মাসুদ বিন মোমেন
এ অঞ্চলে যেকোনো দ্বন্দ্ব-যুদ্ধ বাংলাদেশকে উন্নয়ন লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারে: পররাষ্ট্র সচিব
বিশ্বের যেকোনো ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, এ অঞ্চলে যেকোনো ধরনের সংঘাত বা যুদ্ধ বাংলাদেশকে তার উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন থেকে বিচ্যুত করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না, সেটা সত্যিকারের যুদ্ধ হোক বা প্রক্সি যুদ্ধ হোক। আমরা যুদ্ধের বিরুদ্ধে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কাউকে তার ভূমি অন্যের স্বার্থে ব্যবহার করতে বা প্রতিবেশীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেবে না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব এসব কথা বলেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সাধারণ মানুষ, নারী ও শিশুরা সংঘাতের শিকার হওয়ায় বাংলাদেশ সবসময়ই যেকোনো ধরনের যুদ্ধের বিপক্ষে।
ভারত ও মিয়ানমারকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ফোকাস আরও উন্নয়নের দিকে রয়েছে। তাই কোনো ধরনের সংঘাত, প্রক্সি বা অন্যথা হলে বাংলাদেশ তার লক্ষ্য অর্জন থেকে বিচ্যুত হবে।
মাসুদ মোমেন বলেন, ‘এ কারণে আমরা সবসময় সর্বোচ্চ সংযম ব্যবহার করি।’
আরও পড়ুন: ‘বর্তমান পরিস্থিতি’ নিয়ে আলোচনা করেছেন রাষ্ট্রদূত হাস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ: মার্কিন দূতাবাস
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে যখন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু হয়েছিল তখন উস্কানিমূলক ঘটনা ঘটেছে।
বৃহৎ শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ও যোগাযোগ রক্ষা করে এবং এই ভারসাম্যমূলক কাজটি করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী করছি না, আমরা সময়মত সাড়া দিচ্ছি এবং উদ্বেগের উত্তর দিচ্ছি যদি থাকে। অনেকেই বলছেন আমাদের কাছ থেকে শিখতে চান। তারা খুশি যে বাংলাদেশ কীভাবে এই সমস্ত প্রতিযোগিতামূলক চাহিদা ও স্বার্থ মোকাবিলা করছে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে মাসুদ মোমেন বলেন, সরকার আশা করছে একটি ভালো নির্বাচন হবে। ‘এই মুহূর্তে আমরা মনে করি না নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না।’
উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ নির্বাচনে ভোট দেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স: 'মুক্ত, নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চলের' সুপারিশ মাসুদ মোমেনের
মাসুদ মোমেন বলেন, তারা কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সহায়তা করতে পারেন সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটাই আমাদের ফোকাস। কোনো সমস্যা হলে আমরা তা মোকাবিলা করব।’
তিনি আরও বলেন, বিদেশি বন্ধুরা যেভাবে চায় তারা শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়। ‘আমরা একটি শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে চাই। বাংলাদেশ সবসময় শান্তির পক্ষে।’
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ কোনো বিদেশিকে সন্তুষ্ট করার জন্য নির্বাচন করছে না, বরং সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা, সরকারের ধারাবাহিকতা ও জনগণ ভোট দিতে চাইলে ভোট দেবে।
তিনি বলেন, একটি বিশেষ দেশ কী ভাবছে বা কোনো বিশেষ দেশ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে কি না তা অপ্রাসঙ্গিক।
এর আগে বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তারা এই অঞ্চলে কোনো প্রক্সি যুদ্ধ দেখতে চান না এবং বৃহত্তর উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো আমরা এখানে কোনো প্রক্সি যুদ্ধ দেখতে চাই না। সম্পদ থাকা সত্ত্বেও আমরা যেখানে প্রক্সি যুদ্ধ দেখি সেখানে সমস্যা থেকে যায়। ইউরোপ প্রক্সি যুদ্ধে পতিত হয়েছে এবং চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।’
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই অঞ্চলের দেশগুলোকে দুর্বল করার চেষ্টা হতে পারে।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এ অঞ্চলে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েছে এবং অন্যান্য দেশও তা স্বীকার করে। ‘এটি আমাদের জন্য ভালো।’
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ক্ষমতায়নের আহ্বান মাসুদ বিন মোমেনের
১১ মাস আগে
বাংলাদেশ সম্পর্কে অন্যান্য দেশের মন্তব্য অনভিপ্রেত: পররাষ্ট্র সচিব
বাংলাদেশ নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক মন্তব্য ও পাল্টা মন্তব্যকে ‘অনভিপ্রেত’ বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমি এটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। বাংলাদেশের কী হচ্ছে বা না হচ্ছে, তা নিয়ে কথা বলতে পারি। তৃতীয় বা চতুর্থ দেশ নিজেদের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা করছে... এ বিষয়ে আমি কী বলব- এটাকে অনভিপ্রেত বলা যেতে পারে।’
