উপদেষ্টা
দপ্তর পেলেন প্রধানমন্ত্রীর ৬ উপদেষ্টা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ছয়জনের নাম ঘোষণা করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) উপদেষ্টাদের নাম ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার খুঁজুন: ডিআইটিএফ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী
উপদেষ্টারা হলেন- অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ড. মশিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ সালমান এফ রহমান, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক।
আরও পড়ুন: আবারও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা হলেন জয়
আবারও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা হলেন জয়
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা (বিনা বেতনে) হিসেবে পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস ইউএনবিকে জানান, রবিবার (২১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকীর সই করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটের সব আসনেই জয়ী হবে আওয়ামী লীগ: মোমেন
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। এরপর ২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে পদত্যাগ করেন তিনি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর আরও ছয়জন উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি শেখ হাসিনার ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠনের দিন তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ে শেখ হাসিনাকে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
তারা হলেন- প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক।
কামাল আবদুল নাসের ছাড়া বাকি পাঁচজনও তার আগের মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও কম ভোটে জয় আ.লীগের
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ এ. কে. একরামুজ্জামান।
সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে তার পক্ষে বকুল মিয়া মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এদিকে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে পুলিশের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন একরামুজ্জামান। আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
নাসিরনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, ২ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে নাসিরনগর উপজেলা সদরের কাশফুল রেস্তোরাঁর সামনে সরকারি কাজে বাধাদান ও বিস্ফোরক আইনে ৩৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রূপন নাথ।
আরও পড়ুন: হাসিনাকে সমর্থন দিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ভারত: রিজভী
সরকারি কাজে বাধা দান, হত্যার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহার ও পুলিশ সদস্যকে আহত করার অভিযোগে করা এ মামলায় একরামুজ্জামানকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আইনজীবী আলী আজমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন আইনজীবী আদালতে তার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবী আলী আজম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় ঘটনার তারিখ ২ নভেম্বর উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ঘটনার সময় একরামুজ্জামান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপস্থিত ছিলেন না। কারণ ২ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি একটি মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার ওই আদালত তাকে জামিন দেন। এর প্রমাণপত্রসহ অন্যান্য প্রমাণপত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পেশ করা হয়েছে। আদালত সব কিছু বিবেচনা করে বিস্ফোরক আইনের এ মামলায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবরে মহাসমাবেশ থেকে চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার, কারাগারে মৃত্যু
একরামুজ্জামান বলেন, ‘আমি জামিন পেয়েছি। ঢাকায় যাচ্ছি। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে এ মুহূর্তে বলার মতো কিছুই নেই। এখনই সব কিছু স্পষ্ট করতে চাচ্ছি না।’
তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. কাউসার আহমেদ বলেন, বিকালের দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ একরামুজ্জামানের নামে মনোনয়নপত্র তোলা হয়। তার পক্ষে মো. বকুল মিয়া নামে একজন মনোনয়নপত্রটি সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেওয়া তালিকা ধরে নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করবে ইসি: বিএনপি
মস্কোর ফাইন্যান্সিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান ইউনূস
রাশিয়ান ফেডারেশনের অধীন ফাইন্যান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি নিযুক্ত হয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রাশিয়ান ফেডারেশন সরকারের অধীনে ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির রেক্টর প্রফেসর স্তানিস্লাভ প্রোকোফিয়েভের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ড গঠনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ওই সভায় অধ্যাপক ইউনূসকে উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি নিযুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হলে তিনি তা সানন্দে গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি হলেন ড. ইউনূস
ফাইন্যান্সিয়াল ইউনিভার্সিটি রাশিয়ার শীর্ষ পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি। প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাডেমিক স্টাফের সংখ্যা তিন হাজার। এছাড়া গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়টির আমন্ত্রণে সেখানকার ছাত্র-শিক্ষকদের মিলনায়তনে নিজের সামাজিক কার্যক্রমের উপরে বক্তব্য দেন।
যেখানে তিনি নেট জিরো, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও শূন্য বেকারত্বের লক্ষ্য অর্জনে সামাজিক ব্যবসাভিত্তিক নতুন সভ্যতা নির্মাণে তার চিন্তা-ভাবনা ও রূপকল্প তাদের কাছে তুলে ধরেন।
ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির এই আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ড পরামর্শকেন্দ্রিক উচ্চশিক্ষা কমিটির মতো কাজ করবে; যার মূল লক্ষ্য হবে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগানো।
এছাড়া বিষয়ভিত্তিক গভীর বিশেষজ্ঞ-বিশ্লেষণ প্রদান করা, কৌশলগত উন্নয়নে বিভিন্ন প্রস্তাবনা তৈরি করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য অ্যাকাডেমিক, গবেষণা ও উদ্ভাবনমূলক কর্মসূচি গ্রহণে সহায়তা করা।
প্রফেসর ইউনূস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টরের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কর্মসূচি ও গবেষণার জন্য ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা তৈরিতে আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের ভূমিকা ব্যাখ্যা করেন।
তিনি প্রফেসর ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা তত্ত্বের প্রশংসা করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পর্যায়ের অ্যাকাডেমিক কর্মসূচিতে এই তত্ত্ব অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন— বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর মিখাইল এসকিন্দারভ, অ্যাকাডেমিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক ভাইস রেক্টর প্রফেসর একাতেরিনা কামেনেভা, সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড এডুকেশনাল প্রজেক্টসের পরিচালক প্রফেসর কিরিল বাবায়েভ, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশানস বিভাগের প্রধান মিস লিলিয়া।
আরও পড়ুন: স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই এখন জরুরি কাজ, বিলম্ব গ্রহণযোগ্য নয়: ড. ইউনূস
কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত কেন হবো: দুদক কার্যালয়ে ড. ইউনূস
খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান গ্রেপ্তার
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি শিহাব করিম গণমাধ্যমকে বলেন, আদালত অবমাননার মামলায় আজ ভোরে রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে বিএনপির এই নেতাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
পরবর্তীতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: বিচারপতিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানকে হাইকোর্টে তলব
এর আগে, ৬ নভেম্বর হাবিবুর রহমানকে আদালতে হাজির হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাইকোর্টের এক বিচারপতিকে নিয়ে কটূক্তির ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত অবমাননার অভিযোগে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কারাবাস নিয়ে হাবিবুর একটি ভিডিওতে বলেন, ‘শপথ করে বলে যেতে চাই, এই সরকার যেদিন ক্ষমতায় থাকবে না, ওই বিচারপতি আখতারুজ্জামান জীবিত থাকলেও তাকে মরতে হবে, মরে গেলেও কবর থেকে লাশ ওঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির ৭ শীর্ষ আইনজীবী নেতাকে আপিল বিভাগে তলব
আদালত অবমাননা: ব্যাখ্যা জানাতে সুরক্ষা সচিবসহ কারা মহাপরিদর্শককে আপিল বিভাগে তলব
‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শনিবার তারা এক ব্যক্তিকে ধরে এনে জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে তাকে দিয়ে সেখানে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সূত্র বলছে সেই ব্যক্তি ইসরায়েলের একজন এজেন্ট।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে আমন্ত্রণ প্রমাণ করে বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার পাশে আছেন: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার মহাসমাবেশকে ঘিরে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর হঠাৎ নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দলটির নেতা ইশরাক হোসেনসহ কয়েকজন। সেখানে একজন বিদেশি নাগরিকও বক্তব্য রাখেন। মিয়ান আরাফি নামে ওই ব্যক্তি নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাচনী উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শনিবার তারা একজন ব্যক্তিকে ধরে এনে জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে তাকে দিয়ে সেখানে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছে। গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতে দিয়েছে, কথা বলেছেন। পাশে আবার তাদের বড় বড় নেতারা বসেছিলেন। মার্কিন দূতাবাস বিবৃতি দিয়ে বলেছে তিনি সরকারের কেউ নন এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বলেছেন এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। কিন্তু এখানে স্পষ্টতো বিএনপি একটি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সূত্র বলছে- আমাদের কাছে যে খবর আছে সেই ব্যক্তি হচ্ছেন ইসরাইলের একজন এজেন্ট। এটি বিভিন্ন সূত্র বলছে। ইসরায়েলের বর্বরতার বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত কিছু বলেনি।
তিনি আরও বলেন, এজন্য ইসরায়েল বিএনপির ওপর সন্তুষ্ট। তো অনেকে বলছে একজন ইসরায়েলি এজেন্টকে তারা পাঠিয়েছে, যাকে নিয়ে কালকে তারা সভা করেছে, এটি বিভিন্ন সূত্র বলছে।
গতকালের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে। পাশাপাশি ভিসানীতিটি আবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে এবং এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আবার ভিসানীতি আরোপ হতে পারে- এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সহিংসতার নিন্দা তো সবাই জানাতে পারে।
তিনি বলেন, আমরাও নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা আশা করব যারা পুলিশ মেরেছে, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে, জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা করেছে, হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ হবে, আমরা সেটা বিশ্বাস করি।
একটি দল সরাসরি গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, বিষয়টি আপনারা কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নেন জবাবে তিনি বলেন, শনিবার বিএনপি-জামায়াত গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর যে হামলা চালিয়েছে সেটার তীব্র নিন্দা জানাই। কোনো দলের পক্ষ হয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে যাননি। তারা সেখানে সংবাদ সংগ্রহে গেছেন।
