হয়রানি
সরকার রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকার কোনো নিরাপরাধ মানুষকে হয়রানি করছে না, সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আমরা রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছি না। যারা সন্ত্রাসী, আমরা তাদের গ্রেপ্তার করছি।’
সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস এবং যানবাহন ও নিরীহ মানুষের ওপর অগ্নিসংযোগের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
ড. মোমেন বলেন, সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে যথাযথ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ একটি মডেল দেশ।
তিনি গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশের জনগণের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন।
মোমেন বলেন, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের বিষয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে অন্যান্য দেশের শিক্ষা নেওয়া উচিত।
তিনি গাজা এবং কিছু উন্নত দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরেন যেখানে প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ হত্যা করা হয়।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ও তাদের প্রত্যাবাসন সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, প্রত্যাবাসন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না, কারণ এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে অনেক অংশীদার জড়িত।
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মোমেন বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক।
তিনি বলেন, ‘একটা সমস্যা আছে। অনেকেই তাদের প্রত্যাবাসন চায় না।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্পর্ক খুবই আন্তরিক।
ড. মোমেন বলেন, সারাদেশে নির্বাচনের ঢেউ বইছে এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানেই জনগণের অংশগ্রহণ।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো বাংলাদেশকে পরামর্শ দেয় এবং যেসব পরামর্শ দেশের জন্য ভালো মনে হয় বাংলাদেশ সেসব পরামর্শ গ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই: কাদের
সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার সময় বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ ফখরুলের!
সিঙ্গাপুরে এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিএনপি মহাসচিব তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
আরও পড়ুন: এবার অবশ্যই শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন হবে: ফখরুল
এসময় বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিমানবন্দরে আসার পর বিরোধী দলের নেতা হিসেবে তাকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের মধ্যে যারা বিরোধী দলের সদস্য তাদের দেশের বাইরে যাওয়া ও আসা দুই সময়ই হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়। এটা এখন আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। চিকিৎসার জন্য যাওয়া সত্ত্বেও আমাকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে চিকিৎসার জন্য ৫০ লাখ টাকা নিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালানোর বিষয়ে সাংবাদিকের মন্তব্য জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, এ ধরনের নোংরা বিষয়ে তিনি কথা বলতে রাজি নন।
তিনি আরও বলেন, সরকার এমন একটি সমাজ তৈরি করেছে যেখানে নোংরামি ছাড়া আর কিছুই নেই। এটা দুঃখের বিষয় যে আমাদের মত রাজনীতিবিদ যারা মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের নোংরা বিষয় মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এর উত্তর দেওয়া আমার জন্য বিব্রতকর।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ছাড়া মুক্ত গণমাধ্যম সম্ভব নয়: ফখরুল
সাইবার নিরাপত্তা আইনে কোনো সাংবাদিককে হয়রানি করা হবে না: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের (সিএসএ) অপব্যবহার হবে না এবং এটি সাংবাদিকদের হয়রানি রোধে খুবই সহায়ক হবে।প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের ফলে কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে হয়রানি করা হবে না।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিসিসি মিলনায়তনে পূর্বের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে আত্মসাৎ করে প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের ওপর এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত সিএসএ সাইবার অপরাধ দমনে খুবই সহায়ক হবে। এগুলো ছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে মানুষের মধ্যে যে মানসিক চাপ তৈরি হয়েছিল, উদ্বেগের কারণ হয়েছিল, গণমাধ্যমে অবাধে খবর প্রকাশ করতে গিয়ে সাংবাদিক সমাজে যে আতঙ্ক দেখা গিয়েছিল, তা দূর হবে।’
