আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী
বিলুপ্ত ঘোষণার ২ ঘণ্টার মাথায় হেফাজতের ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
সাবেক আমীর আহমদ শফীর ইন্তেকালের পর চার মাস আগে গঠিত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার দুই ঘণ্টার মধ্যে দলটির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাত ১১টায় ফেসবুক লাইভে এসে এক মিনিট ১৭ সেকেন্ডের বক্তব্য দিয়ে আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী হেফাজতের কমিটি বিলুপ্ত করার ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবা ডিবি হেফাজতে
এর মাত্র দুই ঘণ্টা পর পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির নাম ঘোষণা করে দলটি।
রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান অস্থির ও নাজুক পরিস্থিতি বিবেচনায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে তিন সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
হেফাজতের আহ্বায়ক কমিটির প্রধান উপদেষ্টা হলেন- আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম। সদস্যরা হলেন- সালাউদ্দিন নানুপুরী ও অধ্যক্ষ মিজানউর রহমান চৌধুরী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন রবিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে হেফাজতের সাবেক আমিরের ব্যক্তিগত সহকারী ইনআমুল হাসান ফারুকী জানান, এই পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অতি দ্রুত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবেন।
আরও পড়ুন: হেফাজতের আরেক শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার
এর আগে, রাত ১১টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে হেফাজতের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন আল্লামা বাবুনগরী।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। সেই বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়।
ওই সংঘাতে প্রাণ হারান অন্তত ১৮ জন। সেসব ঘটনায় একাধিক মামলা হয়। মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। এ পর্যন্ত হেফাজতের অন্তত এক ডজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর মধ্যে, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে নারীসহ আটক হন। এতে নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়ে হেফাজত।
আরও পড়ুন: থানায় হামলা: হেফাজত নেতা আবুল হুসাইন রিমান্ডে
সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে কোণঠাসা হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা শুরু থেকেই সমঝোতার চেষ্টা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
গত সপ্তাহে হেফাজত ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসায় দেখা করে দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত বর্তমান কমিটি ভেঙে দেন হেফাজত নেতারা।
৩ বছর আগে