দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল
ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা
গত দুইদিন ধরে খুলনাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় লোডশেডিং শুরু হয়েছে। ফলে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষজন। এতে করে বিদ্যুৎ নির্ভর সব কাজকর্ম বিঘ্নিত হচ্ছে। বিঘ্নিত হচ্ছে শিল্প কারখানাগুলোর উৎপাদন। এছাড়া শহরের তুলনায় গ্রামে লোডশেডিংয়ের হার আরও বেশি।
এদিকে খুলনায় দিনে রাতে সমান তালে চলছে লোডশেডিং। এছাড়া চরম বিপাকে খুলনা ও বরিশাল এবং ফরিদপুর এলাকার পাঁচ জেলার মানুষ।
আরও পড়ুন: বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ, দিনাজপুরে তীব্র লোডশেডিং
খুলনার ১০ জেলা, বরিশালের ৩ জেলা ও ফরিদপুরের ৫ জেলাসহ মোট ২১ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)।
সংস্থাটির খুলনার বয়রার প্রধান কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ২১ জেলায় বিদ্যুতের গ্রাহক প্রায় ১৪ লাখ ২৮ হাজার। শুধুমাত্র খুলনায় আছে প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার গ্রাহক।
২১ জেলায় ওজোপাডিকোর আওতাধীন এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় চাহিদা ছিল ৬৫৯ মেগাওয়াট। সরবরাহ ছিল ৫৬০ মেগাওয়াট।
এদিকে রাতে ২১ জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৭০০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি। লোডশেডিং ছিল ১০০ মেগাওয়াটের বেশি।
এছাড়া খুলনাতে ৪৫ মেগাওয়াট, বরিশালে ১১ মেগাওয়াট, গোপালগঞ্জে ৫ মেগাওয়াট, নড়াইলে ২ মেগাওয়াট, মাগুরায় ৩ মেগাওয়াট, সাতক্ষীরায় ২ মেগাওয়াট, কুষ্টিয়ায় ৬ মেগাওয়াট, চুয়াডাঙ্গায় ৫ মেগাওয়াট, ফরিদপুরে ৬ মেগাওয়াট, রাজবাড়িতে ৪ মেগাওয়াট, মাদারীপুরে ৪ মেগাওয়াট, শরীয়তপুরে ২ মেগাওয়াট ও ঝালকাঠিতে ৪ মেগাওয়াট লোডশেডিং ছিল।
নগরীর মৌলভীপাড়ার বাসিন্দা কলেজছাত্র ইমন শেখ বলেন, খুলনায় আবার লোডশেডিং শুরু হয়েছে। লোডশেডিংয়ের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক দিন মোমবাতি কেনা লাগত না, এখন আবার কিনতে হচ্ছে।
দাকোপ উপজেলার গুনারি গ্রামের সাব্বির হেসেন বলেন, রাত-দিন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭ থেকে ৮ বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমেও ফ্যান চালানো যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ যাওয়ার পর এক ঘণ্টার মধ্যে আর আসে না।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক হুমায়ুন কবীর বলেন, লোডশেডিং হলে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কোল্ড স্টোরেজে তাপমাত্রা ঠিক রাখতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
এছাড়া লোডশেডিং চলাকালে জেনারেটর চালিয়ে রাখতে বাড়তি ব্যয় হয় বলে জানান ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক।
খুলনা বিদ্যুৎ বিভাগ ৪ এর সহকারী প্রকৌশলী মামুন হক বলেন, আমরা চেষ্টা করছি বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে। কিন্তু আমরা অপারগ।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওজোপাডিকোর এক কর্মকর্তা বলেন, কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে। সে কারণে ঘাটতিপূরণে লোডশেডিং করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এটা শুধু খুলনা অঞ্চলে নয়, আরও অনেক জেলায় হচ্ছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন কম, সারাদেশে বাড়ছে লোডশেডিং
৩ সপ্তাহ আগে
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে খনির ছাদ ধসে ৫জন নিহত
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি খনির ছাদ ধসে অন্তত পাঁচ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, উত্তর চীনে গত সপ্তাহে ধসে পড়া খনির ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া ৪৭ শ্রমিকের বেঁচে থাকার আশা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে।
