানে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়নি: রিজওয়ানা হাসান
এদিকে, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এ দিন তেজগাঁও কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সেনাপ্রধান প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন
সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি, তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই সাক্ষাৎকারের বিষয় নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: সমন্বয়কদের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করবে উপদেষ্টা পরিষদ: উপদেষ্টা
২ ঘণ্টা আগে
বনভূমিতে গারোদের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার: উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বনভূমিতে গারোদের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, বনবাসীদের সঙ্গে বন বিভাগের দ্বন্দ্ব নিরসনে কাজ করা হবে। এলক্ষ্যে সামাজিক বনায়ন বিধিমালার প্রয়োজনীয় সংশোধনের কাজ চলছে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ফসল কাটার উৎসব ‘ওয়ানগালা’ উদযাপন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও পরিবেশ সুরক্ষায় নিরপেক্ষ-নির্ভীক সাংবাদিকতা অপরিহার্য: রিজওয়ানা হাসান
তিনি বলেন, বন নির্ভর জনগোষ্ঠীর ভূমির অধিকার, পানির অধিকার, যাতায়াতের অধিকার, গোচারণের অধিকার এবং বনজ দ্রব্য আহরণের অধিকার আইনগতভাবে নির্ধারণ করা হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, গারোদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আদিবাসী পরিষদ কাজ শুরু করেছে। মধুপুর বনের বিরোধপূর্ণ সীমানা চিহ্নিত করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় উন্নয়ন কার্যক্রমে বনবাসীদের বাইরে রেখে কিছু করা হবে না। বালু দস্যু ও পাথর খেকোদের বিরুদ্ধে ভূমি ও পানি মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করবে। সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বন রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, ওয়ানগালা গারো সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিশেষ প্রতীক। এটি আমাদের সমাজে সম্প্রীতির শক্তি বাড়ায়। ওয়ানগালা প্রকৃতি ও মানবসমাজের সম্পর্কের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ফসল কাটার এই সময় প্রকৃতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মুহূর্ত। আমাদের সকলের উচিত পরিবেশ সুরক্ষায় গারোদের মত প্রাকৃতিক সম্পদের যত্ন নেওয়া।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও সংগীত উপভোগ করেন এবং প্রকাশিত বিশেষ ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করেন।
সীমান্ত চিসিম, নকমা, ঢাকা ওয়ানগালা ২০২৪-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনবিআর সদস্য ফজলুল হক, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য) নাফরিজা শায়মা, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, কবি ও গবেষক পরাগ রিচিল, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মো. শাকির হোসেন, কারিতাস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালক থিওফিল নকরেক, উন্নয়ন গবেষক ড. বাপন মানখিন, বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান, দ্য ক্রিশ্চিয়ান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সভাপতি হেমন্টো করায়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, সাংস্কৃতিক কর্মী এবং শিক্ষার্থীসহ গারো জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নদী-খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের এখনই সময়: পরিবেশ উপদেষ্টা
১ দিন আগে
জানুয়ারিতে হর্নমুক্ত ঘোষণা করা হবে ঢাকার ১০টি রাস্তা: উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জানুয়ারিতে ঢাকার ১০টি রাস্তা হর্নমুক্ত ঘোষণা করা হবে। দেশকে হর্নমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন করা হবে।
তিনি বলেন, দেশকে হর্নমুক্ত রাখতে সবাইকে নিজের গাড়ি নিয়ন্ত্রিতভাবে চালাতে হবে। একইসঙ্গে হর্ন ব্যবহার কমাতে হবে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজিতে ‘শহীদ সেলিম বিইউএফটি জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৪’ এর গ্র্যান্ড ফাইনালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে প্রকৃতি, প্রাণীজগৎ ও পরিবেশের সুরক্ষা করতে হবে: রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনে সঠিক তথ্য ও জ্ঞানের ভিত্তিতে জনমত গঠনে তরুণদের এগিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আজকের তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ গড়বে। পরিবেশবান্ধব দেশ গঠনে তাদের অবদান রাখতে হবে। সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে তরুণ প্রজন্মকে সমস্যা সমাধানে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নিরাপদ ও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে হবে।
