সিটি নির্বাচন
সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের
বরিশালের নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন।
সোমবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় বরিশালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের আমীর সৈয়দ রেজাউল করিম এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিলে পুলিশের বাধা
তিনি বলেন, প্রশাসন যখন সরকার দলীয়করণ হয়, তখন সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনই আশা করতে পারিনা। যার কারণে এই সরকার পতনের দাবি জানাচ্ছি। আমরা বারবার সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বলেছি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, কিন্তু তারা তাদের চরিত্র থেকে ফিরে আসেনি।
তিনি আরও বলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত মেয়র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের ওপর দুইবার হামলা করে তাকে জখম করা হয়েছে।
আমীর বলেন, সেই সঙ্গে ইসির পদত্যাগ দাবি করছি।
তিনি বলেন, সিলেট ও রাজশাহী নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী আছে। আমরা সেই নির্বাচনের প্রার্থীতা থেকে তাদেরকে বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছি। ফলে তারা আর ওই নির্বাচন করবে না। কারণ নির্বাচনের পরিবেশ নাই।
তিনি আরও বলেন, নায়েবে আমীরের ওপর হামলা ও নির্বাচনের অনিয়মের প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল করেছি। আর আগামী শুক্রবার বাদ জুমআ সারাদেশব্যাপী এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করবো।
পাশাপাশি পরবর্তী কর্মসূচি জাতির সামনে ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, আজকের ভোটে এমন কোন বুথ নেই যেখানে আওয়ামী লীগের লোক দাড়িয়ে তাদের পক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করেনি।
এদিকে ইসলামী আন্দোলন’র মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম এর ওপর হামলা ও তাকে আহত করার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী বরিশাল মহানগরী।
আরও পড়ুন: করোনা: ২২৫ জনের দাফন করেছে চাঁদপুর ইসলামী আন্দোলন
রাজবাড়ীতে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনের এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ
১ বছর আগে
খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ, গণনা চলছে
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) ও বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে ভোটারদের দেওয়া ভোট গণনা শুরু হয়েছে।
সোমবার বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর গণনা শুরু হয়।
এদিন সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট দিতে ভোটারদের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বিরতি ছাড়াই বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
তবে উভয় নির্বাচনে কিছু ছোটখাটো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে, যার ফলে কিছু লোক আহত হয়েছে।
বরিশালে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ (আ.লীগ) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থিত মেয়র প্রার্থীদের বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন।
এছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম রূপন।
আরও পড়ুন: বরিশাল ও খুলনা সিটিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে: ইসি হাবিব
খুলনায়, জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম মধু অভিযোগ করেছেন যে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ (আ.লীগ) প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে তার এজেন্টদের প্রবেশে বাধা দিয়েছে।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঢাকা থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করেছে নির্বাচন কমিশন।
ভোটাররা যাতে তাদের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেশ সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন, ২৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৩০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর আগে ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুজন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
কেসিসি নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১১ প্লাটুন পুলিশ এবং আনসার ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ৮ হাজার ৮০ জন সদস্য নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।
খুলনা মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন ভোটার এবং ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের অধীনে ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
অপরদিকে বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সাত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন
এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৯ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে চার হাজার সদস্যসহ বরিশালে বিজিবির ১০ প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচন: অনেকগুলো কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম
বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
১ বছর আগে
রাত পোহালে বরিশাল সিটি নির্বাচন
রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচন।
সোমবার (১১ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে নগরের ৩০টি ওয়ার্ডের ১২৬টি কেন্দ্রের সবগুলোতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) চলবে ভোট। এই ১২৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৬টিকেই অতি গুরুত্বপূর্ণ বলে ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন সাতজন। ভোটের শুরুতেই প্রার্থীরা সবাই নিজ নিজ কেন্দ্রে ভোট দেবেন।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: প্রতীক পেলেন ৭ মেয়র প্রার্থী
এরমধ্যে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত নগরের কালিবাড়িরোডস্থ সরকারি বরিশাল কলেজ কেন্দ্রে, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস গোরস্থান রোডের সৈয়দ আব্দুল মান্নান ডিডিএফ আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বরিশাল নগরের রূপাতলী হাউজিং আ. রব সেরনিয়াবাত মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে, জাকের পার্টির গোলাপফুল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান বাচ্চু ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের চহুতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিবেন।
এছাড়া টেবিলঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন কালুশাহ সড়কের আলেকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে, হরিণ প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. আলী হোসেন হাওলাদার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের চহুতপুর ইস্কান্দার শরীফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান বরিশাল নগরের সদররোডের সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিবেন।
এবারের নির্বাচনে বরিশাল সিটিতে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮। এরমধ্যে মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩০৯।
মোট প্রার্থী হয়েছেন ১৬৭ জন, যার মধ্যে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৮ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ জন।
নির্বাচনে ১০ প্লাটুন বিজিবি ছাড়াও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে ৪ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচনের ১২৬ কেন্দ্রে পৌঁছেছে ইভিএম
বরিশাল সিটি নির্বাচন: সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন চলছে, শেষ হবে শনিবার
১ বছর আগে
বরিশাল সিটি নির্বাচনের ১২৬ কেন্দ্রে পৌঁছেছে ইভিএম
বরিশাল সিটি নির্বাচন উপলক্ষ্যে দেড় হাজার ইভিএমসহ নির্বাচনী সরঞ্জামাদি বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার (১১ জুন) দুপুরে শহরের শিল্পকলা একাডেমি থেকে এসব মেশিন বুঝে নেন প্রিজাইডিং অফিসার।
প্রথমবারের মত এবার বরিশালের সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। ১২৬টি কেন্দ্রের ৮শ ৯৪টি বুথের জন্য এই ইভিএম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সকালে এসব নির্বাচনী সামগ্রী বুঝে নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে স্ব স্ব কেন্দ্রে চলে যান প্রিজাইডিং অফিসারা।
বরিশাল নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ৩০টি ওয়ার্ডের ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪ টি কক্ষে প্রিজাইর্ডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবে ১২৬ জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৮৯৪ জন এবং পুলিং অফিসার ১৭৮৮ জন আর ইভিএম মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে মোট ১৮শ।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন চলছে, শেষ হবে শনিবার
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, বরিশালে ভোটের পরিবেশ শতভাগ সুষ্ঠু আছে। ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সব ধরনের প্রস্তুতি প্রস্তুতি সম্পন্ন করায় বরিশালে ভোট উৎসব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
ভোট দিতে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসার জন্য তিনি আহ্বানও জানিয়েছেন।
নগরীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলতে সাড়ে ৪ হাজার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি দশ প্লাটুন বিজিবি, ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং দশ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
এরই মধ্যে ১২৬টি কেন্দ্রের প্রবেশ মুখে দুটি করে ও কক্ষে একটি করে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৯ মে দেড় হাজার ইভিএম নগরীতে এসে পৌঁছেছে। বরিশাল সিটি নির্বাচনের ভোট আগামী ১২ জুন। এতে ৭ মেয়র, ১১৯ জন সাধারণ ও ৪২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন পুরুষ ও ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন নারী ভোটার রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বরিশালে বিএনপির ১৯ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার
