গুজরাট
গুজরাটে ভারতের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কামালের সাক্ষাত, দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
ভারতের গুজরাটে জি-২০ অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর সম্মেলনের ফাঁকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন।
বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে ভারতীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে ২৩-২৪ জুলাই বাংলাদেশ সফরে আসছেন জাপানের মন্ত্রী
জি-২০ জোটের সদস্য না হয়েও বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে 'অতিথি দেশের' মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইইউর মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করবেন আগামী সপ্তাহে
বাংলাদেশকে 'অতিথি দেশ' হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে আয়োজক দেশ ভারত। কামাল জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে 'অতিথি দেশ' হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ভারতের সহায়তাপুষ্ট ৩ মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন: হাইকমিশনার
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়: গুজরাটে ২ জন নিহত
পশ্চিম ভারতের গুজরাট উপকূলে বৃহস্পতিবার আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের তাণ্ডবে দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার প্রবল বাতাস ও বৃষ্টি নিয়ে পাকিস্তানে আঘাত হানে ঝড়টি।
ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতাস্বরূপ দুই দেশের উপকূলবর্তী ১ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পশ্চিম গুজরাটের উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৮৫ কিলোমিটার (৫৩ মাইল প্রতি ঘণ্টা) এবং এসময় ১০৫ কিলোমিটার (৬৫ মাইল) পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়।
পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা উপকূলবর্তী ৮২ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে এবং সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি রাখা হয়েছে।
পশ্চিম ভারতে ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুজনের মৃত্যু ছাড়াও পার্শ্ববর্তী দ্বারকা জেলায় তিনজন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে বাংলাদেশের পাঠানো ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পশ্চিম ভারতে প্রায় ১ লাখ মানুষকে সাময়িকভাবে ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ঝড়ে এ অঞ্চলের গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়াসহ স্থলভাগের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপকূলীয় শহর মান্ডভির কর্মকর্তারা বলেছেন, ভারী বাতাসে ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বন্দর মুন্দ্রা বন্দরের কিছু শিপিং কন্টেইনার সমুদ্রে ভেসে গেছে।
শুক্রবারের পরে ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে দক্ষিণ পাকিস্তানে আঘাত হানার পর প্রতিবেশি ভারতীয় রাজ্য রাজস্থানের দিকে অগ্রসর হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাকিস্তান এখনও গত বছরের মারাত্মক বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
দেশটির অনেক মানুষ দাতব্য সংস্থা, সাহায্য সংস্থা এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দান করা খাবার গ্রহণের জন্য লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছে।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বন্যা কবলিত সিন্ধু প্রদেশের বন্দর কেটি বন্দরের ১২৫ কিলোমিটার (৭৫ মাইল) দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে।
তারা জানিয়েছে, ‘ঝড়টি প্রথমে একটি ঘূর্ণিঝড়ে এবং তারপরে শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: কক্সবাজারে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় আরব সাগরে ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে দীর্ঘতম আয়ুষ্কালের রেকর্ড তৈরি করেছে। ২০১৯ সালে ‘ঘূর্ণিঝড় কিয়ার’ ৯ দিনের জীবন নিয়ে এই রেকর্ড ধরে রেখেছিল।
গুজরাট সরকার বলেছে, তারা প্রায় ৭০০টি এশিয়াটিক সিংহের আবাসস্থল গির ন্যাশনাল পার্কে বন্যপ্রাণী উদ্ধার এবং ভেড়ে পড়া গাছগুলো সরানোর জন্য ১৮৪টি ইমার্জেন্সি অ্যাকশন স্কোয়াড মোতায়েন করেছে।
শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের জন্য পাকিস্তানের দক্ষিণ উপকূলীয় শহরগুলোতে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি করবে বলে ধারণা করা হয়েছিল।
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ গত গ্রীষ্মে দেশটির সবচেয়ে মারাত্মক বন্যা হয়েছিল, যাতে কমপক্ষে ১ হাজার ৭৩৯ জন নিহত এবং ৩৩ মিলিয়ন বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বৃহস্পতিবার বলেছে যে তারা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মোকাবিলায় পাকিস্তানের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছে। পাকিস্তানের সরকার এবং স্থানীয় সাহায্য গোষ্ঠীগুলো বাস্তুচ্যুত লোকদের বিনামূল্যে খাবার এবং পানীয় জল সরবরাহ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বলেছেন, তার সরকার ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের রক্ষায় কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার ইউনিসেফ সতর্ক করেছে যে পাকিস্তান ও ভারতে ৬ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি শিশু ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে।
