হয়রানি
মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরকারীদের বিরুদ্ধে সতর্কতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ফয়সল হাসানের সই করা এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা-গ্রেপ্তার নয়: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইলিংসহ নানারকম হয়রানি করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক মামলা দায়ের বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধ।’
এ সব কর্মকাণ্ডে জড়িতদের কঠোরভাবে হুঁশিয়ারি দেওয়াসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এরইমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এসব অপতৎপরতাকারীদের বিরুদ্ধে জাতীয় জরুরি সেবা '৯৯৯'-এ অভিযোগ/তথ্য জানানোর জন্য এবং সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে অনুরোধ করা হলো।
আরও পড়ুন: অভ্যুত্থানে হত্যার ঘটনায় ১৬৯৫ মামলা দায়ের, অক্টোবরে গ্রেপ্তার ৩১৯৫: পুলিশ সদর দপ্তর
মিরপুরে হত্যা মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তারেক আফজাল গ্রেপ্তার
১ মাস আগে
কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপায়
যেকোনো কর্মক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেক কর্মীর সক্রিয় অংশগ্রহণ। আর এই অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে কর্মের সহায়ক পরিবেশ। সর্বাঙ্গীনভাবে ব্যক্তি মর্যাদা ও নিরাপত্তার সমন্বয়ে গড়ে ওঠে কাজের উপযোগী পরিবেশ। কিন্তু শিক্ষা ও সভ্যতার মেলবন্ধনে গঠিত কর্মযজ্ঞে বারবার আশঙ্কার সম্মুখীন হয়েছে নারীর নিরাপত্তা। অথচ নারীরা তাদের যোগ্যতা ও শ্রম দিয়ে যেকোনো গঠনমূলক কাজে অবদান রাখতে পারে। কিন্তু সেজন্য প্রয়োজন আত্মমর্যাদা নিয়ে দক্ষতা প্রয়োগের সহায়ক পরিবেশ থাকা। এই পরিপ্রেক্ষিতে চলুন, নারীদের নিরাপদ কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলার উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
যে ১০টি উপায়ে নারীদের জন্য নিরাপদ কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলা যায়
হয়রানি ও বৈষম্যবিরোধী নীতি প্রয়োগ
বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ৩৩২ ধারা অনুযায়ী যেকোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত নারীর সঙ্গে তার সম্মানের পরিপন্থী, অশালীন বা অশ্লীল হিসেবে গণ্য হতে পারে এমন আচরণ করা যাবে না।
এই আইনের রূপরেখায় নারীদের প্রতি হয়রানি ও বৈষম্য প্রতিরোধের জন্য কোম্পানি নীতিমালায় সুস্পষ্ট নীতি ও নির্দেশিকা অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। এখানে নারীর আত্মমর্যাদা হানিকর প্রতিটি অনুপযুক্ত আচরণের স্বচ্ছ বিবৃতি থাকবে। একই সঙ্গে বিধি লঙ্ঘনের পরিণতিগুলোও বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে। অতঃপর নির্ধারিত বিধিমালা স্তর ও পদ নির্বিশেষে সব কর্মচারীদের জানানো এবং সঠিকভাবে প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
পৃথক নারী নিরাপত্তা সেল গঠন
নারী কর্মচারীদের সুরক্ষায় হুমকিজনক বিষয়গুলো বহুমুখী হয়। তাই তার তদারক প্রক্রিয়া এবং নিরসন পদ্ধতিও ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভিন্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক। এই পরিপ্রেক্ষিতে সর্বোত্তম হচ্ছে একটি নিবেদিত নারী সুরক্ষা সেল তৈরি করা। এই পরিষদের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রোটোকল থাকা উচিত। এর আওতায় নানা ধরনের অভিযোগ নিষ্পত্তি, আইনি পরামর্শ, তদন্ত ও শাস্তি প্রদান এবং মানসিক সহায়তা বা কাউন্সিলিং অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এর ফলে নারী কর্মচারীরা নিঃসঙ্কোচে, সহজভাবে এবং নির্ভরতার সঙ্গে অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।
মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্ম-সংস্কৃতি বাস্তবায়ন
একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে প্রতিটি পরিষদে নারী ও পুরুষের সংখ্যার মধ্যে সমতা বিধান করা জরুরি। বিশেষ করে উচ্চপদস্থ জায়গাগুলোতে নারীদের উপস্থিতি নারী চাকরিপ্রার্থীদের মাঝে আত্মবিশ্বাস এবং স্বীকৃতিপ্রাপ্তির অনুভূতি সৃষ্টি করবে। একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো প্রভাবশালী পদে থাকায় নারী কর্মকর্তা পুরো প্রতিষ্ঠানের নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় প্রধান ভূমিকা রাখতে পারেন। এই বিষয় কর্মক্ষেত্রে আচরণবিধি প্রতিষ্ঠার জন্যও জরুরি। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত কর্মসংস্কৃতির দৌলতে প্রতিটি নবনিযুক্ত কর্মচারী বুঝতে পারে যে, তাদের কাছ থেকে কী আচরণ প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে তারা এও বুঝে যায় যে, কোন আচরণের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে।
পূর্ব প্রতিষ্ঠিত আচরণবিধি পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এখানে স্বতঃস্ফূর্ততা আনতে ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীলদের উন্মুক্ত এবং উদার হওয়া অপরিহার্য। নিয়োগকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে স্বচ্ছ যোগাযোগ ব্যবস্থা কাজের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায়ে সহায়ক হয়।
আরও পড়ুন: নারীদের চেয়ে পুরুষদের আত্মহত্যার হার বেশি যে কারণে
বেনামী অভিযোগের ব্যবস্থা গ্রহণ
প্রায় ক্ষেত্রে নারী কর্মচারীরা সহকর্মী বা বসদের অসংযত আচরণে লজ্জা ও আরও বেশি সম্মান হানির আশঙ্কায় আত্মপ্রকাশে অনীহা পোষণ করে। এমনকি ভুক্তভোগীদের চাকরি হারানোর ভয় থাকায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এগুলো অগোচরেই থেকে যায়। তাই এমন একটি সিস্টেম তৈরি করা উচিত যেখানে পরিচয় গোপন রেখেই অভিযোগের সুযোগ থাকবে। প্রথমেই জনসমক্ষে না এনে গোপনে চালিয়ে যেতে হবে প্রাথমিক তদন্ত। এতে নারী কর্মীরা অকপটে নিজেদের প্রকাশ করতে পারবে। অধিকন্তু, এ বিষয়ে স্বয়ং নারী কর্মচারীরা কী ভাবছে তা বোঝার জন্য একটা সমীক্ষা চালানো যেতে পারে। এর মধ্য দিয়েও বেরিয়ে আসতে পারে নানা ধরনের প্রতিকূলতা।
নিরাপত্তা লঙ্ঘনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণ
এ ধরনের হয়রানিগুলোর জন্য কোনো বিচারই পাওয়া যাবে না; এরকম চিন্তা থেকেও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো আর প্রকাশ করা হয় না। এছাড়া দীর্ঘ প্রোটোকলের কারণে অনর্থক সময়ক্ষেপণের ফলে আস্থা হারিয়ে ফেলে ভুক্তভোগীরা। অন্যদিকে অপরাধী ব্যক্তি তার বিকৃত মানসিকতা অব্যাহত রাখতে সাহস ও প্রশ্রয় পেয়ে যায়।
তাই কালক্ষেপণ না করে নিয়োগকর্তাদের অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অবশ্যই অভিযুক্তের নিকট স্বচ্ছ হতে হবে। নিছক কোনো ক্ষতিপূরণ দিয়ে দায় এড়ানো অথবা প্রতিষ্ঠানে সুনামের কথা ভেবে ভিন্ন দিকে পরিচালিত করা অন্যায়েরই নামান্তর। বরং দুষ্কৃতিকারীকে প্রতিষ্ঠানের আভ্যন্তরীণ আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন হ্যাকিং প্রতিরোধে করণীয়
এতে একদিকে যেমন প্রতিষ্ঠানের প্রতি নারী কর্মীদের নির্ভরতা বাড়বে, অন্যদিকে শাস্তি দেখে অন্যান্যরাও সাবধান হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, ন্যায়সঙ্গতভাবে প্রকাশ্য শাস্তির বিধান ভবিষ্যতে একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
নিরাপদ পরিবহন বিকল্প
৯টা থেকে ৫টার অফিস প্রথায় স্বাভাবিকভাবে কাজ শেষে বের হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে কাজের প্রয়োজনে অতিরিক্ত সময় অফিসে থাকতে হয়। তাই নিদেনপক্ষে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে নারী কর্মচারীদের জন্য কোম্পানির নিজস্ব পরিবহন দেওয়া উচিত। প্রতিদিন কাজ শেষে ভয় নিয়ে বাসায় ফেরাটা মানসিক অসুস্থতার দিকে পরিচালিত করে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে পরের দিন কাজের ওপর। তাই প্রতিষ্ঠানের স্বার্থেই নারী কর্মীদের যাতায়াতের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া আবশ্যক।