এ বছর শহীদ সেলিম বিইউএফটি জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২টি এবং কলেজ পর্যায়ের ৩২টি দল অংশগ্রহণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি প্রথম রানার আপ ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি দ্বিতীয় রানার আপ হয়।
কলেজ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, প্রথম রানার আপ নৌবাহিনী কলেজ ও দ্বিতীয় রানার আপ মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ।
এদিকে সমগ্র দেশে পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাত করার দায়ে ১৯টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
অভিযানে ৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায়সহ ২ হাজার ৯৪৫ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: আগামী প্রজন্মকে দূষণমুক্ত নদী-খাল দেখাতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
৫ দিন আগে
মশা নিধনে ৫৩ বছরে বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া হয়নি: উপদেষ্টা
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, মশা নিধনে গত ৫৩ বছরে কোনো বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া হয়নি। বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে কখনো কোনো কমিটিও গঠিত হয়নি।
রবিবার (৩ নভেম্বর) বংশাল ও নাজিরাবাজারে মশা নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে নাটক বন্ধ করতে হয়েছে: ড. জামিল
উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেন, মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনায় বিশেষজ্ঞজনের মতামতের পাশাপাশি তাদের অন্তর্ভুক্ত করে স্থানীয় বিভাগ দুটি কমিটি গঠন করে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম।
তিনি আরও বলেন, একটা নির্দিষ্ট স্থানে কী পরিমাণ কীটনাশক বা লার্ভিসাইড ছিঁটালে মশা নিধন হবে তা বিশেষজ্ঞ ছাড়া নিরূপণ করা কঠিন। কিংবা কীটনাশক বা লার্ভিসাইড ছেটানোর ফলে ওই স্থানে কী পরিমাণ মশা নিধন হয়েছে তার সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। এসব তথ্য নির্ভুলভাবে পেতে বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে গঠিত কমিটিগুলো সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। পরিকল্পনায় বিশেষজ্ঞদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, মশা নিধন কার্যক্রম মনিটরিং করতে ডিএসসিসি’র বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছি। মশা নিধন পূর্বের চেয়ে জোরদার করা হয়েছে।
কার্যক্রম মনিটরিং শেষে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা ডিএসসিসি’র নগর ভবনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিদর্শনে যান। সিটি করপোরেশনের অধিভুক্ত বিভিন্ন এলাকায় ফগিং ও লার্ভিসাইড ছিটানো অনলাইনে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেন।
ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানসহ স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং ডিএসসিসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আদানির সময়সীমা নিয়ে আমরা খুবই মর্মাহত: প্রেস সচিব
৬ দিন আগে
অসঙ্গতি দূর করতে জেন্ডার বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জেন্ডার বৈষম্যের সমস্যাগুলো মোকাবিলা করে জেন্ডার শ্রেণিবিন্যাস এবং নারী-পুরুষদের মধ্যে অসঙ্গতি দূর করতে জেন্ডার বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এফএও বাংলাদেশ আয়োজিত ‘কমিউনিটি বেইজড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ রিস্ক অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট’ (সিআরভিএ) শীর্ষক কর্মশালালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন বন্ধে কঠোর মনিটরিং হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, অপরিকল্পিত রাস্তা ও উন্নয়ন জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অনেক আলোচনা হয়ে থাকে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ফসলের ক্ষতি নিয়ে বেশি আলোচনা হলেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কে খুব কম আলোচনা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি।
জলবায়ু পরিবর্তনে নারী-পুরুষ ক্ষতিগ্রস্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারীদের ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন আরও বেশি সমস্যার। এ প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণকে বিশেষ করে নারীদের অর্ন্তভুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
ফরিদা আখতার বলেন, বাংলাদেশে আকস্মিক বন্যা প্রায়ই ঘটে। এ সমস্যা শুধু বাংলাদেশের ওপর নির্ভর করে না বরং আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো অনেকাংশে দায়ী। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ক্রস কান্ট্রি ও ক্রস বাউন্ডারি আলোচনা দরকার।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি। .
