জিপিএ-৫
যশোর বোর্ডে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এ বছর উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাসের হার ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১ লাখ ২২ হাজার ৫১১ জন। পাস করেছে ৭৮ হাজার ৭৬৪। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৪৯ জন শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮১.২৪ শতাংশ
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার ফলাফল প্রকাশ করেন।
এসময় চেয়ারম্যানের কনফারেন্স রুমে উপস্থিত ছিলেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. বিশ্বাস মোহাম্মদ শাহিন আহমেদ ।
২০২৩ সালে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৮ হাজার ৭০৩ জন শিক্ষার্থী।
২০২২ সালে এ বোর্ডের পাসের হার ছিল ৯৮ দশমিক ১১ শতাংশ । জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২০ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফলাফলে এগিয়ে আছে মেয়েরা
২ মাস আগে
এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ: পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ, ১ লাখ ৪৫ হাজার জিপিএ-৫
২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় সব বোর্ডের ওয়েবসাইট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ৮৮ দশমিক ০৯ শতাংশ।
এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ শিক্ষার্থী যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। গত বছর পেয়েছিল ৯২ হাজার ৫৯৫ জন।
আরও পড়ুন: আগামীকাল যেভাবে জানা যাবে এইচএসসির ফলাফল
পাসের হারের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিলেট আর সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ময়মনসিংহ।
পাসের হার সিলেট বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ, বরিশালে ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ, ঢাকায় ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, যশোরে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ।
চলতি বছরে ২ হাজার ৬৯৫টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৯৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল, যার মধ্যে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী- ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটাসংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
বাতিল পরীক্ষাগুলোতে এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে এইচএসসিতেও একই নম্বর দিয়ে ফল তৈরি করেছে শিক্ষা বোর্ড। তাছাড়া বিভাগ ও বিষয়ে মিল না থাকলে সেক্ষেত্রে সাবজেক্ট ম্যাপিং নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এইচএসসি’র ফল প্রকাশ ১৫ অক্টোবর
২ মাস আগে
চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমেছে
চলতি বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বোর্ডে পাস ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এদিকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৩৩৯ জন। গতবার পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৫০ শতাংশ।
রবিবার দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ এ ফলাফল ঘোষণা করেন। শিক্ষাবোর্ডের সম্মেলনকক্ষে ফলাফলের তথ্য উপস্থাপন করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এ এম এম মুজিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে ছাত্রীরা এগিয়ে
তথ্য অনুযায়ী— ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় ২৭৯টি কলেজের ১ লাখ ১ হাজার ২৪৮ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয়। পাস করেছে ৭৫ হাজার ৯০৩ জন।
পরীক্ষায় উপস্থিতির সংখ্যা ১ লাখ ১ হাজার ৯৪৯ জন। পাসের হার ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছাত্রীরা এগিয়ে আছে।
ছাত্রদের পাসের হার ৭১ দশমিক ২৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৮৮৫ জন। ছাত্রীদের পাসের হার ৭৭ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৪৫৪ জন।
তিনটি শাখার মধ্যে বিজ্ঞানে ৮৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৭৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং মানবিকে পাস করেছে ৬৫ দশমিক ২২ শতাংশ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথ, কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক জাহেদুল হক, বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিপ্লব গাঙ্গুলি।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৩: জিপিএ-৫ এর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা: ৪২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি
১ বছর আগে
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৩: জিপিএ-৫ এর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এ বছর ১১টি শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সাড়ে ১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন।
গত বছর অর্থাৎ, ২০২২ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। সেই হিসাবে এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮৩ হাজার ৯১৭ জন।
অন্যদিকে, দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গত বছর ২০২২ সালে পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সেই হিসেবে এবার পাসের হার ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ কমেছে।
রবিবার বেলা ১১টায় ওয়েবসাইট ও নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফল প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৩: ৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে ছাত্রীরা এগিয়ে
এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে
১ বছর আগে
জিপিএ-৫ এ প্রথম স্থানে চট্টগ্রামে কলেজিয়েট স্কুল
এসএসসিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ এর দিক থেকে এ বছর সেরা দশের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল।
