কলা
নিলামে ৬২ লাখ ডলারে বিক্রি হলো সেই কলা
জনপ্রিয়তার পারদ চড়াতে চড়াতে তা এবার আকাশে তুললেন প্রখ্যাত ইতালীয় শিল্পী মাউরিৎসিও কাত্তেলান। ২০১৯ সালে শিল্পাঙ্গনে একটি কলা নিয়ে এসে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তিনি, এবার সেই ‘কলা শিল্প’ বিক্রি হলো আকাশছোঁয়া মূল্যে।
শিল্প হলেও তা আসলে একটি কলাই; হ্যাঁ, যে কলা আমরা খেয়ে থাকি। কিন্তু তাই বলে একটি কলা ৬২ লাখ ডলারে বিক্রি হবে? অথচ হয়েছে তা-ই।
স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সদেবিজ-এর নিলামে কলার ওই শিল্পকর্মটি বিক্রি হয়েছে ৬.২ মিলিয়ন ডলারে। নিলাম শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে ছয় প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলে সেটি কিনে নেন চীনা বংশোদ্ভূত ক্রিপ্টো উদ্যোক্তা জাস্টিন সান।
এই শিল্পকর্মটি মূলত ২০১৯ সালের কনসেপ্ট আর্টওয়ার্ক। ‘কমেডিয়ান’ নামের এই শিল্পের স্রষ্টা মাউরিৎসিও কাত্তেলান। এটি মূলত ডাক্ট টেপ দিয়ে দেয়ালে আটকে রাখা একটি কলা, শিল্পীর নির্দেশনা অনুযায়ী যা প্রতিস্থাপনযোগ্য।
সে বছর আর্ট বাসেল মায়ামি বিচ প্রদর্শনীতে প্রথম ‘কমেডিয়ান’-এর প্রদর্শনী হয়। এরপর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে আসেন কাত্তেলান ও তার এই শিল্পকর্ম।
শিল্পপ্রেমীদের কাছে শিল্পের চিরাচরিত মাপকাঠি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয় ‘কমেডিয়ান’। এর পক্ষে-বিপক্ষে ওঠে আলোচনার ঝড়। প্রথম কলাটি শত শত দর্শকের সামনে দেয়াল থেকে তুলে খেয়ে ফেলেন পারফর্ম্যান্স আর্টিস্ট ডেভিড ডাটুনা। এরপর তা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে।
ডাটুনা অবশ্য পরে দাবি করেন, কলা খাওয়ার কাজটি তার নিজস্ব আর্টিস্টিক পারফরম্যান্স ছিল। কোনো ধরনের উগ্রতা প্রদর্শনের ইচ্ছায় তিনি কাজটি করেননি।
পরে ফের আরেকটি কলা সেখানে সাঁটানো হলে সেটি দেখতে এত লোকের ভীড় হয় যে একপর্যায়ে মায়ামির প্রদর্শনী থেকে ‘কমেডিয়ান’ সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে তার আগেই সেখানে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে দেড় লাখ ডলারের মধ্যে এর তিনটি সংস্করণ বিক্রি হয়।
১ মাস আগে
বাজিধরে ২ কেজি গুড় আর কলা খাওয়ায় প্রাণ গেল যুবকের
নওগাঁর বদলগাছীতে বাজি ধরে দুই কেজি গুড় ও কলা খেয়ে এক কৃষকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১ নভেম্বর) জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বদলগাছী উপজেলার কোলা ইউপির ভাণ্ডারপুর এলাকায়।
মৃত কৃষক বায়োজিদ হোসেন (৪৫) উপজেলার পাড়আধাইপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ডায়রিয়ায় প্রাণ গেল ২ জনের, আক্রান্ত শতাধিক
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার উপজেলার ভাণ্ডারপুর বাজারে পাড়আধাইপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে বায়েজিদের সঙ্গে ইসমাইলপুর গ্রামের লবার ছেলে বিতু কসাইয়ের গুড় খাওয়া নিয়ে বাজি হয়। বাজি অনুযায়ী বিতু কসাই স্থানীয় এক দোকানির কাছ থেকে দুই কেজি দানার গুড় কিনে এনে কৃষক বায়জিদ হোসেনকে খেতে দেন। বাজিতে দুই কেজি গুড় বায়জিদ খেতে পারলে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরও দুই কেজি গুড় কিনে দেবেন বিতু কসাই। দুজনের কথা অনুযায়ী গুড় খাওয়ার বাজি খেলা শুরু হয়।
পরে বাজি শেষে স্বাভাবিক অবস্থায় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন তাকে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে ওই কৃষকের মৃত্যু হয় বলে স্থানীয়রা জানান।
কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো শাহীনুর ইসলাম স্বপন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তিনি বিভিন্ন সময় বাজি ধরে এসব করতেন।
বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. আতিয়ার রহমান মুঠোফোনে বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে ৭ মাসের শিশুসহ প্রাণ গেল ২ জনের
পাবনায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
১ বছর আগে
ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের অধীনে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা পূর্বে ‘খ’ ইউনিট নামে পরিচিত।