তিনি আরও বলেন, ডিএসএ-তে শাস্তি, যা বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে (সিএসএ) অনেকাংশে তা কমানো হয়েছে। কিছু অজামিনযোগ্য ধারা জামিনযোগ্য করা হয়েছে। ‘মানহানির অভিযোগ মোকাবিলা করার জন্য ডিএসএর ধারা ২৯ ছিল। প্রস্তাবিত আইনে, একমাত্র শাস্তিই জরিমানা হবে। ধারা ২১-এ ১০ বছরের জেল ছিল, এখন তা কমিয়ে ৭ বছর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আগের আইনের মামলা নতুন আইনে নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হবে: আইনমন্ত্রীআইনমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে এক পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। তার মানে এই নয় যে জরিমানা সবসময় ২৫ লাখ টাকা হবে। আদালত অপরাধের প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে একটি জরিমানা আরোপ করবে, এবং এটি আইনে বলা আছে।
এর আগে গত ৭ আগস্ট মন্ত্রিসভা মানহানির অভিযোগে জেলের মতো কিছু কঠোর বিধান বাতিল করে নতুন আইনের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করে।
আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে ব্রিফিংয়ে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইন ‘নতুন বোতলে পুরানো মদ’ নয়: আইনমন্ত্রী
ঝিনাইদহে যৌন হয়রানির অভিযোগে ইবির ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
ঝিনাইদহের সদর উপজেলার ঝিনুক টাওয়ারে এক নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই শিক্ষকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী গত ৩ জুলাই ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। ঝিনাইদহ থানা পুলিশ ৫ জুলাই আদালত থেকে মামলাটি গ্রহণ করে বলে পুলিশ বুধবার জানিয়েছে।
আসামিরা হলেন- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক এম আনোয়ার হোসেন এবং অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক দেবাশীষ শর্মা।
অন্য চারজন হলেন- উপজেলার আব্দুল জলিলের ছেলে লিয়াকত হোসেন (৪২), রহমত আলীর ছেলে মো. আব্দুস সাদ (৪০), মোশাররফ হোসেনের ছেলে মোকাররম হোসেন (৪৩) ও মামুন (৩০)। সবাই ঝিনুক টাওয়ারের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ইবিতে আবারও ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী সাদিয়া মল্লিক (২৯) একজন ইতালীয় প্রবাসীর স্ত্রী। গত সাত মাস ধরে তিনি ঝিনুক টাওয়ারের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী আসামিরা বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগীর কাছাকাছি আসার চেষ্টা করে।
এজাহারে বলা হয়, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন প্রায়ই ভুক্তভোগীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানি করতেন।
এতে আরও বলা হয়, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অন্য পাঁচজনের সহায়তায় রাতে ভুক্তভোগীর ঘরে প্রবেশ করে তাকে শারীরিকভাবে হয়রানির চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।
তবে সাদিয়া মল্লিকের ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যাপক এম আনোয়ার হোসেন বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এম কামরুজ্জামান জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে তিনি ঝিনাইদহ আদালতে মামলার প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
আরও পড়ুন: ইবিতে প্রথম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে
শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের ১ নেতা ও ৪ কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করল ইবি
খোলা চিঠিতে সাংবাদিক রোজিনার ‘হয়রানি’ বন্ধের আহ্বান জানাল সিপিজে ও মানবাধির গোষ্ঠীগুলো
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ‘হয়রানি বন্ধ’ করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
রবিবার পাঠানো একটি খোলা চিঠিতে এই আহ্বান জানায় সংগঠনগুলো।
চিঠিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া সিসি তালিকায় রাখা হয়েছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আর্টিকেল ১৯
চিঠিটি সিপিজে-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছিল এবং এতে লেখা আছে: আমরা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীর পক্ষে নিম্নসাক্ষকারীরা। বাংলাদেশি সাংবাদিক ও মানবাধিকার রক্ষক রোজিনা ইসলামের হয়রানির অবিলম্বে অবসান নিশ্চিত করার জন্য আপনার ভূমিকা কামনা করছি।
রোজিনা ইসলামের কাজের জন্য তিনি ২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের দুর্নীতিবিরোধী চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। এটি একটি জনসেবা, অপরাধ নয় এবং জনস্বার্থ তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা) আইনের ধারা ৪ এবং ৫ এর অধীনে সুরক্ষিত হওয়া উচিত।
বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে সাংবাদিকের মানবাধিকারের প্রতি সম্মান ও সুরক্ষার আহ্বান জানিয়ে খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা সাংবাদিক ও মানবাধিকার রক্ষক রোজিনা ইসলামের সুষ্ঠু বিচারের অধিকারসহ তার মানবাধিকারকে পূর্ণ সম্মান ও সুরক্ষা দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে সব ধরনের বিচার বিভাগীয় হয়রানি বন্ধ করতে, বিচার বিভাগীয় হেফাজত থেকে তার পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার সুবিধার্থে এবং তার কাজের জন্য তাকে আরও প্রতিশোধের শিকার হতে হবে না তা নিশ্চিত করা।
খোলা চিঠিতে সই করা সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, অ্যান্টি-ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক, ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্ট, কোয়ালিশন ফর উইমেন ইন জার্নালিজম, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট, সিভিকস: ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন, ডার্ট সেন্টার ফর জার্নালিজম অ্যান্ড ট্রমা ফ্রি মিডিয়া মুভমেন্ট, ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডারস, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইডিএইচ), ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট, ইন্টারন্যাশনাল উইমেনস মিডিয়া ফাউন্ডেশন, ওভারসিজ প্রেস ক্লাব অব আমেরিকা, পাকিস্তান প্রেস ফাউন্ডেশন, পেন আমেরিকা, পেন বাংলাদেশ, পেন ইন্টারন্যাশনাল, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস, রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস, সাউথ এশিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অ্যাগেইনস্ট টর্চার (ওএমসিটি)।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে পিবিআইকে মামলা তদন্তের নির্দেশ
সাংবাদিক রোজিনার মামলায় ডিবির প্রতিবেদনে শুনানি ১৫ জানুয়ারি
রংপুরে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
মহাসড়কে নছিমন করিমনসহ অবৈধ যান চলাচল বন্ধ এবং রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়কে প্রশাসনিক হয়রানির প্রতিবাদে রংপুরে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে মোটর মালিক সমিতি।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে শনিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি একেএম মোজাম্মেল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ২৬ অক্টোবর রাত ৮টায় রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতি, ট্রাক মালিক সমিতি ও কার-মাইক্রোবাস মালিক সমিতির নেতাসহ সাধারণ মালিকদের নিয়ে একটি যৌথ জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে রবিবারের পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
সভায় সকলের সর্বসম্মতিক্রমে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর জেলার সকল রুটে বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে বিএনপির ২৯ অক্টোবর গণসমাবেশ ঘিরে মোটর মালিক সমিতির এমন সিদ্ধান্তে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু বলেন, আমরা ধর্মঘট নিয়ে চিন্তিত না। গণসমাবেশে আসার জন্য মানুষ উদগ্রীব হয়ে আছে। যে যেভাবে পারেন সমাবেশে আসবেন। গণসমাবেশে যে জনস্রোত হবে তা এই ধর্মঘট দিয়ে আটকানো যাবে না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সরকারের চাপে মালিক সমিতি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাই।
দুলু বলেন, মালিক সমিতি একটা অরাজনৈতিক সংগঠন। তারা কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করতে ধর্মঘট ডাকে।
তিনি আরও বলেন, মালিক সমিতির এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানাই। তা নাহলে ভবিষ্যতে এর দায় দায়িত্ব তাদেরকেও বহন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ শেষ হওয়ার পরপরই খুলনায় পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
খুলনায় ২ দিনের পরিবহন ধর্মঘট শুরু, বিপাকে যাত্রীরা
জন্মসনদ দেয়ায় হয়রানি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
জন্মসনদ দেয়ার ক্ষেত্রে জনগণকে হয়রানি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জন্মনিবন্ধন প্রাপ্তিতে জনগণকে কোন ধরনের হয়রানি করা হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। জন্মনিবন্ধনটা ইদানিংকালে খুব বার্নিং ইস্যু হিসেবে আমরা দেখছি। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জন্মনিবন্ধন প্রাপ্তি কিভাবে আরও সহজ করা যায়, সেজন্যই আজকে আমরা বসেছি। যাতে কাউকে হয়রানি করতে না পারে।