বরিশাল সিটি নির্বাচন: প্রতীক পেলেন ৭ মেয়র প্রার্থী
১ বছর আগে
রাজশাহী সিটি নির্বাচন: ছুরিকাঘাতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ও তার দুই সমর্থক আহত
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পোস্টার লাগানো নিয়ে রাজশাহীতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীসহ তিনজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন।
শনিবার (৩ জুন) সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর শিরোইল কলোনিতে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- রাজশাহীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফ বাবু এবং আশরাফ বাবু সমর্থক রেজাউল করিম রেজা (৪২) ও জয় হোসেন (৩২)।
আরও পড়ুন: আসন্ন সিটি নির্বাচনের জন্য বরিশালে পৌঁছেছে ১৫০০ ইভিএম
আহত তিনজনকেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হগাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (হেড কোয়ার্টার্স) সাইফুদ্দিন শাহিন বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির এক পর্যায়ে হামলায় তিনজন আহত হয়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফ বাবু বলেন, ‘আমাদের এলাকায় সুমনের সমর্থকরা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। সেটি দেখে আমি তাদের থামাতে যাই। তারা আমাদের ওপর ছুরি চালায়। এতে আমার হাতের রগ কেটে গেছে।’
অপর কাউন্সিলর প্রার্থী নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল হক সুমন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার সমর্থকদের ওপরও হামলা করা হয়। আমার নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করে। আশরাফ বাবুর ছেলে সরাসরি অস্ত্র নিয়ে হুমকি দেখিয়েছে। বাবু আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকেও অপপ্রচার চালায়। আমি মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। আমি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করব।’
আরও পড়ুন: সিলেট সিটি নির্বাচন: আ. লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
খুলনা সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে: সিইসি
১ বছর আগে
আসন্ন সিটি নির্বাচনের জন্য বরিশালে পৌঁছেছে ১৫০০ ইভিএম
আগামী মাসে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার গাজীপুর থেকে বরিশাল এসে পৌঁছেছে ১৫শ’ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, গাজীপুরে যে ইভিএম দিয়ে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে বরিশালে সেই মেশিনেই ভোট দেবেন ভোটাররা।
আরও পড়ুন: ইভিএম হচ্ছে শতভাগ স্বচ্ছতার প্রতীক: চুয়াডাঙ্গায় ইসি হাবিব
তিনি জানান, বরিশালের এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে ইতোমধ্যে প্রায় দেড়শতাধিক ব্যক্তিকে ইভিএমের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।
এছাড়া আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি নির্বাচন আইন অনুযায়ী শতভাগ সুষ্ঠু হবে বলে জানান তিনি।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর মেয়র পদে সাত জন অংশ নেবেন।
এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৯ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
নির্বাচনে ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪ কক্ষে দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ ভোটার ভোট দেবেন।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএম নয়, ব্যালট পেপারে হবে: ইসি সচিব
৫ সিটি নির্বাচনে ইভিএম, সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করবে ইসি: কমিশনার রাশেদা সুলতানা
১ বছর আগে
বরিশাল সিটি নির্বাচন: প্রতীক পেলেন ৭ মেয়র প্রার্থী
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাত প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকালে নগরীর নথুল্লাবাদে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির প্রতীক বিতরণ করেন।
তাদের বরাদ্দ প্রতীক নিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন মেয়র প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: ৪ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল, বৈধ ৬
প্রার্থী ও তাদের প্রতীকগুলো হলো- আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম (হাতপাখা), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল আহসান (ঘড়ি), আসাদুজ্জামান (হাতি) ও আলী হোসেন (হরিণ)।
কাউন্সিলর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়।
১ বছর আগে
আসন্ন সিটি নির্বাচনে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে সিটি নির্বাচনে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই।
বিএনপি কোনো প্রার্থী না দিলেও আগামী পাঁচ সিটি করপোরেশনে সাজানো নির্বাচন হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
