মোমেন
রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে ওআইসি সদস্যদের দায়িত্ব নিতে হবে: মোমেন
বাংলাদেশ বলেছে, সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী- রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে ওআইসি সদস্য দেশগুলোকে অবশ্যই সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহিতার জন্য ওআইসি অ্যাডহক মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটির উন্মুক্ত বৈঠকে এই আহ্বান জানান।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) মৌরিতানিয়ার রাজধানী নোয়াকচটতে ৪৯তম ওআইসি ফরেন কাউন্সিলের মন্ত্রীদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য মিয়ানমারকে জবাবদিহি করতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার অবস্থার সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন।
শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর স্বেচ্ছায় অবদানের অবস্থা এবং মামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তহবিলের প্রয়োজনীয়তার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়েছে।
মোমেন আন্তঃদেশীয় আর্থ-সামাজিক বিপর্যয়, বিশেষ করে অনিশ্চিত ভবিষ্যত সহ হাজার হাজার কিশোর ও যুবকদের ধ্বংস হওয়া এড়াতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।
গাম্বিয়া ও ওআইসিকে ধন্যবাদ জানাতে এবং আইনি পদক্ষেপে সদয় সমর্থনের জন্য রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার প্রদানে মামলার গতি নিশ্চিত করার গুরুত্বের উপর আলোকপাত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রিয়াদে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত
তিনি মামলার আইনি খরচে স্বেচ্ছায় অবদান রেখে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে ভার ভাগাভাগি করার আহ্বান জানান।
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরব, তুর্কি, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, মিশর, পাকিস্তান ও গাম্বিয়া।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরুন ও মৌরিতানিয়ার প্রতিপক্ষের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
উভয় দেশ বাংলাদেশের দ্রুত ও ধারাবাহিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং আশা প্রকাশ করে যে কৃষি, মৎস্য, বাণিজ্য, শিক্ষা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সুযোগ ঘটবে।
মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিবের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি।
মোমেন ১৬-১৭ মার্চ মৌরিতানিয়ার নোয়াকচটতে অনুষ্ঠিত ৪৯তম ওআইসি কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টারস (সিএফএম)-এ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন: লস এঞ্জেলেসে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
আমরা বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই, যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীকে মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রেভেলিয়ানকে বলেছেন, ‘আপনাদের এটা নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। আমরাও একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই।’
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মোমনে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের পক্ষ বিষয়টি উত্থাপন করেনি, তিনি (মোমেন) নিজেই বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের জন্য ৪০ জন বিশ্বনেতার আবেদনের সমালোচনা মোমেনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার একটি ‘শক্তিশালী ও স্বাধীন’ নির্বাচন কমিশনসহ একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান গঠন করেছে।
মোমেন আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, জনগণ তাদের (আ.লীগ) করা ‘ব্যাপক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা’র জন্য আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে।
অন্যদিকে, অ্যান-মারি এক টুইটে বলেছেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা সংকট, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনা করেছি।’
নিরাপদে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা নিজ দেশে ফিরে না যেতে পারা পর্যন্ত তাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য তিনি বাংলাদেশের উদারতার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এর আগে, যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী বলেছিলেন যে তিনি বাংলাদেশের বিনিয়োগ যাত্রার কথা শুনে আনন্দিত এবং ঢাকায় বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩-এ বক্তৃতা করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্য পারস্পরিক বাজারে প্রবেশের মাধ্যমে তাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছে মোমেন
ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে মধ্যস্থতাকারী হতে পারে ভারত: ভারতীয় গণমাধ্যমকে মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সাহায্য করতে ভারত মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে পারে।
জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে নয়াদিল্লিতে মোমেন আরও বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানেও ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বাদ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক চায়: মোমেন
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে তারা সীমান্ত সমস্যা নিয়ে কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে ‘কোনো গুলি না চালিয়ে’ তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করেছে।
ভারত ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতি বজায় রাখি।’
তবে তিনি বলেন, ভারত মিয়ানমারের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউইওনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক: পার্শ্ব বৈঠক করবেন মোমেন
ঢাকায় মোমেনের সঙ্গে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক সোমবার
