স্কুলশিক্ষক
ঘরে ঢুকে অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে পিটিয়ে হত্যা
বাগেরহাটে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এসময় তার স্ত্রী ও মেয়েকে কুপিয়ে আহত করা হয়। ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা ওই বাড়ির মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের ছোট পাইকপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নাটোরে এমপি শিমুলের পুড়ে যাওয়া বাড়ি থেকে ৪ লাশ উদ্ধার
নিহত মৃণাল কান্তি চ্যাটার্জীর (৬৫) বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার ছোট পাইকপাড়া গ্রামে। তিনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
আহত তার স্ত্রী শেফালী রানী (৬০) ও মেয়ে ঝুমা রানী চ্যাটার্জি (৪৫) বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
নিহত স্কুল শিক্ষকের মেয়ে ঝুমা রানী চ্যাটার্জী বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যার পর একদল দুর্বৃত্ত তাদের বাড়িতে হানা দেয়। এদের মধ্যে চার থেকে পাঁচজন তাদের ঘরের কাঠের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। তাদের মুখে কালোকাপড় বাঁধা ছিল। এরা প্রথমে তার বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাত্ব করে। তার মা ও সে ঠেকাতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের কুপিয়ে আহত করে। ঘটনাস্থলে বাবার মৃত্যু হয়।’
নিহত স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী শেফালী রানী বলেন, ‘তার স্বামী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। রাতে দুর্বৃত্তরা অতর্কিত আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে তার স্বামীকে হত্যা করে।’
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা মৃনাল কান্তিতে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। তবে কী উদ্দেশে এই হত্যা করা হয়েছে, তা জানা যায়নি।’
আরও পড়ুন: থানায় হামলার চেষ্টাকালে পুলিশের গুলি, চাঁদপুরে নিহত ১
২ মাস আগে
গোপালগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় স্কুলশিক্ষক নিহত
গোপালগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় এক স্কুলশিক্ষক নিহত হয়েছেন। রবিবার (১২ মার্চ) সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত স্কুল শিক্ষক বাদল বিশ্বাস (৩৬) একই উপজেলার মাঝিগাতী ইউনিয়নের ডালনিয়া গ্রামের নীলরতন বিশ্বাসের ছেলে এবং সিলনা-গুয়াধানা বিন্দুবাসিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক।
আরও পড়ুন: নগরকান্দায় ট্রেনের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
স্থানীয়া জানান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা নামকস্থানে রেললাইন ক্রসিংয়ের সময় গোপালগঞ্জ থেকে রাজশাহীগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে মোটরসাইকেল আরোহী ওই শিক্ষকের ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলসহ শিক্ষক ৩০ থেকে ৪০ ফুট দুরে রাস্তার খাদে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার পরিদর্শক সোমনাথ বসু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মালিবাগে ট্রেনের ধাক্কায় সৌদি প্রবাসী নিহত
নেত্রকোণায় ট্রেনের ধাক্কায় সংবাদকর্মীর মৃত্যু
১ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা, ৭ আসামির যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে সাত আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সেই সঙ্গে তাদেরকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ডাকাতির সময় হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার রাজিতপুর গ্রামের মোকাদ্দেস আলীর দুই ছেলে ফিরোজ ও দেলবার।
ফিরোজের ছেলে সবুজ, দেলবারের ছেলে মিজান, একই গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে হোসেন আলী, একই উপজেলার গজনবীপুর গ্রামের আফিউদ্দিনের ছেলে সাইদুল ইসলাম এবং ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার সিরামপুর গ্রামের রফিউদ্দিনের ছেলে হেলাল।
আসামিদের অনুপস্থিতিতেই আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন।
এ মামলার আসামি গোলাম সরোয়ার ও রুবেল রানাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার রনজিতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মিঠু শেখকে ২০০৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্কুল সংলগ্ন এলাকায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে রামদা দিয়ে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল কুদ্দুস আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের ৩১ আগস্ট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে আ. লীগ নেতা হত্যা মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষকসহ নিহত ২
