মোমেন
সিলেটে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনসহ ২১৩ জনের নামে মামলা
সিলেটে বিস্ফোরক ও হত্যাচেষ্টা অভিযোগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন ও সেলিনা মোমেনসহ ২১৩ জনকে অসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজারের জালালপুরের সদরপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত তফুর আলীর ছেলে মো. আলাল মিয়া মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন।
সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও তার স্ত্রী সেলিনা মোমেন ছাড়াও সিলেট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (৫০), মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন (৬১), মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আফতাব হোসেন খানসহ ১৫৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সিলেট নগরের মিরবক্সটুলায় খায়রুন ভবনের সামনের সড়কে ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, কাটা রাইফেল, পাইপগান রামদা ছিটা, গুলি চাইনিজ কুড়াল ককটেল পেট্রোল বোমা সাউন্ড গ্রেনেডসহ মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে।
আন্দোলনকারীদের মারধর করে ককটেল বোমা, সাউন্ড গ্রেনেড, পেট্রোল বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় বাদী পেশাগত কাজ শেষে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন। গুরুতর জখম অবস্থায় বাদীকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। চিকিৎসাধীন থাকার কারণে মামলা দায়েরে দেরি হয়।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি শহীদুল হকসহ ৩ জন রিমান্ডে
১ মাস আগে
কালো টাকা সাদা করার বিধান পুনর্বিবেচনা করা উচিত: মোমেন
বাজেটে কালো টাকা সাদা করার বিধান নিয়ে সংসদে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (২০) সংসদে তিনি এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার ঘোষণার কারণে সৎ করদাতারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় তিনি বলেন, আমি অবশ্যই মনে করি কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: কালো টাকা সাদা করার বাজেট প্রণয়ন অসাংবিধানিক ও দুর্নীতিবান্ধব: টিআইবি
এসময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রাজস্ব বৃদ্ধি, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও হয়রানির চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন মোমেন।
দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ খাদ্য স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয় উল্লেখ করে পেঁয়াজ ও আলু উৎপাদনে উদ্বৃত্তের ইঙ্গিত দিয়ে সরকারি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মোমেন।
তিনি বলেন,‘২৮ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে স্থানীয়ভাবে ৩৪ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়। একইভাবে আলুর উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ১০৪ লাখ টন, যা চাহিদার তুলনায় ২৫ লাখ টন বেশি। যদি তাই হয়, তাহলে এসব পণ্যের দাম বাড়বে কেন? আমাদের পরিসংখ্যানে ভুল আছে।’
কর্মসংস্থান সংকট নিয়েও কথা বলেন তিনি। মোমেন বলেন, অপর্যাপ্ত স্থানীয় চাকরির কারণে অনেক নাগরিক বিদেশে সুযোগ খোঁজেন। ‘সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে মাত্র ৩ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ বেকার। তবে আমার অফিসে আসা ১০ জনের মধ্যে ৬ জনই চাকরি খুঁজছেন।’
আরও পড়ুন: কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে: জমির উদ্দিন সরকার
মোমেন কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে বেসরকারি খাতের গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ঋণ গ্রহণের সম্ভাব্য প্রভাব তুলে ধরেন। তিনি সতর্ক করে বলেন,‘বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার এক লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে, যা বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের ঋণ থেকে বঞ্চিত করতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
রাজস্ব আদায়ের বিষয়টিকে একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ১৭ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র ৩০-৩২ লাখ মানুষ করদাতা, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় সর্বনিম্ন।
তিনি আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর পরিধির প্রস্তাব করেন, যাতে জাতীয় পরিচয়পত্রধারী সকল ব্যক্তিকে বার্ষিক আর্থিক বিবরণী জমা দিতে হবে। এই পদক্ষেপের ফলে করদাতার সংখ্যা বর্তমানের ৩০-৩২ লাখের পরিবর্তে দুই-তিন কোটিতে উন্নীত হতে পারে।
রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, পারিবারিক মর্যাদা বৃদ্ধি ও হয়রানি হ্রাসে রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানান সাবেক এই মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমলাদের একটি অংশ দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন, যা মানুষের হয়রানি তীব্রতর করছে। মুষ্টিমেয় কিছু দুর্নীতিবাজ আমলার কারণে গোটা আমলাতন্ত্রকে দোষারোপ করা হয়।’
আরও পড়ুন: বাজেটে কালো টাকা সাদা করার প্রস্তাবে সমর্থন প্রধানমন্ত্রীর
৬ মাস আগে
বিএনপি নেতাদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগ করা উচিত: মোমেন
ভিসানীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের কথায় ঠিক থাকে, তাহলে বিএনপি নেতাদের উপর ভিসা নীতি প্রয়োগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
তিনি আরও বলেন, এর কারণ তারা নির্বাচন বানচাল করতে চাইছে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সিলেটে নিজ বাসভবনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার প্রবাসীবান্ধব: মোমেন
এসময় তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে দেশে বিএনপির জনপ্রিয়তা অনেকটা কমে গেছে, তারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। খালেদা জিয়ার জেল নিয়ে দেশের জনগণ চিন্তিত নয়।
দলটি নেতৃত্বের অপরিপক্কতায় ভুগছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, ইলেকশন কমিশন আওয়ামী লীগের বিষয়ে কড়াকড়ি করছে, একইভাবে বিএনপির উপর সমানভাবে কড়াকড়ি আরোপ করা উচিত, কারণ তারা নির্বাচন বানচাল করতে চাইছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২২৭ জন পর্যবেক্ষক ও অসংখ্য সাংবাদিক আসবে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের মূলমন্ত্র গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা: মোমেন
তিনি জানান, মার্কিন পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, তারা তথ্য সংগ্রহ করছে।
আগামীতে বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে কীভাবে তিক্ততা কমানো যায়, বিএনপি কেন নির্বাচনে আসেনি এ বিষয়ে জানতে চেয়ছে পর্যবেক্ষক দল।
মার্কিন পর্যবেক্ষক দলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন, আইআরআইয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনিয়র উপদেষ্টা জেওফ্রি ম্যাকডোনাল্ড, আইআরআইয়ের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাভ ঘোষ ও আইআরআইয়ের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডেভিড হোগস্ট্রা।
আরও পড়ুন: এমন নির্বাচন হবে যা দেখে দুনিয়ার সবাই শিখবে: মোমেন
১১ মাস আগে
উন্নয়নের মূলমন্ত্র গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, উন্নয়নের মূলমন্ত্র গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার ধারাবাহিকতা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ আছে বলে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, রিজার্ভ বাড়ছে। আর উন্নয়নের মূলমন্ত্র হচ্ছে গণতান্ত্রিক ক্ষমতার ধারাবাহিকতা। তাই দেশের উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করতে হবে।’
সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় সিলেট নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সে ‘দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে আয়োজিত সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিনিয়োগসংক্রান্ত আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন নালিশ পার্টি। তারা অযথা লবিং করে বেড়াচ্ছে। এগুলো ঠিক নয়। কারণ বাস্তব অবস্থা সবাই জানে। কাজেই কোনো ব্যক্তি বিশেষ বা কারো প্রোপাগান্ডায় কোনো কিছু হবে না। বিভিন্ন রাষ্ট্রের দূতাবাসগুলো তাদের কথায় প্রভাবিত হবে না।
তিনি সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনার প্রশংসা করেন এবং প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, বর্তমান সরকারের গত ১৫ বছরের মেয়াদে সিলেটে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যার ফলে সিলেটের সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীমহল উপকৃত হয়েছেন। আগামীতেও নির্বাচিত হয়ে বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখবেন।
তাহমিন আহমদ সিলেট চেম্বারের উদ্যোগে এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফজলে এলাহী মো. ফয়সালের সহযোগিতায় প্রস্তুত করা সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলায় বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় খাতসংক্রান্ত গবেষণাপত্র এবং সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে ১৬টি প্রস্তাব লিখিতভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
আরও পড়ুন: আমি দৌঁড়াতে পারি বলেই নড়াইলে মেগা প্রকল্প আসছে : মাশরাফি
