জামায়াত ইসলামী
বরিশালে জামায়াতের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
বরিশালে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল থেকে ৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বের) সকালে নগরীর নবগ্রাম রোডের খান সড়কের কাছ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সিরাজুল ইসলাম, সোবহান হাওলাদার, আব্দুল কাইয়ুম, মেহেদী হাসান, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আলী, মোস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ ইমরান।
আরও পড়ুন: ‘আপত্তিকর ফেসবুক পোস্ট’ দেওয়ার অভিযোগে গাজীপুরে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, তাদের বিরুদ্ধে আগেই বিস্ফোরক আইনে মামলা ছিল। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, জামায়াতের আমীর, আলেম-ওলামাসহ সব রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে এই মিছিল বের হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আনসার আল ইসলামের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার
বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা এঁকেছিল জামায়াতে ইসলামী: তথ্যমন্ত্রী
রাজধানীতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ হাজারের বেশি জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর রাজধানীর মালিবাগ, মৌচাক, শাহজাহানপুর ও রামপুরা এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পাঁচ হাজারের বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শনিবার পৃথক পাঁচটি মামলা করেছে পুলিশ।
মামলা গুলোর মধ্যে রমনা, শাহজাহানপুর ও রামপুরা থানায় একটি করে এবং খিলগাঁও থানায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিএমপি সদর দফতরের সূত্র জানায়, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুবীর কুমার বাদী হয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৯১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এসআই মো. হায়াত আলী খান বাদী হয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৭৩ জন নেতাকর্মী এবং ৮০০ থেকে ৯০০ অজ্ঞাতনামা আসামি করে শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
রামপুরা থানায় এসআই মারুফ হোসেনের দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রায় ৬৩ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এসআই রেজাউল করিম বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মোট ১৪৮ জন নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ৮১ জনের নামে মামলা, অজ্ঞাত আসামি ২ হাজার
পাঁচটি মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ বলছেন, শুক্রবার জুমার নামাজের পর মিছিল বের করতে গেলে রাজধানীর মালিবাগ, মৌচাক, শাহজাহানপুর ও রামপুরা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে ১০ পুলিশ ও জামায়াত-শিবিরের সদস্যসহ কয়েক ডজন লোক আহত হয়।
এ ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের বেশ কয়েকজন সদস্যকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আরও পড়ুন: মালিবাগে গণমিছিল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে জামায়াতের সংঘর্ষ
জামায়াতের আমির নতুন জঙ্গি সংগঠন তৈরিতে জড়িত: সিটিটিসি প্রধান
ঢাকা মেট্রেপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান আসাদুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা.শফিকুর রহমান নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার কর্মীদের বান্দরবানে প্রশিক্ষণ নিতে এবং খরচ বহন করার জন্য সরাসরি সহায়তা প্রদানে জড়িত ছিলেন।
মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আসাদুজ্জামান বলেন, গত ৯ নভেম্বর নগরীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে শফিকুর রহমানের ছেলে রাফাতকে তার এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন:রাজশাহীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে ২ পুলিশ আহত
তিনি বলেন, রাফাতকে গ্রেপ্তারের আগে সিটিটিসি ইউনিট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়ার তিন সদস্যকে প্রশিক্ষণের জন্য সিলেটের দিকে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার করে। তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর তারা রাফাত ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে।
রাফাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল এবং এখন নতুন জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রাফাত আনসার আল ইসলামের সদস্য ছিল এবং জঙ্গি গোষ্ঠী থেকে কিছু সমর্থক সংগ্রহ করেছিল তাদের নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ায় যোগ দেয়ার জন্য। রাফাতের নেতৃত্বে একদল যুবক, যারা সম্প্রতি বাড়ি ছেড়েছে, তারা বান্দরবান গিয়েছিল সেখান থেকে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি সশস্ত্র গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সঙ্গে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের জন্য সিলেটে গিয়েছিল।’
আসাদুজ্জামান বলেন, জামায়াতের আমির সম্প্রতি বাড়ি ছেড়ে যাওয়া তরুণদের পার্বত্য এলাকায় প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো এবং তাদের খরচ বহন করার সঙ্গে জড়িত ছিল।
এছাড়া এ ঘটনায় শাকির নামে এক চিকিৎসককেও আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের সিটিটিসি ইউনিট।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন:জামায়াত আমির ডা. শফিকুর গ্রেপ্তার
হেফাজতের তাণ্ডব: জামায়াতের সাবেক এমপি শাহজাহান ৩ দিনের রিমান্ডে
সাতকানিয়ার গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা ও সাতকানিয়ার সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরীকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
জেলার হাটহাজারীতে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শনিবার বিকালে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার ইকবালের আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: জামায়াতের সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী গ্রেপ্তার
জেলা কোর্ট পরিদর্শক হুমায়ূন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ভোরে সাতকানিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ছমদর পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে শাহজাহান চৌধুরীকে সাতকানিয়া থানা পুলিশ আটক করে। পরে হাটহাজারীর তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে আদালতে তোলা হয়। এর আগে তাকে হাটহাজারী থানা পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের অর্থাদাতাদের শনাক্তে তৎপর গোয়েন্দা সংস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জামায়াতের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহজাহান চৌধুরী পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে বসবাস করলেও ঈদ করতে ঈদের আগের দিন রাতে গ্রামের বাড়িতে আসেন। ঈদের দিন দলীয় নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে রাতে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল রাতে চন্দনপুরা দারুল উলুম মাদরাসা থেকে তিনি ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন তিনি।