নলকূপ
ফুলতলায় অধিকাংশ অগভীর নলকূপে পানি নেই
খুলনা জেলার ফুলতলায় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ৫ থেকে ৬ মাস বৃষ্টি না হওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দ্রুত নিম্নগামী হচ্ছে। ফুলতলায় অধিকাংশ অগভীর নলকূপে পানি নেই।
বর্তমানে দেশজুড়ে প্রচণ্ড তাপদাহ চলছে। যার ফলে এলাকার শিশু ও বয়বৃদ্ধরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। একদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অন্যদিকে প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত অবস্থা। প্রচন্ড এই রোদে গরমে সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে শিশু ও বৃদ্ধদের।
আরও পড়ুন: খুলনায় করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬৮
বর্তমানে বোরোধান কাটা মৌসুম প্রায় শেষ। কৃষকরাও এই গরমে বেশি সময় কাজ করতে করতে পারছে না। আবার যারা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে তারাও গরমে কষ্ট পাচ্ছে। দীর্ঘ কয়েকমাস বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং তাপদাহ বেশি হওয়ার ফলে বিভিন্ন পর্যায়ে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। ইতোপূর্বে এত দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টিপাতের অভাব দেখা যায়নি। প্রচণ্ড তাপদাহসহ অনাবৃষ্টির কারণে নেমেছে পানির স্তর যার ফলে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির অভাব।
আরও পড়ুন: করোনার প্রভাবে খুলনায় চিংড়ি শিল্পে বিপর্যয়
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, গভীর ও অগভীর নলকূপে পানি কম উঠছে। কোন কোন নলকূপে মোটেও পানি উঠছে না। অনেক সময় মটর দিয়েও পানি উঠানো সম্ভব হচ্ছে না। আবার অনেকের মটর পরিবর্তন করেও কোন কাজ হচ্ছে না।
একজন মটর মেকানিক শহিদুল ইসলাম জানান, এলাকার বেশিরভাগ অগভীর নলকূপে পানি থাকছে না এবং ঘন ঘন মটর মেরামত করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ১৫ বছর ধরে উৎপাদনে নেই খুলনা অক্সিজেন কোম্পানি
ফুলতলা উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ২ হাজার ২০০’ গভীর নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২০০ অকেজো। তাছাড়া অধিকাংশ অগভীর নলকূপে পানি কম উঠছে। যে কারণে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে।
এদিকে কৃষি অফিস সূত্র জানায়, বর্তমানে আউশ মৌসুমে বীজ বপনের কার্যক্রম চলছে। ১৫ মার্চ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এ মৌসুম। এর মধ্যে বীজ বপন ও চারা রোপনের কার্যক্রম শেষ করতে হবে। বর্তমানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষকরা বীজ বপন করতে পারছে না। উপজেলায় ৩৫০ বিঘা জমিতে আউশ চাষাবাদের আওতায় আনা হলেও পানির অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না।
দ্রুত বৃষ্টি না হলেও আউশ মৌসুমে নির্ধারিত কৃষকরা আউশ চাষে ব্যর্থ হবে বলে কৃষি অফিস জানায়।
৩ বছর আগে