তামাবিল
তামাবিল স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্যাংকলরিতে আগুন
সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে ভারত থেকে আসা মিথানলের একটি ট্যাংকলরিতে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
তবে এ সময় লরিতে মিথানল না থাকায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর ও এর আশপাশের এলাকা।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে বীজের গোডাউনে আগুন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ভারতীয় ট্যাংকলরি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় জৈন্তাপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু ১২ কিলোমিটার দূর থেকে আসতে বিলম্ব হবে ভেবে ভারতের ডাউকি স্থলবন্দরের আরেকটি অগ্নিনির্বাপক গাড়ি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশের মিথানল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সামুদা স্প্রেক কেমিক্যাল লিমিটেডের নামে ৭টি গাড়ি তামাবিল স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। পরে ল্যাবরেটরি পরীক্ষা শেষে শনিবার বাংলাদেশের ট্যাংকলরিতে কেমিক্যালগুলো স্থানান্তর করা হয়।
১ মাস আগে
সিলেট-তামাবিল সড়কে দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলায় মোটরসাইকেল-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের হযরত শাহজালাল (র.) কলেজ সংলগ্ন এলাকায় দুঘর্টনাটি ঘটে।
নিহত মোটরসাইকেল আরোহী ছালিক মিয়া (২৫) উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের ঠাকুরের মাটি গ্রামের বশির মিয়ার ছেলে। আর আহত কামাল আহমেদ (১৮) একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মালিকের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হযরত শাহজালাল (র.) কলেজ সংলগ্ন এলাকায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে পিকআপ গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ছালিক মিয়া নিহত হন। স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫: কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন
খবর পেয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতকে উদ্ধার করে।।
জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার (ইনচার্জ) ওমর ফারুক জানান, খবর পেয়ে দুঘর্টনাস্থল চিকনাগুলে পুলিশ ফোর্স প্রেরণ করা হয়। তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫: প্রত্যেক পরিবার পেল ২ লাখ টাকা
১ বছর আগে
সিলেটে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
টানা দু'দিন সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ রাখার পর এবার পুরো সিলেটে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
এতে বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস-মিনিবাসসহ সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
সিলেট-তামাবিল সড়কে নির্বিঘ্নে বাস চলাচল এবং জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এ কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে সিলেট-তামাবিল সড়কে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, এই দুই দাবিতে গত দু’দিন ধরে সিলেট-তামাবিল সড়কে আমাদের কর্মবিরতি চলছে।
কিন্তু আমাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় বুধবার ভোর থেকে পুরো সিলেট জেলায় পরিবহন শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে সকল পরিবহন সংগঠন। তাই বুধবার থেকে সিলেটের কোনো রাস্তায় কোনো ধরনের গাড়ি চলবে না।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জুলাই শুক্রবার রাতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত এলাকায় বাস ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহত্তর জৈন্তার ১৭ পরগণার সালিশ সমন্বয় কমিটির ডাকে এক সভায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাসের অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের ছাঁটাই ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধের দাবি জানানো হয়।
এরপর ৮ জুলাই শনিবার জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদের নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকজন মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে চলাচলকারী বাসের চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করেন।
এসময় তারা লাইসেন্সবিহীন চালকদের গাড়ি আটকে দেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ৯ জুলাই রবিবার রাতে সিলট-তামাবিল সড়কে ধর্মঘটের ডাক দেয় সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।
সোমবার সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু হয়। এতে দু’দিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এই সড়কের যাত্রীরা। দুদিন ওই সড়কে ধর্মঘট পালনের পর এবার পুরো জেলায় পরিবহন চলাচল বন্ধের ডাক দেয়া হয়েছে।
এদিকে, সোমবার রাতে বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগনা সালিশ কমিটি ফের বৈঠকে বসে। এতে ১৭ পরগনার কাছে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম ও বাস মালিক সমিতিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করা হয়। ক্ষমা চাওয়ার আগ পর্যন্ত উত্তর সিলেটে তামাবিল, সিলেট-কানাইঘাট, সিলেট-গোয়াইনঘাট সড়কে বাস চলাচল করতে দেওয়া হবে না বলেও একমত হয় নেতারা। এছাড়া, মালিক সমিতি নিজেই গাড়ি বন্ধ করেছে তাই ক্ষমা চাওয়ার পর পুনরায় বাস চালাতে চাইলে ১৭ পরগনার অনুমতি নিয়েই বাস চালাতে হবে বলেও ঐক্যমত হন তারা।
বাস ব্যতীত সকল গাড়ি চলাচল করবে। যদি চলাচলে কেউ বাধা প্রদান করে তাহলে ১৭ পরগনার আপামর জনাতা তা প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়া হয় বৈঠক থেকে।
জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ জানান, সোমবার ১৭ পরগনার বৈঠকে তিনটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার আমাদের পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ২৯ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
সুনামগঞ্জে ৪ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট
১ বছর আগে
সোমবার থেকে সিলেট-তামাবিল সড়কে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
সিলেটের জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহতের ঘটনায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে রবিবার সকাল থেকে বাস-মিনিবাস বন্ধের ঘোষণা দেয় বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগণার সালিশ সমন্বয় কমিটি।
এরপরই এই ঘটনার প্রতিবাদে সিলেট-তামাবিল সড়কে সোমবার (১০ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে সব ধরনের পরিবহন চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
রবিবার (৯ জুলাই) বিকালে এক বৈঠকে নেতারা এ সিদ্ধান্ত নেন।
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার (৭ জুলাই) রাতে সিলেট-তামাবিল সড়কের দরবস্ত এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন মারা যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ সড়কে যাত্রীবাহী বাস চলতে দেননি জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদ। তার এ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ও তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরা এ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: সিলেটের ওসমনীনগরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৩
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে সব পরিবহন শ্রমিক সংগঠন। সব সংগঠনের নেতাদের নিয়ে রোববার বিকালে আমাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাচ্ছি।’
সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৮ জুলাই শনিবার রাতে দরবস্ত বাজার মসজিদে সিলেটের বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগনার সালিশ সমন্বয় কমিটি বৈঠক করে। ওই বৈঠকে সিলেট-তামাবিল সড়কে অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের ছাঁটাইয়ের দাবি জানানো হয়। ছাঁটাইয়ের আগ পর্যন্ত রবিবার সকাল থেকে ওই সড়কে বাস-মিনিবাস চলাচল করতে না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাসের ধাক্কায় টমটম চালকসহ নিহত ২
জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদ বলেন, ‘সালিশ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিলেট- তামাবিল মহাসড়কে কোনো ধরনের বাস-মিনিবাস চলাচল করতে পারবে না। তবে অন্য যেকোনো যানবাহন স্বাভাবিকভাবেই চলবে। কারণ দরবস্ত বাজারে বাসচাপায় পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বাস মালিক সমিতি বা এই রুটের পরিবহনের সঙ্গে জড়িত কেউই দুঃখ প্রকাশ করেনি। এমনকি আহত বা নিহতদের পরিবারের কোনো খোঁজখবরও নেননি তারা। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বাস ও ইজিবাইকের (টমটম) সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাসের সঙ্গে থ্রি-হুইলারের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত
১ বছর আগে
তামাবিলে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
সিলেটের গোয়াইনঘাটে অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকাল ৩টায় উপজেলার তামাবিল স্থলবন্দর সংলগ্ন মুজিবনগর এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত নারীর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোয়াইনঘাটের পূর্ব জাফলং ইউপির মুজিবনগর এলাকার চেয়ারম্যান টিলার ওপর এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ল্যাট্রিনের কুয়া থেকে মা-ছেলের লাশ উদ্ধার, স্বামী-শাশুড়িসহ আটক ৩
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই নারী বেশ কিছুদিন ধরে জাফলং এলাকায় ভবঘুরের মতো ছিলেন।
পুলিশ বলেছে, লাশের মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইট কিংবা ভারী কোনোকিছু দিয়ে আঘাত করে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার বিকালে পুলিশের দুটি দল লাশ উদ্ধার করে।
সন্ধ্যায় লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
ওসি আরও জানান, নিহতের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৯ বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরে জমি থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
সিলেট-তামাবিল সড়কে কার-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
সিলেটের জৈন্তাপুরে প্রাইভেটকার ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের হরিপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আক্তার হোসেন উরফে হোসেন আহমদ (৩৫) ও একই উপজেলার হাজিপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে আব্দুস শুকুর (৪৯)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে জৈন্তাপুর থেকে শিম ও বরবটি নিয়ে সিলেটের দিকে যাচ্ছিলেন হোসেন আহমদ ও শুকুর আহমদ। অন্যদিকে প্রাইভেটকারটি সিলেট থেকে জাফলংয়ের দিকে যাচ্ছিল। বেলা ১২ টার দিকে জৈন্তাপুরের হরিপুর স্কুল মার্কেট এলাকায় পৌঁছলে অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুছড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই অটোরিকশারচালক ও আরোহীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রাইভেটকারের চালক ও এক আরোহী আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করেছে স্থানীয় ও পুলিশ সদস্যরা।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, নিহত দুজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রসহ নিহত ২
৩ বছর আগে
তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