এখানে একদম সুস্থভাবে বাসায় ফেরাটা নিশ্চিত করা উচিত। গণপরিবহন নির্দিষ্ট স্থানে নামিয়ে দেওয়ার পর সেখান থেকে বাসায় ফেরার রাস্তাটি অনেক ক্ষেত্রে নিরাপদ থাকে না। তাছাড়া মহাসড়কগুলো জনাকীর্ণ এবং প্রচুর আলোকিত থাকলেও আবাসিক এলাকার গলিগুলো কখনো কখনো অন্ধকার থাকে। কর্মচারীদের জন্য কমন পরিবহন দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর এই বিষয়ও বিবেচনায় রাখতে হবে।
আরো পড়ুন: ইসরো চন্দ্রযান-৩: ভারতের চন্দ্র বিজয়ে নারী বিজ্ঞানীদের সাফল্য
শক্তিশালী নিরাপত্তামূলক অবকাঠামো গঠন
নিয়োগকর্তাদের সিসিটিভি ক্যামেরা, অ্যাক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের দিকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এই অবকাঠামো নির্জন সময়গুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি অপরাধ তদন্তের জন্যও প্রয়োজন। তাছাড়া এই সতর্কতার মাধ্যমে বাইরের সহিংসতা থেকেও প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সুরক্ষিত করা যায়।
নারী কর্মচারীদের জন্য পৃথক ওয়াশরুম ও কমন রুমের ব্যবস্থা
দিনের একটা বিরাট সময় অতিবাহিত করা হয় অফিসে। এই দীর্ঘ সময়ে প্রাইভেসি রক্ষার্থে অফিসে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জন্যও পৃথক কমন রুম ও ওয়াশরুম থাকা দরকার। এই স্বাচ্ছন্দ্যটুকু না থাকলে কর্মক্ষেত্রটি অনায়াসে অস্বস্তির জায়গায় পরিণত হয়। তবে এটি শুধু নারীর স্বাচ্ছন্দ্যের দিকটিই পরিপূর্ণ করে না, বরং এটি তাকে সম্মানিত করার শামিল। এর ফলে তারা পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নিজের বাড়ির কাজ করার অনুভূতি পায়। অন্যদিকে, এই সুবিধা না থাকা নিতান্ত লিঙ্গ-বৈষম্যের নামান্তর।
সতর্কতা ও নিয়ম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান
মানবসম্পদ বিভাগ বা প্রশাসনিক কর্মকর্তারা প্রধান দায়িত্বে থাকলেও নারী কর্মীদের সুরক্ষার দিকে সার্বক্ষণিক নজর রাখা তাদের পক্ষে বেশ জটিল। এখানে দরকার দায়িত্বের বিকেন্দ্রিকরণ। এর মাধ্যমে মুখ্য দায়িত্বশীলদের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মচারীরাও নিরাপত্তা তদারকের ব্যাপারে সতর্ক হয়। এই কৌশল অবলম্বনের সর্বোত্তম পন্থা হলো কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে কাজের ফাঁকে পৃথক সেশনের মাধ্যমেও গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম-নীতি প্রণয়নের বিষয়গুলো কর্মীদের জানিয়ে দেওয়া যায়।
আরও পড়ুন: লবিং-রেফারেন্স ছাড়াই চাকরি পেতে প্রয়োজনীয় কিছু দক্ষতা
এভাবে প্রতিটি নারী কর্মী পরস্পরের দিকে খেয়াল রাখতে পারবেন। এছাড়া পুরুষ কর্মীরাও কাজের পরিবেশ বজায় রাখাতে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে পারবেন। এভাবে বিধিমালার ব্যাপারে সতর্ক কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে রাখার প্রয়োজন পড়ে না। পরবর্তীতে তারাই নবনিযুক্তদের কোম্পানি সংস্কৃতি ও নিয়ম-নীতি শিখিয়ে দিতে পারেন।
পিয়ার সাপোর্ট এবং বাডি সিস্টেম
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে সময়োপযোগী কর্মসংস্কৃতি হচ্ছে এই বাডি সিস্টেম বা পিয়ার সাপোর্ট। এই গ্রুপভিত্তিক কাজের পদ্ধতিটি সবার জন্য প্রযোজ্য হলেও নারীদের জন্য এটি বেশ উপযোগী। এর মাধ্যমে অফিস অ্যাডমিনের পক্ষ থেকেই নির্দিষ্ট প্রোজেক্টের জন্য একাধিক কর্মচারীকে নিয়ে একটি গ্রুপ করে দেওয়া হয়। প্রোজেক্টটির কাজগুলো তারা নিজেদের যোগ্যতাগুলো পরিপূরকভাবে শেয়ার করার মাধ্যমে সম্পন্ন করে।