প্রাদেশিক জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, রবিবার সকালে সিচুয়ান প্রদেশের একটি খনির ছাদের কিছু অংশ ধসে পড়ার সময় ২৫ জন খনি শ্রমিক মাটির নিচে ছিলেন। এদের মধ্যে পাঁচজন নিহত, তিনজন গুরুতর আহত এবং অন্যরা উপরে উঠে আসতে সক্ষম হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে খনিটিতে কয়লা উৎপাদন করা হতো না।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
অন্যদিকে, ছয় দিন আগে ইনার মঙ্গোলিয়ান অঞ্চলের আলক্সা লিগের ওই খনির প্রাচীর ধসে পড়ার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে এবং উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ছয়জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একটি ‘সর্বাত্মক’ অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন।
জিনপিং দেশটির স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে মঙ্গোলিয়ার অন্যান্য খনিগুলো পরিদর্শন এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের নির্দেশ দিয়েছেন।
শনিবার উদ্ধার অভিযানের শেষ অফিসিয়াল রিপোর্টে বলা হয়েছে, আরও যন্ত্রপাতি আনার জন্য দুটি করিডোর পরিষ্কার করা হয়েছে এবং স্থল-অনুপ্রবেশকারী রাডারও মোতায়েন করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, জীবিতদের শনাক্ত করার জন্য ভারি যন্ত্রপাতি, উদ্ধার সরঞ্জাম, উদ্ধারকারী কুকুর এবং এক হাজারেরও বেশি উদ্ধারকারীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইতালীয় উপকূলে অভিবাসী নৌকা বিধ্বস্তে নিহত ৬০
১ বছর আগে
দেশের প্রথম ৬ লেনের কালনা সেতুর উদ্বোধন সোমবার
দেশের প্রথম ছয় লেনের কালনা সেতুর উদ্বোধন হচ্ছে আগামীকাল। এরমধ্যে দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসীর প্রত্যাশার অবসান হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মধুমতি সেতু নামেও পরিচিত ৬৯০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
ইতোমধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতু সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কালনা সেতু প্রকল্প ব্যবস্থাপক আশরাফুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘সেতুর মূল কাজ শেষ হয়েছে। সেতুতে লাইটিংয়ের কাজও শেষ হয়েছে। অপেক্ষার দিন শেষ।’
সেতুটির জন্য মুখিয়ে আছেন সেতু কর্তৃপক্ষসহ গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অসংখ্য মানুষ এবং যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন সংশ্লিষ্টরা।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে কালনা সেতু নির্মিত হয়েছে।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কালনা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু: সেতুমন্ত্রী
নির্ধারণ করা হয়েছে টোল
কালনা সেতুর টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে। বড় ট্রেইলার ৫৬৫ টাকা, তিন বা ততোধিক এক্সসেলবিশিষ্ট ট্রাক ৪৫০ টাকা, দুই এক্সসেল বিশিষ্ট মিডিয়াম ট্রাক ২২৫ টাকা, ছোট ট্রাক ১৭০টাকা, কৃষি কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর ১৩৫ টাকা, বড় বাস ২০৫ টাকা, মিনিবাস বা কোস্টার ১১৫ টাকা, মাইক্রোবাস, পিকাপ, কনভারশন জিপ ও রে-কার ৯০ টাকা, প্রাইভেট কার ৫৫ টাকা, অটোটেম্পু, সিএনজি অটোরিক্সা, অটোভ্যান ও ব্যাটারিচালিত তিনচাকার যান ২৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা এবং রিক্সা, ভ্যান ও বাইসাইকেল পাঁচ টাকা হারে টোল দিতে হবে।
উদ্বোধনের পর প্রথমে ম্যানুয়্যাল পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হবে। পরবর্তীতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে টোল আদায় হবে।
আরও পড়ুন: কালনা সেতু: টোল হার নির্ধারণ, অপেক্ষা উদ্বোধনের
পূরণ হবে যোগাযোগের ঘাটতি