রবিবার (২৬ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এসব কথা বলেন।
দুই বড় দেশের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পররাষ্ট্র সচিব এ মন্তব্য করেন।
মারিয়া জাখারোভা ২২ নভেম্বর সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ‘স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তি’ নিশ্চিত করার নামে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার বিষয়ে বারবার কথা বলেছে রাশিয়া।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের 'হস্তক্ষেপ' নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন পররাষ্ট্র সচিব
রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং স্থানীয় বিরোধী দলের একজন উচ্চ পদস্থ প্রতিনিধির মধ্যে অক্টোবরের শেষে একটি বৈঠকের বিষয়ে তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
রুশ পক্ষ জানিয়েছে, বৈঠকে তারা দেশে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ সংগঠিত করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছে বলে জানা গেছে।
জবাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বৈঠক নিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার 'ইচ্ছাকৃত ভুল ব্যাখ্যার' বিষয়ে তারা অবগত।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলকে পছন্দ করে না যুক্তরাষ্ট্র।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পুনর্ব্যক্ত করেছে, বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, তারাও তাই চায়, আর তা হলো- শান্তিপূর্ণভাবে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হোক।
আরও পড়ুন: এফওসি: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্য, নিরাপত্তা, সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা
দিল্লিভিত্তিক কূটনীতিকদের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ
১ বছর আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন তার ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
এ বছর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এটি ছিল দ্বিতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি)।
প্রথমটি ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্র দপ্তরের পরামর্শে, দুই দেশ সাধারণত পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব প্রধান ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে। যাতে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত খাতসমূহে সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি মানে ভারতেরও প্রবৃদ্ধি: শ্রিংলা
বাংলাদেশিরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে: ভারত
ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার বিষয়বস্তু কী হবে তা তাদের ব্যাপার: মুখপাত্র
১ বছর আগে
কোয়াত্রার সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠকে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে না: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার (২০ নভেম্বর) বলেছেন, দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে না।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে। সেখানে রাজনীতি নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না।’
সোমবার (২০ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাজনীতি ও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করা হবে কিনা এক প্রতিবেদকের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক, যেখানে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনেক দেশের সঙ্গে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) করি। এটা একটা রুটিন ব্যাপার।’
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন তার ভারতীয় সমকক্ষ বিনয় মোহন কোয়াত্রার সঙ্গে নিয়মিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করতে ২৩ বা ২৪ নভেম্বর ভারত সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে নির্মাণশ্রমিক নিতে আগ্রহী স্কটল্যান্ড: প্রধানমন্ত্রীকে স্কটিশ প্রতিনিধি দল
চলতি বছরে দুই দেশের মধ্যে এটি দ্বিতীয় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। প্রথমটি ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য উভয় দেশই তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের পরামর্শে, দুই দেশ সাধারণত পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব প্রধান ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে, যাতে সব সেক্টরের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়।
সম্প্রতি, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, পারস্পরিক সুবিধার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আজ একটি মডেল হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