দিল্লিতে জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক: পার্শ্ব বৈঠক করবেন মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ১ ও ২ মার্চ নয়াদিল্লিতে জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ সহ একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মোমেন বলেন, তিনি এই মুহূর্তে সবার নাম বলতে পারছেন না তবে ফ্রান্স, সুইডেন ও ভারত ছাড়াও আরও দুই থেকে তিনটি দেশের প্রতিপক্ষের সঙ্গে তার বৈঠক রয়েছে।
জি২০-এর ফাঁকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে কোনো পরিকল্পিত বৈঠক আছে কি না জানতে চাইলে মোমেন বলেন, মার্কিন পক্ষের আমন্ত্রণে তিনি এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন যেখানে তিনি বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ১ মার্চ নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীও জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে অংশ নিতে ১ মার্চ নয়াদিল্লি যাবেন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং ২ মার্চ জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ইউকে'র আয়োজনে ইলফোর্ডে মাতৃভাষা পথ-উৎসব
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ১ থেকে ২ মার্চ নয়াদিল্লিতে জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে অংশ নিতে তিনদিনের ভারত সফর করবেন।
জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে বহুপক্ষীয়তা জোরদার করা এবং খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন, মাদকবিরোধী, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা এবং দুর্যোগে ত্রাণ এবং লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে সহযোগিতা জোরদার করার ওপর জোর দেয়া হবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের সভাপতিত্বে জি২০-এর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (এইইউ) তার সভা এবং শীর্ষ সম্মেলনে অতিথি দেশ হিসাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
ভারত তার সভাপতিত্বে এ বছর সারা দেশে ২০০টিরও বেশি জি২০ বৈঠকের আয়োজন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, আমরা খুবই সম্মানিত বোধ করছি।
আরও পড়ুন: দূতাবাস চালু হলে আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে: সফররত মন্ত্রীর আশা
জি-টোয়েন্টি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক বিষয়ে মোমেন বলেন, যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করা এবং এসডিজির যথাযথ বাস্তবায়নসহ বাংলাদেশ তাদের মতামত ও পরামর্শ দেবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের মতামত এবং পরামর্শ উপস্থাপন করব। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উন্নয়ন চাই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নয়াদিল্লিতে চলতি বছরের ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ১৮তম জি-২০ রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
শেখ হাসিনা তার ভারতীয় সমকক্ষ নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত বছরের ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর করেন।
জি২০ নেতারা ছাড়াও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ সাইদ হুসেইন খলিল এল-সিসি, মৌরিতানিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ কুমার জুগনাউথ, ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটো, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদু বুহারি, ওমানের রাষ্ট্রপ্রধান সুলতান হাইথাম বিন তারিক, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘কৌশলগত’ সম্পর্ক গড়ে তুলতে কাজ করবে ঢাকা-জাপান
১৯৭১ সালের নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানকে প্রথমে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ চায় পাকিস্তান ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জন্য ‘আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাক।’
তিনি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার’কে বলেছেন,‘আপনাদেরকে প্রথমে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে ... যদি প্রথমে এটি (প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া) করা হয়, তাহলে আমি আপনাদের হয়ে যুক্তি দিতে পারি। তা না হলে এটা আমার জন্য খুব কঠিন হবে। আমি তা করতে পারি না। এটা শুদ্ধ ও সহজ কথা।’
রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার সঙ্গে বৈঠকে যেসব বিষয়ে কথা বলেছেন তা জানিয়ে এ কথা বলেন।
মোমেন বলেন,পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চায়; কিন্তু বাংলাদেশ মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া হলো পাকিস্তানের প্রথম কাজ।
এর আগে শনিবার শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন হিনা রব্বানী।
মোমেন শ্রীলঙ্কার ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে সফর করেন। এখানে প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, পাকিস্তানের প্রতিমন্ত্রী তার অনুরোধের সরাসরি কোনও জবাব দেননি, তবে তাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের কোনো ইস্যু থাকলে তা অবশ্যই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কাজ দিয়ে শুরু করতে হবে।
তিনি বাণিজ্য সম্পর্ক মোটামুটি ভারসাম্যপূর্ণ করতে পাকিস্তানের প্রতিমন্ত্রীকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
এছাড়া শনিবার মোমেন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য মন্ত্রীদের সঙ্গে কলম্বোর গল ফেস গ্রিন-এ যৌথ বাহিনীর কুচকাওয়াজ, ফ্লাই-বাই এবং প্যারাসুট প্রদর্শনর সমন্বয়ে আয়োজিত ‘স্বাধীনতা প্যারেডে’ অংশ নেন।
আরও পড়ুন: প্রমোদতরি ‘এম ভি গঙ্গা বিলাস’: ষাট গম্বুজ মসজিদ পরিদর্শনে ২৫ বিদেশি পর্যটক
এসময় ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি মুরালীধরনও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন।
