কেনাকাটা
অনলাইন ঈদ শপিং ২০২৫: ঘরে বসে কেনাকাটার জন্য তৈরি পোশাকের শীর্ষ ১০ ব্র্যান্ড
প্রযুক্তির উৎকর্ষে ঈদের কেনাকাটার জন্য প্রত্যেকে এখন অনলাইনমুখী হচ্ছেন। পরিবারের ছোট থেকে বড় প্রতিটি সদস্যের জন্য পছন্দনীয় ড্রেসটি ঘরে বসেই দেখা যাচ্ছে। কেননা কয়েক দশক ধরে প্রসিদ্ধ তৈরি পোশাকের ব্র্যান্ডগুলো এখন আর কেবল শো-রুমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। ডিজিটাল বিপণনের যুগে প্রত্যেকটিরই রয়েছে নিজস্ব অনলাইন স্টোর। চলুন দেখে নেওয়া যাক- ঈদকে সামনে রেখে দেশের শীর্ষস্থানীয় রেডিমেড গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কেমন প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ঈদের অনলাইন কেনাকাটায় তৈরি পোশাকের ১০টি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড
.
আড়ং (Aarong)
১৯৭৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আড়ং-এর পথ চলা। দেশীয় বেসরকারি সংগঠন ব্র্যাকের এই সামাজিক উদ্যোগটি বর্তমানে একটি স্বনামধন্য পোশাক ব্র্যান্ড।
আসছে ঈদে পুরনো ঐতিহ্য বহাল রেখে আবারও দেশীয় সিল্কে সাজতে যাচ্ছে Aarong। হ্যান্ড এম্ব্রয়ডারির বিশেষত্বে কারুকাজের প্রতিটি পরতে মিলবে উৎসবের আমেজ। তারই স্পষ্ট ছাপ রয়েছে পুরো ওয়েবসাইট জুড়ে।
আরো পড়ুন: পবিত্র রমজান ২০২৫-এ ইফতারের জন্য ঢাকার সেরা ১০টি রেস্টুরেন্ট
নতুন আয়োজনে মেয়েদের ক্যাটাগরিতে শোভা পাচ্ছে বর্ণীল সালোয়ার কামিজ। পুরুষদের সেকশনে রয়েছে পাঞ্জাবি ও কোটি। বাচ্চাদের পোশাকেও এম্ব্রয়ডারি, ও সিল্ক প্রিন্টের সরব উপস্থিতি।
পৃথক মেনুতে নজর কাঁড়ছে সাব-ব্র্যান্ড তাগা Taaga ও তাগা ম্যান (Taaga Man)-এর কালেকশন। প্রতিটি পণ্যের জন্য প্রদর্শিত হয় আলাদা ওয়েব পেজ। প্রতি পেজেই সংশ্লিষ্ট পণ্যের বিবরণী থেকে তার মাপ জেনে নেওয়া যায়। অতঃপর সব ঠিকঠাক হলে ঘরে থেকেই সেরে ফেলা যায় অর্ডারের কাজ।
আড়ং-এর সেবা ছড়িয়ে আছে ঢাকার সর্বত্রে। উত্তরা, গুলশান, মগবাজার, ধানমন্ডি, বনানী, মিরপুর, ওয়ারি’তে রয়েছে প্রশস্ত শো-রুম।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://www.aarong.com
আরো পড়ুন: খেজুরের রকমফের: জেনে নিন ১০ প্রকার খেজুরের পুষ্টি, স্বাস্থ্যগুণ ও দাম
ইয়োলো (Yellow)
বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকানাধীন এই পোশাক ব্র্যান্ডটির আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০০৪ সালে। দীর্ঘ এক দশকের অভিজ্ঞতা নিয়ে অফলাইনের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনেও সমান জনপ্রিয়।
ওয়েবসাইটের সাবলীল ইন্টারফেসে প্রথমেই রয়েছে বসন্ত ও গ্রীষ্মের সমন্বয়ে ঈদ কালেকশন মেনু। তারপরেই পাওয়া যাবে নতুন সংযোজিত পণ্যসমূহ। অতঃপর একে একে পুরুষ, নারী, ও বাচ্চাদের ড্রেসের জন্য পৃথক ট্যাব। প্রত্যেকটি সেকশন আলাদা ওয়েব পেজে নিয়ে যেখানে ক্যাটাগরির ভিত্তিতে ড্রেস বাছাই করা যায়।
যথারীতি সর্বত্রে Yellow-এর ফরমাল ও ক্যাজুয়াল সমন্বয়ের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। ছোট থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের পুরুষদের জন্য সাজানো আছে স্টাইলিশ পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট ও জিন্স দিয়ে। অপরদিকে নারীদের জন্য সালোয়ার কামিজ, টপ্স ও বটম, কুর্তি, এমনকি শাড়িও আছে।
ঢাকাসহ সারা দেশব্যাপি ছড়িয়ে রয়েছে ইয়োলোর ডেলিভারি সেবা। ঢাকার মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অবস্থিতি হলো বসুন্ধরা সিটি, বনানী, গুলশান, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, উত্তরা, বেইলি রোড, ওয়ারী ও মগবাজারে।
স্টোর লিঙ্ক: https://www.yellowclothing.net
আরো পড়ুন: রাতে বাসে বা গণপরিবহনে নিরাপদে ভ্রমণে কিছু সতর্কতা
এক্সট্যাসি (Ecstasy)
১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকেই তরুণদের মধ্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত একটি ব্র্যান্ড এক্সট্যাসি। এর অনলাইন স্টোরে প্রবেশের পরপরই স্বাগত জানায় তানজিম স্কোয়াড। Ecstasy-এর অধীনে পুরুষদের হাল ফ্যাশনের সাব-ব্র্যান্ড এই ‘তানজিম’ (Tanjim)। একই ভাবে নারীদের জন্য রয়েছে ‘জারজাইন’ (Zarzain)।
দুটো ক্যাটাগরির ওয়েব পেজগুলোতেই রয়েছে রকমারি পোশাকগুলোকে দামসহ এক নজরে দেখার সুবিধা। তানজিমে চোখে পড়ে পিন্স্ট্রিপড শার্ট, স্কোয়াড টি-শার্ট, এবং ঈদের পাঞ্জাবি। অন্যদিকে, জারজাইনে কাফতান, শ্রাগ, ও টপ্স-এর প্রাধান্য বেশি।
রাজধানীতে এক্সট্যাসির মূল আউটলেটগুলো হলো যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা সিটি, গুলশান এভিনিউ, ধানমন্ডি, উত্তরা ও ওয়ারি।
ওয়েব লিঙ্ক: https://ecstasybd.com/
আরো পড়ুন: মরণঘাতী ড্রাগ ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ থেকে বাঁচতে করণীয়
সেইলার (Sailor)
এপিলিয়ন গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সেইলারের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৮ সালে। বর্তমান সময়ে পোশাক-কেন্দ্রিক ই-কর্মাস সাইটগুলোতে দারুণ একটি সংযোজন এর ডিজিটাল স্টোরটি।
ট্রেন্ডি ও আরামদায়ক পোশাকগুলো এখানে নিজেদের পছন্দ মতো বেঁছে নিতে পারেন ক্রেতারা। স্পষ্ট ক্যাটাগরি বিভাজন থাকায় পুরুষ, নারী ও শিশুদের পোশাক সহজেই খুঁজে বের করা যায়। ছবি, পণ্যের বিবরণ ও ফিল্টারিং সুবিধা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
পুরুষদের সেকশনে ঈদের জন্য রয়েছে ফিউশন পাঞ্জাবি, যা ঐতিহ্য ও আধুনিক স্টাইলের অনন্য মিশ্রণ। পরিবারের ছোট সদস্যদের জন্যও রাখা হয়েছে আরামপ্রদ এই পরিধেয়টি। নারীদের ক্যাটাগরিতে নজর কাঁড়ছে কুর্তি ও নিটেড টপ-বটম সেট।
Sailor সারা দেশ জুড়ে ড্রেস ডেলিভারি করে থাকে। ঢাকার মধ্যে এর প্রধান শাখাগুলো রয়েছে ওয়ারি, উত্তরা, ধানমন্ডি, আদাবর, মিরপুর, এবং খিলগাঁও-এ।
ই-স্টোর লিঙ্ক: https://www.sailor.clothing
আরো পড়ুন: পবিত্র ওমরাতে যাওয়ার পূর্বপ্রস্তুতি ও কিছু সাবধানতা
লা রিভ (Le Reve)
রিভ টেক্স লিমিটেডের লা রিভ ব্র্যান্ডের গোড়াপত্তন হয় ২০০৯ সালে। বর্তমানে এটি দেশীয় ফ্যাশনে নিজস্ব স্বকীয়তা ও মানের জন্য সুপরিচিত। সমগ্র ঢাকা জুড়ে Le Reve-এর সরব উপস্থিতি বিদ্যমান। তন্মধ্যে বেইলি রোড, বনশ্রী, বাসাবো, ধানমন্ডি, ওয়ারী, মিরপুর, বসুন্ধরা, মোহাম্মদপুর ও গুলশানের স্টোরগুলো প্রায় ক্রেতাদের সমাগম থাকে।
অফলাইনের মতো এর অনলাইন প্ল্যাটফর্মটিও বেশ ইন্টারঅ্যাক্টিভ। বিভিন্ন বয়সের জন্য নির্ধারিত এদের সেরা ড্রেসগুলো সৃজনশীল শিরোনামে প্রদর্শিত হয়েছে হোমপেজ জুড়ে। ফলে প্রাসঙ্গিক মেনু বা ট্যাবগুলোতে অনায়াসেই চলে যাওয়া যায় কাঙ্ক্ষিত ড্রেসটির খোঁজে।
নারীদের সালোয়ার কামিজ এবং পুরুষদের পাঞ্জাবির সমন্বয়ে সুবিন্যস্ত ঈদ কালেকশনে প্রমাণ মিলছে লা রিভের স্বকীয়তার। রেস্পন্সিভ ডিজাইনের ওয়েবসাইট হওয়ায় যে কোনও ডিভাইস থেকেই তা খুটিয়ে দেখে নিতে পারছেন ক্রেতারা।
ই-স্টোর লিঙ্ক: https://www.lerevecraze.com/
