গোয়াইনঘাট
গোয়াইনঘাটের সালুটিকর-কচুয়ারপার সড়কে অন্তহীন দুর্ভোগে মানুষ
শত বছরের পুরনো সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাওঁ ও তোয়াকুল ইউনিয়নের হাওরাঞ্চল। এই হাওরাঞ্চলে রয়েছে উপজেলার নন্দিরগাওঁ ও তোয়াকুল ইউনিয়নের ছোট বড় প্রায় ১৮টি গ্রাম। দেশ স্বাধীনের ৫৩ বছর অতিবাহিত হলেও এসব গ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি, নির্মাণ করা হয়নি পাকা সড়ক।
সরেজমিনে দেখা যায়, সালুটিকর বাজার থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরেই নন্দিরগাওঁ ইউনিয়নের কচুয়ারপার, দারিকান্দি ও দারিরপার গ্রাম। দারিকান্দি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে চৌধুরী কান্দি, বাইমারপার, চলিতাবাড়ি ও শিয়ালা হাওর গ্রাম। শিয়ালা হাওর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে জলুরমুখ গ্রাম এবং জলুরমুখ থেকে লক্ষীনগর, মেউয়ারকান্দি, চদিবদি হাওর, পূর্ব পেকেরখাল, জামলাকান্দি গ্রামগুলোর দূরত্ব আরও দুই কিলোমিটার। মাত্র ১০ কিলোমিটার পাকা সড়কের অভাবে এ যুগেও নন্দিরগাওঁ ও তোয়াকুল ইউনিয়নের এসব গ্রামের উপাধি হাওরাঞ্চল হিসেবে। এসব গ্রাম থেকে থেকে সালুটিকর বাজার, গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর কিংবা জেলা শহরে যাওয়ার রাস্তা মাত্র একটি। এই একমাত্র রাস্তায়ও দৃষ্টি পড়েনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। হাওর এলাকায় দৃষ্টি দিলে দেখা মেলে 'বর্ষায় নাও আর হেমন্তে পাও' প্রবাদের বাস্তব চিত্র।
স্থানীয়রা জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী প্রাথমিকের গন্ডি পেরিয়েই পড়াশোনার ইতি টানছে।
চলিতাবাড়ি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা কাশেম আলী বলেন, নন্দিরগাওঁ ও তোয়াকুল ইউনিয়নের হাওরাঞ্চলের গ্রামে জনবসতি শত বছরের পুরোনো। এখনে ১৫ হাজার মানুষের বাস। গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, সব রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধিরাই শুধু ভোটের সময় গ্রামে আসেন। নির্বাচন শেষ হলে তারা উধাও। একটি রাস্তার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেও ফল মেলেনি।
আরও পড়ুন: সিলেটের সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক সংস্কারে 'রাস্তার পেট কেটে' মাটি ভরাটের অভিযোগ
কৃষি, নদী, গবাদি পশু লালন পালন ও বর্ষায় মাছ ধরার মধ্যেই এ সকল গ্রামের মানুষের জীবিকা সীমাবদ্ধ। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকার কারণেই তারা এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
নন্দিরগাওঁ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইউনুস আলী ও একই ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা রমযান আলী বলেন, 'আমাদের গ্রামে স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ৬ থেকে ৭ বছর আগে বিদ্যুতের আলো পৌঁছালেও রাস্তায় মাটির কাজ ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন জনপ্রতিনিধিরা করেননি।
নন্দিরগাওঁ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া বলেন, '১৫ বছর যাবৎ সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ হাওরাঞ্চলে কুড়ি বার মাটির রাস্তা পরিদর্শন করে পাকাকরণের আশ্বাসও দিয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি।
আমাদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নেই। অসুস্থ হলে স্বাস্থ্যসেবা পাই না। রাস্তাঘাট নেই। ভোটের সময় এলে অনেকে অনেক প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ভোটের পর তাদের আর দেখা যায় না। গত ১৫ বছর শুধু রাস্তা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিই শুনে গেলাম। কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়ন হয়নি।
নন্দিরগাওঁ ইউনিয়নের আরেক বিএনপি নেতা আব্দুল মতিন লেবু বলেন, রাস্তার অভাবে গ্রামের লোকজন অসুস্থ হলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা সেবা মেলে না। মুমূর্ষু রোগীদের পলো অথবা গরুর গাড়িতে করে নিয়ে যেতে হয় চিকিৎসকের কাছে। এমনকি যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে বিনা চিকিৎসায় মারা যায় অনেকে। সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তায় চলতে পারি না। এখন তো হেঁটে আমরা সালুটিকর বাজারে যেতে পাড়ি। কিন্তু জ্যৈষ্ঠ মাসে সবাইকে হাঁটুর উপরে কাপড় তুলে দুই কিলোমিটার রাস্তা যাতায়াত করতে হয়।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন সালুটিকর-গোয়াইনঘাট রাস্তা থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর পর্যন্ত গাংকিনারী রাস্তা নামে এলজিইডিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর থেকে গাংকিনারী রাস্তায় দুই কিলোমিটার আরসিসি ঢালাই করে পাকা করা হয়েছে। অপর দিকে সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়কের কচুয়ারপার গ্রাম পর্যন্ত পাকাকরণের লক্ষে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রকৌশলীকে ডাটাবেইজ সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬ মাস ধরে বেতন বন্ধ সিলেট সরকারি ইউনানী আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ শিক্ষকদের
২ সপ্তাহ আগে
৫ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না গোয়াইনঘাটের ১৯ স্বাস্থ্যকর্মী
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৯ জন কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী ৫ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। বেতন বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ১৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকের ১৯ জন হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) কর্মরত। চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে।
পওনা বেতনের দাবিতে আগস্ট মাসে তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে নেওয়ার দাবিতে ঢাকায় আন্দোলনও করের সিএইচসিপিরা। তবে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আশ্বাসে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উন্নয়ন খাত থেকে রাজস্ব খাতে পদটি স্থানান্তরে জটিলতার কারণে বেতন বন্ধ রয়েছে সিএইচসিপিদের।
তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব পেকেরখাল কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি অদথ্য দাস বলেন, ‘আমরা প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছি। অথচ সেই আমরাই অর্থকষ্টে ভুগছি।’
নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের কচুয়ারপার কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি সোহেল আহমদ বলেন, ‘পাঁচ মাস নিয়মিত কাজ করেও বেতন পাচ্ছি না। সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। কবে বেতন পাব তাও অনিশ্চিত। দ্রুত বকেয়া বেতনসহ সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করছি।’
গোয়াইনঘাট উপজেলা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের হান্নান সিদ্দিকী বলেন, ‘উন্নয়ন খাত থেকে চাকরি রাজস্ব খাতে যেতে স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন, যা গত পাঁচ মাসেও হয়নি। যে কারণে আমরা বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।’
গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহআলম স্বপন বলেন, ‘শুধু গোয়াইনঘাট উপজেলায় নয়, সারা দেশে সিএইচসিপিদের বেতন বন্ধ রয়েছে।’
৪ সপ্তাহ আগে
সিলেটে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সিলেটের গোয়াইনঘাটে ডোবার পানিতে ডুবে মিম আক্তার (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের টুকইর যথনাথা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মিম আক্তার উপজেলার টুকইর যথনাথা গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পুকুরে ডুবে নিখোঁজ হওয়ার ২০ ঘণ্টা পর যুবকের লাশ উদ্ধার
জানা যায়, মিম দুপুরে খেলতে গিয়ে সবার চোখের আড়ালে বাড়ির পাশের ডোবার পানিতে পড়ে যায়। স্বজনরা ডোবার পানি থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ বলেন, দুই বছরের শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
১ মাস আগে
গোয়াইনঘাটে বাড়ির পাশে মিলল কিশোরের ঝুলন্ত লাশ
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় মো. শাহাদত (১৬) নামে এক কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২০ অক্টোবর) ভোরে বাড়ির পাশের গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে অজ্ঞাত ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
শাহাদত উপজেলার ১০ নম্বর পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের পূর্ণানগর এলাকার আমির উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরিবারের সবার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া শেষে নিজ শয়নকক্ষের ঘুমিয়ে পড়েন শাহাদত। ধারণা করা হচ্ছে রাতে কোনো এক সময় বাড়ির পাশের গাছের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগান তিনি।
ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্থানীয়রা ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ বলেন, তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত সঠিকভাবে বলা যাবে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে অজ্ঞাত ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
২ মাস আগে
সিলেটের গোয়াইনঘাটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
গোয়াইনঘাটে দুই শতক জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাই রুহুল আমিনের রডের আঘাতে ছোট ভাই ইব্রাহিমের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৫ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের নিয়াগুল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ভোলায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ
নিহত ইব্রাহিম নিয়াগুল গ্রামের হোসেন আহমদ ওরফে হুরু হুনার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হোসেন আহমদের দুই ছেলের মধ্যে দুই শতক জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে রুহুল আমিনের হাতে থাকা একটি রডের টুকরো দিয়ে ইব্রাহিমের গলায় পোঁচ দেন রুহুল আমিন। এতে ইব্রাহীম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ও প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
পরে স্থানীয়রা ইব্রাহিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরপরই মূল ঘাতক রুহুল আমিন ও তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ পাঠান।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, জমি সংক্রান্ত ঘটনার জেরে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দুই ভাইয়ের একজনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মূল ঘাতকসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান চলছে বলে জানান গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন
জমি নিয়ে বিরোধ: বাগেরহাটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
৬ মাস আগে
সিলেটে আরও একটি মর্টার শেল উদ্ধার
সিলেটের গোয়াইনঘাটে চার দিনের ব্যবধানে আরও একটি পরিত্যক্ত মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে উপজেলার মধ্যজাফলং ইউনিয়নের বাউরভাগ হাওর এলাকা থেকে এটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাউরভাগ হাওরের দক্ষিণপাড়া এলাকায় এক ব্যক্তি নদী পারাপারের সময় নদীর মধ্যবর্তী স্থানে তার পায়ে লোহার স্পর্শ লাগে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিএসআরএমের কারখানা থেকে ২টি মর্টার শেল উদ্ধার
তিনি লোহার বস্তুটি তুলে পরিষ্কার করে পাড়ে এনে দেখেন তা একটি মর্টার শেল। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সাধারণ মানুষকে মর্টার শেল থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেয়।
স্থানীয়দের ধারণা, এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মর্টার শেল হতে পারে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান সুমন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মর্টার শেল থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনে। বর্তমানে পুলিশ সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাফলং থেকে পরিত্যক্ত মর্টার শেল উদ্ধার