তারা আসন্ন দ্বিপক্ষীয় সফর এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং দুই দেশের জনগণের স্বার্থে ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর জোর দেন।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মন্ত্রীরা বাংলাদেশের অব্যাহত অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের প্রশংসা করেন।
শনিবার সন্ধ্যায় মোমেন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ যেমন- ভারত, নেপাল, ভুটান ,পাকিস্তান ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কমনওয়েলথের মহাসচিব এবং সফররত বিভিন্ন রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মানে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কাকে ধার দেয়া টাকা ফেরত পেতে পারে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ঢাকায় আসবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মেসিকে সঙ্গে আনতে বলেছি: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দুই দিনের সরকারি সফরে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ঢাকায় আসবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো। কারণ দুই পক্ষ আগামী দিনে সম্পর্ক জোরদার করতে চায়।
তিনি বলেন, আমি সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এছাড়া আমি তাকে বলেছি লিওনেল মেসিকে তার সঙ্গে আনতে।
সোমবার মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করবে বাংলাদেশ: মোমেন
মোমেন বলেন, আর্জেন্টিনা ঢাকায় তার মিশন বা কনস্যুলেট খুলতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকারেরও আর্জেন্টিনায় একটি মিশন খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ব্রাজিলে একটি মিশন খুলেছে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি আমরা ভবিষ্যতে আর্জেন্টিনায় একটি বাংলাদেশ মিশন খুলব।
এছাড়া বিদেশে যেকোন মিশন খোলার আগে বাংলাদেশ তিনটি বিষয় বিবেচনা করে-সেখানে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের আকার, আয়োজক দেশের গুরুত্ব এবং বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
মোমেন বলেন, আর্জেন্টিনা বাংলাদেশের ভালো বন্ধু এবং সব সময় সমর্থন করে। আর্জেন্টিনার সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক।
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা সাম্প্রতিক চিঠিতে মোমেন বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি, আমাদের ভৌগোলিক দূরত্ব সত্ত্বেও ফুটবলে বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মানুষের হৃদয় এক হয়ে গেছে।
এছাড়া তিনি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব আরও গভীর করতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমি আমাদের পারস্পরিক অগ্রাধিকার একত্রিত করতে এবং আগামী দিনে একে অপরের রাজধানীতে মিশন খোলার জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
এছাড়া বিশ্বকাপ ফাইনালে নজিরবিহীন জয়ের পর আর্জেন্টিনা এবং বাংলাদেশ জুড়ে বাড়ি ও রাস্তা উদযাপনের জায়গা হয়ে ওঠে। ফ্রান্সকে পরাজিত করে এটি ছিল আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা জয়।
আরও পড়ুন: তৌহিদুল মেধাবী ও বুদ্ধিমান কূটনীতিক, আমি তাকে রক্ষা করব: মোমেন
২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে: মোমেন
সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নতুন দুটি ইউনিট উদ্বোধন
সিলেট ওসমানী হাসপাতালের আইসিইউ-৩ ও এনসিডিসি ইউনিট এবং ‘হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু’ নামক কর্নার উদ্বোধন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে তিনি এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বৃহত্তর সিলেটের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ-৩ ইউনিট এ অঞ্চলের মানুষের-বিশেষ করে মুমূর্ষু রোগীদের জীবন বাঁচাতে মূল্যবান অবদান রাখবে। অবদান রাখবে এনসিডিসি ইউনিটও।
এ সময় মন্ত্রী ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় শাখার কাজ শুরুর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দিয়ে বলেন, হাসপাতালটির ওপর চাপ কমাতে এবং সিলেটবাসীর স্বাস্থ্যসেবার বিস্তৃতি ঘটাতে ওসমানী হাসপাতালের দ্বিতীয় শাখার কাজ দ্রুত শুরু করা জরুরি।
আরও পড়ুন: র্যাব কিছু কাজ উল্টাপাল্টা করেছে, তবে এখন অনেক ম্যাচিউরড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি এর জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ দ্রুত শুরুর নির্দেশনা দিয়ে বলেন, এটি হয়ে গেলে সিলেটবাসীকে আর বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে হবে না। এতে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে তেমনি মানুষের জীবনও অনেক সুরক্ষিত হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত, বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে আর একটিও রোহিঙ্গা প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। সম্প্রতি যারা দেশে প্রবেশ করেছে তাদের বের করে দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা রুশ জাহাজ গ্রহণ করবে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
খেলা দেখতে সিলেট স্টেডিয়ামে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মাঠে তখন চলছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স বনাম রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ। বিকেল ৪টার দিকে সবার আকর্ষণ ভিআইপি লাউঞ্জের দিকে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন মাঠে এসেছেন খেলা দেখতে।
ঘটনা শুক্রবার বিকালে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের।
বিকালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) সিলেট স্ট্রাইকার্স বনাম রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ দেখতে তিনি মাঠে উপস্থিত হয়েছিলেন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিসিবি পরিচালক ও নারী উয়িংসের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম প্রমুখ।
এর আগে শুক্রবার সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিমানযোগে সিলেট এসে পৌঁছেন।