প্রস্তাবনার মধ্যে ছিল- সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে ইন্টার কন্টেইনার ডিপো (আইসিডি) স্থাপন, ইসলামপুরে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন সিলেট টেক্সটাইল মিলের জমি প্লট আকারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের বরাদ্দ প্রদান, সিলেট থেকে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে তাজা শাক-সবজি ও ফলমূল রপ্তানির লক্ষ্যে সিলেটে প্যাকিং হাউজ ও সার্টিফিকেশন ল্যাব নির্মাণ, সিলেট-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ৬ লেনে রূপান্তর, সিলেটে এনআরবি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা, সিলেটের পর্যটন খাতের বিকাশ ঘটাতে “সিলেট পর্যটন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ” গঠন, সিলেটে নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের লক্ষ্যে নতুন একটি বিসিক শিল্প নগরী স্থাপন, ভোলাগঞ্জ স্থল শুল্ক স্টেশনে ইমিগ্রেশন চালু, সিলেট-ঢাকা ও ঢাকা-সিলেট রুটে বাংলাদেশ বিমানের সান্ধ্যকালীন ফ্লাইট প্রতিদিন চালু।
সিলেট চেম্বারের সিনিয়র কর্মকর্তা মিনতি দেবীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক 0মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, পরিচালক ও সাবেক সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব।
আরও পড়ুন: মোড়েলগঞ্জে নৌকা প্রতীকের অফিসে অগ্নিসংযোগ
১১ মাস আগে
এমন নির্বাচন হবে যা দেখে দুনিয়ার সবাই শিখবে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তারা ‘অবাধ, সুষ্ঠু, অহিংস ও স্বচ্ছ’ নির্বাচন দেখতে চান এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার লক্ষ্য অর্জন করতে চান।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে নিজ বাসভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিশেষজ্ঞদের দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সারা বিশ্ব থেকে সবাই এসে দেখুক। এমন নির্বাচন হবে যা দেখে দুনিয়ার সবাই শিখবে।’
মোমেন বলেন, ‘সফররত ইইউ দল শুধু আমার কথা শুনেছে। কারণ তারা কয়েকটি বিষয় জানতে চেয়েছিলেন, তবে নির্বাচন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রে নির্বাচনের বিকল্প নেই: ড. মোমেন
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং অত্যন্ত শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন রয়েছে। যা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ইইউ দলের কাছে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করেনি, বরং 'সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে' জড়িতদের গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি সিসিটিভি ফুটেজ এবং বিএনপির কিছু সমর্থকদের দেওয়া বিবৃতি টেনে উল্লেখ করেন, কারা তাদের অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালানোর নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: শুধু দেশ নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ড. মোমেন
মোমেন বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। শুধু অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা সন্ত্রাস সহ্য করতে পারি না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিছু বড় দেশ চায় বাংলাদেশ তাদের কাছ থেকে জিনিসপত্র কিনুক, কিন্তু বাংলাদেশ জনস্বার্থ দেখে।
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধু দেখি আমাদের দেশের মানুষের মঙ্গল যেটাতে হবে সেটা করি। তারা জোর করে, আমাদের কাছে বিক্রি করতে চায়, আমরা কিনি না। সেজন্য তারা আমাদের ওপর কিছুটা অসন্তুষ্ট। কিন্তু আমরা নীতির ওপর আছি। নীতিতে থাকলে অন্যরা শ্রদ্ধা করে।’
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'সোনার বাংলা' ও 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার আকাঙ্ক্ষার কথাও তুলে ধরেন।
মোমেন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই। আমরা স্থিতিশীলতা চাই। আমরা সন্ত্রাস চাই না। আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা চাই। আমরা গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা চাই। আমরা আরও চাকরির সুযোগ চাই।’
আরও পড়ুন: এই বড়দিনে ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি: মোমেন
১১ মাস আগে
এই বড়দিনে ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি: মোমেন
বড়দিনকে উদযাপন, প্রতিফলন ও ঐক্যের সময় হিসেবে বর্ণনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এই উদযাপন ভালোবাসা, সহানুভূতি ও ঐক্যের সার্বজনীন মূল্যবোধের স্মারক হিসেবে কাজ করে, যা মানুষকে একত্রিত করে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘বড়দিন প্রেম ও উপলব্ধির চেতনায় বিভিন্ন পটভূমির মানুষদের একত্রিত করে। বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানানোর সময় আমাদেরকে এই উৎসবের সময়ে শান্তি ও সহানুভূতির তাৎপর্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।’
