মহানগর
সব মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
বিএনপি ও সমমনা দলগুলো তাদের এক দফা যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীসহ সব মহানগরে গণমিছিল করবে।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে বিরোধী দলগুলোর এক দফা আন্দোলনের চতুর্থ কর্মসূচি এটি।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখাসহ অন্যান্য দল ও জোট পৃথকভাবে রাজধানীতে জুমআর নামাজের পর গণমিছিল করবে।
বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখা দয়াগঞ্জ থেকে একটি মিছিল শুরু করবে, যা বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হবে। সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর কর্মসূচির সূচনা করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখা গুলশান-২ ডিসিসি মার্কেট থেকে মিছিল বের করে বিকাল ৩টার দিকে মহাখালী বাস স্টেশনে গিয়ে শেষ হবে। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
আরও পড়ুন: স্বৈরাচারী এ সরকারের আমলে কেউই নিরাপদ নয়: রিজভী
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, ১২ দলীয় জোট, লেবার পার্টি, এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং গণঅধিকার পরিষদের দুটি অংশ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করবে।
এ ছাড়া সব মহানগরে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো।
গত ১২ জুলাই বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দাবি আদায়ে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী, জনগণের ভোট লুটেরা ও অবৈধ’ আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, বিদ্যমান সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার এবং সব মিথ্যা সাজা বাতিল।
গত বছরের ডিসেম্বরে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার অভিন্ন লক্ষ্যে বিএনপি ও সমমনা দল ও জোট যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
এক দফা আন্দোলন: শুক্রবার সব মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপি
এক দফা আন্দোলন: শুক্রবার সব মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপি
বিএনপি তাদের এক দফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়কের সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি আদায়ে ঢাকাসহ সব মহানগরে গণমিছিল করবে।
এছাড়া অসুস্থ চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ১৭ ও ১৯ আগস্ট কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে কর্মসূচি চূড়ান্ত করে।
তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ, লুটেরা ও ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার ঢাকাসহ সব মহানগরে গণমিছিল করা হবে।
আরও পড়ুন: এবার অবশ্যই শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন হবে: ফখরুল
রিজভী বলেন, বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনকারী অন্যান্য বিরোধী দল ও জোট একই দিনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে একই কর্মসূচি পালন করবে।
গত ৯ আগস্ট বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো তাদের এক দফা আন্দোলনের শেষ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে গণমিছিল করে।
গত ১২ জুলাই বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দাবি আদায়ে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী, জনগণের ভোট লুটকারী ও অবৈধ’ আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক রাজবন্দীর মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল ভূয়া ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সকল মিথ্যা সাজা বাতিল করা।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে গত বছরের ডিসেম্বরে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে বিএনপি ও সমমনা দল ও জোট একযোগে আন্দোলন শুরু করে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ৭৯ বছরে পা দিলেন
খালেদার চিকিৎসার জন্য কর্মসূচি
রিজভী বলেন, খালেদার নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিদেশে তার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে তাদের দল ১৭ আগস্ট সারাদেশে লিফলেট বিতরণ করবে এবং ১৯ আগস্ট মহানগর ও জেলা পর্যায়ে মিছিল করবে।