আরো পড়ুন: পুরুষদের ফরমাল পোশাক ও স্যুট বানানোর জনপ্রিয় কিছু দেশি ব্র্যান্ড
কে ক্র্যাফ্ট (Kay Kraft)
ঐতিহ্য ও আধুনিক ফ্যাশনের সমন্বয়ে নান্দনিক বুনন শৈলীর এক অনন্য নাম কে ক্র্যাফ্ট। ১৯৯৩ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি ব্র্যান্ড হয়ে উঠতে খুব বেশি সময় নেয়নি। বর্তমানে ঢাকার ব্যস্ততম কেনাকাটার জায়গা মানেই Kay Kraft। এদের আউটলেট রয়েছে বেইলি রোড, বনশ্রী, বাসাবো, মিরপুর, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, শাহবাগ, ওয়ারী, বসুন্ধরা, ও গুলশান-এ।
ব্র্যান্ডটির বিশেষত্ব হচ্ছে চক্ষু শীতল রঙের আভরণে অভিজাত ডিজাইন। এর সুবিন্যস্ত চিহ্ন ছড়িয়ে আছে ডিজিটাল শো-রুমের প্রদর্শনীতেও। পুরুষদের ড্রেসে কাট নির্ভর এক রঙা ফিটেড মাপ আর নারীদের ক্ষেত্রে রেট্রো, ফিউশন, ও লং প্যাটার্নের প্রাধান্য। একই বৈশিষ্ট্যের দেখা বাচ্চাদের পোশাকেও।
প্রতিটি ড্রেসের বিশদ পর্যালোচনার জন্য পুরো ওয়েব পেজ জুড়ে রয়েছে ধরণ, রঙ, ও পরিমাপসহ বিভিন্ন মাপকাঠি। সহজ ইন্টারফেস শপিং কার্ট থেকে চেকআউট পর্যন্ত ক্রেতাদের সাবলীল বিচরণ অব্যাহত রাখে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://www.kaykraft.com/
আরো পড়ুন: গহনায় ব্যবহৃত মূল্যবান কিছু রত্নপাথর
রঙ বাংলাদেশ (Rang Bangladesh)
১৯৯৪ সালে খুব ছোট্ট পরিসরে শুরু হওয়া রঙ এখন ‘বিশ্ব রঙ’ এবং ‘রঙ বাংলাদেশ’-এর মতো জনপ্রিয় দুটি ব্র্যান্ডের কর্ণধার। রাজধানী জুড়ে Rang Bangladesh-এর বর্ণীল অবস্থিতি আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে।
প্রতি ঈদের মতো এবারেও প্রতিষ্ঠানটির নতুন সংগ্রহশালার মূল উপজীব্য দেশীয় রঙ ও আবহ। তারই উন্মুক্ত প্রতিফলন সমগ্র হোমপেজ জুড়ে।
শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সকলের জন্য বিশদ তথ্যে ভরপুর প্রতিটি ড্রেসের প্রদর্শনী। লিনেন, ভিসকস, জ্যাকার্ড কটন, বারফি, ও জর্জেট প্রতিটি ধরণ চোখের সামনে ভেসে উঠছে ভিন্ন রঙ ও পরিমাপ নিয়ে।
নিয়মিত বিপণীতে মুখর বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত স্কয়ার, টোকিও স্কয়ার এবং ওয়ারি; প্রতিটিতেই রয়েছে রঙ বাংলাদেশের শো-রুম।
অনলাইন স্টোর: https://rang-bd.com/
আরো পড়ুন: হাই হিল কিভাবে পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে এলো?
অঞ্জন্স (Anjan’s)
দেশের ফ্যাশন হাউজের অন্যতম অগ্রপথিক অঞ্জন্স-এর প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৯৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। প্রতি উপলক্ষে তাদের নতুন কালেকশনে থাকে সমসাময়িক ঋতুর আবহ।
এবারের ঈদেও তার ব্যতিক্রম ঘটছে না। চৈত্রের মধ্য দিয়ে বসন্তের পরিসমাপ্তি অতঃপর গ্রীষ্মের আগমন। ঋতুর এই পালাবদলের প্রতিমূর্তি যেন Anjan’s-এর ঈদ কালেকশন-২০২৫ ওয়েব পেজটি।
পরিধেয়ের সৌষ্ঠবে হাল্কা আরামপ্রদ ভাব রাখা হলেও মোটেই কারপণ্য করা হয়নি শৈলীর সৃজনশীলতায়। প্রদর্শনীতে দেওয়া পটভূমির সাথে মানানসই ছবিগুলো অকপটেই ঘোষণা করে যে ঠিক কোন পরিবেশে ক্রেতাকে কেমন দেখাবে।
ফিল্টারিং ও সার্চিং-এর সহজ ইন্টারফেসের সাথে এরা আরও যুক্ত করেছে একাধিক পণ্যের মধ্যে তুলনা করার ফিচার। তাই শপিং কার্ট থেকে চেকআউটের সময় সিদ্ধাহীনতার কোনও অবকাশ নেই।
ঢাকায় অঞ্জন্স-এর শাখা আছে উত্তরা, বেইলি রোড, মালিবাগ, বনানী, মিরপুর, ধানমন্ডি, এবং ওয়ারিতে।
ডিজিটাল স্টোর লিঙ্ক: https://www.anjans.com/
আরো পড়ুন: জেনে নিন কোন লিপস্টিক আপনাকে সবচেয়ে বেশি মানাবে
টুয়েল্ভ ক্লদিং (Twelve Clothing)
টিম গ্রুপের দ্বাদশ উদ্যোগ হিসেবে ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর চালু হয় টুয়েল্ভ ক্লদিং। সাম্প্রতিক সময়ে দ্রুত সময়ে নির্ভরতা অর্জন করা ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে Twelve Clothing একটি।
এর ড্রেসগুলোর আসল বিশেষত্ব লুকিয়ে থাকে এর তৈরি প্রক্রিয়ায়। এম্ব্রয়ডারি, স্ক্রিনপ্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট, ও কারচুপির অনবদ্য পরিস্ফুটন ঘটে প্রতি পোশাকে। যার প্রমাণ পাওয়া যাবে নির্দিষ্ট পোশাকের ওয়েব পেজে প্রবেশ করলে।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে সাইটের এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ফিচার। এর মাধ্যমে যে কোনও পোশাকের পেজে ঢুকে নিজের ছবি আপলোড করে ভার্চুয়াল ট্রায়াল দেওয়া যাবে।
এছাড়াও রয়েছে কাঙ্ক্ষিত ড্রেসটির তুলনামূলক যাচাইয়ের সুবিধা।
রাজধানী কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানটির শাখাগুলো হলো- বেইলি রোড, বনশ্রী, খিলগাঁও, মিরপুর, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, ওয়ারি, উত্তরা, এলিফ্যান্ট রোড, বসুন্ধরা, এবং গুলশান।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://twelvebd.com/
আরো পড়ুন: নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কমানোর উপায়
দেশাল (Deshal)
দেশীয় ঘরানা ও পদ্ধতির পোশাকশিল্পীদের একটি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করা। এমনই সুদূরপ্রসারি ভিশন নিয়ে ২০০৫ সালে শুরু হয় দেশাল-এর কার্যক্রম। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির পরিব্যাপ্তি ঢাকার প্রতিটি ব্যস্ত এলাকায় লক্ষণীয়। এর মধ্যের রয়েছে বনানী, উত্তরা, বসুন্ধরা সিটি, ধানমন্ডি, শাহবাগ, বেইলি রোড, মোহাম্মদপুর, ও মিরপুর।
তৈরি পোশাক শিল্পের প্রথম সারির ই-কমার্স সাইটগুলোর মধ্যে Deshal একটি। দেশীয় সংস্কৃতির উদাত্ত বহিঃপ্রকাশের ছাপ মেলে সাইটের হোমপেজ থেকেই। অতঃপর প্রধান মেনুগুলোর মধ্যে শিশু, নারী, পুরুষ ক্যাটাগরির প্রত্যেকটিতে একই সংস্কৃতির পরিচয়।
এবার আলাদা করে দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ঈদ ২০২৫ ট্যাবটি। ক্রয়ের জন্য যাবতীয় তথ্যের পাশাপাশি প্রাঞ্জল বাংলা শিরোনাম বিকশিত করছে পোশাকের মানকে।
অর্ডার থেকে চেকআউট অব্দি নেই ঘন ঘন পেজ পরিবর্তনের বিড়ম্বনা। তাই সাবলীলতার দিক দিয়ে অন্যান্য সাইটগুলোর তুলনায় এখানকার অনলাইন শপিংটা একটু এগিয়ে।
সাইট লিঙ্ক: https://www.deshal.net/
আরো পড়ুন: নিরাপদে স্ট্রিট ফুড খাওয়ার ১০টি উপায়
পরিশিষ্ট
তৈরি পোশাকের এই ১০টি স্বনামধন্য ব্র্যান্ডের অনলাইন স্টোরগুলো ক্রেতাদের কেনাকাটায় যুগান্তকারি প্রভাব ফেলছে। দীর্ঘ দিনের নির্ভরতার দৌলতে প্রিয় ব্যান্ডের ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারছেন প্রত্যেকে।
স্বতন্ত্র শৈলীর গুনমুগ্ধরা পুরনো ‘আড়ং’ ও ‘কে-ক্র্যাফ্ট’ তে দেখছেনই। সেই সাথে চোষে বেড়াচ্ছেন নতুন ‘রঙ বাংলাদেশ’ এবং ‘অঞ্জন্স’-এর স্টোরগুলোও। ডিজিটাল স্ক্রিনিং-এর যথাযোগ্য সদ্ব্যবহার করে নিজেদের বিশেষত্বগুলো মেলে ধরছে ‘এক্স্ট্যাসি’, ‘সেইলার’, ও ‘টুয়েল্ভ ক্লদিং’। পিছিয়ে নেই হাল ফ্যাশনের ‘ইয়োলো’, ‘লা রিভ’, এবং ‘দেশাল’ও।
সর্বপরি, এই অনলাইন ঈদ শপিং সামগ্রিকভাবে নতুন মাত্রা যোগ করছে ক্রেতাদের নিত্য-নৈমিত্তিক জীবনধারণে।
আরো পড়ুন: বাসা-বাড়ির রান্নায় সিলিন্ডার গ্যাসের খরচ কমাবেন যেভাবে