ওয়ার্কশপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন সিইজিআইএসের প্রজেক্ট এক্সপার্ট মোহাম্মদ মুকতারেজ্জামান, এফএও’র প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ড. মো. আবুল হাসনাত। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকল্প পরিচালক মো. শামসুদ্দিন, খুলনার ডুমুরিয়া মৎস্যচাষী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি মুক্তা বিশ্বাস প্রমুখ।
কর্মশালায় বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আবারও আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে নৌবাহিনী-বিমানবাহিনী: প্রধান উপদেষ্টা
১ সপ্তাহ আগে
পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
বস্ত্র ও পাট এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারী প্রতিনিধিদল।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ করেন তারা।
আরও পড়ুন: ৩২ উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এসময় বস্ত্র ও পাট এবং জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কোরিয়া এদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। কোরিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে চলমান আছে। এছাড়া দেশে বিভিন্ন খাতে কোরিয়ার অনেক মানুষ কাজ করছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এখন নিরাপদ। আমরা পিপিপি ও দীর্ঘমেয়াদি লিজের মাধ্যমে বন্ধ হয়ে থাকা মিলগুলোকে উৎপাদনে নিতে চাচ্ছি। প্রাণ গ্রুপকে লিজের মাধ্যমে দুটি মিল হস্তান্তর করেছি।
উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিকভাবে ৩০ বছরের জন্য দিলেও পরে সময়সীমা বৃদ্ধি করার সুযোগ থাকে। প্রতিটা মিলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। বিনিয়োগকারীর জন্য লিজ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের প্রক্রিয়া উন্মুক্ত।
তিনি বলেন, নৌখাতে বিশেষ করে ডকইয়ার্ড ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পে অপার সম্ভাবনা আছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) বা যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমে এখানে বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে।
কোরিয়ার বিনিয়োগকারী প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে জানায়, কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক রয়েছে। কোরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম পাট আমদানিকারক দেশ।
প্রতিনিধিদল খুলনাতে অবস্থিত মিল সরাসরি পরিদর্শনের আগ্রহ জানায় এবং এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার কথা বলেন।
এসময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব দেলোয়ারা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গণভবনে দ্রুত জাদুঘর নির্মাণ করতে উপদেষ্টাদের নির্দেশ দিলেন অধ্যাপক ইউনূস
১ সপ্তাহ আগে
সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে: উপদেষ্টা
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, সাম্প্রতিক বন্যায় দেশে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা যথাযথভাবে নিরূপণ করে সবার সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদেরকে পুনর্বাসন করা হবে।
তিনি বলেন, বন্যায় ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫২২ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯ লাখ ৪২ হাজার ৮১১ জন।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক ও নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: পরিবেশ উপদেষ্টা
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বন্যা সংক্রান্ত পুনর্বাসন কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এজন্য কেন্দ্রীয় কমিটি, জেলা ও উপজেলা কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা পুনর্বাসন কর্মসূচি তদারকি করবেন।
তিনি বলেন, সরকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৯টি জেলায় নগদ ৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, ৩৮ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন চাল, ৩৮ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবার, ২ হাজার ৩১৫ বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহ নির্মাণের জন্য ৬৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, শিশু খাদ্য বাবদ ১ কোটি ৮০ লাখ, গো-খাদ্য বাবদ ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও দেশের ১৬৩টি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান বন্যা কবলিত মানুষের সাহায্য ও সহযোগিতায় ৮৫ কোটি ৩০ লাখ ২৪ হাজার ২০৮ টাকা বিতরণ করেছেন বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা।