লন্ডনে এক আলাপচারিতায় তিনি বলেন, দুই দেশ স্থল সীমানা ও সামুদ্রিক সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছে।
জয়শঙ্কর সংযোগ সহযোগিতা, জ্বালানি সরবরাহ এবং বন্দরের ব্যবহার তুলে ধরেন এবং উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মডেল সম্পর্কে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি মানে ভারতেরও প্রবৃদ্ধি: শ্রিংলা
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ওয়াশিংটনের
১ বছর আগে
মাসুদ-আফরিন বৈঠক: বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচন চায়
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর (এসসিএ) ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার সোমবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশের সঙ্গে নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যুসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আফরিনের বৈঠকের পর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।’
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তারা দুই দেশের মধ্যে ‘শক্তিশালী বহুমুখী’ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, দীর্ঘদিনের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, মধ্যপ্রাচ্য, স্বাধীন ও নির্দলীয় নির্বাচনী জরিপ দলের সাম্প্রতিক সফর এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোট প্রদান নিশ্চিত করতে সরকারের প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা করেন।
সম্প্রতি কলম্বোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ইতোমধ্যেই তাকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করে বলেছেন, সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চায়।
আরও পড়ুন: আসন্ন সফরে নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন মার্কিন কর্মকর্তা আফরিন আখতার: মোমেন
১ বছর আগে
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য ৫ম কৌশলগত সংলাপ মঙ্গলবার
আধুনিক অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব বিকাশে দুই দেশের যৌথ অঙ্গীকার প্রতিফলিত করে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় পঞ্চম কৌশলগত সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন এই সংলাপে সহ-সভাপতিত্ব করবেন। সোমবার ঢাকায় আসেন ফিলিপ বার্টন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (উত্তর আমেরিকা) অনুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম।
পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি হলো এফসিডিও-এর সবচেয়ে সিনিয়র বেসামরিক কর্মকর্তা ও কূটনীতিক। পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে এটাই তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।
তিনি ২০০৮ সালে এফসিও’র ডিরেক্টর, সাউথ এশিয়া পদে থাকাকালীন বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে দুই দেশের মধ্যে একটি আধুনিক অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার যে অঙ্গীকার, এই কৌশলগত সংলাপ তাকেই প্রতিফলিত করে।
যুক্তরাজ্য সরকারের মতে, এই সংলাপে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক; অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও উন্নয়নমূলক অংশীদারিত্ব; এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ অন্যান্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় আলোচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি পঞ্চম কৌশলগত সংলাপে যোগ দিতে সোমবার ঢাকা আসছেন
সেই সাথে এই সংলাপ দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কপ২৮ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সহায়তা বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করবে। এবং যুক্তরাজ্যের শক্তিশালী অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিনিয়োগ প্রস্তাব তুলে ধরবে।
ঢাকায় থাকাকালীন পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজের সংগঠন, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও যুব প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
চতুর্থ বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য কৌশলগত সংলাপ ২০২১ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয়।
সর্বশেষ কৌশলগত সংলাপের সময় যুক্তরাজ্য ২০২৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বাজারে শুল্ক-মুক্ত, কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার প্রদানের মাধ্যমে একটি মসৃণ ও সফল স্নাতক অর্জন এবং রপ্তানি- বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
