জিপিএ-৫
ইটভাটায় কাজ করে জিপিএ-৫ পাওয়া রাজুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা
রাজু হোসেন ইটভাটায় কাজ করে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পায়।
কিন্তু ভালভাবে এইচএসসি পাশ করাই যেন তার কাল হলে।
আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বা পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে তার পক্ষে।
মেধাবী এই শিক্ষার্থী রাজু হোসেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের সন্ধ্যারই খুটিয়াটুলি গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: পায়ে লিখেই গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেল অদম্য মানিক
তার স্বপ্ন আইন বিভাগে লেখাপড়া করা। কিন্তু এই স্বপ্নের পথে বাধা তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা।
বাবা আনোয়ার হোসেন পেশায় ভ্যানচালক ও মা নাজমা বেগম হিমাগারের শ্রমিক। পড়াশোনার খরচ চালাতে রাজু নিজেও ইট ভাটার ট্রলির শ্রমিকের কাজ করে।
দুই ভাইয়ের মধ্যে সে বড়। বাড়ির পাশে মীরডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৪.২২ ও রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে রাজু হোসেন।
রবিবার (১২ ফ্রেরুয়ারি) দুপুরে অদম্য মেধাবী রাজুর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাদের মা-বাবা বাড়ির উঠোনে বসে আছেন। ছেলের এইচএসসি পরীক্ষায় ভাল ফলে উত্তীর্ণ হওয়ায় চোখেমুখে খুশি থাকলেও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ছেলের ভর্তির টাকা নিয়ে। কিভাবে জোগাড় করবেন ভর্তির টাকা। নিজের ভিটে-বাড়ি বা জমিজমাও নাই যে বিক্রি করবেন।
রাজুর বাবা আনোয়ার জানান, ছেলেটা ছোট থেকেই মেধাবী। যার কারণে ওর লেখাপড়ায় কোন ভাটা পড়ুক তা চাইনি। কষ্ট করেই পড়িয়ে যাচ্ছি। কিভাবে যে তার ভর্তি পরীক্ষা জোগার করবো কোন কূল-কিনারা পাচ্ছি না। যদি কেউ সহযোগিতায় আসতেন, তাহলে তার স্বপ্নপূরণ হতো।
ফলাফল প্রকাশের পর আলাপকালে রাজু জানায়, কি করবো আমি বুঝতে পারছি না? ছোট বেলা থেকেই কষ্ট করে আসছি। কখনও কখনও না খেয়ে স্কুলে গিয়েছি, কিন্ত বাদ দেইনি স্কুল ও কলেজের পড়াশোনা। আমি এখন আইন নিভাগ পড়তে চাই। কিভাবে ভর্তি হবো, কিভাবে কী করবো এখন আর মাথায় কাজ করছে না।
আরও পড়ুন: ভ্যান চালিয়ে জিপিএ-৫ পেল রমজান!