রবিবার অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অটোমেশন হয়ে মানুষ যেভাবে জন্মনিবন্ধন পাচ্ছে সেখানে অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি আছে, সেগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। সেটি ওভারকাম করতেই আজকের সভা করা।
মন্ত্রী আরও বলেন, একটি সভা করলেই সব সমাধান হয়ে যাবে পৃথিবীর কোথাও সেটি নেই।
আরও পড়ুন: পানির অপচয় রোধে রিসাইক্লিং করার উদ্যোগ নিতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
সার্ভার জটিলতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের এখানে সার্ভার নতুনভাবে রিরেশোনালাইজেশন হয়েছে। সেজন্য সার্ভার কিছুদিন সিস্টেম শাটডাউন ছিল, এখন চালু হয়েছে। এখনও কোন কমপ্লেইন আছে কিনা আমি নিশ্চিত না। এতে অনেক টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। ইউনিসেফ আমাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করেছে। তারা নিজেরাই দেখভাল করছে যাতে সুন্দরভাবে এটি পরিচালনা করা যায়।
তিনি বলেন, জন্মনিবন্ধন হলো একজন মানুষের মূল ভিত্তি। গুড গভর্নেন্সের কমিটমেন্ট ফুলফিল করতে হলে এবং আদর্শ সমাজ গড়ে তুলতে হলে জন্মনিবন্ধনকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ইদানিংকালে আমরা সব বিষয়ে অটোমেশনের দিকে যাচ্ছি। কিন্তু জন্ম নিবন্ধনে এখন অসংখ্য ভুল থাকে। তাই বলে এটা বলা যাবে না যে তিনি (জন্মনিবন্ধনকারী) অশিক্ষিত বলে ভুল দিয়েছে। আপনি (কর্মকর্তা) তো শিক্ষিত। তিনি অশিক্ষিত বলেই তো আপনাকে এখানে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রকে সার্ভিস দেয়ার জন্য তো আপনি কমিটমেন্ট দিয়ে বসেছেন, আমি কমিটমেন্ট দিয়েছি। আমার কাজ যদি আমি না করি তাহলে আমি আমার দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারব না।
আরও পড়ুন: রাজধানীর প্রত্যেক বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
রাজধানীর সকল খাল দখলমুক্ত করা হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
‘টিপ’ পরায় শিক্ষিকাকে হয়রানি: অভিযুক্ত শনাক্ত
নগরীর ফার্মগেটে ‘টিপ’ পরায় কলেজ শিক্ষিকাকে হয়রানির অভিযোগের ঘটনায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে শনাক্ত করা হয়েছে।
সোমবার তেজগাঁও অঞ্চলের জেলা প্রশাসক বিপ্লব সরকার বলেন, সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্য নাজমুল তাহের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল (প্রটেকশন ডিভিশন)।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, ওই শিক্ষিকা শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর ভিত্তিতে পুলিশ দুই দিনের প্রচেষ্টায় কনস্টেবলকে শনাক্ত করেছে। কনস্টেবল তাহের তার অপরাধ স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
তদন্ত সাপেক্ষে কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বিপ্লব সরকার।
তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক অভিযোগ করেন- শনিবার কর্মস্থলে যাওয়ার সময় কপালে ‘টিপ’ পরার কারণে ফার্মগেট এলাকায় তাকে এক পুলিশ সদস্য হয়রানি ও মৌখিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ওই পুলিশ সদস্য তাকে হুমকি দেয় এবং প্রতিবাদ করলে তার মোটরসাইকেল দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: ৮৪ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার: বিএনডব্লিউএলএ
কোনো সাংবাদিক অহেতুক হয়রানির শিকার হবেন না: তথ্যমন্ত্রী
কোনো সাংবাদিক অহেতুক হয়রানির শিকার হবেন না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দপ্তরে বৈঠক করেন বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, ডিবিসি২৪ চ্যানেলের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া ও ওমর ফারুক, ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ এবং সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবে উদ্বেগের কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রীবৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ড. হাছান বলেন, ‘সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের ব্যাংক হিসাব চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। সেটি নিয়ে আলোচনা করতেই সাংবাদিক নেতারা এসেছিলেন। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। সরকার যে কারো হিসাব চাইতে পারে, কিন্তু কেন সংগঠনের নাম দিয়ে চাওয়া হলো, এটিই তাদের উদ্বেগের কারণ। আমি তাদেরকে বলেছি যে, অহেতুক যাতে কেউ হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়টি তথ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি দেখবো।’