যুক্তরাজ্য ডব্লিউটিওর কার্যকারিতা উন্নত করে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য বিধি আধুনিকীকরণের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু বাণিজ্য সরবরাহের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যুক্তরাজ্যের ল্যান্ডমার্ক ডেভেলপিং কান্ট্রিস ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস) এই বছরের জুন থেকে কার্যকর হয়েছে। যা বাংলাদেশসহ ৬৫টি উন্নয়নশীল দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশকারী পণ্যের উপর শুল্ক হ্রাস করে এবং ট্রেডিং নিয়মগুলোকে সহজ করে।
ডিসিটিএস বাণিজ্য বৃদ্ধি, চাকরি বৃদ্ধি এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
যুক্তরাজ্য সরকার বলেছে, এই নতুন স্কিমটি বাংলাদেশের সঙ্গে একটি আধুনিক এবং পারস্পরিকভাবে উপকারী অংশীদারিত্বের প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।
আরও পড়ুন: সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে ঢাকার সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াবে রিয়াদ: সৌদি ক্রাউন প্রিন্স
বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চান বাইডেন: মোমেন
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশের
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জনগণের জন্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবে আগামী নির্বাচন নিয়ে কোন রাজনৈতিক দল কী ভাবছে তা বলা যাচ্ছে না।
এদিন রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মার্কিন ব্যুরো অব পলিটিক্যাল-মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স এর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা রেজনিকের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তারা জ্বালানি নিরাপত্তা ও সাইবার নিরাপত্তাসহ সব ধরনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন পক্ষ তার কাছে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে এবং দুই দেশের মধ্যে যাতে কোনো ধরনের ভুলবোঝাবুঝি না হয় তাই এ ধরনের আলোচনা আরও বেশি হওয়া উচিত বলে জানিয়েছে।
র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে মাসুদ মোমেন বলেন, মার্কিন পক্ষ কিছু আলোচনা করেছে। আমরা বলেছি বাংলাদেশ মানবাধিকার সংক্রান্ত সব অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে নেয় এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সেগুলোর সমাধান করে।
ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যুতে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রও এই অঞ্চলে কোনো নির্দিষ্ট দেশের আধিপত্য চায় না।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল অবাধ, মুক্ত, শান্তিপূর্ণ এবং সুরক্ষিত রাখার ব্যাপারে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে।
এর আগে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে ‘ব্যাপক নিরাপত্তা সম্পর্কের’ অংশ হিসেবে ঢাকায় নবম বার্ষিক দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম এবং মার্কিন পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন মিরা রেজনিক।
নিরাপত্তা সংলাপ হলো দুই দেশের বেসামরিক নেতৃবৃন্দের মধ্যকার একটি বার্ষিক আলোচনা। যেখানে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা বাদে বাকি সব ধরনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনা হয়।
উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা ইন্দো-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সমস্যা, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার, সামরিক সহযোগিতা, শান্তিরক্ষা, নিরাপত্তা সহায়তা এবং সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
মার্কিন পক্ষ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পরস্পর সংশ্লিষ্ট অনেক স্বার্থ রয়েছে।
চলতি বছরের ২৩-২৪ আগস্ট ঢাকায় অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সংলাপকে ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করে এই নিরাপত্তা সংলাপটি হয়েছে।
দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সংলাপে মার্কিন ও বাংলাদেশি সামরিক বাহিনীর সিনিয়র অফিসার ও বেসামরিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
তারা সামরিক শিক্ষা, শান্তিরক্ষা এবং আসন্ন সামরিক মহড়াসহ উভয় সামরিক বাহিনীর মধ্যে সম্পর্কের জন্য নির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে আগামী বছরের দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া অনুশীলন ও বিনিময়।
নিরাপত্তা সংলাপে কৌশলগত অগ্রাধিকার ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা সমস্যা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, বেসামরিক নিরাপত্তা সহযোগিতা, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাস দমন এবং সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলাসহ দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে।
১ বছর আগে