১৮ দিন আগে
কলকাতায় কেনাকাটার জনপ্রিয় স্থান
ঈদের আগের দিনগুলো মানেই পোশাক, উপহার এবং সুস্বাদু খাবারের কেনাকাটা। রঙিন ব্যানার ও আলোক-সজ্জার রাস্তাগুলো যেন প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে ক্রেতা-বিক্রেতার দর কষাকষিতে। এ দোকান সে দোকান ঘুরে প্রিয় জিনিসটি খুঁজে বের করার উন্মাদনা ঈদের আনন্দের সঙ্গে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। আর এই কেনাকাটা বাংলার ঐতিহ্যবাহী শহর কলকাতায় হলে সেই উৎসব মুখরতার সঙ্গে যেন যোগ হয় ভ্রমণের আনন্দ।
শত বছরের সংস্কৃতি মিশে থাকা এই শহরের কোলাহলপূর্ণ বাজারগুলো যেন রঙ এবং স্বাদের চির অর্বাচীন ফেরিওয়ালা। শপিং উৎসাহী বাঙালিদের প্রত্যাশিত এই গন্তব্যকে নিয়েই আজকের নিবন্ধ। চলুন, কলকাতায় গিয়ে কোথায় কী কিনবেন তা বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কলকাতার সবচেয়ে জনপ্রিয় কয়েকটি শপিংমল
কলকাতা নিউ মার্কেট
ঔপনিবেশিক যুগের প্রাচীনতম বিপণীগুলোর মধ্যে অন্যতম এই শপিংমল যে কোনো উৎসবে কলকাতার ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ। জুতা, শাড়ি, বিদেশি ফুল ও স্থানীয় প্রসিদ্ধ খাবারের দোকানগুলোতে থাকে উপচে পড়া ভিড়। কেননা সুনামের পাশাপাশি এদের রয়েছে বিশদ সংগ্রহ। তাছাড়া একটি নির্দিষ্ট আইটেমের সব দোকান আলাদা আলাদা ব্লকে সুবিন্যস্তভাবে সাজানো। তাই ২ হাজারেরও বেশি দোকান থাকলেও পছন্দের জিনিসটি খুঁজে পেতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় না ক্রেতাদের। লিন্ডসে স্ট্রিটে অবস্থিত এই সুপরিচিত জায়গাটি নিমেষেই খুঁজে পান বাইরে থেকে আগত পর্যটকরা।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডের ক্রাবি ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
গড়িয়াহাট বাজার
বালিগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন বাজারটি গড়িয়াহাটের অন্যতম বিখ্যাত মল। দীর্ঘ প্রসারিত জায়গা জুড়ে বিস্তৃত রাস্তার দুপাশে দোকানগুলো জামাকাপড়, গহনা এবং ইলেকট্রনিক আইটেমের বিশাল সংগ্রহশালা। বড় দোকান ছাড়াও ছোট ছোট অস্থায়ী তাঁবুগুলোতে বসে স্বল্প দামের বিপণী। দোকানের বাইরে ঝুলে থাকা নানা আইটেমের সঙ্গে চকচকে আলোগুলো মাঝের দীর্ঘ রাস্তাকে আলোকিত করে রাখে। এখানকার রেস্তোরাঁ এবং খাবারের দোকানগুলোর অবস্থান এমন জায়গাতে যেন কেনাকাটার ফাঁকেই হুট করে যে কেউ খেতে বসে যেতে পারে।
অবনী রিভারসাইড মল
হুগলি নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত এই ৫ তলা শপিংমলটি যেন নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছে। এর ভেতরে ২০০টিরও বেশি ব্র্যান্ডেড স্টোর সারা দিন ধরে আটকে রাখে ক্রেতাদের। শুধু কি তাই! সুপারশপের মুদি থেকে শুরু করে প্যান্টালুনের পোশাক এবং আর্চিসের অনন্য উপহার সবকিছু পাওয়া যায় এখানে। এছাড়া সিনেমা উপভোগ করার জন্য আছে একটি পিভিআর থিয়েটার। কেনাকাটা করতে যেয়ে খিদে পেয়ে গেলে তার জন্যও রয়েছে জনপ্রিয় সব রেস্তোরাঁ এবং ফুড ক্যাফে।
আরও পড়ুন: আইসল্যান্ড ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
সাউথ সিটি মল
কলকাতা শহরের দক্ষিণ প্রান্তে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে প্রায় ১০ লাখ বর্গফুটের জায়গা নিয়ে এই মলটির অবস্থান। এই অত্যাধুনিক মলে একচেটিয়াভাবে ব্যবসা করে চলেছে দেশ-বিদেশের নামকড়া সব ব্র্যান্ডগুলো। সম্প্রতি চালু হওয়া নতুন বিশাল ফুড কোর্টে জায়গা পেয়েছে মেইনল্যান্ড চায়না, চিলিস, স্টারবাক্স সহ স্বনামধন্য অনেক খাবারের ব্র্যান্ড। সারা বিপণী ঘুরতে যেয়ে স্বাদ বদলের জন্য রয়েছে মাল্টিপ্লেক্স। এখানে শপিং উৎসাহী ও সিনেমাপ্রেমি দু’শ্রেণীর মানুষেরই ভিড় হয়।
কোয়েস্ট মল
পার্ক সার্কাসের সৈয়দ আমির আলী এভিনিউয়ের এই অভিজাত মলটি তরুণ এবং ব্যবসায়ী উভয়কেই আকর্ষণ করে। ২০১৩ সালে উদ্বোধন করা এই মল শহরের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মলগুলোর একটি। মান সম্পন্ন পোশাকের দোকানের পাশাপাশি খাবার, গেমিং, ও মাল্টিপ্লেক্স সুবিধা খুব কম সময়েই কোয়েস্ট মলের জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে। এখানে আইনক্স মাল্টিপ্লেক্সে রয়েছে ছয়টি স্ক্রিন। এছাড়া রয়েছে চিলিস, বোম্বে ব্রাসেরি, স্মোক হাউস ডেলি, ও সেরাফিনার মতো কলকাতার সেরা সব রেস্তোরাঁ।
সিটি সেন্টার ১ শপিং মল
সল্টলেকের এই টুইন মলটিতে শহরের সব ধরণের লোকেরই সমাগম ঘটে। স্বভাবতই মলের প্রতিটি আউটলেটেই থাকে উপচে পড়া ভিড়। বিশাল এই মলের অন্যতম আকর্ষণ হল এর কেন্দ্রে জলাশয় সমৃদ্ধ কয়েকটি ধাপযুক্ত প্লাজা, যাকে কুণ্ড বলা হয়। এই বিরাট স্থাপনাকে ঘিরে দর্শনার্থীরা বসে সময় কাটাতে পারেন। মনোরম অভ্যন্তরীণ সজ্জার অ্যাম্ফিথিয়েটারে চলে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। আর হাল ফ্যাশনের পোশাকের দোকানগুলো স্বতন্ত্র শৈলী নিয়ে আকৃষ্ট করে ক্রেতাদের।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ভারতের ডাবল এন্ট্রি ভিসা পাওয়ার উপায়
৩১৬ দিন আগে
ঈদের কেনাকাটায় জনপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
পোশাক বিপণনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ঈদের মৌসুম। বিশেষ করে ঈদুল ফিতরকে উদ্দেশ্য করে রোজা শুরু হতে না হতেই সরব হতে শুরু করে পোশাকের বাজার। নতুন কাপড়ের উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখতে নিজেদের প্রিয় ব্র্যান্ডের শরণাপন্ন হন ফ্যাশন সচেতন ক্রেতারা। এই শৌখিন শ্রেণিটিকে উদ্দেশ্য করে নিজেদের নতুন শৈলী নিয়ে হাজির হয় দেশ সেরা ব্র্যান্ডগুলো। এই উপলক্ষে চলুন, দেশের জনসমাদৃত ১০টি পোশাক ব্র্যান্ডের ঈদ সংগ্রহ দেখে নেওয়া যাক।
ঈদের বাজারে লোকপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
আড়ং
বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ বেসরকারি সংগঠন ব্র্যাকের সামাজিক উদ্যোগ হিসেবে আড়ংয়ের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর। প্রতিষ্ঠাতা আয়েশা আবেদ এবং আমেরিকান শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী মার্থা চ্যান।
প্রতিবারের মতো এবারও দেশীয় সিল্ক ও মসলিনের মতো দামি ফেব্রিকের সংমিশ্রণ ঘটাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। স্বভাবতই এক্সক্লুসিভ কালেকশনের অন্যতম আকর্ষণ হ্যান্ড এম্ব্রয়ডারি। কাট, প্যাটার্ন ও নকশার সমন্বয়ে করা প্রতিটি পোশাকেই ফ্যাব্রিক নির্বাচনে গুরুত্ব পেয়েছে উৎসবমুখরতা ও স্বস্তি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পুরুষদের পোশাকের সেরা ব্র্যান্ডসমূহ
মেয়েদের সালোয়ার কামিজে প্রাধান্য পেয়েছে লেয়ারিং ডিজাইন। পরিচিত রঙের সঙ্গে রয়েছে সাগর নীল, ল্যাভেন্ডার, টিল, প্লাম, মিন্ট গ্রিন, আইভরি, ময়ুর নীল, ও প্যাস্টালের মতো ভিন্নধর্মী রঙের ব্যবহার।
পুরুষদের পাঞ্জাবিতে থাকছে বয়সভিত্তিক বিচিত্র ডিজাইন। গরমকে কেন্দ্র করে তরুণদের পাঞ্জাবিগুলো প্রায় সবই খুব হালকা নকশার।