এই পদ্ধতিটি প্রয়োগ করা যেতে পারে নারী কর্মচারীদের নিরাপত্তা রক্ষায়। ওভার-টাইম এবং কাজের সূত্রে দূরবর্তী কোনো স্থানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কয়েকজনের একটি গ্রুপ করে দেওয়া যেতে পারে। তারা শুধু কাজের ক্ষেত্রেই নয়, নিরাপত্তাগত দিক থেকেও পরস্পরের প্রতি খেয়াল রাখবে। এই ব্যবস্থা কেবল তাৎক্ষণিক নিরাপত্তাই প্রদান করে না, বরং সহকর্মীদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বিশ্বাসের অনুভূতিও তৈরি করে। ফলশ্রুতিতে, যেকোনো বিপদে তারা একত্রিত থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে।
আরো পড়ুন: কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
পরিশিষ্ট
সর্বসাকূল্যে, কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিরো টলারেন্স নীতি প্রণয়ন করা জরুরি। এই লক্ষ্যে নির্ভয়ে এবং নিঃসঙ্কোচে অভিযোগ করার সুযোগের পাশাপাশি যুগপৎভাবে পৃথক নিরাপত্তা সেল গঠন করা অপরিহার্য। এগুলোর সঙ্গে শক্তিশালী অবকাঠামো কর্মক্ষেত্রের অভ্যন্তরীণ পরিবেশকে নিরাপদ করে তুলতে পারে। অপরদিকে, পরিবহন সুবিধা, পিয়ার ও বাডি সিস্টেম সহায়ক হতে পারে কর্মক্ষেত্রের বাইরে নারীর অবাধ বিচরণে। উপরন্তু, প্রাসঙ্গিক প্রশিক্ষণ সর্বাত্মকভাবে এই ব্যবস্থাকে পরিণত করতে পারে নিয়মিত চর্চায়।
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
৩ মাস আগে
সরকার রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকার কোনো নিরাপরাধ মানুষকে হয়রানি করছে না, সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আমরা রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছি না। যারা সন্ত্রাসী, আমরা তাদের গ্রেপ্তার করছি।’
সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস এবং যানবাহন ও নিরীহ মানুষের ওপর অগ্নিসংযোগের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
ড. মোমেন বলেন, সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে যথাযথ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ একটি মডেল দেশ।
তিনি গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশের জনগণের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন।
মোমেন বলেন, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের বিষয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে অন্যান্য দেশের শিক্ষা নেওয়া উচিত।
তিনি গাজা এবং কিছু উন্নত দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরেন যেখানে প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ হত্যা করা হয়।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ও তাদের প্রত্যাবাসন সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, প্রত্যাবাসন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না, কারণ এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে অনেক অংশীদার জড়িত।
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মোমেন বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক।
তিনি বলেন, ‘একটা সমস্যা আছে। অনেকেই তাদের প্রত্যাবাসন চায় না।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্পর্ক খুবই আন্তরিক।
ড. মোমেন বলেন, সারাদেশে নির্বাচনের ঢেউ বইছে এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানেই জনগণের অংশগ্রহণ।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো বাংলাদেশকে পরামর্শ দেয় এবং যেসব পরামর্শ দেশের জন্য ভালো মনে হয় বাংলাদেশ সেসব পরামর্শ গ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই: কাদের
১১ মাস আগে
সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার সময় বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ ফখরুলের!
সিঙ্গাপুরে এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিএনপি মহাসচিব তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