সেতু কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয়রা জানান, এপারে নড়াইলের কালনাঘাট। ওপারে গোপালগঞ্জের শংকরপাশা। মাঝ দিয়ে প্রবাহিত মধুমতি নদী। এ নদীর ওপরই নির্মিত হয়েছে দেশের প্রথম ছয় লেনের কালনা সেতু।
কালনা সেতু প্রকল্প ব্যবস্থাপক এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘কালনা দেশের প্রথম ছয় লেনের সেতু। নেলসন লোস আর্চ ধরনের (ধনুকের মতো বাঁকা) সেতু এটি। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬৯০ মিটার এবং প্রস্থ ২৭ দশমিক ১ মিটার। উভয় পাশে ছয় লেনের সংযোগ সড়ক প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার। সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় প্রায় ৯৬০ কোটি টাকা। এশিয়ান হাইওয়ের ওপর অবস্থিত এটি। সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সিলেটের তামাবিল হয়ে ঢাকা, ভাঙ্গা, নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, কোলকাতা পর্যন্ত সরাসরি যোগাযোগে ভূমিকা রাখবে। তবে এতোদিন কালনা পয়েন্টে মধুমতি নদী ধারা বিছিন্ন ছিল। সেতু নির্মাণের ফলে সেই বিছিন্নতা আর রইল না।’
তিনি বলেন, ‘কালনা সেতু চালু হলে শুধু জাতীয় ক্ষেত্রেই নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। ভারত, কোলকাতা, আসামসহ দেশের মধ্যে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর, বেনাপোল ও নোয়াপাড়া নদীবন্দরের মধ্যে যোগাযোগের মাইলফলক রচিত হবে। নড়াইলের লোহাগড়ায় ইপিজেড (রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল) চালুসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।’
কালনাঘাট থেকে ঢাকার দুরত্ব মাত্র ১০৮ কিলোমিটার। ফলে ঢাকার সঙ্গে নড়াইল, বেনাপোল, যশোর, খুলনাসহ আশেপাশের সড়ক যোগাযোগ কোথাও ১০০ কিলোমিটার, কোথাও আবার ২০০ কিলোমিটার কমে যাবে।
যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা মিঠু বলেন, কালনা সেতু চালু হলে যশোর, বেনাপোল, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, মাগুরাসহ পাশের জেলাগুলোর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বদলে যাবে। খুব সহজেই রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যাতায়াত করা যাবে। আমরা কালনা সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছি।
এদিকে কালনা সেতু চালু না হওয়ায় এতদিন নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, নোয়াপাড়া শিল্পনগর, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরসহ আশেপাশের কয়েকটি জেলার লোকজন পদ্মা সেতুর সরাসরি সুফল পাননি। কারণ, কালনাঘাটে এসে ফেরি পারাপারের বিড়ম্বনায় পড়তে হয় সবধরনের যানবাহনকে। তাই এ অঞ্চলের সবাই তাকিয়ে আছেন কালনা সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতুতে রাষ্ট্রপতি
২ বছর আগে
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি’: মন্ত্রী
‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি’ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুকে সামনে রেখে শিল্পায়নের মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এ অঞ্চলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় ১২০ একর জমির উপর শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি স্থাপন করছে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি স্থাপন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চেীধুরী, বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নূরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে চুরি করা বিদ্যুতে চলছে ৫০ হাজার অটোরিকশা
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি প্রকল্পটির আওতায় তাঁতিদের কাপড় বোনা থেকে শুরু করে সব ধরনের সুবিধা দেয়া হবে। তাঁতিদের জন্য থাকবে আবাসিক ভবন, তাঁত শেড, ডরমেটরি, রেস্ট হাউস, সাইবার ক্যাফে ও বিদ্যুতের উপকেন্দ্র।
