খাদ্যশস্য সংগ্রহ
খাদ্যশস্য সংগ্রহে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে: মন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চলতি বোরো মৌসুমে সঠিক সময়ে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের সমস্যা হবে না। খাদ্যশস্য সংগ্রহের গতি বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, ‘কৃষক বাঁচলে, দেশ বাঁচবে। তাই খাদ্যশস্য সংগ্রহে ধানকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং কৃষক যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয়।’
রবিবার ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা মোকাবিলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহ বিষয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছি এবং ৬টি বিভাগের আওতাধীন সকল জেলার স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, মিল মালিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিটিং সম্পন্ন হয়েছে। ১৩টি নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রেরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় অসহায় কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
তিনি বলেন, কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে এবারের বোরো সংগ্রহ অভিযানে ৬ লাখ ৫০হাজার মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে। ধান-চাল ক্রয়ে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের সময় ওজনের অতিরিক্ত ধান নেয়া যাবে না এবং কোনভাবেই কৃষককে হয়রানি করা যাবে না। খাদ্যশস্য সংগ্রহে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল, রেশনের চাল বা পুরাতন চাল দেয়া যাবে না। যদি কোন মিলার তা দেয়; তবে সংশ্লিষ্ট ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনভাবেই সেই চাল গ্রহণ করবে না। যদি গ্রহণ করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট মিলারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশের মতো আমাদের দেশও একটা মহামারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, করোনা পরবর্তী খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পরস্পর পরস্পরের সাথে মিলেমিশে, ভালো আচরণ করার মাধ্যমে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিত্য-নতুন উদ্যোগ নিয়ে চলমান বোরো সংগ্রহ শতভাগ সফল করতে হবে।
‘বর্তমান সময়ে করোনার সঙ্গে আমরা যেমন যুদ্ধ করছি, তেমনি করোনা পরবর্তী খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করার জন্যেও আমাদেরকে এখন থেকেই যুদ্ধ করতে হবে, বলেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।
৩ বছর আগে