এ বছর ১০০০ রোহিঙ্গা নিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় সরকার: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন রবিবার (২৮ আগস্ট) বলেছেন, সরকার এ বছর প্রায় এক হাজার শরণার্থী নিয়ে প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজদেশে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়।
তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তিন হাজার জনের একটি তালিকা দিয়েছি। পরিবারগুলো যাতে বিচ্ছিন্ন না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সেপ্টেম্বর থেকে প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি শুরু করলে তারা হাতে তিন মাস সময় পাবেন।
তিনি বলেন, আগামী মাসে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমার সফর করবে এবং আস্থা তৈরির পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মিয়ানমারের একটি দল রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলতে এখানে আসবে।
বাংলাদেশ সরকার বলেছে, এই নির্যাতিত মানুষদের জন্য মানবিক সহায়তা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস এবং প্রতিবছর শিবিরের অভ্যন্তরে প্রায় ৩০ হাজার নবজাতক জন্ম হওয়ায় সংকট আরও জটিল হয়ে উঠছে।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করতে আরও বিলম্ব এবং মানবিক সহায়তার ঘাটতি পুরো অঞ্চলকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
আরও পড়ুন: প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের টেকসই প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা দেওয়া চালিয়ে যেতে হবে।
কোনো সমাধান না নিয়েই সপ্তম বছরে পা দিয়েছে রোহিঙ্গা সংকট।
এতে বলা হয়েছে, এত দীর্ঘ সময় ধরে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার আর্থ-সামাজিক, জনসংখ্যাগত ও পরিবেশগত ব্যয় বাংলাদেশকে সমস্যায় ফেলছে।
এই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষদের নিরাপদ ও টেকসই পদ্ধতিতে তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্খা ও অধিকার রয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘মিয়ানমারের উৎপত্তিস্থলে এই সংকটের টেকসই সমাধান খুঁজে বের করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কর্তব্য।’
রোহিঙ্গারা তাদের দক্ষতার বিকাশ ঘটাচ্ছে, স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে এবং তাদের শিশুরা বাংলাদেশের ক্যাম্পে মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে তাদের ভাষায় শিক্ষার সুবিধা গ্রহণ করছে। যাতে তারা তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় ধরে রাখতে পারে এবং ফিরে যাওয়ার পর রাখাইন সমাজের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাপানের প্রচেষ্টা জোরদার হবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ: শাহরিয়ার
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরও বিলম্ব পুরো অঞ্চলকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে: বাংলাদেশ সরকার
১ বছর আগে
ব্রিকসে অন্তর্ভুক্ত না হওয়া নিয়ে আশাহত হওয়ার কোনো কারণ নেই: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন রবিবার (২৭ আগস্ট) বলেছেন, উন্নয়নশীল অর্থনীতির ব্রিকস ব্লকে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় আশাহত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ বাংলাদেশ আগে থেকেই ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি) অংশ।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক অনেক বিষয় রয়েছে এবং ভারসাম্য রক্ষার বিষয় রয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, যদি তারা গত ১৫ বছরে ব্রিকসের বাস্তব ফলাফলের দিকে তাকান, শুধুমাত্র তাদের উল্লেখযোগ্য অর্জন হলো এনডিবি।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা এনডিবির একটি অংশ রয়েছি, তাই হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এটি প্রথম পর্যায় এবং পরবর্তী পর্বে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশাবাদী। ‘সুতরাং আমাদের আরও সময় আছে।’
তিনি বলেন, ভৌগোলিক ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা ছিল এবং আমরা ছাড়াও আরও আগ্রহী দেশ ছিল। কিন্তু তারাও (ব্রিকস) সদস্যপদ পায়নি। ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।’
ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আর্জেন্টিনা, মিশর ও ইথিওপিয়া ছিল সদ্য সমাপ্ত সম্মেলনে ব্রিকসে যোগদানের জন্য আমন্ত্রিত ছয়টি দেশ।
এই দেশগুলো ১১-জাতির ব্লক তৈরি করতে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ব্রিকসে যোগ দিতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে বিদেশি নেতারা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন: মোমেন
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা জোহানেসবার্গে আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনে দুই দিনের আলোচনার পর এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভার্চুয়ালি আলোচনায় অংশ নেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ব্রিকস একটি ঐকমত্য-ভিত্তিক সংস্থা, যার সিদ্ধান্তে সকল সদস্যদের একমত হওয়া প্রয়োজন।