ইউনিসেফের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক নোয়ালা স্কিনার বলেছেন, ‘পাকিস্তানে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় সিন্ধুর শিশু এবং পরিবারগুলোর জন্য একটি নতুন সংকট সৃষ্টি করেছে। এমনিতেই এই প্রদেশটি গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।’
২০২১ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের ফ্রিকোয়েন্সি, সময়কাল ও তীব্রতা ১৯৮২ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য প্রস্তুতি আরও জরুরি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: রাঙ্গামাটিতে জরুরি সতর্কতা জারি, কাপ্তাই হ্রদে নৌ চলাচল বন্ধ
১ বছর আগে
‘ঈশ্বরের ইচ্ছা’, গুজরাটে ব্রিজ ধসে ১৩৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় এক অভিযুক্তের মন্তব্য
ভারতের গুজরাটে মোরবি ব্রিজ ধসে ১৩৫ জন নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তি এই দুর্ঘটনাকে ‘ঈশ্বরের ইচ্ছা’ বলে জানিয়েছেন। বুধবার মোরবি সেতু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ওরেভা কোম্পানির ব্যবস্থাপক দীপক পারেখ দেশটির আদালতে কথা বলার সময় এ মন্তব্য করেন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, রবিবার ব্রিজটি ভেঙে পড়ার পর গ্রেপ্তার হওয়া নয়জনের মধ্যে তিনি একজন।
তিনি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম জে খানকে জানিয়েছেন, ‘... ভগবান কি ইচ্ছা (ঈশ্বরের ইচ্ছা), তাই এমন একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে।’
মোরবি পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট পিএ জালা আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, মোরবি সেতুর তারে ‘মরিচা পড়ে গেছে’ এবং সংস্কারের সময় এটি বদলানো হয়নি।’
আরও পড়ুন: গুজরাটে ঝুলন্ত সেতু দুর্ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯
এনডিটিভির প্রতিবেদনে পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করা হয়েছে, গত ২৬শে অক্টোবর কোনো অফিসিয়াল পর্যালোচনা বা মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই মোরবি সেতুটি যান চলাচলের জন্য আবার খুলে দেয়া হয়।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘দেড়শ বছরের পুরনো সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের অংশ হিসেবে শুধুমাত্র প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেতুটি একটি তারের উপর ছিল এবং তারে কোন তেল বা গ্রীসিং করা হয়নি। যেখান থেকে তারটি ভেঙ্গে গেছে, সেখানকার তারে মরিচা ধরেছে। তারটি মেরামত করা হলে, ঘটনাটি ঘটত না।’
একজন প্রসিকিউটরের মতে, গুজরাটের ধসে পড়া মোরবি ব্রিজ মেরামতকারী ঠিকাদাররা পাবলিক অবকাঠামো মেরামত কাজে অযোগ্য ছিল। প্রসিকিউটরের মতে, ‘তা সত্ত্বেও এই ঠিকাদারদের ২০০৭ সালে এবং তারপর ২০২২ সালে সেতু মেরামতের কাজ দেয়া হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: 'ফিটনেস সার্টিফিকেট' ছাড়াই খুলে দেয়া হয় মোরবি সেতু!
গুজরাটে সেতু ভেঙে নিহত বেড়ে ১৪১
২ বছর আগে
গুজরাটে ঝুলন্ত সেতু দুর্ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯
ভারতের গুজরাট রাজ্যে ঝুলন্ত সেতু দুর্ঘটনার তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ সোমবার ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিছুদিন আগে মেরামত করা ১৪৩ বছর বয়সী সেতুটির ছিঁড়ে পড়ার ঘটনা দেশটির সবচেয়ে খারাপ দুর্ঘটনাগুলোর একটি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় শতাধিক মানুষ নদীর পানিতে ডুবে যায় এবং এখন পর্যন্ত ১৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
মৃতদের পরিবারের শোক দেখে ১৮০০-এর দশকের শেষের দিকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার সময় নির্মিত পথচারীদের জন্য এই ঝুলন্ত সেতু কেন ছিঁড়ে পড়ল এবং এর জন্য দায়ী কে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মাত্র চার দিন আগেই সেতুটি খুলে দেয়া হয়।
ইন্সপেক্টর জেনারেল অশোক যাদব বলেন যে পুলিশ একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে এবং গ্রেপ্তারদের মধ্যে ব্রিজ অপারেটর ওরেভা গ্রুপের ম্যানেজার ও এর কর্মকর্তারাও রয়েছে।
যাদব বলেন, ‘আমরা দোষীদের রেহাই দেব না, কাউকে ছাড় দেব না।’
আরও পড়ুন: গুজরাটে সেতু ভেঙে নিহত বেড়ে ১৪১
গুজরাট কর্তৃপক্ষ ওরেভার বিরুদ্ধে সন্দেহজনক অপরাধমূলক হত্যা, অপরাধমূলক হত্যার চেষ্টা এবং অন্যান্য লঙ্ঘনের জন্য একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সেতুটি অতীতে বেশ কয়েকবার মেরামত করা হয়েছে এবং বছরের পর বছর ধরে এর অনেকগুলো মূল অংশ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