এছাড়া আমার স্বপ্নের মাঝে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে আর্থিক অভাব অনটন। বেসরকারি এনজিও ‘আরডিআরএস, থেকে কিছু টাকা লোন করে রংপুরের একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হই পরিক্ষার জন্য।
রাজু জানায়, কিছু টাকা দিয়ে ভর্তি হলেও খাওয়াসহ অন্যান্য খরচ বহন না করতে পারায় আর কোচিং-এ যাওয়া হয়নি তার। এখন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং চলছে, কিন্তু আমার সেই সামর্থ্য নাই যে ভর্তি হবো।
রাজুর মা নাজমা বেগম জানান, দুই ছেলে নিয়ে বহুকষ্টে জীবন চালিয়েছি। এক পর্যায়ে মানুষের বাসায় কাজ শুরু করি। হিমাগারের নারী শ্রমিক হিসবে কাজ করি। তার বাবা ভ্যান চালায়। অর্থের অভাবে এক ছেলের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে। বড় ছেলে রাজু ইটভাটার ট্রলির শ্রমিক ও কখনো ভ্যান চালিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, এত কষ্ট করে আমার ছেলে পড়াশোনা করে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আমি অনেক খুশি হয়েছি। তবে এখন পড়াশোনা কীভাবে চালাবে সে চিন্তায় আছি।
রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক সফিকুর ইসলাম আলম বলেন, সে মাসে একদিন বা দু’দিন কলেজে আসত। তার সংগ্রামের কথা সবাই জানি। সে আমাদের কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে, এটা আমাদের গর্বের বিষয়। অনেক কষ্ট করে সে ভালো ফলাফল করেছে। তার ফলাফলে আমরা অনেক খুশি।
তিনি বলেন, গরিব-অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দানশীল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসা জরুরি।
এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল বারী বলেন, রাজুর এই বিষয়টি আগে জানতাম না। জেনে খুশি হলাম। ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার পক্ষ থেকে তার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা করব ইনশাল্লাহ।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, বিষয়টি যেমনিভাবে কষ্টের, তেমনি অনুপ্রেরণার। পড়াশোনার ইচ্ছাশক্তি থাকলে যে কোনো উপায়ে তা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব, রাজু তাই প্রমাণ করেছে। রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে জিপিএ-৫ না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
ফরিদপুরে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত নির্মাণ শ্রমিকের দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসক
ফরিদপুর সদর উপজেলায় এক নির্মাণ শ্রমিকের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ায় তার লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
সালমান মৃধা (১৬) এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ায় এলাকায় বেশ আলোচনায় এসেছে সে। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাতে হয় তাকে। সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ইজা দুর্গাপুর গ্রামের বিল্লাল মৃধার ছেলে সালমানের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।
সালমান এবার ফরিদপুরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের ঈশান ইনস্টিটিউশনের কারিগরি শিক্ষা বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে জিপিএ-৫ না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
জানা গেছে, সালমানের বাবা মো. বিল্লাল মৃধা অন্যের জমিতে কাজ করে যা পান তা দিয়েই কোনোমতে চলে তাদের সংসার। বাবার পাশাপাশি সালমান অন্যের জমিতে কাজও করে। এছাড়াও নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে সংসারের খরচ বহনের পাশাপাশি চালিয়েছে পড়াশোনা।
সালমান জানান, ‘এসএসসি পাশের পরে উচ্চ মাধ্যমিকের পড়ালেখার খরচ নিয়ে বেশ অনিশ্চয়তায় ছিলাম। আমার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও চিন্তায় ছিল কীভাবে অভাব মিটবে। হঠাৎ করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় আমার পরিবারের সঙ্গে। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে তার পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং তার এই সাফল্যে প্রশাসনের পক্ষে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়। এছাড়াও তিনি আমার ও আমার ছোট ভাইয়ের পড়ালেখার ব্যয়ভার বহনের ঘোষণা দেন।’
জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান, ‘সালমানের সাফল্য দেখে বেশ আনন্দিত হই। পরে জানতে পারি তার পরিবার হতদরিদ্র হওয়ায় সালমানের লেখাপড়া করার মতো অর্থিক অবস্থা নেই। পরে তাকে অফিসে এনে তার ইচ্ছার কথা শুনে সালমান ও তার ছোট ভায়ের লেখা পড়ার দায়িত্ব নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: পায়ে লিখেই গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেল অদম্য মানিক
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ২১৬ জন