১ হাজার ১০৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠান সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করল। তবে প্রতিষ্ঠানটির এবারও জায়গা হয়নি শতভাগ পাসের তালিকায়।
কলেজিয়েট স্কুল থেকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৪৭২ জন। যাদের মধ্যে একজন অকৃতকার্য হওয়ায় শতভাগ পাসের তালিকা থেকে সরে যায় প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১০ জন। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
কলেজিয়েট স্কুলের পরেই জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৪৭৩ জন এবারের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৪৬৮ জন। ৯৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ পাসের হার নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭৪ জন।
এরপরেই ৪৬০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৩৩১ জিপিএ-৫ পাওয়ায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুসলিম হাই স্কুল। তবে, এবার এই স্কুল শতভাগ পাসের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। জিপিএ-৫ এর দিক দিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে নাসিরাবাদ বালক উচ্চ বিদ্যালয়। এ স্কুল থেকে ৫১৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়ছে ২৬০ জন।
আরও পড়ুন:জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা
নৌ-বাহিনী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৪৭৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ২৫৭ জন। এই প্রতিষ্ঠান জিপি-৫ প্রাপ্তির তালিকায় রয়েছে পঞ্চম স্থানে। সেরা তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪৩ জন।
চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৩৩৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৩২ জন জিপিএ-৫ পাওয়ায় সেরাদের তালিকায় রয়েছে সপ্তম স্থানে। বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৫ জন। সেরাদের তালিকায় তারা রয়েছে অষ্টম স্থানে।
এ ছাড়া, চট্টগ্রাম গভর্নমেন্ট হাই স্কুলের ২২৩ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাওয়ায় সেরাদের তালিকায় তারা রয়েছে নবম স্থানে। দশম স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম জেলার বাইরের কক্সবাজার গভর্নমেন্ট হাই স্কুল। এ প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ১৮৯ জন শিক্ষার্থী।
এর আগে, শুক্রবার (২৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবার ২১৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮১৯ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়। যা গতবারের চেয়ে ৪ হাজার ৭০৭ জন বেশি।
এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৬ জন শিক্ষার্থী। সব মিলিয়ে গত বছরের তুলনায় পাসের হার এবং জিপিএ ৫ দুটোই কম। গত বছর পাসের হার ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ থাকলেও এ বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশে। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৪৫০ জন শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: পাসের হারের দিক দিয়ে এগিয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড
১ বছর আগে
জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে কমেছে। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। সেই হিসাবে এবার জিপিএ-৫ কম পেয়েছে ৮৬ হাজার ২৪ জন শিক্ষার্থী।
এদিকে, গত বছরের মতো এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে আছে। এর মধ্যে ৮৪ হাজার ৯৬৪ জন ছাত্র এবং ৯৮ হাজার ৬১৪ জন ছাত্রী।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮০.৩৯ শতাংশ
পাসের হারের দিক দিয়ে এগিয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড
১ বছর আগে
ইটভাটায় কাজ করে জিপিএ-৫ পাওয়া রাজুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা
রাজু হোসেন ইটভাটায় কাজ করে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পায়।
কিন্তু ভালভাবে এইচএসসি পাশ করাই যেন তার কাল হলে।
আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বা পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে তার পক্ষে।
মেধাবী এই শিক্ষার্থী রাজু হোসেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের সন্ধ্যারই খুটিয়াটুলি গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: পায়ে লিখেই গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেল অদম্য মানিক
তার স্বপ্ন আইন বিভাগে লেখাপড়া করা। কিন্তু এই স্বপ্নের পথে বাধা তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা।
বাবা আনোয়ার হোসেন পেশায় ভ্যানচালক ও মা নাজমা বেগম হিমাগারের শ্রমিক। পড়াশোনার খরচ চালাতে রাজু নিজেও ইট ভাটার ট্রলির শ্রমিকের কাজ করে।
দুই ভাইয়ের মধ্যে সে বড়। বাড়ির পাশে মীরডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৪.২২ ও রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে রাজু হোসেন।
রবিবার (১২ ফ্রেরুয়ারি) দুপুরে অদম্য মেধাবী রাজুর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাদের মা-বাবা বাড়ির উঠোনে বসে আছেন। ছেলের এইচএসসি পরীক্ষায় ভাল ফলে উত্তীর্ণ হওয়ায় চোখেমুখে খুশি থাকলেও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ছেলের ভর্তির টাকা নিয়ে। কিভাবে জোগাড় করবেন ভর্তির টাকা। নিজের ভিটে-বাড়ি বা জমিজমাও নাই যে বিক্রি করবেন।
রাজুর বাবা আনোয়ার জানান, ছেলেটা ছোট থেকেই মেধাবী। যার কারণে ওর লেখাপড়ায় কোন ভাটা পড়ুক তা চাইনি। কষ্ট করেই পড়িয়ে যাচ্ছি। কিভাবে যে তার ভর্তি পরীক্ষা জোগার করবো কোন কূল-কিনারা পাচ্ছি না। যদি কেউ সহযোগিতায় আসতেন, তাহলে তার স্বপ্নপূরণ হতো।
ফলাফল প্রকাশের পর আলাপকালে রাজু জানায়, কি করবো আমি বুঝতে পারছি না? ছোট বেলা থেকেই কষ্ট করে আসছি। কখনও কখনও না খেয়ে স্কুলে গিয়েছি, কিন্ত বাদ দেইনি স্কুল ও কলেজের পড়াশোনা। আমি এখন আইন নিভাগ পড়তে চাই। কিভাবে ভর্তি হবো, কিভাবে কী করবো এখন আর মাথায় কাজ করছে না।
আরও পড়ুন: ভ্যান চালিয়ে জিপিএ-৫ পেল রমজান!