টানা দুই মাস বন্ধ থাকার পর শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিলেটের গোয়াইনঘাটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ফের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভারতীয় পাথরবাহী পাঁচটি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুনঃ অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও আমদানি করা হবে: খাদ্যমন্ত্রীবুধবার সকাল থেকে পুরোদমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে বলে তামাবিল ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন। তামাবিল স্থলবন্দরে দীর্ঘদিন পর পূনরায় আমদানি-রপ্তানি চালু হওয়ায় এখানকার ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে আনন্দের আমেজ দেখা গেছে।
আরও পড়ুনঃ হিলি দিয়ে সপ্তাহে ৩ দিন ভারতে যাতায়াতের সিদ্ধান্ততামাবিল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তামাবিল স্থলবন্দরের কার্যক্রম সচল থাকলেও ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে মেঘালয়জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করে দেশটির রাজ্য সরকার। ফলে গত ১ মে থেকে ডাউকি স্থলবন্দরের পাশাপাশি সকল প্রকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ভারত। যার কারণে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ডাউকি স্থলবন্দর দিয়ে চুনাপাথর, পাথর ও কয়লাসহ আমদানি-রপ্তানিযোগ্য কোনো পণ্য তামাবিল স্থলবন্দরে প্রবেশ করেনি।
সম্প্রতি মেঘালয়ে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার ফলে বিগত কয়েকদিন ধরে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন ও ভারতীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মাঝে আলোচনার ভিত্তিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ মেনে এই স্থলবন্দরটি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুনঃ কঠোর লকডাউনে স্বাভাবিক হিলি স্থলবন্দরের কার্যক্রম
এ বিষয়ে তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন সেদু জানান, করোনার কারণে গত মে মাসের শুরু থেকেই ডাউকি স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ভারত। দীর্ঘদিন ধরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার ফলে তামাবিল স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বেশ বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েন। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট কয়েক হাজার শ্রমিক।তিনি বলেন, তামাবিল স্থলবন্দরে ব্যবসায়ী এবং শ্রমিক মিলে প্রায় ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তাই আজ থেকে এই বন্দর দিয়ে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি চালু হওয়ায় এলাকার সর্বত্র খুশির আমেজ বইছে।
আরও পড়ুনঃ হিলিতে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
এ ব্যাপারে তামাবিল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মাহফুজুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। তবে যতটুকু জানি, শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের স্থলবন্দরের কার্যক্রম চালু ছিল। কিন্তু চলমান লকডাউনের কারণে ভারত তাদের ডাউকি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল। প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ থেকে এই বন্দর দিয়ে ফের আমদানি-রপ্তানি চালু হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সতর্কতা হিসেবে প্রশাসনের উদ্যোগে এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের সহযোগিতায় পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় প্রত্যেকটি পরিবহন স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
সিলেট-তামাবিল সড়কে আবারও ট্রাক চাপায় নিহত ৩
ট্রাক-সিএনজি অটোরিকশা সংঘর্ষে ৫ জন নিহতের ২০ ঘণ্টা অতিবাহিত হতে না হতে সিলেট-তামাবিল সড়কে আবারও দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘাতক ট্রাক কেড়ে নিয়েছে আরও ৩ জনের প্রাণ। আহত হয়েছেন আরও ২ জন।
রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সিলেট-তামাবিল সড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ইট বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি মোটরসাইকেলের ওয়ার্কশপে ঢুকে পড়লে প্রাণহাণির এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে রডবোঝাই ট্রাক চাপায় ৩ জনের মৃত্যু
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- কানাইঘাট উপজেলার নয়াগ্রাম পশ্চিম এলাকার সিফাতুর রহমানের ছেলে আশিক আহমদ (৩৫), একই গ্রামের মৌলভী সহরউল্লার ছেলে মিনহাজ উদ্দিন সুলতান (২৮) ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি এলাকার মছনুর রহমানের ছেলে সুহেল আহমদ (৩০)।
পুলিশ জানায়, একটি ইট বোঝাই ট্রাক জাফলং যাওয়ার পথে দরবস্ত বাজারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটর সাইকেল গ্যারেজে ঢুকে যায়। এতে গ্যারেজের মেকানিকসহ সেখানে বসা অপর দুইজনসহ মোট তিনজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এছাড়া আরও দুজন আহত হন। এদের মধ্যে আহত রুবেল ও সুমন নামে দুজনকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার সকালে রুবেলকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং সুমন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
জৈন্তাপুর থানার এসআই পার্থ রঞ্জন চক্রবর্তী তিনজন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ট্রাক চাপায় স্কুলশিক্ষক নিহত
এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ৬টায় সিলেট-তামাবিল সড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার পাখিবিল এলাকায় ট্রাক চাপায় সিএনজি অটোরিকশার চালক ও একই পরিবারের ৪ সদস্যসহ ৫ জন নিহত হন।
৩ বছর আগে