এটি প্রায় সাত মাস পরে ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষের প্রথম দিনে আবার চালু করা হয় এবং যা শত শত দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
মোরবি কর্মকর্তা সন্দীপ সিংহ জালা বলেন, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সংবাদপত্র অনুসারে কোম্পানিটি প্রথমে ফিটনেস সার্টিফিকেট না নিয়েই সেতুটি আবার খুলে দেয়। এটি স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি, তবে কর্মকর্তারা বলেছেন যে তারা তদন্ত করছেন।
আরও পড়ুন: গুজরাটে সেতু ভেঙে ৯১ জনের মৃত্যু
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শত শত মানুষের ভারে সেতুটি ধসে পড়েছে।
সেতুটি মাঝখানে বিভক্ত হয়ে হাঁটার পথটি নিচে ঝুলছিল এবং এর তারগুলো ছিঁড়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত ১৩৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে এবং অনেককে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুজরাটের তথ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা জিগার খুন্ট বলেছেন, অন্তত ১৭৭ জনকে নদী থেকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুজরাটে সাততলা ভবন থেকে লিফট ছিঁড়ে পড়ে নিহত ৮
২ বছর আগে
গুজরাটে সেতু ভেঙে নিহত বেড়ে ১৪১
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে একটি ঝুলন্ত সেতু ভেঙে অন্তত ১৪১ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি বলে জানা গেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজ রাজ্য গুজরাটের মোরবি জেলায় রবিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
সোমবার এক পুলিশ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘রাতে বেশ কিছু মৃতদেহ উদ্ধারের ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪১ জনে।এ ঘটনায় আরও ১৮০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর জখম নিয়ে অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের জন্য সেতুটিতে ৫০০ জনেরও বেশি লোক ভিড় করেছিল।
১৪০ বছরের পুরোনো সেতুটি মেরামত করা হয়েছিল এবং ২৬ অক্টোবর জনসাধারণের জন্য আবার খুলে দেয়া হয়েছিল।
কর্মকর্তারা বলেছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মীরা এখনও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি বলেছেন, সেতুটির সংস্কারের কাজ করা বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: গুজরাটে সেতু ভেঙে ৯১ জনের মৃত্যু
গুজরাটে সাততলা ভবন থেকে লিফট ছিঁড়ে পড়ে নিহত ৮
গুজরাট দাঙ্গা: ১১ দণ্ডপ্রাপ্ত ধর্ষকের মুক্তির বিরুদ্ধে ভারতে বিক্ষোভ
২ বছর আগে
গুজরাটে সেতু ভেঙে ৯১ জনের মৃত্যু
ভারতের গুজরাটে একটি ক্যাবল সেতু ভেঙে ৯১ জন নিহত হয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনও অনেক মানুষ সেখানে আটকা পড়ে আছেন।
রবিবার ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গুজরাটের রাজধানী আহমেদাবাদ থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে মাছু নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের জন্য সেতুটিতে ৫০০ জনেরও বেশি লোক ভিড় করেছিল। এখন পর্যন্ত ৯১ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’
উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ আগে সেতুটি মেরামত করে জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়।
রাজ্য সরকার দুর্ঘটনার দায় স্বীকার করেছে।
গুজরাটের একজন মন্ত্রী ব্রিজেশ মের্জা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে সেতুটির সংস্কার হয়েছে। আমরাও হতবাক।সরকার এই ট্র্যাজেডির জন্য দায়ী’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্ঘটনার বিষয়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ইতোমধ্যে এ ঘটনায় হতাহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।
দুর্ঘটনায় শোক জানিয়ে এক টুইটে মোদি লিখেছেন, ‘ এ দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান পুরোদমে চলছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।’
রাজ্য সরকার প্রত্যেক মৃতের পরিবারকে চার লাখ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে।
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।
২ বছর আগে
গুজরাটে সাততলা ভবন থেকে লিফট ছিঁড়ে পড়ে নিহত ৮
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে একটি নির্মাণাধীন সাততলা ভবন থেকে লিফট ছিঁড়ে পড়ে ৮ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরের মর্যাদাপূর্ণ গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার লাভিনা সিনহা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, প্রাথমিকভাবে জানা যায় যে শ্রমিকদের বহনকারী লিফটটি সাততলা থেকে মাটিতে পড়ে যায় এবং এতে করে আটজন নিহত হয়।
এছাড়া দুর্ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কর্মকর্তা বলেছেন, ভবন নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক চুক্তিবদ্ধ বেসরকারি সংস্থার পরিচালকদের অবহেলার জন্য মামলা করা হতে পারে।
সারাদেশে নির্মাণ সাইটে কাজ সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় প্রতি বছর শত শত শ্রমিক মারা যায়, যেখানে নিরাপত্তা বিধি খুব কমই মানা হয়।
