হরিপুর হাসপাতাল
নেশায় অচেতন হয়ে একই পরিবারের ৭ জন হাসপাতালে
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে একই পরিবারে ৭ জন নেশায় অচেতন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় হরিপুর হাসপাতালে তারা ভর্তি হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের বীরগড় গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র বর্ম্মণের বাড়িতে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ছেলের লাঠির আঘাতে বাবার মৃত্যু
তারা হলেন- হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ ইউনিয়ন সম্পাদক অনিল চন্দ্র বর্ম্মণ (৭৫), তার ছেলে দীলিপ চন্দ্র বর্ম্মণ (৪৮), তার স্ত্রী দিপ্তী রানী(৩৮), দিলিপের শ্বাশুড়ি কাঞ্চন সেন (৫৫), ভাগ্নি চৈতি রায় (২১), সুন্দরী রানী (২১), মিনা রানী রায় (৩৩)।
বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত বলে জানান হরিপুর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আসাদুজ্জামান।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাতে তারা প্রতিদিনের ন্যায় রাতে খেয়ে যে যার নিজ নিজ রুমে শুয়ে পড়েন। পরদিন রবিবার বাড়ির কেউ ঘুম থেকে জেগে ওঠেনি। বিকাল অনুমানিক ৫টার সময় চেয়ারম্যানের ছেলে দীলিপের জ্ঞান ফিরলে টাল-মাটাল অবস্থায় মোটরসাইকেল যোগে হরিপুরে ওষুধ নিতে রওয়ানা হন। কিন্তু রাস্তায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হন। এসময় লোকজন চিকিৎসার জন্য তাকে হরিপুর হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং বাড়িতে তার বাবার ফোন নম্বরে ফোন করে তাকে না পেয়ে অনিল চন্দ্রের বাড়িতে যায় লোকজন। লোকজন এসে দেখে বাড়ির সকলে তখনো ঘুমিয়ে রয়েছেন।
পরে বিষয়টি হরিপুর থানায় জানানো হলে হরিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ তাদের সকলকে চিকিৎসার জন্য হরিপুর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ত্রাণ চাওয়ায় বৃদ্ধকে পেটালেন ইউপি সদস্য
বর্তমান তারা সকলে হরিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হরিপুর হাসপাতালের ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, সম্ভবত তাদের পরিবারের সবাইকে নেশা জাতীয় জিনিস খাওয়ানো হয়েছে। তবে তারা সবাই এখন আশঙ্কামুক্ত।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বিষপানে স্কুল শিক্ষকের `আত্মহত্যা’
হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আওরঙ্গজেব বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হরিপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রাতে বাড়ি পাহারা দেয়ার জন্য পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ নিযুক্ত করা হয়েছে। এই বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি, অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৩ বছর আগে