‘সেই সাথে এই হিসাব চাওয়ার প্রেক্ষিতে সরকারের সাথে সাংবাদিকদের যাতে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়, সেদিকে নজর রাখার জন্য তারাও বলেছেন, আমিও তাদেরকে অনুরোধ জানিয়েছি’, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কখনো হবে না: তথ্যমন্ত্রীড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। সাংবাদিকদের কল্যাণের জন্য, দেখভাল করার জন্য তিনি অনেক কিছু করেছেন। তিনি সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের ভবন নির্মাণে অনুদান দিয়েছেন। করোনাকালে সাংবাদিকদেরকে এককালীন সহায়তা দিয়েছেন। তিনি সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে ১০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। সাংবাদিকদের যাতে কোনো কারণে কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী সবসময় যত্নবান এবং নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন। কেউ যাতে সরকারের সাথে সাংবাদিকদের দূরত্ব সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
খাদ্যশস্য সংগ্রহে কৃষক যেন হয়রানির শিকার না হয়: খাদ্যমন্ত্রী
চলতি বোরো মৌসুমে সঠিক সময়ে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের সমস্যা হবে না জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্যশস্য সংগ্রহে ধানকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং কৃষক যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয়।
মঙ্গলবার মন্ত্রীর মিন্টো রোডস্থ সরকারি বাসভবন থেকে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সাথে 'অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ সংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভা'য় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন:ধান-চালের দর বেঁধে দেয়ার সুফল পাচ্ছে সবাই: খাদ্যমন্ত্রী
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে; তাদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এবারের বোরো মৌসুমে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে এবং ১১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল ক্রয় করা হবে। যা করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশের মতো আমাদের দেশও একটা মহামারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে; খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পরস্পর পরস্পরের সাথে মিলেমিশে, ভালো আচরণ করার মাধ্যমে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিত্য-নতুন উদ্যোগ নিয়ে চলমান বোরো সংগ্রহ শতভাগ সফল করতে হবে।
‘বর্তমান সময়ে করোনার সঙ্গে আমরা যেমন যুদ্ধ করছি; তেমনি করোনা পরবর্তী খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করার জন্যেও আমাদেরকে এখন থেকেই যুদ্ধ করতে হবে,’ বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান চর্চায় আত্মনিয়োগ করতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরও বলেন, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা করোনা মোকাবিলা করে এই সংগ্রহ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এজন্য আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
খাদ্যশস্য সংগ্রহে যাতে কোন অনিয়ম না হয় সেজন্য খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তীক্ষ দৃষ্টি রাখতে বলেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।
এছাড়া সংগ্রহ কার্যক্রমে সকলকে সহযোগিতা ও করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে, মুখে মাস্ক পরার আহ্বান জানান তিনি।
কোন কৃষক যেন খাদ্যগুদামে ধান দিতে এসে ফেরত না যায় এবং কোনভাবেই যেন কৃষক হয়রানি না হয় সেজন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সতর্ক করেন খাদ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি গুদামের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য খামালের উচ্চতা বৃদ্ধি করাসহ কিছু দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ দেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত থেকে খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, কোনোভাবেই পুরান চাল নেয়া যাবেনা। চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে যে সংগ্রহকৃত চাল এবারের বোরো ধানের চাল। পাশাপাশি বস্তার গায়ে স্টেনসিল ব্যবহার করার নির্দেশ দেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা মোকাবেলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারীভাবে ধান চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্সে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক সহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট, নাটোর, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা ও দিনাজপুর জেলার জেলা প্রশাসকরা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকগণ ও মিল মালিক প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।