এছাড়াও, তিনি বলেন, খালেদার দ্রুত রোগমুক্তির জন্য তাদের দলের পক্ষ থেকে বুধবার তাদের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তার বয়স এবং মানবিক কারণে কিছু শর্তে একটি নির্বাহী আদেশে বিএনপি প্রধানকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মৃত্যুতে বিএনপির শোক
আগামী ২৩ ও ২৮ মে ঢাকা ছাড়া সব মহানগরে পদযাত্রা করবে বিএনপি
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ২৩ ও ২৮ মে আরও ১০টি মহানগরে পদযাত্রা করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে 'ভুতুড়ে' মামলা দায়ের, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বাত্মক দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ জানানোর জন্যই এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
এর আগে বুধবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির পক্ষ থেকে রাজধানীর বাসাবো ও শাহজাদপুর এলাকা থেকে মালিবাগ অভিমুখে পদযাত্রা বের করা হয়।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ব্যানার, ফেস্টুন ও দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতিকৃতি নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নেন।
ঈদুল ফিতরের আগে ১০ দফা দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে কয়েক দফা পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলন: রাজধানীতে আবারো পদযাত্রা করল বিএনপি
রাষ্ট্রদূতদের ‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ প্রত্যাহার সরকারের ‘চরম দায়িত্বহীনতা’: ফখরুল
জিয়ার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ১৩ দিনের কর্মসূচি
‘ফাইনেস্ট সিরিজ ডিরেক্টর’ আশফাক নিপুণ
শিল্পকর্মে যখন সময়কে আঁকা হয় তখন তা নাকি বহু বছর টিকে যায়। নির্দিষ্ট এক সময়ের সাক্ষী হয়ে থাকে সেই কাজ। আশফাক নিপুণ নির্মিত ‘মহানগর’ সিরিজটিকে ঠিক তেমনই একটি কাজ বললে পাঠকরা হয়তো দ্বিমত করবেন না।
ওটিটির জোয়ারে যখন বাংলাদেশের নির্মাতারা সিরিজ তৈরি করতে শুরু করলেন সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ‘মহানগর’।
২০২১ সালের ৫ জুন ‘হইচই’-তে মুক্তি পায় ‘মহানগর ১’। ঠিক এই সিরিজ দিয়ে যে আশফাক নিপুণকে দর্শক চিনেছে ঠিক তা কিন্তু নয়। এই নির্মাতা তার নাটক ও টেলিফিল্ম দিয়ে এর আগেই তাকে চিনিয়েছেন। তাকে পরিচিত করে তুলেছে তার গল্প বলার এক ভিন্ন ঢং। তার বিভিন্ন সাক্ষাৎকার বা ফেসবুক প্রোফাইল থেকে কিছুটা হলেও বোঝা যায় নিজের দর্শন ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখার অভিজ্ঞতা তার প্রতিটি কাজে তুলে আনার চেষ্টা করেন।
এই চেষ্টা সাহসিক এক জায়গায় তাকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ‘মহানগর’ সিরিজ। ২০ এপ্রিল একই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেল সিরিজের দ্বিতীয় সিজন। আমাদের মহানগরে রাত-দিনের পার্থক্যটা অনেক না হলেও কিছু সংখ্যক সাধারণ মানুষের জানা আছে। আশফাক নিপুণ তার এক রূপ এঁকেছেন সিরিজের দুই সিজনে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার শিকার সবচেয়ে বেশি হয় নারীরা: আশফাক নিপুণ
‘মহানগর’ সিরিজের মূল চরিত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংলাপ, ‘দুইটা কথা মনে রাখবেন, ক্রিমিনাল আর টাকা যদি থাকে নসিবে আপনে আপনে আসিবে’। আশফাক নিপুণ এক রেডিও অনুষ্ঠানে বলছিলেন মূল চরিত্রে তিনি মোশাররফ করিম ছাড়া কাউকে চিন্তা করতে পারেননি। যদি শিডিউল সমস্যা হতো, তাহলে তিনি অপেক্ষা করে হলেও মোশাররফ করিমকে চাইতেন।
সিরিজটি যারা দেখেছেন, তাদেরও হয়তো এমনটা মনে হওয়ার কথা। মোশাররফ করিম এদেশের ঝিনুকের মধ্যে মুক্তা। চরিত্রের মাঝে তিনি যেভাবে মিশে যান সেখান থেকে চোখ ফেরানো যায় না।
পুরো ‘মহানগর’ সিরিজের দুটি সিজনে ঢাকা মহানগরে রাতের ঘটনাগুলো উঠে এসেছে। ঢাকা মহানগরের কোতোয়ালি থানার ওসি হারুণ এই গল্পের নায়ক। যদিও তিনি নায়ক নাকি ভিলেন সেই দ্বিধায় পড়তে হয় কয়েকবার।
‘মহানগর ১’ শেষ হয় ওসি হারুণকে গ্রেপ্তার করার ঘটনায়। এরপরই তাকে নেওয়া হয় অজানা এক জায়গায়। দীর্ঘক্ষণ চলে জিজ্ঞাসাবাদ। যেখান থেকে শুরু ‘মহানগর ২’। এই পর্বে এমন আরও একজন অভিনেতা যোগ হয়েছেন যিনি অভিনয় দিয়ে দর্শক কাঁদাতে পারেন। বলছিলাম ফজলুর রহমান বাবুর কথা।
