বিচারিক ক্ষমতা
মেট্রোপলিটনের বাইরে বিচারিক ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী
মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেতি প্রুয়ের সই করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ১২(১) ধারার বিধান অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকে শুরু করে ৬০ দিনের জন্য সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
তবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: পুলিশ স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করলে সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফেরত যাবে: সেনাপ্রধান
৩ মাস আগে
করোনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের বিচারিক ক্ষমতার বিরুদ্ধে বিএনপি
করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানাতে এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়াকে বুমেরাং হিসেব উল্লেখ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জ ফখরুল ইসলাম আলমগীর।মির্জা ফখরুল সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সরকার এই দেশকে একটি পুলিশি রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলেছে। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হলে তা বুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে। পুলিশ কি করবে আমরা জানি। মাঝখান থেকে সাধারণ জনগণের হয়রানি আরও বাড়বে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক: বিএনপি
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যমতে, সরকার রোগ সংক্রমণ আইনে সংশোধন এনে পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা প্রদানের ব্যবস্থা করছে।
বিএনপি মহাসচিব বর্তমান সরকারকে করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ দাবি করে বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের কোনও ক্ষমতা নেই, তাদের কোন যোগ্যতাও নেই। এতে তারা প্রমাণ করে দিয়েছে তারা একটা ব্যর্থ সরকার। তারা শুধু দুর্নীতির জন্য, লুটপাটের জন্যই আজকে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলেছে।
আরও পড়ুন: দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরিতে ব্যস্ত বিএনপি: কাদের
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ঈদের জন্য সরকার মাত্র ৩ দিন ছুটি ঘোষণা করেছে। কিন্তু মানুষ তো থেমে নেই। দুর্ভোগের মধ্যে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে তারা বাড়িতে রওয়ানা হয়েছে ও ছুটি শেষে তাড়াহুড়া করে ঢাকায় ফিরছে। যাদের নিজেদের গাড়ি আছে তাদের কোন সমস্যা নেই, কিন্তু সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে সাধারণ জনগণ।
ফখরুন অভিযোগ করে জানান, ২৬ শে মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে সরকার নিজেরাই বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে সেটি বিরোধীদের ওপর চাপাচ্ছে। বিরোধীদের মামলা দিয়ে গণগ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের ঈদের মধ্যেও জামিন দেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুর ঘটনায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি আল মামুন আলম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সারোয়ার চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা যুবদলের সভাপতি চৌধুরী মাহেবুল্লাহ আবু নুর, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি সরকার নুরুজ্জামান নুরুসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
৩ বছর আগে