রবিবার (২১ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির একটি অংশের আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সরকারের নিয়ন্ত্রণে। দেশে নির্বাচন নিয়ে জনগণ আগ্রহী নয়।’
ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থাকে তারা (সরকার) ধ্বংস করে দিয়েছে। দেখেন আপনারা আজ নির্বাচনের অবস্থা কেমন? এই যে মেয়র ইলেকশন হচ্ছে, বেশির ভাগ সিটি করপোরেশনে বিরোধী দল কোনো প্রার্থী দিচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: ‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শ্রমিকদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
তিনি বলেন, সিলেটে অত্যন্ত জনপ্রিয় মানুষ আরিফ (আরিফুল হক চৌধুরী) দুইবার মেয়র হয়েছেন এবং সিলেটের মানুষ তাকে আবারও মেয়র হিসেবে চায়। সেই আরিফ শনিবার জনসভা করে বলেছেন যে এ নির্বাচন কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না, নির্বাচনই হবে না। তারা ব্লু প্রিন্ট করে ফেলেছে। এ নির্বাচনে যাওয়ার অর্থই হয় না।
তিনি বলেন, সিলেট নগরীর জনগণ তাদের প্রিয় নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় চোখের পানি ফেলেছে। তিনি (আরিফ) স্পষ্টভাবে বলেছেন, এই নির্বাচন অর্থহীন হবে এবং এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
তিনি আরও বলেছেন, আমিও মনে করি এ নির্বাচন অর্থহীন হবে এবং এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, সব জায়গায় একই অবস্থা। আজ প্রতিটি নির্বাচনকে একই অবস্থার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠানটাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে।
তিনি বলেন, এটাই হচ্ছে এ ধরনের কর্তৃত্ববাদী যারা, এ ধরনের ফ্যাসিবাদী যারা তাদের একটা হাতিয়ার। নির্বাচন একটা টুল, দেখাবে নির্বাচন হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সুতরাং আমরা খুব পরিষ্কার, স্পষ্ট ও দৃঢ়ভাবে বলছি যে এ সরকার থাকলে কোনো নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনা সরকার থাকলে কোনো নির্বাচন হবে না। একটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন নিয়ে এমন একটা অবস্থা হয়েছে, তাদের যে জোট আছে, ১৪ দলের এক শরিক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির আমাদের অত্যন্ত সম্মানিত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব রাশেদ খান মেনন, তিনি কিছুদিন আগে বলেছেন, পরিকল্পিত নির্বাচন চাই না। ম্যাসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার যে আওয়ামী লীগ পরিকল্পিত নির্বাচন করে, সেই নির্বাচন তিনি চান না।
আরেকজন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন যে এখানে মন্ত্রীরাই সিন্ডিকেট তৈরি করে, তারাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে। এসব আমার কথা নয়, সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন।
এছাড়া রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
আরও পড়ুন: দাবি একটাই, শেখ হাসিনার পদত্যাগ: মির্জা ফখরুল
‘খেলাপী ঋণ প্রসঙ্গে’
মির্জা ফখরুল বলেন, পত্রিকায় আজ এসেছে যে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক তার রিপোর্টে বলছে বাংলাদেশ ইজ চ্যাম্পিয়ান অব ডিফল্ট লোনস, এই যে খেলাপি ঋণ, এটাতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ান হয়ে গেছে। এক নম্বরে শ্রীলঙ্কা ছিল, শ্রীলঙ্কাকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ কেন হবে না? যারা ঋণ নেয়, শোধ করে না। তারা তো তাদের অ্যাডভাইজার মন্ত্রী, আমি নাম বলব না। হাজার হাজার কোটি টাকা তারা ঋণ নিয়ে রিসিডিউল করছে বছরের পর বছর ধরে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, আর আমাদের ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা যদি একটা-দুইটা ডিফল্ট হয় তো তার বিরুদ্ধে মামলা হয়ে যাচ্ছে, তাকে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই সরকারের অপকর্ম বলে শেষ করা যাবে না। এনাফ ইজ এনাফ। এই সরকার যদি একটা মুহূর্ত আর দেশের পরিচালনায় থাকে, দেশ আরও খারাপের দিকে যাবে।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ যে কমিটমেন্টগুলো করেছিলো, জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি করেছিলো প্রত্যকটা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। আওয়ামী লীগ হচ্ছে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের দল, আওয়ামী লীগ হচ্ছে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর দল, আওয়ামী লীগ হচ্ছে স্বাধীনতার বিরুদ্ধের দল।
আরও পড়ুন: সরকার মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
‘অনেক খেলা হবে’
মির্জা ফখরুল বলেন, এখানে অনেক খেলা হচ্ছে, খেলা হবে। এই যে, উনি (ওবায়দুল কাদের) তো প্রায় বলেন খেলা হবে। সেটা হবে। অনেক চেষ্টা হবে আমাদের মধ্যে ভুলবুঝাবুঝি সৃষ্টি করানোর।