ওসি হারুণকে জিজ্ঞসাবাদের প্রধান হিসেবে থাকেন তিনি। এরপর সেই অজানা জায়গায় কাটে ওসি’র আরও একটি রাত। এই জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে উঠে আসে পেছনের এক গল্প। সেখানে রয়েছেন দর্শকদের জন্য আরও এক চমক। আর যাকে দেখে চোখ আটকে যাবে তিনি আফসানা মিমি। দ্বিতীয় সিজনে নতুন আরও একটি পরিচিত মুখ রয়েছেন অভিনেত্রী তানজিকা আমিন।
সিরিজের প্রতিটি চরিত্রের যে আশফাক নিপুণ যত্ন নিয়েছেন সেটি দেখলে বোঝা যায়। খুবই অল্প সময়ের জন্য পর্দায় থাকা চরিত্রগুলোকেও তিনি অবহেলা করেননি। এই বিষয়গুলো তার পেশদারিত্বের ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়।
আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে হইচই’র পর্দায় ‘মহানগর-২’
এদেশে সিরিজের সিক্যুয়াল দিয়ে বাজিমাত করতে পেরেছে এমন কেউ ‘মহানগর ২’ এর আগে পর্যন্ত ছিল না। কিন্তু এই দ্বিতীয় সিজন যেন প্রথম সিজনকেও ছাড়িয়ে গেছে। গল্পের বুনন, সংলাপ, চরিত্রগুলোর এক্সপ্রেশন সবকিছুই এতটা যত্ন নিয়ে নিপুণ সাজিয়েছেন তাকে এদেশের ‘ফাইনেস্ট সিরিজ ডিরেক্টর’ বললে মনে হয় খুব একটা বেশি বলা হবে না।
একটি সিরিজের প্রথম সিজন যখন ব্যাপক জনপ্রিয় হয়, পরেরটার জন্য প্রেশার আর চ্যালেঞ্জ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। সেই চাপ সামলে নিয়েছেন আশফাক নিপুণ। মাঝে এক বছর চলে গেলেও তিনি ধৈর্য্য ধরেছেন। তার ফলও পেয়েছেন। তাই ঈদের আনন্দটাও বেড়ে গেল কয়েক গুণ।
‘মহানগর ২’ এর বর্তমান গল্পের সঙ্গে দুই বছর আগের এক গল্প নিয়ে পুরো সিরিজ এগিয়ে যায়। একই ফ্রেমে দুই সময়ের গল্প ঠিকঠাক বলতে পারাটাও মুন্সিয়ানার বিষয়। নাহলে অনেক সময় চোখে দর্শক দ্বিধায় পড়ে যায়। সেই কাজটিও ঠিকঠাক করেছেন নিপুণ।
সিরিজের ডিআই কালার ও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক আলাদা করে প্রশংসার দাবি রাখে। যা সিরিজটি আবহ স্ক্রিনে আরও জীবন্ত করে তুলেছে।
সিরিজের শেষটায় যা হয়েছে সেটিই সবচেয়ে তাক লেগে যাওয়ার অবস্থা তৈরি করেছে। সঙ্গে কলকাতার অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের প্রবেশ তৃতীয় সিজনের এক ইঙ্গিত রেখে শেষ হয় ‘মহানগর ২’। যেহেতু আশফাক নিপুণ তার অন্য এক সিরিজ ‘সাবরিনা’র সিক্যুয়াল ও অন্য কাজ নিয়ে ব্যস্ততা রয়েছেন, তাই হয়তো ‘মহানগর ৩’ এর জন্য দর্শকের অপেক্ষাটা দীর্ঘ হবে।
তবুও আশফাক নিপুণ সময়ের গল্প বলে যাক।
আরও পড়ুন: প্রথমবার চরকি অরিজিনাল সিনেমায় মোশাররফ করিম
রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির গ্রেপ্তার
রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. কেরামত আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার হেতেমখাঁ পানির টাঙ্কি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার কেরামত আলী নগরীর হেতেমখাঁ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে চুরির অভিযোগে দুই নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা
রাজশাহী নগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পুলিশের কাজে বাধা প্রদান, বেআইনীভাবে সমাবেশ করা, পুলিশের ওপর আক্রমণ করাসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অপরাধে নতুন একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি এই জামায়াত নেতা দলকে শক্তিশালী করতে বিভিন্ন স্থানে গোপন বৈঠক করেছেন। নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগও ছিল তার বিরুদ্ধে।
কেরামত আলীকে জেল হাজতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে অবস্থান কর্মসূচি থেকে বিএনপির ৭ নেতাকর্মী আটক
রাজশাহীতে অস্ত্র বিক্রি করতে যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার ২
শনিবার সব মহানগর ও জেলায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন এবং সমমনা দলগুলো নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে শনিবার দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা শহরে দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের কথিত সর্বব্যাপী দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ করাও এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর বিএনপি যৌথভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
একই সময়ে অন্যান্য মহানগরী ও জেলা শহরেও একই কর্মসূচি পালন করবেন দলের নেতাকর্মীরা।
বিএনপি ছাড়াও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, পেশাজীবি গণতান্ত্রিক জোট, ১২ দলীয় জোট, লেবার পার্টি, বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য এবং এলডিপিও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করবে।