এই অনুষ্ঠানের তাৎপর্য উপলব্ধি করে মোমেন বলেন, ফিলিস্তিনে খ্রিস্টানরা যে মর্মস্পর্শী বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে তা উপেক্ষা করা যায় না।
আরও পড়ুন: সিলেটের সব আসনেই জয়ী হবে আওয়ামী লীগ: মোমেন
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২২ সালের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে- পশ্চিম তীর, জেরুজালেম এবং গাজায় আনুমানিক ৫০ হাজার খ্রিস্টান ফিলিস্তিনি বাস করেন।
মোমেন বলেন, ‘এই বড়দিনে আমরা ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানরা যেসব অনন্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন তার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। আমরা আমাদের গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করছি।’
তিনি বলেন, ‘যীশু খ্রীস্টের জন্মকে স্মরণ করার সময় আসুন আমরা তার প্রেম ও সহানুভূতির শিক্ষা থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করি। বড়দিনের চেতনা আমাদের এমন একটি বিশ্বের দিকে পরিচালিত করুক যেখানে বোঝাপড়া ও একতা বিরাজ করে।’
মোমেন উল্লেখ করেন, ‘প্রতিকূলতার মধ্যেও আশার আলো আমাদের পথকে আলোকিত করুক এবং ইতিবাচক পরিবর্তনকে উৎসাহিত করুক। অভাবগ্রস্তদের কাছে পৌঁছাতে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে ও আশার বীজ বপন করতে বড়দিনের চেতনা আমাদের অনুপ্রাণিত করুক।’
আরও পড়ুন: জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠু রাজনীতি নয়: ড. মোমেন
১১ মাস আগে
আমেরিকা প্রতি ঘণ্টার মজুরি বাড়ালে আমরা সে পথ অবলম্বন করব: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে চাই। এই অগ্রযাত্রার জন্যই দেশের মান-ইজ্জত অনেক বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সিলেটে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো সংঘাত চাই না। আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই এবং গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।’
সিলেট-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মোমেন বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে এবং সেই উন্নয়ন নিরবচ্ছিন্ন থাকা দরকার।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবতা প্রতিষ্ঠার জন্য এই দেশের মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে।
আরও পড়ুন: কোনো সমস্যায় জড়াতে চাই না: যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মন্তব্য সম্পর্কে মোমেন
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, বিএনপি একটি ভুল করেছে এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিৎ ছিল।
২৮ অক্টোবর থেকে পুলিশ সদস্য হত্যা এবং সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা একটি সুযোগ হারিয়েছে এবং গ্রহণযোগ্যতাও হারিয়েছে।’
বিএনপির নেতৃত্ব ও পরিপক্কতার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, রাজনীতি জনগণ ও দেশের কল্যাণের জন্য, তাদের ধ্বংসের জন্য নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে আসবে।
অনেক শিক্ষিত মানুষ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে আমরা সর্বত্র যাব।’
মোমেন বলেন, ‘আমি তাদের ভোট দিতে আসার জন্য অনুরোধ করব। আমি তাদেরকে আমাকে ভোট দিতে বলব না… তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও সংঘাতবিহীন নির্বাচন চাই। পৃথিবীকে আমরা আদর্শ দেখাতে চাই।’
সম্প্রতি আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের (এএএফএ) প্রেসিডেন্ট ও সিইও স্টিফেন লামারকে চিঠি দিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের ৮ সদস্য বলেছেন, তারা মনে করেন বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি যথেষ্ট নয়। এ বিষয়ে মোমেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। তারা একটা কাজ করতে পারে। নিউ ইয়র্কে প্রতি ঘণ্টায় মজুরি ১৫ ডলার। যদি তারা বাড়িয়ে ৪৫ ডলার করতে পারে ও আদর্শ তৈরি করে, তখন আমরাও তাদের পথ অবলম্বন করব। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে আমেরিকার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বহির্বিশ্বের চাপ নেই, আমরা আমাদের নিজেদের চাপের মধ্যে আছি: মোমেন
১ বছর আগে
সিলেটবাসীর উন্নয়নে কাজ করেছি, আবারও তারা আমাকে ভোট দেবেন: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সিলেটবাসীর উন্নয়নের লক্ষ্যে আমি কাজ করেছি। জনগণের জন্য কাজ করেছি। তাই আবারও তারা আমাকে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে পাঠাবেন।