কে-ক্র্যাফট
১৯৯৩ সালে দেশের ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র ও শৈলীকে উপজীব্য করে খালিদ মাহমুদ খান এবং শাহনাজ খান প্রতিষ্ঠা করেন কে-ক্র্যাফট।
প্রতি উৎসবের মতো এবারও পুরুষদের জন্য নিজস্ব স্টাইলের রেগুলার ও ফিটেড পাঞ্জাবির সংগ্রহ রেখেছে কে-ক্র্যাফট। পাশাপাশি রয়েছে কাট নির্ভর একরঙা পাঞ্জাবিও।
আরও পড়ুন: এই গরমে ট্যানিং এড়াতে কিছু টিপস
নারীদের জন্য নির্ধারিত পোশাক সারিতে দেখা গেছে ঐতিহ্য, ক্ল্যাসিক, রেট্রো, ফিউশন, ও লং প্যাটার্ন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম ডাবল লেয়ার্ড সালোয়ার কামিজ, ডাবল লেয়ার্ড কুর্তি, টিউনিক, কাফতান, এবং টপ্স-পালাজো সেট। এ ছাড়া শাড়ির ক্যাটাগরিকে সমৃদ্ধ করেছে কটন, মসলিন, সিল্ক, খাদি মসলিনের বৈচিত্র্যগুলো।
প্যাটার্ন, ফ্যাব্রিক এবং রঙের দিক দিয়ে বড়দের মতো বাচ্চাদের পোশাকেও মিলছে একই বৈশিষ্ট্যের দেখা।
রঙ বাংলাদেশ
বিপ্লব সাহা, সৌমিক দাস, মামুন আল কবির এবং জাকিরুল হায়দার। ১৯৯৪ সালে সদ্য স্নাতক পাশ করা এই চার বন্ধু মিলিত প্রচেষ্টায় জন্ম নেয় রঙ। কবির এবং হায়দার কয়েক বছরের মধ্যে তাদের অংশীদারিত্ব ছেড়ে দেন। কিন্তু বিপ্লব এবং সৌমিক টানা ২১ বছর ধরে চালিয়ে যান কাপড়ের ব্যবসা। অতঃপর ২০১৬ সালে, রঙ ‘বিশ্ব রঙ’ এবং ‘রঙ বাংলাদেশ’- এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়। এখানে ‘বিশ্ব রঙ’-এর কর্ণধার বিপ্লব সাহা, আর ‘রঙ বাংলাদেশ’-এর একমাত্র মালিক সৌমিক দাস। প্যারেন্ট কোম্পানি ‘রঙ’-এর দৌলতে বর্তমানে দুটোই বেশ স্বনামধন্য ব্র্যান্ড।
আরও পড়ুন: প্যারিস ফ্যাশন উইক: বেলা হাদিদের শরীরে জাদুকরী 'স্প্রে প্রিন্টেড' পোশাক
ঈদুল ফিতর ২০২৪ কে উপলক্ষ করে ‘রঙ বাংলাদেশ’ নিয়ে এসেছে ৪ উপাদান বিশিষ্ট ক্লাসিক্যাল থিম।
এগুলো হচ্ছে বাতাস, আগুন, পানি ও মাটি। এই থিমের সঙ্গে সব ধরনের পোশাকের নকশায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দেশীয় সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় আবহকে।
গ্রীষ্মের উষ্ণতার সঙ্গে মানিয়ে চলতে পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন হালকা ওজনের ফেব্রিক। এগুলোর মধ্যে আছে স্লাব কটন, লিনেন, জ্যাকার্ড কটন, হাফসিল্ক, বারফি, জর্জেট ও ভিসকস। আর রঙের ভিত্তিতে প্রাধান্য পেয়েছে মেরুন, ফিরোজা, নীল, আকাশী, লাল, খয়েরি, হালকা কমলা, গাঢ় সবুজ ও কফি রঙগুলো।
অঞ্জন্স
১৯৯৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শাহীন আহমেদের হাত ধরে শুরু হয় অঞ্জন্সের পথ চলা। এবারের ঈদে অঞ্জন্সের নকশা শৈলী, রঙ ও ফেব্রিকে থাকছে বসন্ত থেকে গ্রীষ্মে রূপান্তরের আবহ।
সালোয়ার কামিজ ও ওড়নার মুল উপাদান লিনেন, জ্যাকার্ড কটন, রেয়ন, ডুপিয়ান, ও হাল্কা সিল্ক।
আরও পড়ুন: হাই হিল কিভাবে পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে এলো?
শাড়ি বিভাগে ঠায় পেয়েছে মসলিন, রাজশাহী বলাকা সিল্ক, টাঙ্গাইল কটন, লিনেন কটন, ও ভয়েল কাপড়। কামিজের পাশাপাশি শাড়ির নকশারও বিশেষ বিষয় ব্লকপ্রিন্ট, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন প্রিন্ট, কারচুপি ও ডিজিটাল প্রিন্ট।
কাপড় ও নকশার একই রকম হাল্কা কাজ দেখা যাচ্ছে পুরুষদের সেরা পোশাক পাঞ্জাবিতেও। স্লিম ফিট, কলিদার কাট, ও রেগুলার ফিট সব ধরনের আকারই মিলবে এবারের ঈদ আয়োজনে।
এক্স্ট্যাসি
১৯৯৭ সাল থেকে শুরু হওয়া দেশের স্বনামধন্য রেডিমেড পোশাক ব্র্যান্ড এক্স্ট্যাসির প্রতিষ্ঠাতা তানজিম আশরাফুল হক। এক্স্ট্যাসির অধীনে পুরুষদের জন্য স্বতন্ত্র ব্র্যান্ড ‘তানজিম’ এবং নারীদের জন্য ‘জারজাইন’। শুধুমাত্র তরুণদেরকে উদ্দেশ্য করে গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠানের সর্বাঙ্গীন মনোনিবেশ থাকে হাল ফ্যাশনের প্রতি।
সাধারণত পার্টি পরিধান, বোতাম-সমেত লম্বা হাতা, পিনস্ট্রিপ্ড শার্ট, ক্যাজুয়াল টি-শার্ট, ডেনিম জিন্স, এবং স্পোর্টস জ্যাকেট পুরুষদের মুল আকর্ষণ। এর সঙ্গে উৎসবগুলোতে যুক্ত হয় তানজিম স্কোয়াডের টি-শার্ট ও তানজিম পাঞ্জাবিগুলো। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে জারজাইনের কাফতান, শ্রাগ, টপস, শার্ট, এবং টপ-বটম সেট সর্বাধিক বিক্রয়ের তালিকায়। বিশেষ করে যারা এক রঙের পোশাক পরতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এই এক্স্ট্যাসি সেরা।
আরও পড়ুন: নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কমানোর উপায়
৩৬৭ দিন আগে
রেস্তোরাঁ-শপিং মলে প্রবেশের আগে যে বিষয়গুলোতে সাবধান থাকা জরুরি
কারো জন্য বিনোদন, কারো কাছে ঘনিষ্ঠ জনদের সঙ্গে ভালো কিছু সময় কাটানো, কারো বা জীবিকার একমাত্র গন্তব্য। কিন্তু পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবে এই কর্মযজ্ঞই পরিণত হচ্ছে ধ্বংসযজ্ঞে। এই ডিস্টোপিয়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে রাজধানীবাসীর জন্য। নিয়মবহির্ভূত ভবনের নকশা, পরিচালনা সংস্থাগুলোর মধ্যকার সমন্বয়হীনতা এবং দুর্নীতির খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এমতাবস্থায় ভবনে প্রবেশের সময় জীবন বাঁচানোর জন্য সাবধান হতে হবে ভোক্তা শ্রেণীকেই। চলুন, দেখে নেওয়া যাক রেস্তোরাঁ বা শপিং মলে প্রবেশের সময় কোন বিষয়গুলোর প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা জরুরি।
বহুমুখী ভবনগুলোতে প্রবেশকালে সাবধানতা কেন এখন সময়ের দাবি
ফায়ার সার্ভিসের মতে, ২০২৩ সালে সারাদেশে মার্কেটসহ নানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ৫ হাজার ৩৭৪টির মধ্যে ৪২৪টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে আবার ৫৮টি শপিং মল, যেগুলোর মধ্যে ৯টি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, ১৪টি মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ, এবং ৩৫টি রয়েছে সাধারণ ঝুঁকিতে।
এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে বিগত কয়েক দশক ধরে অভ্যস্ত হয়ে গেছে অসহায় ঢাকাবাসী। সমস্যাযুক্ত ভবনগুলো নিয়ে বছরের পর বছর ধরে মামলা চলছে। প্রায়ই পিছিয়ে যাচ্ছে ভবন নিরীক্ষণের দিনক্ষণ। যথারীতি নিয়ম মেনে নির্মাণ বিধিতে আসছে পরিবর্তন। কিন্তু থেমে নেই সাধারণ মানুষের মৃত্যু। বরং বিষয়টি এখন এমন এক পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়েছে যে, এর সঠিক সুরাহা করতে লেগে যাবে অনেকটা সময়। কেননা ত্রুটিপূর্ণ ভবনগুলো এক নিমেষে ভেঙে ফেলা বা সঠিক নকশা দিয়ে আদ্যোপান্ত বদলে ফেলা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: আবাসিক ভবনের রেস্তোরাঁ বন্ধের দাবিতে রিট
রেস্তোরাঁয় ভরা ভবন বা অতিকায় শপিং মলে যাওয়াটা জীবনের চেয়ে কতটা গুরুত্বপূর্ণ- এখন সেই হিসাব-নিকাষের সময় এসেছে। সব চাহিদার বিসর্জন দিয়ে হলেও সেই মৃত্যুকূপগুলো থেকে দূরে থাকার কোনও বিকল্প নেই। আর অগত্যা যদি যেতেই হয়, তবে সেক্ষেত্রে অবলম্বন করা উচিত আপোষহীন সতর্কতা।
রেস্তোরাঁ বা শপিং মলে দুর্ঘটনা এড়াতে যে ১০টি বিষয় খেয়াল রাখা দরকার
.