মন্ত্রী বলেন, তাদের ওপর কেন হামলা হলো? যাদের ওপর হামলা হয়েছে তারা বিএনপি বিটের সাংবাদিক, তাদের ওপর হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। তার মানে এটি গণমাধ্যমকর্মীর ওপর হামলা ও গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল। আমি এগুলোর তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর বিচার হবে।
এর আগে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কথা বলে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশর ডাক দিয়েছিল। সরকার, পুলিশ প্রশাসন ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশাসন তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশের কথা বলে তারা সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। প্রধান বিচারপতি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, প্রধান বিচারপতি একটি প্রতিষ্ঠান। বিচার বিভাগের প্রধান। তার বাসভবনে তারা হামলা চালিয়েছে এবং সেখানে ঢুকে পড়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে হাজার হাজার মিছিল সেই বাসভবনের সামনে দিয়ে গেছে সরকারি দল, বিরোধী দল। কাকরাইলার মোড়ে অনেক সময় অনেক গণ্ডগোল হয়েছে, কিন্তু কখনো প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয়নি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ের দরজায়, প্রধান বিচারপতির খাস খামারার দরজায় লাথি মেরেছে। অর্থাৎ তারা বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠানকে তোয়াক্কা করে না। সেটি প্রমাণ হচ্ছে গতকালের ঘটনা। সবচেয়ে নেককারজনক হচ্ছে তারা পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, ভাঙচুর করেছে অ্যাম্বুলেন্সসহ।
তিনি আরও বলেন, ইসরাইলি বাহিনী গাজায় হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। আর এখানে বিএনপি-জামায়াত হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নাইটিঙ্গেল মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে একজন পুলিশকে পিটিয়ে পরে চাপাতি দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যা করা হয়। একশোর বেশি পুলিশ সদস্য আহত, দুজনের অবস্থা গুরুতর এবং আনসারের ২৫ জন সদস্য আহত।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে গেছি। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালেও গেছি। সেখানে বহু পুলিশ যন্ত্রণায় ছটফট করছে। বেশিরভাগ পুলিশের মাথায় তারা আঘাত করেছে, যাতে মৃত্যু হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, যে পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে আপনারা সেই জায়গা দেখেননি, আমি লাশ দেখেছি। পেছনে কোপ দিয়ে নামিয়ে ফেলা হয়েছে, মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য। এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। এগুলো সন্ত্রাসী দলের কাজ। বিএনপির জামায়াত যে আবার ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের অবস্থায় ফিরে এসেছে শনিবার আপনারা দেখেছেন।
তিনি বলেন, যারা করেছে শুধু তাদের নয়, এটির দায় এটির নির্দেশ দাতাদের। কারণ তারা এই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল। তারা বোমা নিক্ষেপ করেছে, পুলিশের উপর ককটেল নিক্ষেপ করেছে এবং পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শনিবারের সংঘর্ষে শামীম মিয়া নামের যে যুবদল নেতা মারা গেছে বলে মির্জা ফখরুল সাহেবরা বলেছেন, তাদের রাজনীতি তো মিথ্যাচারের উপর। তার পরিবার বলছে দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তার গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
হাসপাতাল বলছে- তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। অর্থাৎ কী রকম মিথ্যাচার।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পুলিশ সদস্য হত্যার দায় এড়ানোর জন্য একজন সাধারণ মানুষ তাদের এই অপকর্মের জন্য মৃত্যুবরণ করেছে, সেটিকে যুবদল বলে পরিচয় দিচ্ছে। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা দেশ, জনগণ, সরকার বরদাশত করতে পারে না এবং আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে দিতে পারি না। যারা এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা দায় এড়াতে পারেন না। আমাদের দায়িত্ব দেশে শান্তিশৃঙ্খলা, জনগণের স্বস্তি স্থাপন করা, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর রাজপথ আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে: তথ্যমন্ত্রী
'মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা' দাবি করা ব্যক্তিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত: মোমেন
‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ দাবি করা ব্যক্তি সম্পর্কে রবিবার (২৯ অক্টোবর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কোনো ব্যক্তি সহিংসতার আহ্বান জানালে অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করা উচিত, সে যে দেশেরই হোক না কেন।
মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফির বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো যেই সহিংসতার আহ্বান জানায়, তাকে গ্রেপ্তার করা উচিত। আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব।’
রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আহতদের দেখার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মোমেন এসব কথা বলেন।
আরেফি নিজেকে ‘মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন এবং গতকাল শনিবার তিনি বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে দলের নেতা-কর্মীরা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করেছে, তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত। ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
মোমেন বলেন, নিরাপত্তাকর্মীদের উপর এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ‘তাদের (হামলাকারীদের) দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত, যাতে কেউ এই ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তি করতে সাহস না পায়।’
আরেফি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বোকা নন, যে এই ধরনের লোককে এখানে পাঠাবেন। ‘আমি এটা বিশ্বাস করি না।’