আরও পড়ুন: আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশে আরও চীনা বিনিয়োগের আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
যুক্তরাষ্ট্র গঠনমূলক পরামর্শ দিলে তা গ্রহণ করবে বাংলাদেশ: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ এবং তারা কোনো গঠনমূলক পরামর্শ দিলে বাংলাদেশ তা গ্রহণ করবে।
মার্কিন কর্মকর্তা ডোনাল্ড লু-এর সফরের আগে শুক্রবার আইপিএস এবং এর অর্থনৈতিক উপাদান সম্পর্কে কথা বলার সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মোমেন বলেছেন যে বাংলাদেশ জনগণের কল্যাণের জন্য যা যা প্রয়োজন তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে সরকার এখনও ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) সম্পর্কিত বিষয়গুলো অধ্যয়ন করছে।
তিনি বলেন, ‘এটি এতটা স্বচ্ছ নয়। এটি কীভাবে সুফল বয়ে আনবে তা সেখানে উল্লেখ করা হয়নি। আমরা অধ্যয়ন করছি।’
ব্যুরো অব সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়ান অ্যাফেয়ার্সের সহকারী সেক্রেটারি অব স্টেট হিসেবে ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর নিয়োগপ্রাপ্ত ডোনাল্ড লু তার ভারত সফর শেষ করে ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
মোমেন বলেন, ‘আমরা আমাদের বিষয়গুলো তুলে ধরব। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকা খুবই স্বাভাবিক।’
ডোনাল্ড লু জ্বালানি, বাণিজ্য, নিরাপত্তা সহযোগিতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, শ্রম এবং মানবাধিকারসহ বিভিন্ন অগ্রাধিকার নিয়ে বৈঠক করবেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মতে, তিনি তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার, অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ এবং শ্রম ও মানবাধিকারের বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি শুনতে আলোচনা করতে বাংলাদেশি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয়ের সঙ্গেই বাংলাদেশ সুসম্পর্ক বজায় রাখছে, কিন্তু বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং: মোমেন
যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয়ের সঙ্গেই বাংলাদেশ সুসম্পর্ক বজায় রাখছে, কিন্তু বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ তার ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে বৈশ্বিক শক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছে, যদিও এটি একটি ‘চ্যালেঞ্জিং’ কাজ।
তিনি বলেন, ‘এটা একটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। তাদের (মার্কিন ও চীন) নিজস্ব সমস্যা থাকতে পারে। এটা তাদের মাথাব্যথা, আমাদের নয়। আমরা উভয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই।’
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদক যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার কীভাবে সম্পর্ক বজায় রাখছে তা জানতে চাইলে মোমেন এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি প্রবাসীকে হত্যা ও বর্ণ বিদ্বেষের নিন্দা জানিয়েছেন মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক উক্তি: ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’-উল্লেখ করেন। যা সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মোমেন বলেন, ‘আমরা এই নীতিতে বিশ্বাস করি।’
মোমেন আজ ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির সময় নবনিযুক্ত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংকে স্বাগত জানান এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সিনিয়র ডিরেক্টর রিয়ার অ্যাডমিরাল আইলিন লাউবাচার বাংলাদেশে তার চার দিনের সফর শেষ করেন।
অন্যদিকে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিনিময় করতে বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছেন ভাইস মিনিস্টার চেন ঝোউয়ের নেতৃত্বে। সিপিসির প্রতিনিধিদল ১১ জানুয়ারি ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী সেক্রেটারি অব স্টেট হিসেবে নিযুক্ত হওয়া ডোনাল্ড লু সম্ভবত ১৫ জানুয়ারি তার বাংলাদেশ সফর শুরু করবেন।
মার্কিন কর্মকর্তা লাউবাচারের সফরে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা করেছে কিনা জানতে চাইলে মোমেন বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন এক বছর পর অনুষ্ঠিত হবে এবং গত ১৪ বছরে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘আমাদের দেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ।’
তিনি বলেন, জনগণ ও সব দলের অংশগ্রহণে অভ্যন্তরীণভাবে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ উন্নত করা যেতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে চায় এবং সেজন্য একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন রয়েছে।
মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে অসামান্য উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে জনগণ তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আওয়ামী লীগকে পুনরায় নির্বাচিত করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মানুষকে বিশ্বাস করি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে। আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। আমরা কখনই পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসিনি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার পরবর্তী অধ্যায়ে চীন পাশে থাকবে: মোমেন
বাংলাদেশ ‘এক চীন’ নীতিতে বিশ্বাস করে: চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে মোমেন
বাংলাদেশ ‘এক চীন’ নীতিতে বিশ্বাস করে: চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা ‘এক চীন’ নীতিতে বিশ্বাস করি। এটা আমাদের মূলনীতি। এটা আমাদের পররাষ্ট্রনীতি। আমাদের সবাইকে নিয়েই চলতে হয়। সুতরাং আমরা আপনাদের (চীনকে) ‘টাইম টু টাইম’ সাপোর্ট দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার ভোরে ঢাকায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন গ্যাংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি প্রবাসীকে হত্যা ও বর্ণ বিদ্বেষের নিন্দা জানিয়েছেন মোমেন