বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার
শুক্রবার (৮ মার্চ) থেকে মার্চ মাসের জন্য পেট্রোলিয়াম জ্বালানির নতুন (স্বয়ংক্রিয়) খুচরা মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) জারি করা প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৯ টাকার পরিবর্তে ০.৭৫ টাকা কমিয়ে ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা এবং অকটেনের দাম ১৩০ টাকা থেকে ৪ টাকা কমিয়ে ১২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ১২২ টাকা।
এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়ামের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে এআইআইবির আরও বিনিয়োগ চায় সরকার : নসরুল হামিদ
অকটেন ও পেট্রোলের দাম সম্পর্কে ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এই দুটি জিনিস মূলত প্রাইভেট কার মালিকরাই ব্যবহার করেন। এই দুটি বিলাসবহুল আইটেম বলে মনে করা হয়। সুতরাং, দুটি পণ্যের দাম সবসময় ডিজেলের চেয়ে বেশি থাকে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে প্রতি মাসে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলা ও গাইডলাইনের আওতায় পেট্রোলিয়াম জ্বালানির দাম সমন্বয় করা হবে।
এতে উল্লেখ করা হয়, দেশে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হলেও বর্তমানে ভারতের কলকাতায় ডিজেল ৯২.৭৬ রুপি বা ১৩৩.৫৭ টাকায় (১ রুপি=১ টাকা ৪৪ পয়সা) এবং পেট্রোল ১০৬.০৩ রুপি বা ১৫২.৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের থেকে যথাক্রমে ২৪.৫৭ টাকা এবং ২৭.৬৮ টাকা বেশি।
আরও পড়ুন: স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্দেশিকা প্রয়োগে জ্বালানির দাম কমতে পারে: নসরুল হামিদ
এর আগে গত ১ মার্চ দেশব্যাপী জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে 'ফুয়েল প্রাইসিং গাইডলাইন' জারি করে সরকার।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় মূল্য বাড়বে বা কমবে এবং প্রতি মাসে সরকার এক মাস মেয়াদে এ ধরনের দাম ঘোষণা করবে।
জ্বালানি মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকায় অবশ্য এর কার্যকারিতার উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করার পরিকল্পনা করা হলে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে এক মাসের জ্বালানি তেলের দাম গড় মূল্য নির্ধারণ করে এপ্রিলের জন্য দাম নির্ধারণ করতে হবে।
কিন্তু জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করা হয় ৮ মার্চ থেকে।
আরও পড়ুন: জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকিতে নেট-জিরো লক্ষ্যমাত্রা: ইউএনইপি
৮ মাস আগে
জরুরি ভিত্তিতে অবৈধ বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করার সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি জরুরি ভিত্তিতে অবৈধ বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের লাইন শনাক্ত করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে।
সংসদীয় পর্যবক্ষেক এই কমিটি দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের প্রকৃত চাহিদা নির্ধারণ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার পরামর্শও দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াসেকা আয়েশা খানের সভাপতিত্বে কমিটির ৪১তম বৈঠক থেকে এ সুপারিশ করা হয়েছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) আওতাধীন এলাকায় লোডশেডিং কমাতে গৃহীত পদক্ষেপ এবং দেশে নির্মাণাধীন কয়লা, জ্বালানি ও প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সর্বশেষ বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।
সংসদীয় কমিটি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদস্যদের নিয়মিত যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বলেছে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ে ক্রয় ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
সভায় পূর্ববর্তী ৩৯ ও ৪০তম বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
কমিটি আমদানিকৃত জ্বালানি বিক্রয় বা বিতরণ ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয় করার জন্য, সিস্টেমে অনিয়ম থাকলে তা অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া এবং ভূতাত্ত্বিক জরিপ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ এবং প্রয়োজনে কোয়ারিগুলোতে পাহারাদার নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় প্যানেল।
কমিটির সদস্য মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার, মো. আসলাম হোসেন সওদাগর, খালেদা খানম ও নার্গিস রহমান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সংসদীয় ৬ স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠন
বিমান ছিনতাই তদন্তে সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি
১ বছর আগে
২৪ জুন থেকে ১৩ দিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে
ঈদের ছুটিতে সারাদেশে মোটরযান চলাচলের সুবিধার্থে ২৪ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত ১৩ দিন সিএনজি ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে।
বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এক অফিস আদেশে সিএনজি স্টেশন মালিকদের এ নির্দেশনা দেয়।
আদেশে বলা হয়, ঈদুল আযহার আগের ৫ দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পর সাত দিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে।
বর্তমানে, গ্যাস সংকটের কারণে গ্যাস রেশনিং পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সিএনজি পাম্পগুলো প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত মোট ৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ভাঙচুরের প্রতিবাদে দিনব্যাপী ধর্মঘটের ডাক
রমজানে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন বন্ধ
সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকবে
১ বছর আগে
বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে প্রসেস ট্রেনের একটিতে উৎপাদন পুনরায় শুরু
বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে দুটি ক্ষতিগ্রস্ত প্রসেস ট্রেনের একটিতে উৎপাদন পুনরায় শুরু হওয়ায় গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং শেভরন বাংলাদেশ উভয়ই গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহের মাত্রার উন্নতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শেভরন গ্যাস ক্ষেত্রের গ্যাস উৎপাদন প্রতিদিন এক হাজার ১০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি)বৃদ্ধি পেয়েছে যা প্রক্রিয়াকালীন অবস্থায় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ৮০০ এমএমসিএফডির কম ছিল।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে গ্যাস ক্ষেত্রের উৎপাদনের প্রকৃত ক্ষমতা এক হাজার ২০০ এর বিপরীতে এক হাজার ১০০ তে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গ্যাস সরবরাহে ঘাটতিতে গ্রাহকদের ভোগান্তি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে আমরা ধীরে ধীরে সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছি। বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে জরুরি মেরামতের কাজের কারণে বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে।
এই সংকটকালীন সময়ে ধৈর্যের জন্য মন্ত্রণালয় তাদের গ্যাস গ্রাহকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, শেভরন বাংলাদেশ একটি পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে তারা বিবিয়ানা গ্যাস প্ল্যান্টকে পূর্ণ ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে অগ্রগতি করছে। প্ল্যান্টে ক্ষতিগ্রস্ত প্রসেস ট্রেনের একটিতে উৎপাদন এবং মাঠের চারটি কূপে ইতোমধ্যেই পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়েছে।
পেট্রোবাংলা ও তিতাস গ্যাস কোম্পানির কর্মকর্তারা অবশ্য বলেছেন, গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহে এখনও ঘাটতি থাকায় পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে।
কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটি চিহ্নিত হওয়ার পর ৩ এপ্রিল (রবিবার) থেকে গ্যাস সরবারহ কমে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৫ জেলার মানুষ উদ্বিগ্ন
২ বছর আগে
নায়ারণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জে ২৪ ঘণ্টা গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকবে
জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের কাজে সোমবার সকাল থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য নায়ারণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে গ্যাস সরবারহ বন্ধ থাকবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সিদ্ধিরগঞ্জ সিজিএসের (সেন্ট্রাল গ্যাস সাপ্লাই) জরুরি রক্ষণাবেক্ষ জন্য সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গ্যাস সরবারহ বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৪ জেলায় ১৫ মে পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকবে
এতে বলা হয়, জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য নারায়নগঞ্জ শহর এলাকা, সিদ্ধিরগঞ্জ, আদমজী ইপিজেড, গোদলাইন, পাগলা, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ বিসিক এলাকা, পঞ্চবটি থেকে মুক্তারপুর, মুন্সিগঞ্জ সদর, রেকাবি বাজার সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকবে বা গ্যাসের চাপ কম থাকবে।
মমন্ত্রণালয় এবং তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এই সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছে।
৩ বছর আগে