আরও পড়ুন: এবার অবশ্যই শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন হবে: ফখরুল
এসময় বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিমানবন্দরে আসার পর বিরোধী দলের নেতা হিসেবে তাকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের মধ্যে যারা বিরোধী দলের সদস্য তাদের দেশের বাইরে যাওয়া ও আসা দুই সময়ই হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়। এটা এখন আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। চিকিৎসার জন্য যাওয়া সত্ত্বেও আমাকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে চিকিৎসার জন্য ৫০ লাখ টাকা নিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালানোর বিষয়ে সাংবাদিকের মন্তব্য জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, এ ধরনের নোংরা বিষয়ে তিনি কথা বলতে রাজি নন।
তিনি আরও বলেন, সরকার এমন একটি সমাজ তৈরি করেছে যেখানে নোংরামি ছাড়া আর কিছুই নেই। এটা দুঃখের বিষয় যে আমাদের মত রাজনীতিবিদ যারা মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের নোংরা বিষয় মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এর উত্তর দেওয়া আমার জন্য বিব্রতকর।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ছাড়া মুক্ত গণমাধ্যম সম্ভব নয়: ফখরুল
১ বছর আগে
সাইবার নিরাপত্তা আইনে কোনো সাংবাদিককে হয়রানি করা হবে না: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের (সিএসএ) অপব্যবহার হবে না এবং এটি সাংবাদিকদের হয়রানি রোধে খুবই সহায়ক হবে।প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের ফলে কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে হয়রানি করা হবে না।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিসিসি মিলনায়তনে পূর্বের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে আত্মসাৎ করে প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের ওপর এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত সিএসএ সাইবার অপরাধ দমনে খুবই সহায়ক হবে। এগুলো ছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে মানুষের মধ্যে যে মানসিক চাপ তৈরি হয়েছিল, উদ্বেগের কারণ হয়েছিল, গণমাধ্যমে অবাধে খবর প্রকাশ করতে গিয়ে সাংবাদিক সমাজে যে আতঙ্ক দেখা গিয়েছিল, তা দূর হবে।’
তিনি আরও বলেন, ডিএসএ-তে শাস্তি, যা বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে (সিএসএ) অনেকাংশে তা কমানো হয়েছে। কিছু অজামিনযোগ্য ধারা জামিনযোগ্য করা হয়েছে। ‘মানহানির অভিযোগ মোকাবিলা করার জন্য ডিএসএর ধারা ২৯ ছিল। প্রস্তাবিত আইনে, একমাত্র শাস্তিই জরিমানা হবে। ধারা ২১-এ ১০ বছরের জেল ছিল, এখন তা কমিয়ে ৭ বছর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আগের আইনের মামলা নতুন আইনে নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হবে: আইনমন্ত্রীআইনমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে এক পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। তার মানে এই নয় যে জরিমানা সবসময় ২৫ লাখ টাকা হবে। আদালত অপরাধের প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে একটি জরিমানা আরোপ করবে, এবং এটি আইনে বলা আছে।
এর আগে গত ৭ আগস্ট মন্ত্রিসভা মানহানির অভিযোগে জেলের মতো কিছু কঠোর বিধান বাতিল করে নতুন আইনের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করে।
আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে ব্রিফিংয়ে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইন ‘নতুন বোতলে পুরানো মদ’ নয়: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
ঝিনাইদহে যৌন হয়রানির অভিযোগে ইবির ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