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ২১৬ জন
ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার শতকরা ৮৯ দশমিক ০২ শতাংশ। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ২১৬ জন। জিপিএ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে।
ছয় হাজার ৭৬৮ জন ছেলের বিপরীতে আট হাজার ৪৪৮ জন মেয়ে শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শামসুল ইসলাম জানান, এক হাজার ৩০৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক লাখ ৯ হাজার ৯৫২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৯৭ হাজার ৮৮২ জন।
আরও পড়ুন: এসএসসি ফলাফল ২০২২: গড় পাসের হার ৮৭.৪৪%
এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ২১৬ জন। বিজ্ঞান বিভাগে ১৩ হাজার ৯৩৭ জন, মানবিক বিভাগে এক হাজার ৩৭ জন এবং ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ২৪২ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এবারও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। ছয় হাজার ৭৬৮ জন ছেলে ও আট হাজার ৪৪৮ জন মেয়ে শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
শিক্ষাবোর্ডের অধিনে শেরপুর জেলায় পাসের হার ৮৯ দশমিক ১৪ শতাংশ, ময়মনসিংহ জেলায় পাসের হার ৮৮ দশমিক ৯০ শতাংশ, নেত্রকোনা জেলায় ৮৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং জামালপুর জেলায় ৮৯ দশমিক ৫২ শতাংশ।
বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া সাউদা দিহা আবেগ আপ্লুত কন্ঠে জানান, রেজাল্ট কেমন হয় এই চিন্তায় গত দুই রাত ঠিকমতো ঘুমাতে পারিনি। আজ দুপুরে আব্বু যখন ফোন করে রেজাল্টের কথা জানায় আমি গোল্ডেন জিপিএ পেয়েছি তখন আম্মুকে জড়িয়ে ধরে কান্না করেছি। আমার পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। এখন একটা ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারলে খুশি।
বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার জানান,আমি স্বপ্ন দেখি এবং স্বপ্ন দেখাই যত শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিবে সবাই জিপিএ-৫ পাবে। আমার মনে হয়ে আমি স্বপ্নের কাছাকাছি পৌছঁতে পেরেছি। কারণ চলতি বছর ৩১০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে তার মধ্যে ২৮৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি ফলাফল ২০২২: জিপিএ-৫ পেয়েছে ২,৬৯,৬০২ জন শিক্ষার্থী
প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসএসসির ফলাফল হস্তান্তর
এসএসসি: বরিশাল বোর্ডে খাতা পুনঃনিরীক্ষণে ফেল থেকে পাস ২৫১, জিপিএ-৫ ৩০ জনের
এসএসসি পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষণে বরিশাল বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছেন ২৪৯ জন শিক্ষার্থী। আর নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩০ জন পরীক্ষার্থী। পুনঃনিরীক্ষণে বোর্ডের ৩৯২ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে।
এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছেন ২৫১ জন এবং নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩০ জন। এদের মধ্যে দুজন শিক্ষার্থী ফেল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে বোর্ড কৃর্তপক্ষ তাদের ওয়েব সাইটে পুনঃনিরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৩০ কর্মচারীকে একযোগে বদলি
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন জানান, ‘এসএসসির খাতা পুনঃনিরীক্ষার জন্য পাঁচ হাজার ৪৭৯ পরীক্ষার্থী ছয় হাজার ১৩৯টি বিষয়ে আবেদন করেন। খাতা পুনঃনিরীক্ষণে ৩৯২ জনের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছেন ২৫১ জন এবং ফেল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন দুজন। পাশাপাশি সব মিলিয়ে ফল পরিবর্তনে নতুন করে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৩০ পরীক্ষার্থী’।
তিনি জানান, ‘পরীক্ষার খাতা দেখার সময় ভুলবশত কোনো ত্রুটি থাকার কারণেই জিপিএ-৫ এর বদলে ফেল এসেছিলো ওই শিক্ষার্থীদের। যা পুনঃনিরীক্ষায় জিপিএ-৫ এসেছে’।
খাতা প্রথম মূল্যায়নের সময় আরও সতর্ক থাকতে বলা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: যশোর বোর্ডের ৮৭ পরীক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
রাজশাহীতে বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫, এগিয়ে মেয়েরা
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়াও বিভাগে এবারও পাস ও জিপিএ-৫ অর্জনে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা।
রাজশাহী বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম জানান, এবার এসএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৯৪ দশমিক ৭১ শতাংশ। মেয়েদের পাশের হার ৯৫ দশমিক ৪৬ এবং ছেলেরা পাস করেছে ৯৪ দশমিক ০৪ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭ হাজার ৭০৯ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্রী ১৪ হাজার ৭৩৯ জন এবং ১২ হাজার ৯৭০ জন ছাত্র।
তিনি জানান, গতবার এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এর মধ্যে ছাত্রীদের পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক ৪৫ এবং ছাত্ররা পাস করে ৮৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৬ হাজার ১৬৭ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্রী ছিল ১৩ হাজার ৬২১ জন এবং ছাত্র ১২ হাজার ৫৪৬ জন।
আরও পড়ুন: বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৯০.১৯ শতাংশ
আরিফুল ইসলাম জানান, এ বছর রাজশাহী বোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নেয় দুই লাখ ছয় হাজার ৩১৪ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ৯৫ হাজার ৪০৬ জন।
এবার শতভাগ পাসের স্কুলের সংখ্যাও বেড়েছে। এবার পরীক্ষায় অংশ নেয়া দুই হাজার ৬৬৭ স্কুলের মধ্যে শতভাগ পাস করেছে ৩৯৮ স্কুলের শিক্ষার্থীরা। গতবার শতভাগ পাস করা স্কুলের সংখ্যা ছিল ৩০৮টি।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ৯৩.৫৮ শতাংশ
বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৯০.১৯ শতাংশ
বরিশাল বোর্ডে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৯০ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ বছর বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ২শ’ ১৯ জন শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার সকালে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এবারও বরিশাল বোর্ডে পাসের হারে মেয়েরা বরাবরের মতো এগিয়ে রয়েছে। তাদের পাসের হার ৯১ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ছেলেদের পাশের হার ৮৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫১ হাজার ৪৬৩ জন ছেলে এবং ৫০ হাজার ৪শ’ ৫৪ জন মেয়ে উর্ত্তীণ হয়েছে।
বরিশাল বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগে সর্বোচ্চ পাসের হার ৯২ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৯২ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং মানবিক বিভাগে পাসের হার সর্বনিম্ন ৮৮ দশমিক ৭২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ৯৩.৫৮ শতাংশ
কুমিল্লা বোর্ডে পাশের হার ৯৬.২৭ শতাংশ
সনদ কেন্দ্রিক ও নিরানন্দ শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: দীপু মনি
সরকার সনদ সর্বস্ব, পরীক্ষা নির্ভর ও নিরানন্দ শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনে কাজ করছে এবং মূল্যায়ন পদ্ধতি পরিবর্তনের বিষয়ে ভাবছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, জিপিএ-৫ পাওয়া, মেধা যাচাইয়ের একমাত্র পদ্ধতি হতে পারে না। তাই মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তন জরুরী।
সোমবার বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কমিটি ও দৈনিক সমকাল আয়োজিত জাতীয় জীববিজ্ঞান উৎসব ২০২১ এর জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে রিট খারিজ
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা অতীতের শিল্পবিপ্লবগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য সুবিধা নিতে পারিনি তাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আমরা সফল অংশীদার হতে চাই। পাশাপাশি ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর যথাযথ সুফল আমরা নিতে পারিনি। তাই আগামী ১০ বছরে আমাদের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর সুফল নিতে হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবীতে সিলেটে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
তিনি আরও বলেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই'। তাই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন জরুরি। এ লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড এর সভাপতি ড. মোহম্মদ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া ও দৈনিক সমকালের সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি প্রমূখ।
এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েও কী পড়াশোনা থেমে যাবে সোহেলের?
দিনরাত বাবার সাথে তাঁতের কাজ করেও এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন অদম্য মেধাবী সোহেল রানা। স্বপ্ন দেখেন বড় হয়ে প্রকৌশলী হওয়ার।
দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫
দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার গতবারের তুলনায় কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা।
এসএসসিতে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ বেড়েছে
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৭০ ভাগ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৪৮৩ জন। এই বোর্ডে এবার গত বছরের চেয়ে পাসের হার এবং জিপিএ-৫ দুটোই বেড়েছে।