শিশু মুক্তি
৩৪৫ শিশুর মুক্তিতে বাংলাদেশের প্রশংসা ইউনিসেফ’র
ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে কারাগারগুলো থেকে ৩৪৫ শিশুকে মুক্তি দেয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে ইউনিসেফ।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি টোমো হোযুমি বলেন, ‘এটি বাংলাদেশে শিশুদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং শিশুদের জন্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও তাদের সর্বোত্তম স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়ার ইঙ্গিত বহন করে।’
আরও পড়ুন: স্কুল আরও এক বছর বন্ধের ক্ষতি শিশুরা বইতে পারবে না: ইউনিসেফ
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ইউনিসেফের সহায়তায় ২০২০ সালের মে মাসে ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম চালু করে।
এরপর থেকে ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে ১ হাজার ৪০০ বেশি শিশুকে আটক কেন্দ্র থেকে মুক্ত করা হয়েছে। এই শিশুদের মধ্যে ০.৫ শতাংশেরও কম তাদের মুক্তির পর পুনরায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে টিকা পেয়েছে ২ কোটি ৮ লাখ শিশু: ইউনিসেফ
হোযুমি বিবৃতিতে বলেন, ‘আটকে রাখা হলে তা শিশুদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তাই অপ্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এড়ানো উচিত। যেসব শিশুর বিরুদ্ধে অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এবং যারা এর শিকার বা সাক্ষী, তাদের জন্য আটকে রাখা ব্যতীত অন্য কোনো ব্যবস্থা চালুর আহ্বান জানাচ্ছে ইউনিসেফ।
ইউনিসেফ প্রতিনিধি বলেন, ‘যেসব শিশু নিরাপদে তাদের পরিবারে বা উপযুক্ত বিকল্প যত্নে ফিরে যেতে পারে তাদের আটক কেন্দ্র থেকে ছেড়ে দেয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন বিতরণে ইউনিসেফের সাথে কাজ করবে এমিরেটস
তিনি বলেন, যেহেতু বর্তমানে করোনা মহামারিতে লকডাউন চলাকালে এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যখন কেন্দ্রগুলোতে সীমিত সংখ্যক কর্মী কাজ করছে এবং শিশুরা জনাকীর্ণ আটক কেন্দ্রগুলোতে সংক্রমণ, অবহেলা, নির্যাতনের শিকার হওয়ার উচ্চ ঝুঁকির মুখে রয়েছে।’
‘মহামারি চলাকালে বাংলাদেশ শিশুদের সুবিধা ও তাদের অধিকারের জন্য বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের মাধ্যমে শক্তিশালী নেতৃত্ব প্রদর্শন করেছে,’ বলেন তিনি।
হোযুমি বলেন, শিশু-সম্পর্কিত মামলা বিচারাধীন থাকায় হাজার হাজার শিশুকে আটকে রাখা হয়েছে সেই মামলাগুলোর বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে এই গতি আমাদের ধরে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ‘শিশুদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির সুযোগ উন্নত করতে বাংলাদেশ সরকার, সুপ্রিম কোর্টের শিশু অধিকার বিষয়ক বিশেষ কমিটি এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে পূর্ণ সহায়তা দিতে প্রস্তুত ইউনিসেফ। ২০১৩ সালের শিশু আইনের প্রয়োগ জোরদার করার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে পুলিশিসহ সব পর্যায়ে শিশুদের আটকে রাখা ঠেকাতে পারি।’
৩ বছর আগে