আরও পড়ুন: ইসির অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আহ্বান বিএনপির প্রত্যাখান
তবে দীর্ঘদিন ধরে যুগপৎ কর্মসূচি পালন করে আসা গণতন্ত্র মঞ্চ শনিবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে না।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা জানান, রবিবার বিএনপির সঙ্গে তাদের বৈঠকের কথা রয়েছে এবং বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তারা পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করবেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে বিএনপি ও সমমনা দল ও জোট বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিন্ন লক্ষ্যে একযোগে আন্দোলন শুরু করে।
এ পর্যন্ত তারা ১০ দফা দাবি আদায়ে দেশের সব ইউনিয়ন, জেলা ও বিভাগীয় শহরে সমাবেশ, মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি ও পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
এছাড়া গত ২৮ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর পাঁচটি এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকে ঠেকাতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে ‘চূড়ান্ত’ দমন-পীড়ন চালাচ্ছে: বিএনপি
১৮ মার্চ সব মহানগরে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে ১৮ মার্চ দেশের সব মহানগরে সমাবেশ করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
শনিবার ঢাকাসহ দেশের সব জেলা শহর ও ১৩টি সাংগঠনিক বিভাগীয় শহরে বিরোধী দলের মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বিএনপি ও তার জোটের শরিক দলগুলোর জ্যেষ্ঠ নেতারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা, অন্যান্য শহর ও জেলায় মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন এবং ১৮ মার্চ একই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিরোধী দলগুলোর প্রতিবাদ, ক্ষমতা ছাড়তে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিনা শর্তে মুক্তি দেয়া, খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে 'মিথ্যা' মামলা প্রত্যাহার এবং দলের ১০ দফা দাবি মেনে নেয়ার লক্ষ্যেই এই কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: সব মহানগর ও জেলায় মানববন্ধন করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
আমার সিদ্ধান্তে কোনো ভুল ছিল না: নাসির উদ্দিন খান
বয়স বা সময় কোনটিই বাঁধা মানে না, লক্ষ্যকে ছোঁয়ার ইচ্ছা যখন প্রবল থাকে। অভিনেতা নাসির উদ্দিন খানের ক্যারিয়ার গ্রাফ দেখলে বিষয়টা হয়তো আরও পরিষ্কার হবে। ‘মহানগর’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিচিতি বাড়লেও অভিনয়কে আঁকড়ে ধরে আছেন দুই যুগের বেশি সময় ধরে।
সময়টা ১৯৯৫ সাল। চট্টগ্রামের ‘তির্যক নাট্যগোষ্ঠীতে’ যোগ দেন নাসির উদ্দিন খান। অভিনয়ের জন্য একসময় মন বসেনি পড়াশোনায়। এরপর চাকরিতেও বসাতে পারেননি মন। এদিকে, এতদিনে অভিনেতার সংসার হয়েছে, রয়েছে দুজন সন্তান। অনেকটা সময় পেরিয়েও গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিলেন চাকরি আর করবেন না। অভিনয় নিয়ে বাকি জীবনটা কাটাবেন নাসির উদ্দিন।
আর নাসির উদ্দিনের সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না তা আজ প্রমাণিত। ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে অভিনেতা বলেন, ‘আমি যখন ঢাকায় আসি তখন পর্যন্ত সামনে কী হবে জানতাম না। পরিচিত অনেকে বলেছেন, খরচের জন্য একটা চাকরি করতে। কিন্তু আমার লক্ষ্য ছিল অভিনয়। সেজন্যই ২০১৬ সালে ঢাকায় আসা। অনেকে হয়তো ভেবেছিল এই সময়ে এমন সিদ্ধান্ত ঠিক হচ্ছে না। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাসি ছিলাম। আমার সিদ্ধান্তে কোনো ভুল ছিল না।’
আরও পড়ুন: মার্কিন বক্স অফিসের শীর্ষ ৩০-এ 'হাওয়া': পরিবেশক সংস্থার দাবি
২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে অভিনয় জগতের সময়টা খারাপ গেলেও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের এক জোয়ার শুরু হয়। সেই জোয়ারে বাংলাদেশেও তৈরি হয় ভিন্ন এক সম্ভাবনা। বিশেষ করে এদেশে ওয়েব সিরিজ নির্মাণ শুরু হওয়ার পর নতুন এক হাওয়া বইতে থাকে ইন্ডাস্ট্রিতে। এতে যেমন একাধিক নির্মাতার মুন্সিয়ানা দেখেছে দর্শক, তেমনি অনেকগুলো নতুন মুখ পেয়েছে তারকাখ্যাতি।
