বিজিবির চেকপোস্ট
বিজিবির চেকপোস্ট উপেক্ষা করেই শিমুলিয়ায় ঘরমুখো মানুষের ঢল
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে।
রবিবার বিজিবি চেক পোস্ট সত্ত্বেও করে দক্ষিণ বঙ্গগামী হাজার হাজার মানুষ ঘাটে আসছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভিড়ও বাড়তে থাকে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) রাতভর ১৫টি ফেরি দিয়ে পারাপার করে, তবে রাববার সকাল ১০টার পরে থেকে ফেরি পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে আটটি অ্যাম্বুলেন্সসহ সকাল পোনে ৮টার দিকে 'ফেরি ফরিদপুর' ১নং ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। ফেরিটিতে উঠার জন্য যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে লোকজনের চাপে ফেরিটির ঢালা উঠানো যাচ্ছিল না। এ সময় পুলিশ লাঠি চার্জ করে ফেরির ঢালা উঠানো ব্যবস্থা করা হয়। এরপরই সকার ১০টার দিকে ৩ নম্বর ঘাট থেকে ফেরি শাহ পরান ছেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা
কিন্তু গায়ের উপর গা গেসানো অবস্থায় ছোট ফেরিটিতে দেড় সহস্রাধিক মানুষ নিয়ে পদ্মা পারি দিচ্ছে। এখনো হাজার হাজার যাত্রী পাড়াপাড়ের অপেক্ষায় আছে। সবখানেই গাদাগাদি ভিড়। স্বাস্থ্য বিধির কোন বালাই নেই । ফেরি ঘাটের আশেপাশে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই জেলে নৌকাসহ ট্রলারে যাত্রীরা পদ্মা পার হওয়ার চেষ্টা করেছে। নৌপুলিশ এ পর্যন্ত ১৩টি ট্রলার জব্দ করেছে।
এদিকে, বাংলাবাজার ঘাট থেকে ফেরি কুঞ্জলতাও ৮ টি অ্যাম্বুলেন্স নিয় রওনা হয়ে শিমুলিয়ার ৪ নম্বর ঘাটে নোঙ্গর করে পৌনে ১০টার দিকে। এরপর আর কোন ফের পারপার হয়িন।
আরও পড়ুন: নাব্যতা সংকটে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে তীব্র যানজট, ভোগান্তি চরমে
বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, দিনের বেলায় ফেরি বন্ধ। শুধু জরুরি পরিসেবা কিছু যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। সেই ফেরিতেই লোকজন স্রোতের মত উঠে যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যেও লোকজন নারীর টানে ছুটছেন, কোন বাঁধাই মানছেন না। বহরের ১৬ ফেরির মধ্যে জরুরি পরিসেবায় ২-৩টি ফেরি চলাচল করছে।
মুন্সিগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি থেকে জনসাধারণকে রক্ষায় ঈদে ঘরমুখো না হওয়ার জন্যই পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তারপরও লোকজনের ঢল নামছে, তাই দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ পুলিশও কাজ করছে।
আরও পড়ুন: পাটুরিয়া ঘাটে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
৩ বছর আগে