বিষক্রিয়া
বসুন্ধরায় ‘কীটনাশকের বিষক্রিয়ায়’ দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
রাজধানীতে তেলাপোকা মারার উদ্দেশ্যে প্রয়োগ করা ‘কীটনাশকের বিষক্রিয়ায়’ দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার ৫ জুন) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত শিশুরা হলো- শায়েন মোবারাত জাহিন (১৫) ও তার ছোট ভাই শাহিল মোবারাত জোহান (৯)। তারা মোবারক হোসেন ও শারমিন জাহান লিমা দম্পতির সন্তান।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বসুন্ধরায় কীটনাশক বিষ প্রয়োগের পর অসুস্থ হয়ে ৯ ও ১৫ বছর বয়সী দুই ভাইয়ের মৃত্যু
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তার টিটু মোল্লা ওই পেস্টকন্ট্রোল সার্ভিসের কর্মচারী। তিনি শুক্রবার ভুক্তভোগীদের বাড়িতে কীটনাশক স্প্রে করেছিলেন।
তিনি জানান, সোমবার বিকালে নিহতের বাবা মোবারক হোসেন তুষার তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ওসি আরও জানান, আমরা গ্রেপ্তার হওয়া টিটু মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি, জিজ্ঞাসাবাদের পর আসামির সংখ্যা বাড়তে পারে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বসুন্ধরার ১ নম্বর ব্লকে তাদের নতুন বাড়িতে একটি পেস্টকন্ট্রোল সার্ভিসের কর্মীরা কীটনাশক স্প্রে করেন। কীটনাশক ব্যবহার করায় পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে একদিন বাইরে অবস্থান করে।
রবিবার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ফিরে আসার পর কীটনাশকের বিষক্রিয়ার গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তাদের দ্রুত ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ বছর বয়সী জোহান রবিবার সকালে মারা যায় এবং ১৫ বছর বয়সী জাহিন রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শিশুর মৃত্যু
চাঁদপুর জেলা কারাগারে বিএনপি নেতার মৃত্যু
১ বছর আগে
জুস পানে একই পরিবারের ৪ জন অসুস্থ
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল সফিবাদ গ্রামে মা, মেয়ে ও দুই শিশু ছেলে জুস পান করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই অজ্ঞান হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
অসুস্থরা হলেন- পালাখাল সফিবাদ গ্রামের হাজী বাড়ীর নাছির মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৩৪), তার একমাত্র মেয়ে সামিয়া আক্তার (১৪), ছেলে মারুফ (১২) ও বোরহান (৫)।
পরবর্তীতে রাত ১০টা ১০ মিনিটের তাদেরকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে স্বজনরা।
আরও পড়ুন: অজ্ঞানপার্টির খাবার খেয়ে বিষক্রিয়ায় এক ব্যক্তির মৃত্যু
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. মোহাইমেনুল তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
পরিবারের স্বজনরা জানান, বিকেলে পালখাল উত্তর বাজারের একটি দোকান থেকে তাদের একজন নিকটাত্মীয় স্টার শিপ কোম্পানির বোতলজাত করা চার বোতল জুস ক্রয় করে দেন। সন্ধ্যার পরে ওই জুস মা ও তিন সন্তান পান করার পরেই একে একে সকলেই অচেতন হয়ে পড়েন। ওই অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ‘খাদ্যে বিষক্রিয়ায়’ শিশুর মৃত্যু
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মুহাইমিনুল ইউএনবি কে জানান, জুসগুলোতে কোনও ধরনের বিষক্রিয়া আছে কিনা তা পরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব নয়। কোন কারণে বিষক্রিয়া কিংবা ফুড পয়জনিংও হতে পারে।
৩ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় সেপটিক ট্যাংকে ২ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় সেপটিক ট্যাংকে বিষাক্ত গ্যাসের বিষক্রিয়ায় দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার সকালে শহরের জুগিয়া পালপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন জেলার মিরপুর উপজেলার পশ্চিম গোবিন্দপুর গ্রামের ছামেদ মন্ডলের ছেলে সাদেক বাচ্চু ও একই এলাকার রুহুলের ছেলে মানিক।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সেপটিক ট্যাংকে নেমে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
পুলিশ জানায়, নির্মাণ শ্রমিক সাদেক বাচ্চু জুগিয়া পাল পাড়ায় তার বোনের বাড়িতে কয়েকদিন আগে বাথরুমের নতুন সেপটিক ট্যাংক তৈরি করেন। শুক্রবার সকালে সাটারিং খোলার জন্য প্রথমে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে নামেন নির্মাণ শ্রমিক মানিক। বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর তার কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় মিস্ত্রী সাদেক বাচ্চুও ভেতরে নামেন। এরপর তারও কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয়দের খবর দেন সাদেক বাচ্চুর ভগ্নিপতি আমিরুল। স্থানীয়রা এসে তাদেরকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে নারী ও ২ শিশু নিহত
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির জানান, বৃষ্টি-বাদলের কারণে বাড়ির লোকজন সেপটিক ট্যাংক বন্ধ করে রেখেছিল। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় সেখানে মিথেন গ্যাসের সৃষ্টি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস আর অক্সিজেন সংকটের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বিষয়টি পরিস্কার হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সেপটিক ট্যাংকে পড়ে রাজমিস্ত্রির মৃত্যু
৩ বছর আগে
কুড়িগ্রামে সেফটি ট্যাংকের বিষক্রিয়ায় নিহত ১
কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকার গোডাউন কামারপাড়া এলাকায় নতুন সেফটি ট্যাংকের সাটার খোলার পর বিষক্রিয়ায় এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রতন (৩২) পার্শ্ববর্তী বেলগাছা ইউনিয়নের আত্মারাম গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে হেরোইনসহ গ্রেপ্তার ৩
কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারি পরিচালক মনোরঞ্জন সরকার জানান, কামারপাড়া গ্রামের পশু চিকিৎসক ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে মামুনের বাড়িতে নতুন সেফটি ট্যাংকের সাটার খুলে নিচে নামতে গিয়ে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শ্রমিক রতন ঢলে পড়েন। তাকে রশি দিয়ে টেনে তোলার পর কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিসৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে হাট বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির বেহাল অবস্থা
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার।
আরও পড়ুন: আদালতের আদেশ অমান্য করে কুড়িগ্রামে জমি দখলের অভিযোগ
৩ বছর আগে