আহ্বায়ক কমিটি
সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের ১০ নেতার পদত্যাগ
সিলেট জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক পদ থেকে এডভোকেট শামসুজ্জামান জামান পদত্যাগ করেছেন। তারই ধারবাহিকতায় যুগ্ম আহ্বায়কসহ উভয় কমিটির ১০ জন নেতা পদত্যাগ করেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক হওয়া সত্ত্বেও তাঁর মতামত ও পরামর্শ উপেক্ষা করে নিজের জেলা ও মহানগর কমিটি ঘোষণা করায় আগেই অভিমানে পদত্যাগ করেছেন এডভোকেট শামসুজ্জামান জামান। তার সাথে নবগঠিত সিলেট জেলা ও মহানগরের কমিটিকে ভারসাম্যহীন, নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন, পকেট কমিটি উল্লেখ করে পদত্যাগ করেছেন উভয় কমিটির ১০ জন সদস্য।
এর মধ্যে সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদ বক্স, সদস্য পদ থেকে মওদুদুল হক, শহীদুল ইসলাম কাদির, আলতাফ হোসেন বিলাল, আমিনুল হক বেলাল, শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী লাহিন। মহানগর কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আব্দুর রকিব তুহিন, রুজেল আহমদ চৌধুরী, আব্দুল হান্নান, আক্তার আহমদ।
পদত্যাগকারী নেতাকর্মীরা শনিবার (২১ আগস্ট) পদত্যাগপত্র কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ
পদত্যাগপত্রে নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মওদুদুল হক মওদুদ সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন, কিন্তু বর্তমান কমিটিতে তাকে ৩১নং সদস্য করা হয়েছে। দুই বারের সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আব্দুর রকিব তুহিনকেও ৩৮নং সদস্য পদ দেয়া হয়। জেলা বিএনপির সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক বেলালকে ৪৯নং সদস্য করা হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহিদুল ইসলাম কাদিরকে সদস্য, জৈন্তাপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন বিলালকে কমিটির সর্বশেষ ৬১ নম্বর সদস্য করা হয়। জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি রুজেল আহমদ চৌধুরীকে সদস্য করা হয়। উক্ত কমিটিতে ওইসব নেতাকর্মীদের সদস্য দিয়ে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। তাই নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে পদত্যাগ করেন।
পদত্যাগকারী নেতাকর্মীরা বলেন, কমিটি দেখে আমরা বিস্মিত ও হতবাক। যারা বিগত আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রেখে জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তাদেরকে বাদ দিয়ে নিষ্ক্রিয় ও অযোগ্যদের দিয়ে কমিটি ঘোষণা করে একটি হাস্যকর কমিটি উপহার দিয়েছে। আমাদেরকে কমিটিতে এমন এক জায়গায় স্থান দিয়েছেন, যা উপহাসের পাত্র হিসেবে পরিণত করেছে।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট বুধবার সিলেট জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠনে মতামতকে উপেক্ষা করায় ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দেয়ায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক, এক সময় সিলেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা এডভোকেট সামসুজ্জামান জামান বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির চার নেতা কারাগারে
নবগঠিত ঢাকা মহানগরের ২ কমিটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে: ফখরুল
৩ বছর আগে
বিলুপ্ত ঘোষণার ২ ঘণ্টার মাথায় হেফাজতের ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
সাবেক আমীর আহমদ শফীর ইন্তেকালের পর চার মাস আগে গঠিত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার দুই ঘণ্টার মধ্যে দলটির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাত ১১টায় ফেসবুক লাইভে এসে এক মিনিট ১৭ সেকেন্ডের বক্তব্য দিয়ে আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী হেফাজতের কমিটি বিলুপ্ত করার ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবা ডিবি হেফাজতে
এর মাত্র দুই ঘণ্টা পর পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির নাম ঘোষণা করে দলটি।
রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান অস্থির ও নাজুক পরিস্থিতি বিবেচনায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে তিন সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
হেফাজতের আহ্বায়ক কমিটির প্রধান উপদেষ্টা হলেন- আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম। সদস্যরা হলেন- সালাউদ্দিন নানুপুরী ও অধ্যক্ষ মিজানউর রহমান চৌধুরী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন রবিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে হেফাজতের সাবেক আমিরের ব্যক্তিগত সহকারী ইনআমুল হাসান ফারুকী জানান, এই পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অতি দ্রুত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবেন।
আরও পড়ুন: হেফাজতের আরেক শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার
এর আগে, রাত ১১টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে হেফাজতের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন আল্লামা বাবুনগরী।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। সেই বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়।
ওই সংঘাতে প্রাণ হারান অন্তত ১৮ জন। সেসব ঘটনায় একাধিক মামলা হয়। মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। এ পর্যন্ত হেফাজতের অন্তত এক ডজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর মধ্যে, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে নারীসহ আটক হন। এতে নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়ে হেফাজত।
আরও পড়ুন: থানায় হামলা: হেফাজত নেতা আবুল হুসাইন রিমান্ডে
সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে কোণঠাসা হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা শুরু থেকেই সমঝোতার চেষ্টা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
গত সপ্তাহে হেফাজত ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসায় দেখা করে দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত বর্তমান কমিটি ভেঙে দেন হেফাজত নেতারা।
৩ বছর আগে