এছাড়া আমার স্বপ্নের মাঝে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে আর্থিক অভাব অনটন। বেসরকারি এনজিও ‘আরডিআরএস, থেকে কিছু টাকা লোন করে রংপুরের একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হই পরিক্ষার জন্য।
রাজু জানায়, কিছু টাকা দিয়ে ভর্তি হলেও খাওয়াসহ অন্যান্য খরচ বহন না করতে পারায় আর কোচিং-এ যাওয়া হয়নি তার। এখন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং চলছে, কিন্তু আমার সেই সামর্থ্য নাই যে ভর্তি হবো।
রাজুর মা নাজমা বেগম জানান, দুই ছেলে নিয়ে বহুকষ্টে জীবন চালিয়েছি। এক পর্যায়ে মানুষের বাসায় কাজ শুরু করি। হিমাগারের নারী শ্রমিক হিসবে কাজ করি। তার বাবা ভ্যান চালায়। অর্থের অভাবে এক ছেলের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে। বড় ছেলে রাজু ইটভাটার ট্রলির শ্রমিক ও কখনো ভ্যান চালিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, এত কষ্ট করে আমার ছেলে পড়াশোনা করে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আমি অনেক খুশি হয়েছি। তবে এখন পড়াশোনা কীভাবে চালাবে সে চিন্তায় আছি।
রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক সফিকুর ইসলাম আলম বলেন, সে মাসে একদিন বা দু’দিন কলেজে আসত। তার সংগ্রামের কথা সবাই জানি। সে আমাদের কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে, এটা আমাদের গর্বের বিষয়। অনেক কষ্ট করে সে ভালো ফলাফল করেছে। তার ফলাফলে আমরা অনেক খুশি।
তিনি বলেন, গরিব-অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দানশীল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসা জরুরি।
এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল বারী বলেন, রাজুর এই বিষয়টি আগে জানতাম না। জেনে খুশি হলাম। ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার পক্ষ থেকে তার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা করব ইনশাল্লাহ।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, বিষয়টি যেমনিভাবে কষ্টের, তেমনি অনুপ্রেরণার। পড়াশোনার ইচ্ছাশক্তি থাকলে যে কোনো উপায়ে তা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব, রাজু তাই প্রমাণ করেছে। রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে জিপিএ-৫ না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
১ বছর আগে
ফরিদপুরে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত নির্মাণ শ্রমিকের দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসক
ফরিদপুর সদর উপজেলায় এক নির্মাণ শ্রমিকের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ায় তার লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
সালমান মৃধা (১৬) এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ায় এলাকায় বেশ আলোচনায় এসেছে সে। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাতে হয় তাকে। সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ইজা দুর্গাপুর গ্রামের বিল্লাল মৃধার ছেলে সালমানের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।
সালমান এবার ফরিদপুরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের ঈশান ইনস্টিটিউশনের কারিগরি শিক্ষা বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে জিপিএ-৫ না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
জানা গেছে, সালমানের বাবা মো. বিল্লাল মৃধা অন্যের জমিতে কাজ করে যা পান তা দিয়েই কোনোমতে চলে তাদের সংসার। বাবার পাশাপাশি সালমান অন্যের জমিতে কাজও করে। এছাড়াও নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে সংসারের খরচ বহনের পাশাপাশি চালিয়েছে পড়াশোনা।
সালমান জানান, ‘এসএসসি পাশের পরে উচ্চ মাধ্যমিকের পড়ালেখার খরচ নিয়ে বেশ অনিশ্চয়তায় ছিলাম। আমার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও চিন্তায় ছিল কীভাবে অভাব মিটবে। হঠাৎ করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় আমার পরিবারের সঙ্গে। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে তার পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং তার এই সাফল্যে প্রশাসনের পক্ষে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়। এছাড়াও তিনি আমার ও আমার ছোট ভাইয়ের পড়ালেখার ব্যয়ভার বহনের ঘোষণা দেন।’
জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান, ‘সালমানের সাফল্য দেখে বেশ আনন্দিত হই। পরে জানতে পারি তার পরিবার হতদরিদ্র হওয়ায় সালমানের লেখাপড়া করার মতো অর্থিক অবস্থা নেই। পরে তাকে অফিসে এনে তার ইচ্ছার কথা শুনে সালমান ও তার ছোট ভায়ের লেখা পড়ার দায়িত্ব নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: পায়ে লিখেই গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেল অদম্য মানিক