আরও পড়ুন:শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে: দোরাইস্বামী
সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ: ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয়, সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
২ বছর আগে
করোনা মোকাবিলায় ঢাকা-দিল্লি সহযোগিতার প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনার সময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বিনিময়কে ‘ভালো প্রতিবেশী’ কূটনীতির রোল-মডেল হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভারতের গুজরাট রাজ্যের জামনগরে গ্লোবাল সেন্টার ফর ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন (জিসিটিএম) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘পুরো বিশ্ব দেখেছে কীভাবে দুই প্রতিবেশী দেশ একে অপরকে সমর্থন করে এবং সঙ্কটের সময়ে একসঙ্গে কাজ করে।
তিনি বলেন, আধুনিক মেডিসিনের সঙ্গে ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের চর্চা হলে সবার জন্য মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: মেগা প্রকল্পে বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আস্থা ব্যক্ত করেন যে গ্লোবাল সেন্টার ফর ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন প্রমাণ-ভিত্তিক গবেষণা এবং ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের মানদণ্ডের জন্য একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হবে।
তিনি বলেন, এসডিজি-৩ লক্ষ্য অর্জনে ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পরিষেবার সম্ভাব্য অবদানকে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আমরা আমাদের পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্রে যৌথ চিকিৎসা গবেষণা প্রকল্পগুলোকে ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করব।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে করোনা নিয়ন্ত্রণে এবং ব্যাপক টিকাকরণ কভারেজ অর্জনে দেশটির সরকারের প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়।
আরও পড়ুন: সব উপজেলায় সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
গুজরাটে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যুদণ্ড
১৩ বছর আগে ২০০৮ সালে গুজরাটের সিরিজ বোমা হামলার মামলায় ৩৮ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের একটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ আদালত এই আদেশ দেন।
এটি এখন পর্যন্ত ভারতের যেকোনো আদালতে একসঙ্গে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুদণ্ডাদেশের ঘটনা।
২০০৮ সালে এক ঘণ্টার ব্যবধানে ৩১টি বিস্ফোরণে গুজরাটের আহমেদাবাদ শহরে ৫৬ জনের মৃত্যু এবং ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মমতার দলে কি বিদ্রোহ চলছে?
বাকি আসামিদের মধ্যে ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিশেষ আদালতের বিচারক এআর প্যাটেল। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের কেউ ১৪বছর পর প্যারোলের অধিকারী হবে না বলে আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে।
এই মামলায় মোট ৮০ জন আসামিকে বিচারের মুখোমুখি করা হলেও তথ্য প্রমাণের অভাবে মামলায় অন্য ২৮ জনকে খালাস দেয়া হয়।
বিচার চলাকালীন এই হামলার জন্য স্বদেশী সন্ত্রাসী সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনকে দায়ী করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে দৈনিক সংক্রমণ ৩৫ হাজারের নিচে নামল
২ বছর আগে
বিশ্ব জলাভূমি দিবসে ভারতে আরও দুটি রামসার সাইট ঘোষণা
ভারতে আন্তর্জাতিক জলাভূমি দিবস ২০২২ উপলক্ষে আরও দুটি নতুন রামসার সাইট ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট রামসার সাইটের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ এ দাঁড়িয়েছে।
রামসার সাইট হলো আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি।
বুধবার গুজরাটের খিজদিয়া পাখি অভয়ারণ্য ও উত্তর প্রদেশের বাখিরা বন্যপ্রাণি অভয়ারণ্যকে রামসার সাইট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এএনআই এর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে দেশীয়ভাবে নির্মিত সাবমেরিনের পরীক্ষামূলক সমুদ্রযাত্রা
দেশটির ৪৭তম রামসার সাইটটি ছিল উত্তর প্রদেশের হায়দারপুর জলাভূমি।
দেশটির কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব বলেছেন, উন্নয়ন ও পরিবেশকে একসঙ্গে চলতে হবে। জীববৈচিত্র্যের ৪০ শতাংশই আসে জলাভূমি থেকে।
জলাভূমি দিবসের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ আন্তর্জাতিক জলাভূমি দিবস। ভারতে দুই লাখেরও বেশি ছোট পুকুর রয়েছে। তবে এমন কিছু রয়েছে যা সংরক্ষণ করা দরকার। ভারতে ৫২টি জাতীয় বন রয়েছে যেখানে বাঘ আছে। এছাড়া ভারতে দুটি নীল ট্যাগ সৈকত রয়েছে। আমরা আজ দুটি রামসার সাইট যুক্ত করেছি।
এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে ভারতে এখন ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৬৩৬ হেক্টর এলাকা জুড়ে ৪৯টি রামসার সাইট রয়েছে; যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন: আবারও তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী মমতা
২ বছর আগে