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শুক্রবার এক স্কুলশিক্ষক সহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন- সীতাকুণ্ড উপজেলা সদর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মঞ্জুর হোসেন (৪০) এবং নগরীর বায়েজিদ থানার অক্সিজেন এলাকার বাসিন্দা কমল কন্ট্রাক্টর (৪৫)।
পুলিশ জানায়, নগরীর অক্সিজেন এলাকায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় রিকশা আরোহী কমল কন্ট্রাক্টর (৪৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে তামান্না বিল্ডিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সিএমপির পাঁচলাইশ থানার ওসি (তদন্ত) সাদেকুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পর সকাল পৌনে ১০টার দিকে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসেন সৌরভ নামের এক ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশ নিহত
তিনি জানিয়েছেন, রিকশায় চড়ে কাজে যাওয়ার সময় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন কমল। আশংকাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করে দেন। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, সীতাকুণ্ডে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় আহত মোটরসাইকেল স্কুলশিক্ষক মঞ্জুর হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় নগরীর মেট্টোপলিটন হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহত মঞ্জুর বড় ভাই মো. আবছার জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঢাকামুখী একটি প্রাইভেটকার তাকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
নিহত মঞ্জুর হোসেন সীতাকুণ্ড উপজেলা সদর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও মুরাদপুর মাঝি বাড়ির মৃত হুসেনের ছাপা’র ছেলে।
আরও পড়ুন: কচুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
২ বছর আগে
স্কুলশিক্ষকের তৈরি ভাসমান সেতুতে দুর্ভোগের অবসান হলো গ্রামবাসীর
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের চন্দ্রপুর ইউনিয়নে সতী নদীতে বাঁশ এবং ড্রাম দিয়ে ৫০ ফুট দীর্ঘ ভাসমান সেতু নির্মাণ করে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন শালমারা ঘোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম আলী (৪৫)।
ইব্রাহিম আলীর এই উদ্যোগের কারণে শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১৫ হাজার গ্রামবাসী এখন সেতুটি ব্যবহার করে নদী পার হতে পারছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ‘অপরিকল্পিত’ শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, মরে যাচ্ছে শত শত গাছ
প্রধান শিক্ষক ইব্রাহীম আলী বলেন, নদীর ওপর কংক্রিটের ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পরও যখন কেউ মেরামতের জন্য এগিয়ে আসেনি, তখন আমি শিক্ষার্থীসহ জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য স্থানীয় দু-চারজন লোকের সহায়তায় নিজেই একটি ভাসমান বাঁশের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিই। আর এই সেতু নির্মাণে ২০টি ড্রাম এবং শতাধিক বাঁশ ব্যবহার করেছি।
নওদাবাস দাখিল মাদরাসার সুপার মো. রুহুল আমিন বলেন, সেতুতে লাখেরও বেশি টাকা খরচ হয়েছে। সতী নদীর ওপর কংক্রিটের সেতুটি এক বছর ধরে ভেঙে পড়ায় নদীর দুই পাড়ের গ্রামবাসীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
২ বছর আগে
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষক নিহত
দিনাজপুর সদর উপজেলায় বৃহস্পতিবার দিনাজপুর-ফুলবাড়ী সড়কে দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় বাইসাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাওয়া ৫৩ বছর বয়সী এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত নুর জামাল (৫৩) দিনাজপুর জেলা সদরের ওমরপাইল গ্রামের মৃত ছলিম চেয়ারম্যানের ছেলে। তিনি পাঁচবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক ননি গোপাল জানান, সকালে জালিয়াপাড়া এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, দুর্ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দিনাজপুর-ফুলবাড়ী সড়ক অবরোধ করে ঘণ্টাখানেক যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়।
পড়ুন: ট্রেনের ছাদে যাত্রী নেয়া যাবে না: হাইকোর্ট
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত
চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক স্কুলশিক্ষক নিহত হয়েছেন। রাস্তা পার হতে গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিক্সার ধাক্কায় তিনি মারা যান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত শিক্ষকের নাম আমান উল্লাহ সিকদার (৬২)। তিনি আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া শিকদার বাড়ি এলাকার বাসিন্দা এবং বরুমচড়া শহীদ বশরুজ্জমান উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২নিহতের ছেলে ফয়েজ সিকদার বলেন, আমার বাবা সকালে গ্রামের বাড়ি থেকে নগরীর রাহাত্তারপুল এলাকার ব্লুমিং পার্ক সংলগ্ন বাসার উদ্দেশ্যে বের হন। দুপুর ১২টার দিকে তিনি ব্লুমিং পার্ক এলাকায় নেমে সড়কের পশ্চিম পাশ থেকে পূর্ব পাশে পার হওয়ার সময় সিএনজিচালিত অটোরিক্সা তাকে ধাক্কা দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।চমেক হাসপাতালে দায়িত্বরত পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত একজন বয়স্ক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনার কিছুক্ষণের মধ্যে তার মৃত্যু হয়েছে। লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
২ বছর আগে
জামিনে কারামুক্ত স্কুলশিক্ষক হৃদয় মন্ডল
স্কুলশিক্ষক হৃদয় মন্ডল ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের’ মামলায় জামিন পেয়ে মুন্সীগঞ্জ কারাগার থেকে রবিবার মুক্তি পেয়েছেন।
জেলার আবুল বাশার জানান, বিকাল ৫টার দিকে মুন্সীগঞ্জ কারাগার থেকে হৃদয় মন্ডলকে ছাড়া হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিকাল ৪টার দিকে হৃদয় মন্ডলের জামিনের কাগজপত্র পেয়েছি।’
হৃদয় মন্ডলের গ্রেপ্তারের পদ দেশ-বিদেশের অধিকার সংগঠনগুলো প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানায়।
অধিকার সংগঠনগুলো তার গ্রেপ্তারকে দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও বিজ্ঞান শিক্ষাকে খর্ব করার প্রচেষ্টা হিসাবে নিন্দা করেছে।
আরও পড়ুন: ১৯ দিন জেলে থাকার পর জামিন পেলেন হৃদয় মন্ডল
মুক্তির পর হৃদয় মন্ডল বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা।
তিনি বলেন, ‘সেদিন ক্লাসে বিজ্ঞান পড়াচ্ছিলাম। তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে প্রশ্ন করছিল। আমি এমন কিছু বলিনি যা সমস্যা হতে পারে। আমি খেয়ালও করিনি যে তারা মোবাইলে রেকর্ড করছে।’
তিনি বলেন, ‘কিছু বিপথগামী শিক্ষার্থী, যারা পড়াশুনা করে না, তারা বিপথগামী শিক্ষকদের সঙ্গে মিলে এটা করেছে। এই মুহূর্তে কারও নাম বলতে পারছি না। প্রাইভেট টিউশনির জন্য তারা হয়তো আমার সঙ্গে এটা করেছে।’
এছাড়া রাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন তিনি।
এর আগে এ মামলায় গ্রেপ্তারের ১৯ দিন পর ওই শিক্ষকের জামিন মঞ্জুর করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোতাহার আক্তার ভূঁইয়া।
হৃদয় মন্ডল বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের শিক্ষক। ওই বিদ্যালয়ের ইলেকট্রিশিয়ান আসাদ মিয়া তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সদর থানায় অভিযোগ করার পর তাকে ২২ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: স্কুলশিক্ষক হৃদয় মন্ডলের মুক্তি দাবি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের
তবে হৃদয় মন্ডলের স্ত্রী ববিতা হালদার দাবি করেছেন, কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গে শত্রুতার জের ধরে তাকে স্কুল থেকে বের করে দেয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে ২০ মার্চ বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের (বিজ্ঞান বিভাগ) দশম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী বিজ্ঞান ও ধর্মের ওপর হৃদয় মন্ডলের একটি ক্লাসের কথোপকথন রেকর্ড করে।
২২ মার্চ, কয়েকজন শিক্ষার্থী তার শাস্তির দাবিতে স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ করে। পরবর্তীতে ওই স্কুলের এক অফিস সহকারী (ইলেকট্রিশিয়ান) তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ বছর আগে
স্কুলশিক্ষক হৃদয় মন্ডলের মুক্তি দাবি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক বৈশ্বিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে ‘অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে’ স্কুলশিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মন্ডলকে মুক্তি দেয়ার অনুরোধ করেছে।