ঝিনাইদহের সদর উপজেলার ঝিনুক টাওয়ারে এক নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই শিক্ষকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী গত ৩ জুলাই ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। ঝিনাইদহ থানা পুলিশ ৫ জুলাই আদালত থেকে মামলাটি গ্রহণ করে বলে পুলিশ বুধবার জানিয়েছে।
আসামিরা হলেন- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক এম আনোয়ার হোসেন এবং অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক দেবাশীষ শর্মা।
অন্য চারজন হলেন- উপজেলার আব্দুল জলিলের ছেলে লিয়াকত হোসেন (৪২), রহমত আলীর ছেলে মো. আব্দুস সাদ (৪০), মোশাররফ হোসেনের ছেলে মোকাররম হোসেন (৪৩) ও মামুন (৩০)। সবাই ঝিনুক টাওয়ারের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ইবিতে আবারও ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী সাদিয়া মল্লিক (২৯) একজন ইতালীয় প্রবাসীর স্ত্রী। গত সাত মাস ধরে তিনি ঝিনুক টাওয়ারের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী আসামিরা বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগীর কাছাকাছি আসার চেষ্টা করে।
এজাহারে বলা হয়, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন প্রায়ই ভুক্তভোগীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানি করতেন।
এতে আরও বলা হয়, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অন্য পাঁচজনের সহায়তায় রাতে ভুক্তভোগীর ঘরে প্রবেশ করে তাকে শারীরিকভাবে হয়রানির চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।
তবে সাদিয়া মল্লিকের ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যাপক এম আনোয়ার হোসেন বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এম কামরুজ্জামান জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে তিনি ঝিনাইদহ আদালতে মামলার প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
আরও পড়ুন: ইবিতে প্রথম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে
শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের ১ নেতা ও ৪ কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করল ইবি
১ বছর আগে
খোলা চিঠিতে সাংবাদিক রোজিনার ‘হয়রানি’ বন্ধের আহ্বান জানাল সিপিজে ও মানবাধির গোষ্ঠীগুলো
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ‘হয়রানি বন্ধ’ করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
রবিবার পাঠানো একটি খোলা চিঠিতে এই আহ্বান জানায় সংগঠনগুলো।
চিঠিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া সিসি তালিকায় রাখা হয়েছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আর্টিকেল ১৯
চিঠিটি সিপিজে-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছিল এবং এতে লেখা আছে: আমরা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীর পক্ষে নিম্নসাক্ষকারীরা। বাংলাদেশি সাংবাদিক ও মানবাধিকার রক্ষক রোজিনা ইসলামের হয়রানির অবিলম্বে অবসান নিশ্চিত করার জন্য আপনার ভূমিকা কামনা করছি।
রোজিনা ইসলামের কাজের জন্য তিনি ২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের দুর্নীতিবিরোধী চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। এটি একটি জনসেবা, অপরাধ নয় এবং জনস্বার্থ তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা) আইনের ধারা ৪ এবং ৫ এর অধীনে সুরক্ষিত হওয়া উচিত।
বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে সাংবাদিকের মানবাধিকারের প্রতি সম্মান ও সুরক্ষার আহ্বান জানিয়ে খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা সাংবাদিক ও মানবাধিকার রক্ষক রোজিনা ইসলামের সুষ্ঠু বিচারের অধিকারসহ তার মানবাধিকারকে পূর্ণ সম্মান ও সুরক্ষা দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে সব ধরনের বিচার বিভাগীয় হয়রানি বন্ধ করতে, বিচার বিভাগীয় হেফাজত থেকে তার পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার সুবিধার্থে এবং তার কাজের জন্য তাকে আরও প্রতিশোধের শিকার হতে হবে না তা নিশ্চিত করা।