২০০৯ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনকে নিয়ে এই ব্লকটি গঠিত হয়েছিল এবং ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা এতে যোগ দেয়।
এপি’র তথ্য অনুসারে, ব্রিকস বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ এবং বিশ্বের জিডিপির এক চতুর্থাংশেরও বেশি প্রতিনিধিত্ব করে। যা আরও বৃদ্ধি পেতে চলেছে।
গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বরকে ছড়িয়ে দেওয়া ব্রিকসের একটি লক্ষ্য।
সাম্প্রতিক শীর্ষ সম্মেলনে প্রতিনিধিত্বকারী পাঁচটি বর্তমান সদস্য এবং কয়েক ডজন উন্নয়নশীল দেশ বারবার একটি ন্যায্য বিশ্বব্যবস্থা এবং জাতিসংঘ, আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রিকসকে বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতার দায়িত্ব নিতে হবে: জোহানেসবার্গে প্রধানমন্ত্রী
গ্লোবাল সাউথে পরিবর্তনের প্রতিনিধি হতে হবে মেয়েদের: ব্রিকস মধ্যাহ্নভোজে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
শান্তিরক্ষা মিশনে বৈষম্য ও যৌন নিপীড়নের কোনো স্থান নেই: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন রবিবার বলেছেন, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল শান্তিরক্ষী যাতে নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশে কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কার্যকর কৌশল অনুসন্ধানের জন্য আগ্রহী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শান্তিরক্ষা মিশনে বৈষম্য ও যৌন নির্যাতনের কোনো স্থান নেই এবং আমাদের অবশ্যই সম্মিলিতভাবে এ ধরনের ঘটনা নির্মূল করার চেষ্টা করতে হবে।’
পররাষ্ট্র সচিব জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতি মূলক সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় প্রথম শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতি সভায় যোগ দেবেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রোইক্স
তিনি বলেন, আজ এখানে তাদের সম্মিলিত উপস্থিতি শান্তিরক্ষা প্রচেষ্টা জোরদারে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রমাণ।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে এই প্রস্তুতিমূলক বৈঠক আসন্ন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের জন্য মঞ্চ তৈরি করবে, যা কিছু মিশনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে সদস্য দেশগুলোর উদীয়মান উদ্বেগকে বিবেচনায় নিতে হবে।’
তিনি বলেন, আলোচনা থেকে উদ্ভূত প্রতিশ্রুতি ও সুপারিশ শান্তিরক্ষার ভবিষ্যতকে গঠনমূলকভাবে রূপ দেবে, সমস্ত সদস্য রাষ্ট্রকে অনুপ্রাণিত করবে এবং তাদের আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, লিঙ্গ-প্রতিক্রিয়াশীল ও কার্যকর শান্তিরক্ষা কাঠামোর দিকে পরিচালিত করবে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আসুন আমরা আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ন্যায়সঙ্গত শান্তিরক্ষা পরিবেশ তৈরি করতে একসঙ্গে কাজ করি, যেখানে নারীদের কণ্ঠস্বর ও অবদান স্বীকৃত, মূল্যায়ন ও উদযাপিত হয়।’
তিনি বলেন, প্রস্তুতিমূলক সভার প্রতিপাদ্য 'জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারী', যা বাংলাদেশের মূল্যবোধ ও নীতির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত।
আরও পড়ুন: মালিতে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে রওনা হয়েছে পুলিশ দল
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য ও পুলিশ প্রেরণকারী শীর্ষস্থানীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ শান্তি, নিরাপত্তা ও লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের নীতি ও উদ্দেশ্যের প্রতি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা বিশ্বাস করি, টেকসই শান্তি ও উন্নয়নের জন্য লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল (ইউএসজি) জিন পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স এবং ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি, পলিসি অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ক্যাথরিন পোলার্ড দুই দিনব্যাপী বৈঠকটিতে অংশ নেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা আলোচনা করব কীভাবে শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারি এবং আমাদের মিশনের সকল ভূমিকায় তাদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে পারি।’
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে অন্যান্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে গাজীপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট) পরিদর্শন করবেন ল্যাক্রোইক্স।
আরও পড়ুন: শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি সেনার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক
১ বছর আগে