ভবনে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ
আগুন প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য খোলামেলা জায়গা নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রধান ফটক থেকে শুরু করে ভেতরের প্রতিটি দরজা প্রবেশের জন্য সহায়ক হতে হবে। এমনকি জানালার বাইরের স্থানগুলোতেও কোনও রকম প্রতিবন্ধকতা থাকা চলবে না। পেছনের দরজা বা অন্য প্রবেশ পথগুলো ময়লা-আবর্জনা বা বাতিল জিনিসের স্তূপে বন্ধ আছে কিনা তা দেখতে হবে।
বহিরাগতরা খুব সহজেই ভেতরে ঢুকে সিঁড়ি বা লিফট ধরতে পারছে কিনা তা খেয়াল করতে হবে। ঠিক একইভাবে দেখতে হবে ভেতরের লোকেরা বাইরে বেরতে যেয়ে কোনও বিড়ম্বনায় পড়ছে কি না। বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে প্রায় দেখা যায় জরুরি ডেলিভারিগুলোর কারণে প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া বহুতল ভবনে উপরের তলা থেকে ফেলা ময়লা নিচের তলার জানালার সামনে স্তূপ হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: বনানীর স্টার কাবাবের আগুন নিয়ন্ত্রণে
সিড়ির প্রশস্ততা ও পর্যাপ্ততা
কোনও আবাসিক ভবন যদি ৬ তলার চেয়ে বেশি হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী সেখানে চলাচলের জন্য দু’টি সিঁড়ি থাকতে হবে। একটি সবসময় চলাচলের জন্য, আর অন্যটি জরুরি অবস্থায় নিরাপদ দূরত্বে সরে পড়ার জন্য। সেজন্য একে বলা হয় জরুরি বহির্গমন পথ।
তবে যেগুলো বাণিজ্যিক ভবন, সেখানে লোকসংখ্যার ভিত্তিতে সিঁড়ির সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। এক তলা বাণিজ্যিক বিল্ডিং-এর জন্যও লোকসংখ্যা ৩০০-এর মধ্যে হলে, সেখানে সিঁড়ি দিতে হবে প্রতি ২৩ মিটার পরপর।
প্রশস্ত প্রবেশদ্বার
শপিং মল, রেস্তোরাঁ, বা হাসপাতালের মত ভবনগুলো প্রায় সব সময়ই অধিক লোক সমাগম থাকে। এগুলোর ঢোকার জায়গা বা প্রধান ফটক তিন মিটারের (প্রায় ১০ ফুট) বেশি হতে হবে। অন্যথায় সংকীর্ণ প্রবেশপথের অতিকায় স্থাপনায় প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
জরুরি বহির্গমন পথ এবং ফায়ার এক্সিট লাইট
একটি ভবনে প্রশস্ত প্রবেশপথ যতটা প্রয়োজন তার থেকেও বেশি প্রয়োজন জরুরি বহির্গমন পথ। এ পথে দুর্ঘটনার সময় আত্মরক্ষার জন্য দ্রুত বের হওয়া যায়। এর আরও একটি নাম আছে, আর তা হচ্ছে অগ্নি নির্গমন পথ।
আবাসিক ভবন ছাড়া অন্য যে কোনও ভবনের প্রতি তলায় এই পথ থাকা জরুরি। এগুলোর নির্দেশকগুলো স্পষ্ট এবং সহজে দেখা যায় এমন জায়গায় থাকতে হয়। এই সিঁড়ি পথে বিদ্যুৎ বিভ্রাটেও আলো দেয়ার জন্য লাইটের ব্যবস্থা রাখা হয়, যাকে বলা হয় ফায়ার এক্সিট লাইট।
আরও পড়ুন: কাঁসা, পিতল ও তামার তৈজসপত্র ব্যবহার কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত, বিজ্ঞান কী বলে?
পর্যাপ্ত অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্রাদি
বিএনবিসি (জাতীয় বিল্ডিং কোড) বিধি অনুযায়ী, ৭ তলার চেয়ে উঁচু ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ফায়ার ডিটেক্টর, উচ্চগতির পানি স্প্রে সিস্টেম, স্মোক ডিটেক্টর, এবং ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকা বাধ্যতামূলক।
ধোয়া ও ফায়ার অ্যালার্ম
এই সতর্ক করা ডিভাইসগুলো অগ্নি নিরাপত্তার জন্য অত্যাবশ্যক। কোথাও ধোঁয়া বা আগুন ধরে গেলে এগুলো সঙ্গে সঙ্গেই বিকট শব্দে বেজে উঠে। এতে করে ভবনের প্রত্যেক তলার বাসিন্দারা সতর্ক হয়ে দ্রুত নিচে নেমে আসতে পারে।
ত্রুটিহীন ফায়ার এক্সটিংগুইশার
এই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রটিতে উচ্চচাপে তরল কার্বন ডাই-অক্সাইড সংরক্ষিত থাকে। আগুন নেভানোর সময় স্প্রে করার মাধ্যমে এই কার্বন ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করা হয়।
আগুন লাগার সাথে সাথেই ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করলে আগুনকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে ভবনটিতে এই যন্ত্র শুধু থাকলেই হবে না, দেখতে হবে তা ঠিক কোন জায়গায় কিভাবে রাখা আছে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে বুফে খেতে যেসব রেস্তোরাঁয় যেতে পারেন
অফিস বা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাসরুমের মত হালকা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে প্রতি ৭৫ ফুটে একটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকাটা যথেষ্ট।
তবে যে ভবনে রেস্তোরাঁ বেশি, সেখানে স্বাভাবিকভাবেই দুইয়ের অধিক রান্নাঘর থাকে। সেই সাথে থাকে চর্বি এবং তেলের মত দাহ্য বস্তু থেকে প্রচুর পরিমাণে তাপ উৎপাদনের সম্ভাবনা। তাই এই জায়গাগুলোর প্রতি ৩০ ফুটে একটি করে ফায়ার এক্সটিংগুইশার বসানো উচিত। এগুলোর উপস্থিতির জন্য হলুদ-লাল রঙ দিয়ে জেব্রা ক্রসিং চিহ্ন খুঁজতে হবে।
সম্ভব হলে সেগুলো ত্রুটিহীন অবস্থায় আছে কি না তাও নিশ্চিত হয়ে নেওয়া যেতে পারে। কেননা ত্রুটিপূর্ণ ফায়ার এক্সটিংগুইশার স্প্রে করার সময় বিস্ফারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। খালি চোখে চটজলদি দেখে নেওয়া যেতে পারে এগুলোর সিলিন্ডারের গায়ে কোন ক্ষয় বা ফাটল আছে কিনা। এছাড়া হোস পাইপটির দিকে সুক্ষ দৃষ্টি দিলে চিড় বা লিক চোখে পড়তে পারে।
দেয়াল থেকে বৈদ্যুতিক তার বেরিয়ে থাকা
বর্তমানে প্রায় সব ভবনেই বৈদ্যুতিক কেবল ও তারগুলো দেয়ালের ভেতরে মোটা পাইপ দিয়ে টানা হয়। এগুলোকে বলা হয় ডাক্ট লাইন। অনেক ভবনে দেয়ালে অযাচিত ছোট ছোট গর্তে ক্যাবলগুলো উন্মুক্ত দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয় দেয়ালের গর্ত বা ফুটো থেকে বেরিয়ে থাকা ছেঁড়া তার। এই ক্যাবল হোল বা গর্ত দিয়ে ধোঁয়া এবং আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে গোটা ভবনে। তাছাড়া তারগুলো কোনোভাবে শরীরের সংস্পর্শে আসাটাও বিপজ্জনক।
আরও পড়ুন: অগ্নি দুর্ঘটনা নিরসনে জাতীয় বিল্ডিং কোড ও ফায়ার কোডের যথাযথ প্রয়োগ কেন জরুরি
সিলিন্ডার রাখার জায়গা
অগ্নিকাণ্ডের খুব স্বাভাবিক কারণগুলোর একটি হচ্ছে সিলিন্ডার থেকে আগুন লাগা। তাই ঘরে বা রান্নাঘরে না রেখে ভবনের নিচে সব সিলিন্ডার একসঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। একই কাজ করা যায় বাণিজ্যিক ভবনগুলোতেও। তবে সেই জায়গাটি এমন হতে হবে যেন বাতাসের চলাচলে কোনও প্রতিবন্ধকতা না থাকে। তাহলে সিলিন্ডার লিক হলেও নির্দিষ্ট কোনও জায়গায় গ্যাস জমে বিস্ফোরণের কারণ হতে পারবে না।
জায়গাটি পরিদর্শনের সময় খেয়াল করতে হবে প্রতিটি সিলিন্ডার গ্রিলের খাঁচা দিয়ে আবদ্ধ করা আছে কিনা। একটু সন্ধানী দৃষ্টি দিলে আশেপাশে কোনও বিদ্যুতের লাইন বা দাহ্য পদার্থ আছে কিনা তাও চোখে পড়ে যেতে পারে।
ভবনের ভেতরে উপযুক্ত ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা
যে কোনও স্থাপনা নির্মাণের সময় নকশার গুরুত্বপূর্ণ একটি শর্ত থাকে উপযুক্ত ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা।
ভেন্টিলেশন বলতে ভবনের ভেতরে বাতাসের অবাধ চলাচলকে বোঝানো হয়। এর উপর সামগ্রিকভাবে ভেতরের তাপমাত্রা নির্ভরশীল।
ফ্লোরগুলোতে ঘুরে বেড়ানোর সময় দুর্গন্ধ এলে বা স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ অনুভূত হলে বুঝতে হবে ভেন্টিলেশন অবস্থা ভালো নয়। বিল্ডিংয়ে পর্যাপ্ত বায়ুচলাচলের অভাব হলে আর্দ্রতার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ঘরের ভেতরে আদর্শ আর্দ্রতার মাত্রা ৩০ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্যে। এই সীমার বাইরে যাওয়া মানেই ঘরটি বাসযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন: রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর গাফিলতির কারণেই বার বার আগুনের ঘটনা
এছাড়া ঘরের দেয়াল ও ছাতে অত্যধিক ধূলিকণা জমতে দেখা যাবে। এটি মূলত বাইরের গাড়ির নির্গমন, ধূলাবালি, বর্জ্য, এমনকি সুগন্ধি থেকেও হতে পারে। ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা উপযুক্ত না হওয়ায় দূষকগুলো ভেতরে এসে ঠিকভাবে বাইরে বেরুতে পারছে না।
ভবনের ডিজাইন ও উদ্দেশ্য পরিবর্তনের রেকর্ড
নির্মাণের সময় প্রাথমিকভাবে আবাসিক ভবন ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে পরিবর্তন করে বাণিজ্যিক করা হয়েছে। এতে করে স্থাপনার সার্বিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্নহয়। কেননা বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিশেষ করে রেস্তোরাঁ বানানো হলে তা পূর্বের গ্যাসের লাইন ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় না। এরপর আবার দৃষ্টিনন্দনের জন্য কাঁচ বসালে ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, যা অগ্নি-নিরাপত্তার অন্তরায়। তাই ভবনে প্রবেশের আগে নিরাপত্তার স্বার্থে তার অতীতের রেকর্ড জেনে নেওয়া উত্তম।
ভবন ব্যবহারের অনুমোদনপত্র এবং হালনাগাদকৃত ফায়ার লাইসেন্স
কারিগরি ও ব্যবস্থাপনার দিক থেকে ভবনের প্রতিটি নিরাপত্তার খুঁটিনাটি যাচাই করা জনসাধারণের জন্য অত্যন্ত দুষ্কর। তবে সাধারণ ভোক্তা শ্রেণির জন্য রাজউক ও ফায়ার সার্ভিস থেকে প্রদত্ত ভবন ব্যবহারের সনদ দেখাটাই শ্রেয়। এর পাশাপাশি প্রতি বছর নবায়ন করা ফায়ার লাইসেন্সটিও দেখতে হবে। এই দু’টি নথি প্রদর্শনে অস্বীকৃতি জানালে বা দেখাতে ব্যর্থ হলে, সেই ভবন নিশ্চিন্তে এড়িয়ে চলা যেতে পারে।
শেষাংশ
পরিশেষে, রেস্তোরাঁ কিংবা শপিং মলে দুর্ঘটনা এড়াতে উপরোল্লিখিত বিষয়গুলো যাচাই করা বর্তমান প্রেক্ষাপটের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ। সিঁড়ি, প্রবেশ ও জরুরি বহির্গমন পথ, উন্মুক্ত বৈদ্যুতিক তার, এবং সিলিন্ডার পরিদর্শন তাৎক্ষণিকভাবে ভবন সম্পর্কে একটা ধারণা দিতে পারে। তবে এই সময় সাপেক্ষ ও জটিল কাজটির বিপরীতে সর্বাধিক সহজসাধ্য আইনগত নথি যাচাই। ইতিবাচক দিক থেকে ভবন ব্যবহারের সনদ প্রদর্শন কোম্পানির ব্র্যান্ডিংয়ের সহায়ক হতে পারে। কেননা ভোক্তা সেখানেই যাবেন, যেখানে তার জীবনের নিরপত্তা আছে।
আরও পড়ুন: কলাবাগানে রেস্তোরাঁয় গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ ৬
৩৮৫ দিন আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গ্রাহকদের সেরা অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে এলো ‘আস্ক দারাজ’
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ, মাইক্রোসফট আজুরে ওপেনএআই সার্ভিসের সহায়তায় সম্প্রতি ‘আস্ক দারাজ’ শীর্ষক একটি এআই চ্যাটবট চালু করেছে।
দারাজ ব্যবহারকারীদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ ও পার্সোনালাইজড করে তুলতে এই ফিচারটি চালু করা হয়।
যার মাধ্যমে চ্যাটবটে কেনাকাটা বিষয়ক আলোচনা করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পণ্যের পরামর্শ পেয়ে যাবেন গ্রাহকরা।
বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে দারাজে ৩ কোটির বেশি ক্রেতা রয়েছে, যাদের সেরা অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা প্রদান করাই প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য।
আস্ক দারাজ সার্ভিসটি প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য প্রদর্শন করবে যা নতুন দারাজ অ্যাপ ব্যবহারকারীদের কাছে সহজে পণ্য খুজে দিতে সাহায্য করবে। যার ফলে ব্র্যান্ড এবং বিক্রেতা উভয়েই উপকৃত হবে।
জি এস এম এ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৫ কোটিতে, যা নতুন গ্রাহকদের সংখ্যার তিন-চতুর্থাংশের বেশি।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে, বিশেষত বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে, এই নতুন মোবাইল গ্রাহকদের অনলাইন শপিংয়ের অভিজ্ঞতার প্রসারে আরও অবদান রাখবে, কারণ এটি নন ই-কমার্স ব্যবহারকারীদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন।
আরও পড়ুন: গ্রাহকদের অনলাইন কেনাকাটাকে আরও সহজ করতে কো-ব্র্যান্ডেড কার্ড চালু করতে যাচ্ছে দারাজ-ভিসা
দারাজ গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার বিয়ার্কে মিকেলসেন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বাণিজ্যিক শক্তি দিয়ে কমিউনিটিগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। ‘আস্ক দারাজ’ আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক কারণ আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই নতুন মার্কেট সেগমেন্ট চালু করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আশা করছি আমাদের মার্কেটগুলোতে ক্রমবর্ধমান স্মার্টফোন ব্যবহারের হার এবং আমাদের অ্যাপে মাইক্রোসফট আজুরে ওপেনএআই সার্ভিসের সাহায্যে তৈরি এই অত্যাধুনিক ফিচারের মাধ্যমে অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়াও চ্যাটবটের মাধ্যমে যত বেশি প্রোডাক্ট সার্চ করা হবে, ক্রমাগত এর প্রোডাক্ট সাজেশন তত বেশি প্রাসঙ্গিক ও পার্সোনালাইজড হবে, যা দক্ষিণ এশিয়ার ই-কমার্স ল্যান্ডস্কেপ পরিবর্তনেও ভুমিকা রাখবে।’
মাইক্রোসফট এশিয়া প্যাসিফিকের চিফ টেকনোলজি অফিসার ডায়োমেডিস কাস্তানিস বলেন, ‘মাইক্রোসফট আজুরে ওপেনএআই সার্ভিসের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার রিটেইল খাতকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দারাজ-এর যাত্রার অংশ হতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
তিনি বলেন, ‘ই-কমার্স খাতের অন্যতম নাম হিসেবে দারাজ তার ৩০ মিলিয়ন গ্রাহকের কাছে আরও বেশি পণ্য পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকদের সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে তাদের একটি সন্তোষজনক অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা দিতে প্রস্তুত বলে মনে করি। এছাড়াও, ‘আস্ক দারাজ’ ফিচারটি নতুন গ্রাহকদের প্ল্যাটফর্মে আসতে উৎসাহিত করবে। এই পদক্ষেপ খুচরা বিক্রেতা এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে নতুনত্ব আনতে সাহায্য করবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে গ্রাহকদের একটি পার্সোনালাইজড অনলাইন শপিং অভিজ্ঞতাও উপহার দিবে।’
আরও পড়ুন: গ্রাহকদের কেনাকাটার সাশ্রয়ে শুরু হলো নতুন ক্যাম্পেইন ‘দারাজ এর চেরাগ’
ঈদ উপলক্ষে মেগা ডিল এবং অফার নিয়ে এলো দারাজ
৬০৯ দিন আগে
গ্রাহকদের কেনাকাটার সাশ্রয়ে শুরু হলো নতুন ক্যাম্পেইন ‘দারাজ এর চেরাগ’
প্রতি মাসের ৪ তারিখ থেকে ‘জাদুকরী সেভিংসে, সবই কিনুন দারাজে’ ট্যাগলাইন নিয়ে শুরু হলো ব্র্যান্ড নিউ ক্যাম্পেইন 'দারাজ-এর চেরাগ'।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস, দারাজ বাংলাদেশের এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গ্রাহকরা নিজের ও প্রিয়জনদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে কেনাকাটার সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
সঙ্গে থাকবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এক্সক্লুসিভ ডিসকাউন্ট এবং বিভিন্ন ডিল অফার।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন দারাজ বাংলাদেশের
৪ থেকে ৮ মে ২০২৩ পর্যন্ত, 'দারাজ এর চেরাগ'-এ গ্রাহকরা বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফার উপভোগ করতে পারবেন।
যার মধ্যে থাকছে নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য ৮০ টাকা পর্যন্ত ফ্রি শিপিং, ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত হট ডিল, প্রথম বারের অনলাইন পেমেন্টে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভাউচার এবং দারাজ ক্লাবের সদস্যদের জন্য ১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাউচার।
এছাড়াও দারাজ ক্লাবের সদস্য নয় এমন গ্রাহকদের জন্য থাকছে এক দশমিক দুই গুণ এবং সদস্যদের জন্য এক দশমিক পাঁচ গুণ কয়েন বৃদ্ধির মতো সুবিধা।
এই ক্যাম্পেইন চলাকালীন গ্রাহকরা ফায়ারওয়ার্ক ভাউচার এবং মিস্ট্রি বক্সও জিততে পারবেন।
দারাজ বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার তালাত রহিম বলেন, 'গ্রাহকদের মাসিক বাজেট বরাদ্দ করার গুরুত্ব আমরা বুঝি। সেজন্যই আমরা তাদের মাসিক কেনাকাটার খরচ কমানোর জন্য 'দারাজ-এর চেরাগ' ক্যাম্পেইনটি ডিজাইন করেছি। আশা করছি এই উদ্যোগে আমাদের গ্রাহকরা আর্থিক সীমাবদ্ধতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে তাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা বাজেটের মধ্যেই করতে পারবেন।'
এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গ্রাহকরা বিভিন্ন ক্যাটাগরির পণ্যে ছাড় উপভোগ করবেন, যেমন গ্রোসারি, পুরুষ এবং নারীদের ট্রেন্ডি ফ্যাশন আইটেম, ঘর সাজানোর জন্য হোম অ্যান্ড লিভিং আইটেম, হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস এবং বিউটি এসেনশিয়ালস আইটেম, পছন্দের মেকআপ আইটেম এবং আরও অনেক কিছু।
দারাজ-এর চেরাগ ক্যাম্পেইনটির লক্ষ্য শুধু গ্রাহকদের মাসিক সঞ্চয়েই সাহায্য করা নয়, এর পাশাপাশি তাদের একটি আনন্দময় কেনাকাটার অভিজ্ঞতা প্রদান করা।
আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে মেগা ডিল এবং অফার নিয়ে এলো দারাজ
‘রমজান বাজার’ ক্যাম্পেইন নিয়ে এলো দারাজ বাংলাদেশ
৬৯৩ দিন আগে
২০২২ ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ জার্সি অনলাইনে কোথায় পাবেন
গ্যালারিতে অথবা টিভি স্ক্রিনের সামনে বসে খেলা দেখার আনন্দটা যেন বহুগুণে বেড়ে যায়, যদি গায়ে থাকে প্রিয় দলের জার্সি। ফুটবল খেলা দেখার সঙ্গে জার্সি পড়াটা যেন রীতিমত প্রথা হয়ে দাড়িয়েছে। এবারের বিশ্বকাপ জ্বরে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২-এর জার্সি অনলাইনে কেনা যাবে। খেলা মাঠে গড়াবার আগেই তাই চলছে প্রিয় দলের জার্সি সংগ্রহের তোড়জোড়। চলুন, দেখে নেয়া যাক অনলাইনে কোথায় কোথায় বিক্রি হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপ জার্সি।
অনলাইনে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২-এর জার্সি কেনার ১০টি সাইট
দারাজ
দেশের স্বনামধন্য এই ই-কমার্স সাইটটি এবারের বিশ্বকাপের প্রতিটি দলের জন্য অফিসিয়াল বিশ্বকাপ জার্সি বিক্রি করছে। সফ্ট প্রথম শ্রেণীর ফ্যাব্রিকগুলো থেকে শর্ট, মিডিয়াম, লার্জ, এক্সেল এবং ডাবল এক্সেলের যে কোনটি বাছাই করে নেয়ার সুযোগ তো আছেই। সেই সঙ্গে আছে পছন্দের জার্সিটি বাছাইয়ের মুহুর্তে ওয়েবসাইট থেকে ছবি ও বিস্তারিত যাচাই করার স্বাধীনতা। উচ্চ চাহিদার কারণে স্বভাবতই দ্রুত স্টক ফুরিয়ে যাওয়ার বিষয় রয়েছে। দেশব্যপি কার্যক্রম থাকার কারণে দূরত্বের ভিত্তিতে পণ্য পেতে বিলম্ব হওয়ার ঝামেলা নেই। ডিলার ও আকারের উপর ভিত্তি করে জার্সির মূল্য মানে উল্লেখযোগ্য তারতম্য বিদ্যমান। ক্রেতাদেরকে ১০০০ থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত পরিশোধের পরিকল্পনা রাখতে হবে।
ফেব্রিলাইফ
একজন ভক্ত হিসেবে প্রিয় দলটির সর্বোচ্চ মানের জার্সিটি পাওয়ার ক্ষেত্রে নির্দ্বিধায় নির্ভর করা যায় ফেব্রিলাইফের ওপর। এরা রীতিমত পুরো ফুটবল কম্বো সরবরাহের ব্যবস্থা রেখেছে, যেখানে জার্সির সঙ্গে থাকছে বিভিন্ন কিট। তাই বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে ফুটবল ইভেন্টটিকে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ধরে রাখতে চাইছেন যারা, তারা অনায়াসেই এই কিটগুলোর মালিকানা নিতে পারেন। বিশ্বকাপের পরের বছরেও কোন এক ভোরে বা সন্ধ্যায় এই জার্সি ও কিটগুলো শারীরিক অনুশীলনের সঙ্গী হতে পারবে। কাপড়ের গুণাগুণ নিয়ে কোন আপস নেই। শীত-গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই অন্যান্য কস্টিউমের মধ্যে এই জার্সিকেই সবার উপরে রাখা যায়। অর্থাৎ এ কথা অকুন্ঠচিত্তে স্বীকার করা যায় যে, ১২৯০ থেকে ১৩৯০ টাকার পণ্যগুলো বেশ ন্যায়সঙ্গত হবে।
ডেলিভারি হবে
মানসম্পন্ন জার্সি বিক্রির তালিকায় অল্প সময়েই নিজের জায়গা করে নিয়েছে এই ইকমার্স সাইটটি। নকশার আসল-নকল নিয়ে চিন্তার কোন অবকাশ নেই। এদের সফ্ট পলিয়েস্টার ফ্যাব্রিকে এয়ার-কুলিং-এর হিট এ্যান্ড ড্রাই প্রযুক্তির স্পষ্ট প্রতিফলন পাওয়া যায়।
পছন্দ মত ডাবল এক্সেল থেকে শুরু করে শর্ট পর্যন্ত আকারগুলো ত্বকের ভিন্নতা উপেক্ষা করে ঠান্ডা ও আরামদায়ক অনুভূতির পরশ দিবে। ২৭ ইঞ্চি উচ্চতা এবং ১৮ ইঞ্চি প্রস্থ থেকে শুরু হওয়া ১০০ ভাগ পলিয়েস্টারে ১০০০ থেকে ১৪৫০ টাকা পর্যন্ত এর দামগুলো ন্যায্যতা পেয়েছে। তবে এখানে জার্সিগুলো কেবল ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, পর্তুগাল এবং ফ্রান্সের মত শীর্ষস্থানীয় দলগুলোতে সীমাবদ্ধ থাকছে।
নেইম্যাট
কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রিক কার্যক্রম শুরু করা এই শোরুমটি অনলাইনেও তাদের বিশাল এক গ্রাহক গ্রুপ তৈরি করে ফেলেছে। এবারের ফিফা কিটে এদের মিডিয়াম-থ্রি-এক্সেল বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পলিয়েস্টারের জার্সিগুলো অর্ডার করতে তাদের ফেসবুক বিজনেস পেজের ইনবক্স পর্যন্ত যাওয়াটাই যথেষ্ট। বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতকৃত দেশগুলোর ভিন্ন ভিন্ন নকশা এমব্রয়ডারির মাধ্যমে সুচারুরূপে বসানো আছে জার্সিতে। ঘরে বসেই ট্রায়াল দেয়ার অনুভূতি পেতে ১০০০ থেকে ১৩০০ টাকার জার্সির ভিডিও রিভিউগুলো সেরা হতে পারে। সেখানে পণ্যের আকারগুলো কাপড়েরর গুণাগুণ ও ব্যবহার সহ খুব পরিণত ভাবে পরিবেশন করা হয়েছে। অন্যান্য জায়ান্ট ই-কমার্স সাইটগুলোর অভিজাত সারিতে শামিল হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বেশ আয়োজন করে এগিয়ে যাচ্ছে নেইম্যাট।
জার্সি.নেট.বিডি
হাজারো পণ্যের ভেতর থেকে পছন্দের জার্সি খুঁজে নেয়ার ঝামেলা এড়াতে হলে আসতে হবে জার্সি.নেট.বিডির কাছে। শুধুমাত্র জার্সিকে কেন্দ্র করেই পুরো এক নিবেদিত অনলাইন শপিং সাইট হিসেবে এটিকে তৈরি করা হয়েছে। আমদানিকৃত মালামালের অরিজিনালিটি স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে এগুলোর ১০০ ভাগ পলিয়েস্টারের কাজ দেখে। শর্ট, মিডিয়াম, লার্জ, এক্সেল এবং ডাবল এক্সেলের এর মত বাহারি আকারের জার্সি তো থাকছেই। পাশাপাশি এগুলোর উজ্জ্বলতা ক্রেতাদেরকে এদের নিপুণ কারুকাজের কথা জানান দেয়। ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকার জার্সিগুলোকে মসৃণ ভাবে পরিষ্কারের জন্য ওয়াশিং মেশিনে ধোয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। অধিকাংশ জার্সিতেই শার্টের মত হাতা, কিন্তু এগুলোর কোনটিতেই মসৃণতা ঘাটতি নেই।
জার্সি শপ বিডি
ফুটবল ভক্তরা খেলোয়ারদের জার্সি পড়ার অনুভূতি উপভোগ করতে জার্সি শপ বিডির উপর ভরসা করতে পারেন। বাংলাদেশে থেকে যে জার্সিগুলো রপ্তানি করা হয়, এরা সেই প্লেয়ার সংস্করণগুলো এদের সাইটে তুলেছে। এই খাঁটি প্রিমিয়াম নেট ফ্যাব্রিক জার্সি পরিহিত অবস্থায় একজন খেলোয়ার হিসেবে অনুভূতি পাওয়াটা একদমি কৃত্রিম নয়। কেননা এই জার্সিটি পরেই কোন এক মিড ফিল্ডার মাঠে নামবে বিশ্বকাপের মঞ্চে। ৯৫০ থেকে ১০৯০ টাকার মধ্যে এই অনুভূতি পাওয়াটা একটি সেরা উপভোগ্য বিষয়। মিডিয়াম, লার্জ, এক্সেল, এবং ডাবল এক্সেলের প্রতিটিতে রয়েছে সূচিকর্মের লোগো। গায়ে ঠিকমত ফিট হচ্ছে কিনা অথবা হাতে পলিয়েস্টারের পরশ পেতে চাইলে চলে যেতে হবে এদের মোহাম্মদপুরের একমাত্র শোরুমটিতে। আর অনলাইনে অর্ডারের জন্য আছে এদের ফেসবুক পেজ।
শপ্জ্
দাম নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হলে শপ্জ্-এর চাইনিজ জার্সিগুলো সেরা হতে পারে। কেননা এরাই একমাত্র জার্সি দিচ্ছে মাত্র ৫০ থেকে ৭৫০ টাকায়। এরা স্লিম-ফিট জার্সিগুলোকে কেন্দ্র করেই সাজিয়েছে এদের শপিং সাইটটি। হালকা ওজনের ও খাঁটি পণ্যগুলো সঠিক ভাবে যাচাই করে নিতে সরাসরি যোগাযোগ করে নেয়াটা উত্তম। এতে জার্সির আকারটি শরীরের জন্য উপযুক্ত হচ্ছে কিনা তা বোঝার একটা সুযোগ পাওয়া যাবে। চূড়ান্ত অর্ডার অথবা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার জন্য সব সময়ের জন্য প্রস্তুত রয়েছে তাদের ফেসবুক পেজ।
দিয়ামু