খোলা চিঠিতে সই করা সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, অ্যান্টি-ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক, ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্ট, কোয়ালিশন ফর উইমেন ইন জার্নালিজম, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট, সিভিকস: ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন, ডার্ট সেন্টার ফর জার্নালিজম অ্যান্ড ট্রমা ফ্রি মিডিয়া মুভমেন্ট, ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডারস, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইডিএইচ), ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট, ইন্টারন্যাশনাল উইমেনস মিডিয়া ফাউন্ডেশন, ওভারসিজ প্রেস ক্লাব অব আমেরিকা, পাকিস্তান প্রেস ফাউন্ডেশন, পেন আমেরিকা, পেন বাংলাদেশ, পেন ইন্টারন্যাশনাল, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস, রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস, সাউথ এশিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অ্যাগেইনস্ট টর্চার (ওএমসিটি)।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে পিবিআইকে মামলা তদন্তের নির্দেশ
সাংবাদিক রোজিনার মামলায় ডিবির প্রতিবেদনে শুনানি ১৫ জানুয়ারি
১ বছর আগে
রংপুরে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
মহাসড়কে নছিমন করিমনসহ অবৈধ যান চলাচল বন্ধ এবং রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়কে প্রশাসনিক হয়রানির প্রতিবাদে রংপুরে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে মোটর মালিক সমিতি।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে শনিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি একেএম মোজাম্মেল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ২৬ অক্টোবর রাত ৮টায় রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতি, ট্রাক মালিক সমিতি ও কার-মাইক্রোবাস মালিক সমিতির নেতাসহ সাধারণ মালিকদের নিয়ে একটি যৌথ জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে রবিবারের পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
সভায় সকলের সর্বসম্মতিক্রমে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর জেলার সকল রুটে বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে বিএনপির ২৯ অক্টোবর গণসমাবেশ ঘিরে মোটর মালিক সমিতির এমন সিদ্ধান্তে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু বলেন, আমরা ধর্মঘট নিয়ে চিন্তিত না। গণসমাবেশে আসার জন্য মানুষ উদগ্রীব হয়ে আছে। যে যেভাবে পারেন সমাবেশে আসবেন। গণসমাবেশে যে জনস্রোত হবে তা এই ধর্মঘট দিয়ে আটকানো যাবে না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সরকারের চাপে মালিক সমিতি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাই।
দুলু বলেন, মালিক সমিতি একটা অরাজনৈতিক সংগঠন। তারা কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করতে ধর্মঘট ডাকে।
তিনি আরও বলেন, মালিক সমিতির এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানাই। তা নাহলে ভবিষ্যতে এর দায় দায়িত্ব তাদেরকেও বহন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ শেষ হওয়ার পরপরই খুলনায় পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
খুলনায় ২ দিনের পরিবহন ধর্মঘট শুরু, বিপাকে যাত্রীরা
২ বছর আগে
জন্মসনদ দেয়ায় হয়রানি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