মিয়ানমার থেকে আর কোনো মর্টার শেল বাংলাদেশে পড়বে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৯ মাস আগে
সিলেটে মাইক্রোবাস-সিএনজির সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৭
সিলেটের গোয়াইনঘাটে মাইক্রোবাস ও সিএনচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের সালুটিকর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের মধ্যে রয়েছেন চালকসহ সিএনজি অটোরিকশার ৬ জন এবং মাইক্রোবাসচালক।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান, ৬ জন হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। আর ৫ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে একজন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাইক্রোবাস-সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ৬
নিহত ৭ জনের মধ্যে ৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে মো. কালন মিয়া (৩৫) ও পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে মাওলানা কাজী আমির উদ্দিন (৪২), ঢাকার রায়ের বাজার এলাকার মাইক্রোবাসচালক আবু তাহের (৪৫) ও কোম্পানীগঞ্জের উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের বতুমারা গ্রামের মো. ইদ্রিস আলী (৪০)। নিহত বাকি ৩ জনের বাড়ি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া মাইক্রোবাস সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকর এলাকায় পিয়াইনগুল কাজী কলিমুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে গাড়িটির সামনের ডানপাশের চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এ সময় গাড়ি দু’টি সড়কের পাশের খালে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন মারা যান। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যায়।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রভাস কুমার সিংহ এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
সিলেটে মাইক্রোবাস-সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ৬
সিলেটের গোয়াইনঘাটে মাইক্রোবাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ২ জন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলায় সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের সালুটিকর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নৌ দুর্ঘটনায় ৬ মাসে নিহত ৫৭: এসসিআরএফ
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের সালুটিকর এলাকায় ভোলাগঞ্জগামী মাইক্রোবাসের চাকা ফেটে সিলেটগামী অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় দু’টি যানবাহনই সড়কের পাশের খালে পড়ে যায়। এতে অটোরিকশার চালক ও নারীসহ ৪ যাত্রী নিহত হন। এছাড়া আরও ৩ জন আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয় বলে জানান ওসি।
তিনি আরও জানান যে নিহত ৬ জনের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম কাজী আমির উদ্দিন। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা এবং পাড়ুয়া আনোয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক। বাকিদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫০
১ বছর আগে
গোয়াইনঘাটে স্কুল শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিলেটের গোয়াইনঘাটে দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার পূর্ব জাফলংয়ের সোনাটিলা এলাকার নিজ বসতঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত নাদিয়া আক্তার (১০) উপজেলার সোনাটিলা গ্রামের শাহনআলম মিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় গুচ্ছগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে পারিবারিক কলহের জেরে শিশুটির মা তাদের সন্তানদের রেখে বাবার বাড়িতে চলে যায়। এরপর শিশুটিকে একা ঘরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে মনে হলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
পড়ুন: চট্টগ্রামে দুই যুবকের আত্মহত্যা
ধামরাইয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের গর্তের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
সড়কের পাশ থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
প্রতিপক্ষের হামলা: ছেলের পর মারা গেলেন মা
সিলেটের গোয়াইনঘাটের লাবু গ্রামে ছেলে আব্দুল কাদিরকে (২৭) জবাই করে হত্যার তিনদিন পর তার আহত মা হাসিনা বেগমও মারা গেলেন। রবিবার দুপুরে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগে গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে গোয়ানইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লাবু গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা আব্দুল কাদিরকে জবাই করে হত্যা করে।
নিহত কাদির ওই গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে।
এ ঘটনায় কাদিরের মাসহ আরও অন্তত ৫/৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে নিহত কাদিরের বসতবাড়ি পুড়ে গেছে বলেও জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দক্ষিণ লাবু গ্রামের কয়েকজনের সঙ্গে চার বছর আগের একটি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিল নিহত কাদিরের বাবা আব্দুল খালিক ও তার আত্মীয়স্বজনদের। এ নিয়ে ঘটনার আগে উভয়পক্ষে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে আব্দুল খালিকের বাড়িতে আক্রমণ করেন গ্রামের কিছু মানুষ। তাদের প্রতিরোধ করতে এলে কাদিরকে জবাই করা হয় এবং তাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। আগুনে একটি ঘর পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা লাশ উদ্ধার ও আহতদের হাসপাতালে পাঠায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত কাদিরের লাশ উদ্ধার করি।
আরও পড়ুন: সিলেটে নিখোঁজের একদিন পর ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
সিলেট সীমান্তে ভারতীয় খাসিদের গুলিতে ২ বাংলাদেশি আহত
২ বছর আগে