তিনি বলেন, যারা দেশপ্রেমিক আছেন তারা কখনো ভুল বুঝবেন না। আজকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য নিয়ে আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেবকে দেশে ফিরিয়ে আনা, গণতন্ত্রের মুক্তি, বাংলাদেশের মুক্তি, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা এবং একটা সাম্যের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে আমরা এক ও অনঢ় হয়ে থাকব।
এছাড়া এই আন্দোলন আমাদের শুরু হয়ে গেছে। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায় যাওয়ার জন্য আমাদের সবাইকে সর্বশক্তি দিয়ে নামতে হবে একাত্তর সালে যেভাবে আমরা নেমেছিলাম আজকেও একইভাবে আন্দোলনে নেমে শান্তিপূর্ণভাবে এই সরকারকে সরিয়ে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা আমাদেরকেই করতে হবে।
তিনি বলেন, এই কাজটা বাইর থেকে কেউ করে দেবে না। অনেকে অপেক্ষায় আছেন। অপেক্ষায় থাকার কোনো কারণ নাই। আপনাকে করতে হবে, আমাদের সবাইকে করতে হবে। এটা প্রত্যেকের দায়িত্ব বিশেষ করে তরুন সমাজের।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিচার বিভাগের কি অবস্থা, তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। আপনি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিচ্ছে, নিম্ন আদালতে গেলে সেই জামিন ক্যানসেল করে কারাগারে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন।
আর গায়েবি মামলার কথা আমরা বলতে বলতে হয়রান হয়ে গেছি, আর বলতে ইচ্ছা করে না।
তিনি বলেন, খুলনাতে দেখেন একটা সভায় গিয়ে কিভাবে পুলিশ সেখানে আক্রমণ করেছে, ন্যাক্কারজনক। সেখানে অসংখ্য মানুষকে গুলিবিদ্ধ করেছে, আহত করেছে এবং হয়রানি করেছে।
এছাড়া এক হাজার ৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
১ বছর আগে
সিলেট সিটি নির্বাচন: দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে সরে দাঁড়ালেন আরিফ
আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিতব্য সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী।
শনিবার (২০ মে) বিকাল ৩টায় নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে আয়োজিত এক নাগরিক সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
জনসভায় আরিফ বলেন, ‘আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিএনপির রাজনীতি শুরু করি। আমার জীবন থাকতে এই দলের ক্ষতি হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবো না। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন করার পরিবেশ নেই। বিশেষ করে ইভিএম নিয়ে নগরের মানুষজন জানে না। এটা ভোট কারচুপির মহাআয়োজন। ইভিএমে উন্নত দেশগুলোও ভোট করছেনা। ইভিএমে আপনারা এক মার্কায় ভোট দিবেন, দেখবেন সেটা আরেক মার্কায় চলে গেছে।
আরিফ বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে আমার দল বিএনপি অংশ নেবে না। আমি এই সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ালাম।
এসময় আরিফ নগরবাসীকে ভোট বর্জন করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন সিসিক মেয়র আরিফ
তিনি বলেন, জেল-জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে সিলেটের উন্নয়নে মনোনিবেশ করেছিলাম। আমার উন্নয়ন কাজ নিয়ে যারা সমালোচনা করছেন তাদের বলতে চাই, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও আমার কাজের প্রশংসা করেছেন। আর তাই সিলেটের মানুষজন, মা-বোন যে যেখানেই আমাকে পাচ্ছেন, নির্বাচন করার জন্য বলছেন। অনুরোধ করছেন।
তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, এখনো আমি মনোনয়নপত্র কিনিনি। অথচ আমার নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে পুলিশ তল্লাশি করছে। গ্রেপ্তার-নির্যাতন, এমনকি রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের সন্তান, আমি আপনাদের ভাই। আমি মেয়র না থাকলেও আপনাদের পাশে সবসময় থাকবো। আমাকে আপনারা ক্ষমা করুন।
আরও পড়ুন: দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কিনলেন সিসিক মেয়র আরিফ!
১ বছর আগে
খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন (কেসিসি) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ জুন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতার জন্য মনোনয়নপত্রসংগ্রহ করছেন প্রার্থীরা।
বুধবার (৩ মে) বিকাল পর্যন্ত কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জনসহ ১৫৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
এদিন দুপুরে আগুয়ান-৭১ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর আগে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাওলানা আবদুল আওয়াল, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফফার বিশ্বাস ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন জানান, বুধবার বিকাল পর্যন্ত মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২৫ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের প্রচার-প্রচারণা সামগ্রী অপসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন।
আরও পড়ুন: ৫ সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা ইসির
গাজীপুর সিটি নির্বাচন: জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল, মায়েরটি বৈধ ঘোষণা
১ বছর আগে