জন্মসনদ দেয়ার ক্ষেত্রে জনগণকে হয়রানি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জন্মনিবন্ধন প্রাপ্তিতে জনগণকে কোন ধরনের হয়রানি করা হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। জন্মনিবন্ধনটা ইদানিংকালে খুব বার্নিং ইস্যু হিসেবে আমরা দেখছি। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জন্মনিবন্ধন প্রাপ্তি কিভাবে আরও সহজ করা যায়, সেজন্যই আজকে আমরা বসেছি। যাতে কাউকে হয়রানি করতে না পারে।
রবিবার অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অটোমেশন হয়ে মানুষ যেভাবে জন্মনিবন্ধন পাচ্ছে সেখানে অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি আছে, সেগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। সেটি ওভারকাম করতেই আজকের সভা করা।
মন্ত্রী আরও বলেন, একটি সভা করলেই সব সমাধান হয়ে যাবে পৃথিবীর কোথাও সেটি নেই।
আরও পড়ুন: পানির অপচয় রোধে রিসাইক্লিং করার উদ্যোগ নিতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
সার্ভার জটিলতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের এখানে সার্ভার নতুনভাবে রিরেশোনালাইজেশন হয়েছে। সেজন্য সার্ভার কিছুদিন সিস্টেম শাটডাউন ছিল, এখন চালু হয়েছে। এখনও কোন কমপ্লেইন আছে কিনা আমি নিশ্চিত না। এতে অনেক টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। ইউনিসেফ আমাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করেছে। তারা নিজেরাই দেখভাল করছে যাতে সুন্দরভাবে এটি পরিচালনা করা যায়।
তিনি বলেন, জন্মনিবন্ধন হলো একজন মানুষের মূল ভিত্তি। গুড গভর্নেন্সের কমিটমেন্ট ফুলফিল করতে হলে এবং আদর্শ সমাজ গড়ে তুলতে হলে জন্মনিবন্ধনকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ইদানিংকালে আমরা সব বিষয়ে অটোমেশনের দিকে যাচ্ছি। কিন্তু জন্ম নিবন্ধনে এখন অসংখ্য ভুল থাকে। তাই বলে এটা বলা যাবে না যে তিনি (জন্মনিবন্ধনকারী) অশিক্ষিত বলে ভুল দিয়েছে। আপনি (কর্মকর্তা) তো শিক্ষিত। তিনি অশিক্ষিত বলেই তো আপনাকে এখানে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রকে সার্ভিস দেয়ার জন্য তো আপনি কমিটমেন্ট দিয়ে বসেছেন, আমি কমিটমেন্ট দিয়েছি। আমার কাজ যদি আমি না করি তাহলে আমি আমার দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারব না।
আরও পড়ুন: রাজধানীর প্রত্যেক বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
রাজধানীর সকল খাল দখলমুক্ত করা হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
২ বছর আগে
‘টিপ’ পরায় শিক্ষিকাকে হয়রানি: অভিযুক্ত শনাক্ত
নগরীর ফার্মগেটে ‘টিপ’ পরায় কলেজ শিক্ষিকাকে হয়রানির অভিযোগের ঘটনায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে শনাক্ত করা হয়েছে।
সোমবার তেজগাঁও অঞ্চলের জেলা প্রশাসক বিপ্লব সরকার বলেন, সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্য নাজমুল তাহের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল (প্রটেকশন ডিভিশন)।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, ওই শিক্ষিকা শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর ভিত্তিতে পুলিশ দুই দিনের প্রচেষ্টায় কনস্টেবলকে শনাক্ত করেছে। কনস্টেবল তাহের তার অপরাধ স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
তদন্ত সাপেক্ষে কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বিপ্লব সরকার।
তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক অভিযোগ করেন- শনিবার কর্মস্থলে যাওয়ার সময় কপালে ‘টিপ’ পরার কারণে ফার্মগেট এলাকায় তাকে এক পুলিশ সদস্য হয়রানি ও মৌখিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ওই পুলিশ সদস্য তাকে হুমকি দেয় এবং প্রতিবাদ করলে তার মোটরসাইকেল দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: ৮৪ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার: বিএনডব্লিউএলএ
২ বছর আগে