তাঁতপল্লিতেই সপ্তাহে দুদিন তাঁতপণ্যের হাট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সে হাটে সুতাসহ সব ধরনের কাঁচামাল বিক্রয় ও প্রদর্শন করা হবে। তাঁতের কাপড় বোনা থেকে শুরু করে পোশাক তৈরি ও বিক্রি পর্যন্ত সব ব্যবস্থাই করা হবে।
তিনি বলেন, তাঁত শিল্প বাঙালি জাতির ঐতিহ্য। সরকার এই শিল্পকে আধুনিক ও বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে কাজ করছে। তাঁতিদের ভাগ্যোন্নয়নে নানামূখী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, দারিদ্র বিমোচনসহ আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য।
শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি এ শিল্পকে আধুনিকায়ন করার মাধ্যমে তাঁত শিল্পের অতীত ঐতিহ্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে সহয়তা করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এছাড়া শিবচরে বস্ত্র অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’ নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।
২ বছর আগে
শিমুলিয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশপথ শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল নেমেছে। ঈদুল ফিতরের তিন দিনের ছুটি শেষ হওয়ায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিজীবিরা কাজে যোগদানের জন্য পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটছেন কর্মস্থলের দিকে।
সোমবার ঈদের চতুর্থ দিনেও ঢাকা থেকে অসংখ্য মানুষ গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য ফেরিতে পার হতে শিমুলিয়া ঘাটে এসে নামছে। ফলে মানুষের যাওয়া-আসায় খুবই কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছে শিমুলিয়া ও বাংলাবাজার উভয় ফেরিঘাট।
এর আগে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ঈদের আগে নাড়ির টানে ছুটেছিলেন তারা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গণপরিবহন বন্ধ। সেই সাথে শিমুলিয়া ঘাটের ৮৭টি লঞ্চ ও সাড়ে ৪ শতাধিক স্পিডবোট ও প্রায় দুই শতাধিক ট্রলার বন্ধ রয়েছে। এসব গণনৌপরিবহন বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই এ রুটের যাত্রীরা ভিড় করছেন ফেরিগুলোতে। ১৮টি ফেরির প্রতিটিতেই একই রকমের গাদাগাদির চিত্র দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: বিজিবির চেকপোস্ট উপেক্ষা করেই শিমুলিয়ায় ঘরমুখো মানুষের ঢল
সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরি থেকে নেমে ঢাকাসহ বিভিন্ন কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও ট্রাকে চড়ে রওনা হচ্ছে যাত্রীরা। ৭০ টাকার ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা দিয়ে ঢাকায় যেতে হচ্ছে তাদের। ভোগান্তির শেষ নেই। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ঈদের আগে অনেক কষ্ট করে বাড়ি যেতে হয়েছে। এখন আবার কষ্ট করে কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঢাকামুখী মানুষের চাপ
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে ফেরি ছাড়া সব নৌযান বন্ধ। ফলে ফেরিতেই সব চাপ। ফেরিতে মানুষ বেশি, গাড়ি কম। মানুষের চাপে ফেরিতে গাড়ি ওঠানো যাচ্ছে না। ১৮টি ফেরি সচল রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
শিমুলিয়া ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) হাফিজুর রহমান বলেন, ঈদের ছুটি শেষ। তাই কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। সোমবার সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলমুখী যাত্রীর চাপ ছিল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে আরও যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়। প্রতিটি ফেরিতে গাদাগাদি করে ঢাকামুখী যাত্রীরা আসছিল। কর্মস্থলে ফেরা মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে নদী পার হচ্ছেন। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়ে যাচ্ছে।
৩ বছর আগে