বলা যায়, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অনেক সম্ভাবনাময় অভিনেতার জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। নাসির উদ্দিন খান বলেন, ‘তখন পুরো বিশ্বের শোবিজ অঙ্গন ক্রান্তির মধ্য দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওটিটি প্ল্যাটফর্ম দর্শকদের বিনোদনের জন্য সেই চাহিদা পূরণ করেছে। বাংলাদেশেও এমনটাই হয়েছে। আমিও ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের সুযোগ পাই। সেটি ক্যারিয়ারের জন্য নতুন মোড় তৈরি করেছে।’
আরও পড়ুন: ওয়েব সিরিজ ‘বলি’: অভিনব চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী
সম্প্রতি নাসির উদ্দিন খানকে নিয়ে পুরো আলোচনা ‘হাওয়া’ নিয়ে। এতে তার অভিনয় দর্শকদের মনে নতুনভাবে জায়গা করে নিয়েছে। অনেকে বলছে অভিনেতার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট এই সিনেমা। কিন্তু নাসির উদ্দিন এতে ঠিক এক মত নন। তিনি বলেন, ‘জীবনেতো কখনও সরল পথে চলা যায় না। ভালো বা খারাপ দুটো নিয়েই চলতে হয়। ক্যারিয়ারটা সেভাবে দেখি। এখানে অনেক উচু-নিচু সময় পাড়ি দিতে হবে। ‘হাওয়া’আমার ক্যারিয়ারকে সামনে এগিয়ে নিতে অন্যতম ভূমিকা রাখবে অবশ্যই। কিন্তু সেটি ঠিক টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে ভাবি না।’
বর্তমান সময়টা বেশ ব্যস্ততায় কাটছে নাসির উদ্দিন খানের। একদিকে যেমন ‘হাওয়া’র প্রচারণা। অন্যদিকে নতুন সিনেমার কাজ। তিনি জানান, সামনে আরও দুটি সিনেমা ও কয়েকটি ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে তাকে। তবে সে সম্পর্কে জানাতে আরও কিছুদিন অপেক্ষায় রাখতে চান এই অভিনেতা।
আরও পড়ুন: বছরের আলোচিত ৫ বাংলা ওয়েব সিরিজ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মহানগর ও রাবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, আহত ১০
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ ও পুলিশের লাঠিচার্জে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চাকরি প্রত্যাশী মহানগর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সেকশন অফিসার মাসুদের ওপর হামলা চালান। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধানকাটা নিয়ে ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীর দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
এ সময় রাবি ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা এগিয়ে এলে তাদের উপরও হামলা করা হয়। পরে রাবি ছাত্রলীগ সংগঠিত হয়ে ধাওয়া করলে মহানগর ছাত্রলীগেরর সাথে সংঘর্ষ বাধে। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে মহানগর ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যান।
রাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সেকশন অফিসার কামরুজ্জামান চঞ্চল জানান, বৃহস্পতিবার রাবি ভিসি আব্দুস সোবহানের মেয়াদের শেষ দিন। তিনি চাকরি প্রত্যাশী ১২৫ জন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে প্রচার হলে মহানগর ছাত্রলীগের চাকরি প্রত্যাশীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। এ সময় তারাও চাকরি দাবি করে এবং তাদের এমন ভাব যেন এখনই তাদের নিয়োগ দিতে হবে। এ নিয়ে সেকশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার হামলা চালায়। এ সময় আমি এগিয়ে গেলে তারা আমাকেও লাঞ্ছিত করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘ছাত্রলীগের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত
তিনি বলেন, ঘটনার সময় রাবি ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী সেখানে ছিল। তারা এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা করা হয়। পরে রাবি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সংগঠিত হয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় পুলিশ এসে লাঠিচার্জ শুরু করলে দুই পক্ষেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
জানা যায়, উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এস এম সিদ্দিকুর রহমান জানান, ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পরে লাঠিচার্জ করলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে পুলিশ অবস্থান করছে। তবে, হতাহতের বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।