হৃদয় মন্ডল ক্লাসরুমে ধর্ম ও বিজ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে আলোচনা করার পরে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার’ অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে দক্ষিণ এশিয়ার উপ-আঞ্চলিক পরিচালক স্মৃতি সিং বলেন, ‘হৃদয় চন্দ্র মন্ডলকে অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।’
সিং বলেন, ‘হৃদয় চন্দ্র মন্ডলকে গ্রেপ্তার করা বাংলাদেশের চলমান উদ্বেগজনক প্রবণতার প্রতীক, যেখানে ক্রমশই স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। শ্রেণিকক্ষে আলোচনার জন্য একজন শিক্ষকের গ্রেপ্তার হওয়া বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, যেখানে শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তা-ধারায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য কাউকে জেলে যেতে হতে পারে।’
আরও পড়ুন: হিন্দুসহ সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত জরুরি: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
তিনি বলেন, ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে নির্বিচারে আটক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারকে অপরাধীকরণ করার ফলে জনগণের মধ্যে উদ্ভূত ভীতি সঞ্চারের পরিস্থিতি নথিভুক্ত করছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হৃদয় চন্দ্র মন্ডলের এই ঘটনা বিদ্যমান সংকটের পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে, একটি দেশের স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য হুমকিস্বরূপ এই ঘটনা।’
বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এবং সেন্টার ফর উইমেন জার্নালিস্টসহ বেশ কয়েকটি সুশীল সমাজ এবং একাডেমিক সংগঠন শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মন্ডলের গ্রেপ্তারের নিন্দা করেছে এবং শিক্ষকদের শিক্ষা দেয়ার ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
একইভাবে, সারাদেশে মানবাধিকার রক্ষক, আইনজীবী ও শিক্ষকরা গ্রেপ্তারের সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা এটাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার দ্রুত তদন্তের দাবি অ্যামনেস্টির
সিং বলেছেন, ‘হৃদয় চন্দ্র মন্ডলকে আটক করা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবক্ষয়ের লজ্জাজনক উদাহরণ। এ পরিস্থিতি উন্নয়নে কর্তৃপক্ষের জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে মানুষ মুক্তভাবে ও নিরাপদে মত প্রকাশ করতে পারে। কোনো ধরনের ভয় ছাড়াই শিক্ষকরা ক্লাসে কথা বলতে পারবেন তা নিশ্চিত করতে হবে।’
এক শিক্ষার্থীর রেকর্ড করা অডিও ফাইল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, বিজ্ঞানের একটি ক্লাসে ‘ধর্ম বিশ্বাসের ব্যাপার’; ‘বিজ্ঞান পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত’-এ নিয়ে কথা বলেছিলেন গ্রেপ্তার ওই শিক্ষক।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সংগ্রহ করা অডিও রেকর্ডিংটিতে ওই শিক্ষককে বলতে শোনা যায়,‘ধর্মের কোনো প্রমাণ নেই। শেষমেশ ধর্মের ব্যখ্যা কোথায় যায় জানো? শেষমেশ ওই ঈশ্বর দেখে, ঈশ্বর সমাধান দেবেন, পরকালে বিচার হবে। এসব বিশ্বাসের বিষয়। কোন প্রমাণ নেই৷ আর বিজ্ঞান প্রমাণ সাপেক্ষ’।
রেকর্ড করার দুদিন পর ২২ মার্চ স্কুলটির প্রধান শিক্ষক সংবাদমাধ্যমকে জানান, হৃদয় মন্ডলের শাস্তি চেয়ে শিক্ষার্থী ও অন্যরা স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ করছে। সেদিনই স্কুলটির একজন অফিস সহকারী হৃদয় মন্ডলের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গ্রেপ্তারের পর থেকেই কারাগারে আছেন তিনি। দু’বার তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
পরবর্তী জামিন শুনানি হবে ১০ এপ্রিল।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে অ্যামনেস্টির বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নাটোরে স্কুলশিক্ষক নিহত
নাটোরের সিংড়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক স্কুলশিক্ষক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের জোড়ব্রিজ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সমরেন্দ্র নাথ দেব বিয়াস উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
আরও পড়ুন:টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ স্কুলছাত্র নিহত
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর ই আলম জানান, শিক্ষক সমরেন্দ্র দুপুরে মোটরসাইকেলযোগে বিয়াস থেকে সিংড়া শহরে যাচ্ছিলেন। পথে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের জোড়ব্রিজ এলাকায় একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজের সাথে ধাক্কা খেয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
২ বছর আগে