শনিবার দেশের আটটি বিভাগে পরীক্ষা সকাল ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ হয়।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা নিতে ইউজিসিকে রাষ্ট্রপতির নির্দেশ
পরীক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান থেকে ৬০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর এবং বাংলা ও ইংরেজি থেকে ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার ৯০ মিনিটের মধ্যে উত্তর দিতে হয়েছিল।
এদিকে সকাল ১১টায় কলা অনুষদের পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন পদ্ধতি অনুসরণ করে এবারের পরীক্ষার আয়োজন করেছি। পরীক্ষার নাম পরিবর্তন করে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা দিয়েছি।’
এছাড়া কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আব্দুল বশীর এই পরীক্ষার সমন্বয় করছেন।
তিনি বরেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মোট ৬৮ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছে এবং বাকি শিক্ষার্থীরা সাতটি বিভাগীয় শহর থেকে পরীক্ষায় বসেছে।
তিনি আরও বরেন, এ বছর মোট দুই হাজার ৯৩৮টি আসনের বিপরীতে মোট এক লাখ ২২ হাজার ৮৮৬জন আবেদনকারী পরীক্ষার জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা: রাবিতে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
শনিবার থেকে খুবি উপকেন্দ্রে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু
১ বছর আগে
সুস্থ থাকতে কলা নয়, খোসা খান
মানব শরীরের জন্য ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই সুস্থ থাকতে ফল খাওয়া অনেক জরুরী। ওজন কমানো থেকে এনার্জি বাড়ানো সবকিছুতেই ডায়েচ চার্টে সবার উপরে থাকবে ফল। কিন্তু তার থেকেও বেশি উপকারী ফলের খোসা এই কথা অনেকেই জানেন না। তবে এমনটাই এখন দাবি করছেন ডায়টেশিয়ানরা।
আরও পড়ুন: জেনে নিন তরমুজ বীজের উপকারিতা
কলার থেকেও নাকি বেশি উপকারি কলার খোসা। কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন বি-৬, বি-১২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম যেমন হজমে সাহায্য করে তেমনই কলায় থাকা প্রচুর পরিমান ফাইবার পেট পরিষ্কার রাখে। কলা যেমন আমরা এমনি খেতে অভ্যস্ত, তেমনি কর্নফ্লেক্সের সঙ্গে, কলার পুডিং, মাফিন, কেক এমনকী, কলার বড়াও বেশ উপাদেয়। তবে কলা যেভাবেই খাই না কেন খোসাটি কিন্তু যায় সেই ডাস্টবিনে। এদিকে এই কলার খোসাতেই থাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ। যা শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই বাড়িয়ে তোলে নয়, যেকোনও সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে অত্যন্ত উপকারী। খোসার মধ্যে থাকা লুটিন নামক পদার্থ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও উপকারী। এছাড়াও কলার খোসায় থাকা প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। শরীরে রক্তচাপের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে কলার খোসা।
আরও পড়ুন: অনলাইন ব্যবসায় সাফল্য পেতে জেনে নিন ১০ ধাপ
সবুজ না হলুদ কোন খোসা বেশি উপকারী?
জাপানের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে সবুজ খোসার থেকে বেশি উপকারী হলুদ খোসা। এই খোসা রক্তে শ্বেতকণিকার পরিমাণ ঠিক রেখে ক্যান্সার মোকাবিলা করতে পারে। সবুজ খোসার ক্ষেত্রে ১০ মিনিট খোসা সিদ্ধ করে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। অন্যদিকে সবুজ খোসার মধ্যে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড ট্রিপ্টোফ্যানের কারণে রাতে ভালো ঘুম হয়।
অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে সবুজ খোসার মধ্যে থাকা সিরোটোনিন অবসাদের মোকাবিলা করতেও সক্ষম। আবার ডোপামিনের সাহায্যে কিডনিতে রক্ত চলাচল ভালো হয়।
আরও পড়ুন: মাস্ক পরলে চশমা ঘোলা হচ্ছে? সমাধান জেনে নিন
কীভাবে কলার খোসা খাবেন?
অনেক রকম ভাবে কলার খোসা খাওয়া যায়। এশিয়া ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপগুলিতে কলার শাঁস ও খোসা প্রায় একসাই খাওয়া হয়। এছাড়াও বানানা পিল টি বা বানানা পিল স্মুদি উইথ আইসক্রিমও স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। কেউ কাঁচা খোসা খেতে পছন্দ করেন, কেউ বা সিদ্ধ করে খেতে পছন্দ করেন।
সূত্র: টাইম অফ ইন্ডিয়া বাংলা
৩ বছর আগে