‘জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া মিয়া আরেফিকে বিএনপি নেতারা ঢাকায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়ে আসেন এবং একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জ নিতে চাই এবং মোকাবিলা করতে প্রস্তুত: মোমেন
সিলেটে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার মুক্তাদির গ্রেপ্তার
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে গ্রেপ্তার করেছে সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকাল ৩টার দিকে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ডাক্তার-নার্স পরিচয়ে বাড়িতে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬: ডিএমপি
মুক্তাদিরকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাস।
তিনি বলেন, উনার বিরুদ্ধে পুরনো একটি মামলায় ওয়ারেন্ট ছিলো। সে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০ দফা দাবিতে সিলেটেও অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি। এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্যই শনিবার সিলেটে আসেন মুক্তাদির। এরপর ওসমানী বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির গত সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন: আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গি সোহেলের স্ত্রী গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের সাক্ষর-সিল জালিয়াতির অভিযোগে নাপিত গ্রেপ্তার
বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্তরা শনিবার থেকে অস্থায়ীভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন: সালমান এফ রহমান
গত ৪ এপ্রিল পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার মার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকরা আগামী শনিবার (৮ এপ্রিল) থেকে সাইট ও সংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ীভাবে তাদের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন, যাতে তারা কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে দোকান মালিক সমিতিকে এ নির্দেশনা দেন।
এসময় সালমান এফ রহমান বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির নেতাদের নিয়ে বঙ্গবাজার মার্কেট পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।
গত মঙ্গলবার ঢাকা শহরের অন্যতম শপিং এলাকা বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, সালমান এফ রহমান বঙ্গবাজার ছেড়ে যাওয়ার পর তাকে ফোন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তখন তাকে ফোনে বলেন, আগামীকাল (শুক্রবার) পোড়া এলাকা পরিষ্কার করা হবে এবং শনিবার থেকে ব্যবসায়ীরা সেখানে অস্থায়ীভাবে কার্যক্রম চালাতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ব্যবসায় টিকে থাকতে সুদমুক্ত ঋণ চান বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা
বাজার পরিদর্শনকালে রহমান আরও বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছেন, যিনি এ ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত।
তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তার তহবিল থেকে সহায়তা দিতে চান। এছাড়াও, সারাদেশ থেকে অনেক লোক সাহায্য করতে চায়।”
তিনি আরও বলেন, ‘এজন্য, দোকান মালিক সমিতিকে এখানকার ব্যবসায়ী সংস্থার সঙ্গে একটি যৌথ অ্যাকাউন্ট খুলতে বলা হয়েছে।’
আর্থিক সহায়তা পেতে বাজার কমিটিকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করে আগামী রবিবারের মধ্যে সিটি করপোরেশনে জমা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
রহমান আরও বলেন, বঙ্গবাজার মার্কেটের কয়েকজন ব্যবসায়ীর করা আগের মামলা প্রত্যাহার হলে সেখানে নতুন মার্কেট নির্মাণে সরকারের আগের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে বাজারটি পুড়ে গেলে সরকার সেখানে নতুন ভবন নির্মাণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু একাংশ ব্যবসায়ী তা চাননি এবং মামলা করেছেন। সেই মামলা প্রত্যাহার করা হলে আগের সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী বাজার পুনর্গঠন করা হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড: ৭০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি দোকান মালিক সমিতির
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড: ১২ জন আহত
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন মারা গেছেন
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সচিব সাবিহ উদ্দিন আহমেদ মারা গেছেন। সোমবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে ৭৬ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবিহ উদ্দিন সোমবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে এবং অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রায়হান চৌধুরী মারা গেছেন
তার মৃত্যুর খবর শুনে উত্তরা থেকে সাবিহ উদ্দিনের গুলশানের বাসায় ছুটে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের প্রতি সমবেদনা জানান।
ফখরুল ও সাবিহ উদ্দিন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একই ব্যাচের ছাত্র এবং ব্যক্তিগত জীবনে তারা ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
ছাত্রজীবন শেষে করে সাবিহ উদ্দিন আহমেদ পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি বিভিন্ন মন্ত্রীর তথ্য কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি তথ্য ক্যাডারে ফিরে আসেন।
২০০১ সালে সাবিহ উদ্দিন আহমেদ পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে যোগদান করেন। পরে তিনি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হন।
সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণের পর সাবিহ উদ্দিন আহমেদ সক্রিয়ভাবে বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দেন এবং দলের চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হন।
স্নায়বিক জটিলতার কারণে ২০১৭ সাল থেকে তিনি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: অভিনেতা মাসুম আজিজের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
অভিনেতা ও নাট্যকার মাসুম আজিজের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক