গোয়াইনঘাট
সিলেটে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সিলেটের গোয়াইনঘাটে ডোবার পানিতে ডুবে মিম আক্তার (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের টুকইর যথনাথা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মিম আক্তার উপজেলার টুকইর যথনাথা গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পুকুরে ডুবে নিখোঁজ হওয়ার ২০ ঘণ্টা পর যুবকের লাশ উদ্ধার
জানা যায়, মিম দুপুরে খেলতে গিয়ে সবার চোখের আড়ালে বাড়ির পাশের ডোবার পানিতে পড়ে যায়। স্বজনরা ডোবার পানি থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ বলেন, দুই বছরের শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
৩ দিন আগে
গোয়াইনঘাটে বাড়ির পাশে মিলল কিশোরের ঝুলন্ত লাশ
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় মো. শাহাদত (১৬) নামে এক কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২০ অক্টোবর) ভোরে বাড়ির পাশের গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে অজ্ঞাত ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
শাহাদত উপজেলার ১০ নম্বর পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের পূর্ণানগর এলাকার আমির উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরিবারের সবার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া শেষে নিজ শয়নকক্ষের ঘুমিয়ে পড়েন শাহাদত। ধারণা করা হচ্ছে রাতে কোনো এক সময় বাড়ির পাশের গাছের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগান তিনি।
ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্থানীয়রা ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ বলেন, তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত সঠিকভাবে বলা যাবে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে অজ্ঞাত ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ মাস আগে
সিলেটের গোয়াইনঘাটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
গোয়াইনঘাটে দুই শতক জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাই রুহুল আমিনের রডের আঘাতে ছোট ভাই ইব্রাহিমের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৫ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের নিয়াগুল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ভোলায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ
নিহত ইব্রাহিম নিয়াগুল গ্রামের হোসেন আহমদ ওরফে হুরু হুনার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হোসেন আহমদের দুই ছেলের মধ্যে দুই শতক জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে রুহুল আমিনের হাতে থাকা একটি রডের টুকরো দিয়ে ইব্রাহিমের গলায় পোঁচ দেন রুহুল আমিন। এতে ইব্রাহীম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ও প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
পরে স্থানীয়রা ইব্রাহিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরপরই মূল ঘাতক রুহুল আমিন ও তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ পাঠান।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, জমি সংক্রান্ত ঘটনার জেরে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দুই ভাইয়ের একজনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মূল ঘাতকসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান চলছে বলে জানান গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন
জমি নিয়ে বিরোধ: বাগেরহাটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
৫ মাস আগে
সিলেটে আরও একটি মর্টার শেল উদ্ধার
সিলেটের গোয়াইনঘাটে চার দিনের ব্যবধানে আরও একটি পরিত্যক্ত মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে উপজেলার মধ্যজাফলং ইউনিয়নের বাউরভাগ হাওর এলাকা থেকে এটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাউরভাগ হাওরের দক্ষিণপাড়া এলাকায় এক ব্যক্তি নদী পারাপারের সময় নদীর মধ্যবর্তী স্থানে তার পায়ে লোহার স্পর্শ লাগে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিএসআরএমের কারখানা থেকে ২টি মর্টার শেল উদ্ধার
তিনি লোহার বস্তুটি তুলে পরিষ্কার করে পাড়ে এনে দেখেন তা একটি মর্টার শেল। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সাধারণ মানুষকে মর্টার শেল থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেয়।
স্থানীয়দের ধারণা, এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মর্টার শেল হতে পারে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান সুমন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মর্টার শেল থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনে। বর্তমানে পুলিশ সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাফলং থেকে পরিত্যক্ত মর্টার শেল উদ্ধার
মিয়ানমার থেকে আর কোনো মর্টার শেল বাংলাদেশে পড়বে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৮ মাস আগে
সিলেটে মাইক্রোবাস-সিএনজির সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৭
সিলেটের গোয়াইনঘাটে মাইক্রোবাস ও সিএনচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের সালুটিকর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের মধ্যে রয়েছেন চালকসহ সিএনজি অটোরিকশার ৬ জন এবং মাইক্রোবাসচালক।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান, ৬ জন হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। আর ৫ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে একজন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাইক্রোবাস-সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ৬
নিহত ৭ জনের মধ্যে ৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে মো. কালন মিয়া (৩৫) ও পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে মাওলানা কাজী আমির উদ্দিন (৪২), ঢাকার রায়ের বাজার এলাকার মাইক্রোবাসচালক আবু তাহের (৪৫) ও কোম্পানীগঞ্জের উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের বতুমারা গ্রামের মো. ইদ্রিস আলী (৪০)। নিহত বাকি ৩ জনের বাড়ি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া মাইক্রোবাস সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকর এলাকায় পিয়াইনগুল কাজী কলিমুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে গাড়িটির সামনের ডানপাশের চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এ সময় গাড়ি দু’টি সড়কের পাশের খালে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন মারা যান। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যায়।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রভাস কুমার সিংহ এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
সিলেটে মাইক্রোবাস-সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ৬
সিলেটের গোয়াইনঘাটে মাইক্রোবাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ২ জন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলায় সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের সালুটিকর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নৌ দুর্ঘটনায় ৬ মাসে নিহত ৫৭: এসসিআরএফ
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের সালুটিকর এলাকায় ভোলাগঞ্জগামী মাইক্রোবাসের চাকা ফেটে সিলেটগামী অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় দু’টি যানবাহনই সড়কের পাশের খালে পড়ে যায়। এতে অটোরিকশার চালক ও নারীসহ ৪ যাত্রী নিহত হন। এছাড়া আরও ৩ জন আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয় বলে জানান ওসি।
তিনি আরও জানান যে নিহত ৬ জনের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম কাজী আমির উদ্দিন। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা এবং পাড়ুয়া আনোয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক। বাকিদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫০
১ বছর আগে
গোয়াইনঘাটে স্কুল শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিলেটের গোয়াইনঘাটে দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার পূর্ব জাফলংয়ের সোনাটিলা এলাকার নিজ বসতঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত নাদিয়া আক্তার (১০) উপজেলার সোনাটিলা গ্রামের শাহনআলম মিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় গুচ্ছগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে পারিবারিক কলহের জেরে শিশুটির মা তাদের সন্তানদের রেখে বাবার বাড়িতে চলে যায়। এরপর শিশুটিকে একা ঘরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে মনে হলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
পড়ুন: চট্টগ্রামে দুই যুবকের আত্মহত্যা
ধামরাইয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের গর্তের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
সড়কের পাশ থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
প্রতিপক্ষের হামলা: ছেলের পর মারা গেলেন মা
সিলেটের গোয়াইনঘাটের লাবু গ্রামে ছেলে আব্দুল কাদিরকে (২৭) জবাই করে হত্যার তিনদিন পর তার আহত মা হাসিনা বেগমও মারা গেলেন। রবিবার দুপুরে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগে গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে গোয়ানইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লাবু গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা আব্দুল কাদিরকে জবাই করে হত্যা করে।
নিহত কাদির ওই গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে।
এ ঘটনায় কাদিরের মাসহ আরও অন্তত ৫/৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে নিহত কাদিরের বসতবাড়ি পুড়ে গেছে বলেও জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দক্ষিণ লাবু গ্রামের কয়েকজনের সঙ্গে চার বছর আগের একটি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিল নিহত কাদিরের বাবা আব্দুল খালিক ও তার আত্মীয়স্বজনদের। এ নিয়ে ঘটনার আগে উভয়পক্ষে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে আব্দুল খালিকের বাড়িতে আক্রমণ করেন গ্রামের কিছু মানুষ। তাদের প্রতিরোধ করতে এলে কাদিরকে জবাই করা হয় এবং তাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। আগুনে একটি ঘর পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা লাশ উদ্ধার ও আহতদের হাসপাতালে পাঠায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত কাদিরের লাশ উদ্ধার করি।
আরও পড়ুন: সিলেটে নিখোঁজের একদিন পর ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
সিলেট সীমান্তে ভারতীয় খাসিদের গুলিতে ২ বাংলাদেশি আহত
২ বছর আগে
জাফলংয়ে প্রবেশ ফি: ৭ মাসে আয় ৪০ লাখ টাকা
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন জাফলংয়ের জনপ্রিয় ও প্রাকৃতিক নৈসর্গিক পর্যটনকেন্দ্রে প্রবেশ ফি থেকে গত সাত মাসে ৪০ লাখ টাকা আয় করেছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষদিকে জাফলংয়ে প্রবেশে চালু করা হয় ফি। জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তে জনপ্রতি এখন ১০ টাকা ফি দিয়ে টিকিটের মাধ্যমে পর্যটকদের প্রবেশ করতে হয় জাফলংয়ে।
এদিকে, ফি চালুর পর থেকে অনেকেই এর সমালোচনা করেছেন। জাফলংয়ের টিকিট কাউন্টারে বৃহস্পতিবার (৫ মে) পর্যটকদের মারধরের ঘটনার পর আবারও টিকিটের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
আগে পর্যটকরা জাফলং জিরো পয়েন্টে যেতেন বল্লাঘাট এলাকা দিয়ে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন গুচ্ছগ্রাম এলাকা দিয়ে পর্যটক প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যটকদের ওঠানামার সুবিধার জন্য বানানো হয়েছে সিঁড়ি। আর গুচ্ছগ্রামে বিজিবি ক্যাম্পের পাশেই বসানো হয়েছে টিকিট কাউন্টার।
প্রবেশ ফি চালুর বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান বলেন, ‘গত বছর জেলা পর্যটন কমিটির সভায় ফি চালুর সিদ্ধান্ত হয়। উপজেলা প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে। এটি কাউকে ইজারা দেয়া হয়নি। চুক্তিভিত্তিক কিছু কর্মীর মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন ফি আদায় করে।’
তিনি বলেন, ‘জাফলং পরিষ্কার রাখাসহ পর্যটকদের সেবা দেয়ার জন্য কিছু অস্থায়ী কর্মী রাখা হয়েছে। এই টাকায় ঘণ্টাপ্রতি ৫০ টাকা হিসাবে তাদের বেতন দেয়া হয়। কর্মীর সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়। সর্বনিম্ন পাঁচ-ছয়জন থেকে সর্বোচ্চ ৩০ জন কাজ করেন।’
পর্যটকদের ওপর হামলাকারীদের সম্পর্কে তাহমিলুর রহমান বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক বলা হলেও আসলে তারা স্বেচ্ছাসেবক নন। সম্মানির বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন। অন্যদের থেকে তাদের আলাদা করার জন্য অ্যাপ্রোন দেয়া হয়েছে।’
পর্যটকদের সেবার মান বাড়াতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘১০ টাকার বিনিময়ে আমরা পর্যটকদের কয়েকটি সেবা দেই। পর্যটন এলাকায় ড্রেস চেঞ্জ করার রুম ও টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যটকরা এগুলো বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারেন। সেই সঙ্গে রয়েছে ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবস্থা। এ ছাড়া প্রবেশ ফি দিয়ে পর্যটন এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখারও কাজ করা হয়। টিকিট দেখালে পর্যটকরা সহজে ও নির্ধারিত দামে ফটোগ্রাফার, ট্যুর গাইড ও নৌকার মাঝি পান।’
জমা হওয়া টাকার বিষয়ে ইউএনও বলেন, ‘টিকিট ফি থেকে প্রতিদিন সমান টাকা ওঠে না। একেক দিন একেক রকম হয়। আমি দিনে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা আদায় হতে দেখেছি। উপজেলা পর্যটন কমিটি নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে। এই অ্যাকাউন্টে প্রবেশ ফি জমা হয়। ইউএনও এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করেন। এখন পর্যন্ত ৪০ লাখ টাকা জমা হয়েছে।’
এদিকে বৃহস্পতিবার গোয়াইনঘাট প্রশাসনের নিয়োগকৃত স্বেচ্ছাসেবকরা জাফলং পর্যটনকেন্দ্রে নারী ও শিশুসহ একদল পর্যটককে লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দুপুর ২টার দিকে টিকিট কেনাকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় উপজেলা প্রশাসনের টোল কাউন্টারে নিযুক্ত কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক।
পড়ুন: জাফলংয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ৫
প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে বিকাল ৫টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও জাফলং সাব জোনের ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক ঘটনাস্থলে যান। পরে হামলাকারী পাঁচ স্বেচ্ছাসেবককে গ্রেপ্তার করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। হামলার ঘটনায় আহত সুমন নামের এক পর্যটক বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- গোয়াইঘাটের পন্নগ্রামের মৃত রাখা চন্দ্রের ছেলে লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস (২১), ইসলামপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. সেলিম আহমেদ (২১), নয়াবস্তি এলাকার ইউসুফ মিয়ার ছেলে সোহেল রানা, পশ্চিম কালীনগর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে নাজিম উদ্দিন ও ইসলামপুর রাধানগর গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দীনের ছেলে জয়নাল আবেদীন। তাদেরকে শুক্রবার দুপুরে সিলেটের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষে শুক্রবার (৬ মে) সকাল থেকে আগামী সাত দিন পর্যটকদের কাছ থেকে কোনো ধরনের টিকিট বাবদ টাকা আদায় করা হবে না। জাফলং সবার জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও (ইউএনও) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পর্যটকদের জন্য আগামী সাত দিন জাফলং উন্মুক্ত থাকবে।
পড়ুন: জাফলংয়ে পর্যটকের ওপর স্বেচ্ছাসেবীদের হামলা, আহত ৬
২ বছর আগে
গোয়াইনঘাটে পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় মেহেদি লাগানো হাত পরিস্কার করার সময় ডোবার পানিতে ডুবে খালাতো দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের মরজাত পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশুরা হলো গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের কান্দি গ্রামের আজির উদ্দিনের শিশু কন্যা তানজিনা (৬) ও একই ইউনিয়নের গোস গ্রামের আলিম উদ্দিনের শিশু কন্যা তাবাসসুম (৫)।
পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া হেলাল জানান, ২৪ মার্চ (বৃহস্পতিবার) ডৌবাড়ী ইউনিয়নের কান্দি গ্রামের আজির উদ্দিনের স্ত্রী শিশু কন্যা তানজিনা এবং একই ইউনিয়নের গোস গ্রামের আলিম উদ্দিনের স্ত্রী শিশু কন্যা তাবাসসুমকে নিয়ে মরজাত পুর গ্রামে তাদের বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন।
শুক্রবার বিকালের দিকে তানজিনা ও তাবাসসুম হাতে মেহেদী লাগিয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে ওই দুই শিশু বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নানা আহমদ আলীর বাড়ির কাছে একটি ডোবায় মেহেদি যুক্ত হাত পরিস্কার করতে গিয়ে পানিতে পড়ে মারা যায়।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়েছে।
পড়ুন: বগুড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পদ্মায় গোসল করতে নেমে শিশুর মৃত্যু
২ বছর আগে