তিনি বলেন, আরও অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আছে। আগামীতে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সিলেট-১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার দুপুর ১২টায় সিলেট জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে রিটানিং কর্মকর্তার কাছে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন জেলা রিটানিং অফিসার ও সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট সদর উপজেলা কার্যালয়ে সহকারী রিটানিং অফিসে যান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সমর্থন করবে: মোমেন
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে এখন নির্বাচনী জোয়ার বইছে। নির্বাচন কমিশন ও সরকার একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ। উৎসবমুখর পরিবেশেই আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং স্বাধীনভাবে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সহমর্মিতা-বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: মোমেন
ড. মোমেন বলেন, আমি বিরোধী দলকে আহ্বান জানাব জ্বালাও-পোড়াও না করে, সম্পদ ধ্বংস না করে নির্বাচনে আসুন, জনসমর্থন প্রমাণ করুন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও আমার দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে তারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতি অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর। তাই অবরোধ-হরতালের মতো ধ্বংসাত্মক রাজনীতি তারা পরিহার করেছেন।
এ সময় নিজের জয়ের ব্যাপারেও দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ আবারও বিজয়ী হবে আশাবাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
১ বছর আগে
সুইডেন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবিরের মৃত্যুতে মোমেনের শোক
আওয়ামী লীগের সুইডেন শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর কবিরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাহাঙ্গীর বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছেন।
মোমেন মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জাহাঙ্গীর কবির।
১ বছর আগে
বৃহত্তর সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতায় আসিয়ানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ তার সমর্থন প্রসারিত করতে প্রস্তুত এবং আসিয়ানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি এবং মানব মূলধন উন্নয়নে আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের গুরুত্ব স্বীকার করি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আসিয়ান কূটনীতিকদের জন্য 'এনহেনসিং এনগেজমেন্ট বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড দ্য আসিয়ান রিজিওন' কোর্সের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
ঢাকায় নিযুক্ত আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কিছু বিদেশি সংস্থার রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য নিবন্ধনের আবেদন করা উচিত: মোমেন
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, প্রযুক্তি, কৃষি, নীল অর্থনীতি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির মতো ক্ষেত্রে আমাদের বন্ধুপ্রতিম আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ অনুসন্ধানের জন্য আগ্রহী।
তিনি বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ এশীয় এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য আঞ্চলিক সংযোগের কেন্দ্র হতে কাজ করছি।’
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্র ও তাদের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার (এসডিপি) হতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: 'মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা' দাবি করা ব্যক্তিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত: মোমেন
তিনি বলেন, ‘আমাদের আপেক্ষিক শক্তি, প্রাসঙ্গিকতা এবং আসিয়ান সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার ইচ্ছা প্রদর্শনের জন্য আমরা আসিয়ান সচিবালয়ের সহযোগিতায় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি।’
মোমেন সম্মিলিত নিরাপত্তা, শান্তি ও অভিন্ন সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে আসিয়ান প্রক্রিয়া এবং এর কেন্দ্রীয় ধারণার প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার ও অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে আমরা আমাদের জনগণের জন্য একটি উজ্জ্বল এবং আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারি।’
বাংলাদেশের কূটনীতিকরা আগামী দিনগুলোতে এই লক্ষ্য অর্জনে আসিয়ান সহকর্মীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করে যাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জ নিতে চাই এবং মোকাবিলা করতে প্রস্তুত: মোমেন
১ বছর আগে