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ২১৬ জন
১ বছর আগে
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ২১৬ জন
ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার শতকরা ৮৯ দশমিক ০২ শতাংশ। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ২১৬ জন। জিপিএ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে।
ছয় হাজার ৭৬৮ জন ছেলের বিপরীতে আট হাজার ৪৪৮ জন মেয়ে শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শামসুল ইসলাম জানান, এক হাজার ৩০৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক লাখ ৯ হাজার ৯৫২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৯৭ হাজার ৮৮২ জন।
আরও পড়ুন: এসএসসি ফলাফল ২০২২: গড় পাসের হার ৮৭.৪৪%
এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ২১৬ জন। বিজ্ঞান বিভাগে ১৩ হাজার ৯৩৭ জন, মানবিক বিভাগে এক হাজার ৩৭ জন এবং ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ২৪২ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এবারও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। ছয় হাজার ৭৬৮ জন ছেলে ও আট হাজার ৪৪৮ জন মেয়ে শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
শিক্ষাবোর্ডের অধিনে শেরপুর জেলায় পাসের হার ৮৯ দশমিক ১৪ শতাংশ, ময়মনসিংহ জেলায় পাসের হার ৮৮ দশমিক ৯০ শতাংশ, নেত্রকোনা জেলায় ৮৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং জামালপুর জেলায় ৮৯ দশমিক ৫২ শতাংশ।
বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া সাউদা দিহা আবেগ আপ্লুত কন্ঠে জানান, রেজাল্ট কেমন হয় এই চিন্তায় গত দুই রাত ঠিকমতো ঘুমাতে পারিনি। আজ দুপুরে আব্বু যখন ফোন করে রেজাল্টের কথা জানায় আমি গোল্ডেন জিপিএ পেয়েছি তখন আম্মুকে জড়িয়ে ধরে কান্না করেছি। আমার পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। এখন একটা ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারলে খুশি।
বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার জানান,আমি স্বপ্ন দেখি এবং স্বপ্ন দেখাই যত শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিবে সবাই জিপিএ-৫ পাবে। আমার মনে হয়ে আমি স্বপ্নের কাছাকাছি পৌছঁতে পেরেছি। কারণ চলতি বছর ৩১০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে তার মধ্যে ২৮৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি ফলাফল ২০২২: জিপিএ-৫ পেয়েছে ২,৬৯,৬০২ জন শিক্ষার্থী
প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসএসসির ফলাফল হস্তান্তর
২ বছর আগে
এসএসসি: বরিশাল বোর্ডে খাতা পুনঃনিরীক্ষণে ফেল থেকে পাস ২৫১, জিপিএ-৫ ৩০ জনের
এসএসসি পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষণে বরিশাল বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছেন ২৪৯ জন শিক্ষার্থী। আর নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩০ জন পরীক্ষার্থী। পুনঃনিরীক্ষণে বোর্ডের ৩৯২ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে।
এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছেন ২৫১ জন এবং নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩০ জন। এদের মধ্যে দুজন শিক্ষার্থী ফেল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে বোর্ড কৃর্তপক্ষ তাদের ওয়েব সাইটে পুনঃনিরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৩০ কর্মচারীকে একযোগে বদলি
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন জানান, ‘এসএসসির খাতা পুনঃনিরীক্ষার জন্য পাঁচ হাজার ৪৭৯ পরীক্ষার্থী ছয় হাজার ১৩৯টি বিষয়ে আবেদন করেন। খাতা পুনঃনিরীক্ষণে ৩৯২ জনের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছেন ২৫১ জন এবং ফেল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন দুজন। পাশাপাশি সব মিলিয়ে ফল পরিবর্তনে নতুন করে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৩০ পরীক্ষার্থী’।
তিনি জানান, ‘পরীক্ষার খাতা দেখার সময় ভুলবশত কোনো ত্রুটি থাকার কারণেই জিপিএ-৫ এর বদলে ফেল এসেছিলো ওই শিক্ষার্থীদের। যা পুনঃনিরীক্ষায় জিপিএ-৫ এসেছে’।
খাতা প্রথম মূল্যায়নের সময় আরও সতর্ক থাকতে বলা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: যশোর বোর্ডের ৮৭ পরীক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
২ বছর আগে