এখানকার বেশিরভাগ জার্সি রেগুলার ফিট, রিবড ক্রুনেক এবং ১০০ ভাগ ডাবল নিট পলিয়েস্টারের। ছোট, মাঝারি, বড়, এক্সেল, এবং ডাবল এক্সেল আকার থাকায় জার্সি বাছাই নিয়ে কোন ঝামেলা নেই। সাইটটি তেমন জনপ্রিয় নয়, তবে এর ৭৯০ টাকার খাঁটি জার্সি একটিবারের জন্য হলেও ভক্তদেরকে এই ই-কমার্স সাইটের দিকে ভ্রূক্ষেপ দিতে বাধ্য করবে। এর ২৭/১৬ ইঞ্চি অথবা ১৮/১৯ ইঞ্চি ক্যাটাগরিকে দেহের সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান করে সাবলিল ভাবেই জার্সি বাছাই করা যাবে। এর জন্য সরাসরি তাদের ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাবে বিভিন্ন আকারের তালিকা। প্রায় সবগুলো দেশের জার্সিই আছে দিয়ামুতে, তাই প্রিয় জার্সিটি না পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই।
অ্যাটায়ার গুরু
পলিয়েস্টারের জার্সি নিয়ে ফেসবুক ভিত্তিক আরো একটি জনপ্রিয় শপিং সাইট এই অ্যাটায়ার গুরু। বিশ্বকাপ মৌসুমকে ঘিরে তাদের কৌশল হলো একটি নির্দিষ্ট দাম পরিবেশন করে অগ্রসর হওয়া। তাদের ১০৯০ টাকার প্রিমিয়াম জার্সির গুণগত মান ফেসবুকের বর্তমান মার্কেটপ্লেসের যে কোন জার্সিকেই টেক্কা দেয়ার সক্ষমতা রাখে। বাংলাদেশে এফ-কমার্স বা ফেসবুক ভিত্তিক ব্যবসার ব্যাপক প্রসারের দরুণ হাজার হাজার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সারিতে নিজেদেরও শামিল করে নিয়েছে অ্যাটায়ার গুরু। মিডিয়াম, লার্জ, এক্সেল কিংবা ডাবল এক্সেল; যে কোনটিরই আসল ছবি দেখে অর্ডার করতে সরাসরি তাদের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে ম্যাসেজ দেয়া যেতে পারে।
বিবর্তন
চট্রগ্রামের বিবর্তন তাদের নামের মতই উন্নতি করছে টি-শার্ট বিপণনে। এবার তাদের ফিফা জার্সি নিয়ে অগ্রসর হওয়ার পালা। চট্রগ্রামের ভেতরে ৭০০ থেকে ১২০০ টাকার জার্সিগুলো পৌছে দিতে তারা কোন ফি নিচ্ছে না। তবে চট্রগ্রামের বাইরে হলে ১০০ টাকার বিনিময়ে পন্য সরবরাহের নিশ্চয়তা দিচ্ছে তারা। তাদের বিশেষত্ব হলো তাদের আমদানিকৃত আসল থাই প্রিমিয়াম জার্সি। প্রয়োজন মত আকার ও অন্যান্য বিবরণ সহ পছন্দ মত জার্সি অর্ডার করতে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে তাদের ফেসবুক পেজে।
আরো পড়ুন: ফিফা কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ এর চোখ ধাঁধানো ৮টি স্টেডিয়াম
শেষাংশ
এই সাইটগুলোর মাধ্যমে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২-এর জার্সি অনলাইনে অর্ডার দিয়ে ঘরে বসেই সংগ্রহ করা যাচ্ছে। পাশাপাশি এই ফুটবল মৌসুমে দারুণ সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে ডিজিটাল ব্যবসায়ীদের বিক্রি বৃদ্ধির। বড় বড় শপিং মলে ভীড়ের মধ্যে যেয়ে কেনাকাটা করার বিড়ম্বনা থাকছে না। অন্যদিকে সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহের কারণে বিক্রির সংখ্যার আকাশ ছোঁয়ার দশা। সর্বসাকূল্যে, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স সবকিছু ছাড়িয়ে এই বিশ্বমানের বিনোদনটি যেন খেলোয়ার আর দর্শকদের এক জার্সির বন্ধনে বাধতে চলেছে।
৮৮৫ দিন আগে
ফুটপাতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা
ঈদুল ফিতর দরজায় কড়া নাড়ছে। আর তাই অনেক দরিদ্র ও নিম্ন-আয়ের মানুষদেরও সচ্ছল মানুষদের মতো কেনাকাটার ব্যস্ততা বেড়েছে।
কম বাজেটের ক্রেতারা তাদের পছন্দের পোশাক, জুতা, স্যান্ডেল, প্রসাধনী ও গয়নাসহ অন্যান্য পছন্দের জিনিসগুলো কম দামে কেনার জন্য ফুটপাত এবং অন্যান্য অস্থায়ী দোকানে ভিড় করছেন।
রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকায় ফুটপাত ও খোলা জায়গায় শতাধিক অস্থায়ী দোকান বসানো হয়েছে মূলত নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের লক্ষ্য করে।
বিক্রেতাদের মতে, অনেক মধ্যবিত্ত ক্রেতাও তাদের স্টলে ভিড় করছেন। কারণ তাদের কাছে শপিং মলের মতো বিভিন্ন রঙ ও ডিজাইনের পোশাক এবং অন্যান্য সব ধরনের পণ্য রয়েছে।
ফুটপাতের বিক্রেতারা আরও বলেছেন, যে তারা ভালো গ্রাহক টানছেন। কারণ করোনা মহামারির কারণে মানুষ দুই বছর বিরতির পর এবার পুরোদমে কেনাকাটা করার সুযোগ পেয়েছে।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গুলিস্তান, বঙ্গবাজার, মতিঝিল, বায়তুল মোকাররম, পল্টন, নিউমার্কেট, যাত্রাবাড়ী, ফকিরাপুল, মৌচাক, রামপুরা, বাড্ডা ও মিরপুর এলাকার অস্থায়ী দোকানগুলোতে মানুষের ভিড় দেখা যায়।
মেয়েদের পোশাক, শিশুদের পোশাক, প্রসাধনী, পুরুষদের পোশাক যেমন- জিন্স ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, ট্রাউজার, জুতো, বেল্ট, ক্যাপ, লুঙ্গি, মানিব্যাগসহ বিভিন্ন সামগ্রী প্রদর্শন করে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন বিক্রেতারা।
আরও পড়ুন: দুই বছর পর মুসল্লিদের পদচারণায় মুখর হবে শোলাকিয়া
১০৬১ দিন আগে
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুললেও ফরিদপুরে আশানুরূপ ক্রেতা নেই
সারাদেশের মতো ফরিদপুরে লকডাউন শিথিল হলেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলছে মন্দাভাব। জেলা শহরের বিভিন্ন বিপনী-বিতান, শপিং মলগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি একেবারে কম। আর এ জন্য ব্যবসায়ীরা করোনার প্রভাবকে দায়ী করছেন।
ফরিদপুর চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, দীর্ঘ সময় মানুষ কর্মহীন। অন্য যে কোনও সময়ের চেয়ে করোনাকালে মানুষের আয়ের পথ সংকুচিত হয়েছে। যে কারণে মার্কেটগুলোতে কেনাবেচা তুলনামূলকভাবে কম। তবে করোনা থেকে মুক্তির পর আশা করছি সব ঠিক হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তের ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্ত খুলনা নগরবাসী
তিনি বলেন, ‘করোনার ভয়াবহতা মানুষ বুঝতে পেরেছে, নিজেদের সচেতনতাও বেড়েছে। যে কারণে খুব প্রয়োজন ছাড়া মার্কেট মুখী হচ্ছে না ক্রেতারা।’
আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে লকডাউন শিথিল হলেও এই জেলায় ব্যবসায়ীদের দুরাবস্থা চলছে। একই সাথে গত দু'দিনে তেমন একটা বিক্রি হয়নি বলে জানিয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন বিপনী-বিতান ও মার্কেট খোলা থাকলেও তাতে আগের মতো ক্রেতা সমাগম নেই। তাছাড়া ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বড় শপিং মল ও বিপনী-বিতান বিভিন্ন রকম ছাড়ের অফার ঘোষণা করলেও তাতে কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
জেলার মধুখালী থেকে ফরিদপুর শহরের আসা বি.কে. সিকদার সজল জানান, হাতে প্রয়োজনের তুলনায় অর্থ কম, তাই কেনাকাটার তালিকা ছোট করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:স্বাস্থ্যবিধি হুমকির মুখে: নারায়ণগঞ্জে ঈদের কেনাকাটায় ধুম
ফরিদপুর নিউ মার্কেটের জুতা ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আশা ছিল লকডাউন শিথিল হলে বেঁচা-বিক্রি ভালো হবে। কিন্তু অল্প সংখ্যক ক্রেতা আসলেও কাঙ্খিত ব্যবসা হচ্ছে না। অনেক সময় বসেই থাকতে হয়।’
১৩৪৯ দিন আগে
ঈদে কেনাকাটার টাকা চেয়ে না পাওয়ায় স্কুল শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বাবার ওপর অভিমান করে দশম শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
বুধবার দুপুরে কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের নাওথী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রত্না খাতুন (১৪) ওই গ্রামের আব্দুর রশিদ বিশ্বাসের মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রত্না তার বাবার কাছে ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করার জন্য পাঁচ হাজার টাকা চায়। হতদরিদ্র বাবা আব্দুর রশিদ মেয়ের এই বায়না মেটাতে অপরাগতা প্রকাশ করলে অভিমান করে বুধবার দুপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
পরে বাড়ির লোকজন এসে দরজা ভেঙে রত্না র' দেহ নামিয়ে অচেতন অবস্থায় কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে যুবকের ‘আত্মহত্যা’
নিহতের ভাই সেলিম হোসেন বলেন, 'আমার বোন ঈদের কেনাকাটা বাবদ বাবার কাছে ৫ হাজার টাকা চেয়েছিল। বাবা সেই টাকা না দেয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, রত্নার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৪১৪ দিন আগে