ফারুক ই আজম বলেন, দেশে এ বছর বন্যায় ব্যাপক জমির শস্য নষ্ট হওয়ায় নিত্যপণ্যের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, কৃষক যাতে অল্প সময়ের মধ্যে সবজিসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন করতে পারে সে লক্ষ্যে কৃষকদের মাঝে বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং এনজিওর প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: কপ-২৯ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
২ সপ্তাহ আগে
জুলাই বিপ্লবের শহিদেরা দেশ-জাতির স্বার্থে আত্মোৎসর্গ করেছেন: উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের শহিদদের জাতি স্মরণে রাখবে। দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে নিজেদের জীবন দিয়েছেন। তারা দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আত্মোৎসর্গ করেছেন।
তিনি বলেন, এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদের মানুষ ফ্যাসিবাদী সরকারের শোষণ, অত্যাচার ও নির্যাতনে নিষ্পেষিত ছিল। কারণ তৎকালীন সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা এবং মানুষের বাকস্বাধীনতাকে হরণ করেছিল।
আরও পড়ুন: অসহযোগিতা করলে সিস্টেম ভেঙে নতুন লোক নিয়োগ হবে: উপদেষ্টা
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে কক্সবাজারের চকোরিয়া উপজেলার আছদ আলীপাড়া গ্রামে জুলাই বিপ্লবের শহিদ আহসান হাবিবের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এই অবস্থা থেকে জাতিকে মুক্ত করতে দেশের ছাত্র-জনতা অভাবনীয় ভূমিকা রেখেছে। দেশমাতৃকাকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে তারা জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। তাদের এই ঋণ শোধ করা যাবে না।
উপদেষ্টা শহিদ আহসান হাবিবের বাবার উদ্দেশে বলেন, আপনার ছেলে দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। এটি অত্যন্ত গর্বের। আপনার সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে পারব না। তবে সরকার সবসময় আপনার পাশে আছে।
এছাড়া জুলাই বিপ্লব ফাউন্ডেশনের পক্ষ হতে এ বিপ্লবে শহিদ প্রত্যেকটি পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা প্রদান করা হবে বলে জানান ধর্ম উপদেষ্টা।
এসময় উপদেষ্টা আস্ সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় শহিদ আহসান হাবিবের বাবার হাতে ২ লাখ এবং চট্টগ্রামের প্রথম শহিদ ওয়াসিম আকরামের বাবার হাতে ২ লাখ টাকার চেক তুলে দেন।
পরে উপদেষ্টা চকোরিয়া আবাসিক মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ পরিদর্শন এবং চকোরিয়া গ্রামার স্কুলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মু. আ. আউয়াল হাওলাদার, উপদেষ্টা একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ, রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম প্রমূখ।
আরও পড়ুন: বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সবার দায়িত্ব: উপদেষ্টা
৩ সপ্তাহ আগে
অসহযোগিতা করলে সিস্টেম ভেঙে নতুন লোক নিয়োগ হবে: উপদেষ্টা
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, অসহযোগিতা করলে প্রয়োজন হলে সিস্টেম ভেঙে দিয়ে নতুন লোক নিয়োগ দেওয়া হবে। জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে সরকার কোনো ছাড় দেবে না।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সবার দায়িত্ব: উপদেষ্টা
সভায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর অবস্থান তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়ে চট্টগ্রামের কর্মকর্তাদের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। বাজারে দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটগুলোর উৎস চিহ্নিত করে প্রয়োজনে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করতে হবে।
সভায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ কয়েকটি দপ্তরের প্রতিনিধি উপস্থিতি না থাকায় ক্ষোভ জানান উপদেষ্টা ও শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
এর আগে, উপদেষ্টা সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ও এম আজিজ স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন।
এ সময় মাঠ ও স্টেডিয়ামের বেহাল অবস্থা দেখে হতাশা জানান। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনাও দেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা হবে: আসিফ নজরুল
৩ সপ্তাহ আগে