আড়ত
যশোরে চালের আড়ত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
যশোরে একটি চালের আড়ত থেকে বাইজিদ হাসান নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার(২৪ মার্চ) দিবগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে যশোর শহরের লোন অফিস পাড়া থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
চালের আড়তটির মালিক যশোর শহর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ বলে জানা গেছে।
নিহত বাইজিদ হাসান (২৮) খুলনার বানরগাতি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: বরিশালে চাকরি না পাওয়ায় হতাশা, প্রকৌশলীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
খবর শুনে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) জুয়েল ইমরান ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক।
ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নিহত যুবক মুল্লুক চাঁদের আড়তের কর্মী ছিলেন। ওই আড়তেই যুবককে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আড়তের নাইটগার্ডকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, বেশ কয়েকদিন আগে পাঁচ লাখ টাকা চুরি করে পালিয়ে যায় বায়োজিদ। সেই টাকাকে কেন্দ্র করে খুলনা থেকে তাকে যশোরে ডেকে এনে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাদরাসার মাঠ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
৮ মাস আগে
চট্টগ্রামে আড়তে ঝুলছে ‘পেঁয়াজ নাই’ লেখা বোর্ড
আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের পেঁয়াজের বাজার।
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশের পেঁয়াজের দাম একদিনের মাথায় কেজি প্রতি প্রায় দ্বিগুন হয়ে গেছে।
গত কয়েক দিন ধরে পাইকারি বাজারে ১০৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল ভারতীয় পেঁয়াজ। আর খুচরায় বিক্রি হচ্ছিল ১১০ টাকা কেজি।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে পেঁয়াজ-আলুর দাম কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
শুক্রবার দুপুরের দিকে দেশের অন্যতম বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আড়তে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবর জানাজানি হওয়ার পর আড়তদাররা পেঁয়াজ বিক্রি কমিয়ে দেন।
অনেক আড়তে ‘পেঁয়াজ নাই’ লেখা বোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছে।
শনিবার দুপুরে খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়তে ঘুরে দেখা গেছে, যেসব আড়তে পেঁয়াজ রয়েছে সেগুলো দেশি এবং ভারতীয় গড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি এবং খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি।
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে, এমন অজুহাতে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন বলে জানান খুচরা বিক্রেতারা।
তাদের অভিযোগ খাতুনগঞ্জের প্রতিটি গুদামে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের মজুত আছে। দাম বাড়ার বিষয়টিকে সিন্ডিকেটের কারসাজি বলে দাবি ক্রেতাদের।
জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, ‘শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১১০ টাকায়। যেটি আগের দিন বৃহস্পতিবার ছিল ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা। অপরদিকে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। যেটি আগের দিন বিক্রি হয়েছিল ১০০ টাকায়। শুক্রবার পেঁয়াজে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা বেড়েছে। ভারত শনিবার সকাল থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে। এ কারণে দাম বেড়েছে।’
শনিবার নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার ও কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি দোকানে খুচরায় প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকায়। চীনের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।
কাজীর দেউড়ি বাজারের মুদি দোকানদার শাহজাহান বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে ১১০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করে আসছি। শনিবার সকাল থেকে দেখি হঠাৎ করে পেঁয়াজ কিনতে লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। পরে খবর পেলাম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না।’
দেশে যথেষ্ট পেঁয়াজ থাকলেও কিছু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করে রেখেছে বলে জানান তিনি।
যেহেতু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই আমরাও বাধ্য হয়ে দাম বাড়িয়েছি।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরের মোকামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর খুলনায় দাম বেড়েছে ৬০ টাকা
১ বছর আগে
আড়তের ৭০ টাকার আম খুচরায় ২০০ টাকা!
খুলনার বাজারে উঠেছে মৌসুমি ফল আম। সাতক্ষীরা অঞ্চলে উৎপাদিত গোবিন্দভোগ ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বাজারে হলুদ ও লাল রংয়ের টসটসে আম দেখে অনেকেই আগ্রহ নিয়ে এর দাম করছে, আবার অনেকে দাম শুনে চলে যাচ্ছে।
খুলনাস্থ বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়ে আম বিক্রেতা মিজান জানিয়েছেন, গত দু’দিন ধরে তিনি খুলনায় আম বিক্রি করছেন। সোনাডাঙ্গাস্থ ট্রাক টার্মিনাল থেকে ক্রয় করে তিনি ফেরি করে বিক্রয় করছেন। সকাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি ১৪ থেকে ১৫ কেজি আম বিক্রি করেছেন, দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকা।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো ৪৯ ক্যারেট আম বিনষ্ট
খুলনা রূপসা উপজেলার বাসিন্দা মো. আশিকুর রহমান আশিক দুপুর ১ টায় খুলনা সদর থানার সামনে দাঁড়িয়ে আম বিক্রি করছিলেন।
তিনি জানান, তার নিজস্ব কোন পুঁজি নেই। মহাজনের কাছ থেকে আম নিয়ে তিনি ফেরি করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন। এ হিসেবে তিনি প্রতিদিন পারিশ্রমিক হিসেবে ৪৫০ টাকা নেন। তিনি ক্রেতাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। গত দু’দিনে তিনি ৬০ কেজি আম বিক্রি করেছেন। প্রতিদিন তিনি ভ্যানে ৮০ কেজি আম নিয়ে শহরে বের হন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে লিচু গাছে আম আকৃতির ফল!
এদিকে, খুলনা বড় বাজার পাইকারী কাঁচা ও পাকা ফলের আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হায়দার পাটোয়ারি জানান, বাজারে আম উঠেছে বলে তিনি শুনেছেন। এখানো তার ঘরে পাকা আম আসেনি। যে আমের আটি হয়েছে সেগুলো ঘরে রেখে দিলে পেকে যাচ্ছে।
তবে প্রকৃত মৌসুমি আম আসতে এখনো ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
অপরদিকে, কেসিসির ট্রাক টার্মিনালস্থ পাইকারী কাচা বাজারের মেসার্স ঝালকাটি ট্রেডার্সের এক কর্মচারী জানান, গত দু’দিন ধরে আড়তে আম আসছে। আম সাতক্ষীরা থেকে ব্যাপারীরা তার আড়তে নিয়ে এসেছেন। গোবিন্দভোগ নামের এ ফলটি সব থেকে আগে পাকে। এটা খেতে খুব মিষ্টি। ২০ থেকে ২৫ ক্যারেট আম শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা থেকে এসেছে এবং তা খুচরা বিক্রেতারা কিনেছেন। প্রতিকেজি আম ৭০ টাকা দরে তার প্রতিষ্ঠান থেকে পাইকারী দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া মহানগরীর ডাকবাংলা মোড় এলাকার ফুটপথের ফলের দোকানগুলোতে থরে থরে সাজানো হয়েছে আম।
দুপুর ১ টায় এসএম এ রব শপিং কমপ্লেক্সের সামনে আম ক্রেতা নজমুল হকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আম তার খুব পছন্দের ফল। দাম যদিও বেশী। আম দেখে তিনি লোভ সামলাতে না পেরে ১৫০ টাকা দরে ক্রয় করেছেন। তাছাড়া দোকানি জানিয়েছেন যে আমগুলো খেতে খুব মিষ্টি।
৩ বছর আগে