রোজিনা ইসলাম
রোজিনা ইস্যুতে সাংবাদিকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের
রোজিনা ইসলাম ইস্যুতে সাংবাদিকদের ধৈর্য ধারণ এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সকালে বঙ্গবন্ধু আ্যভিনিউতে এক অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, যেহেতু মামলা হয়েছে এবং বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে তাই সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ন্যায়বিচার পাবেন।
কাদের বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের প্রতি কোনো অবিচার হলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার গ্রেপ্তারে জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশ
তিনি বলেন, ঘটনার দিন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কেউ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিয়ে ব্রিফ করলে এমন কোনো ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতো না।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার আদালত সাংবাদিক রোজিনাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ। বৃহস্পতিবার তার জামিন শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
সাংবাদিক রোজিনার মুক্তি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে টিআইবি
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই দাবি জানিয়েছে টিআইবি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোজিনা ইসলামের প্রতি যে আচরণ করেছে তা শিষ্ঠাচার বহির্ভূত ও স্বাধীন সাংবাদিকতার টুটি চেপে ধরার শামিল।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা গ্রেপ্তার
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে অনুসন্ধানী প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘ সময় আটকে রেখে হেনস্তা এবং রাতে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে নথি চুরির মামলা দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ(টিআইবি)।
অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের নামে দেওয়া মামলা প্রত্যাহার, নিঃশর্ত মুক্তি, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে বিবেচনাবোধের পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাকালে স্বাস্থ্য খাতের ক্রয় থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্যায়ে দুর্নীতির যে ভয়াল ও অমানবিক চিত্র জাতির সামনে এসেছে, তার অনেকটাই সম্ভব হয়েছে রোজিনা ইসলামের মতো অকুতোভয় সাংবাদিকদের নিরন্তর প্রচেষ্টা ও নিষ্ঠার কারণে। এই সময়ে এমন ঘটনা মুক্ত সাংবাদিকতার টুটি চেপে ধরারই নামান্তর।
সরকারি নথি চুরির অভিযোগ এনে দীর্ঘসময় ধরে একজন নারী সংবাদ কর্মীকে আটকে রেখে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রোজিনা ইসলামের সাথে যে ধরনের নিপীড়নমূলক আচরণ করেছেন, তা শুধু শিষ্টাচার বহির্ভূতই নয় তার প্রতি ক্ষোভের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ কী-না এমন প্রশ্ন রেখে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং করোনা সংকট মোকোবেলায় প্রতিষ্ঠানটির সমন্বয়হীনতা, পেশাদারিত্বের যে ঘাটতি ও স্বরূপ রোজিনা ইসলামের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনসমূহে উঠে এসেছে, এটাকে তারই ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া বিবেচনা করাই স্বাভাবিক। এখন পর্যন্ত যারা কিছুটা হলেও নীতি ও নিষ্ঠার সাথে সাংবাদিকতা করছেন, শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে নিয়মিত জনস্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করছেন, এটা তাদের জন্য দুর্নীতিবাজদের পক্ষ থেকে একটি হুশিয়ারি বার্তা বলে মনে করি। এর রেশ আমাদের ধারণারও বাইরে। ”
''এ ঘটনায় যেভাবে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার বিষয়কে টেনে এনে ঔপনিবেশিক আমলের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট-১৯২৩’ এর ৩ ও ৫ ধারা এবং পেনাল কোডের ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় যেভাবে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “এক্ষেত্রে রোজিনা ইসলামের সাংবাদিক পরিচয়কে কোনোভাবেই বিবেচনা করা হয়নি, বরং তাকে ফাঁদে ফেলে শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে পুরো গণমাধ্যমকেই একহাত নেওয়ার অপচেষ্টা করেছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল।”
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার তাৎক্ষণিক মুক্তি দাবি করেছেন ফখরুল
ড. জামান আরও বলেন, “তথ্য অধিকার আইন পাশ হওয়ার ফলে বাক ও মত প্রকাশের যে আশার আলোটুকু আমরা দেখতে শুরু করেছিলাম অচিরেই ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে নিবর্তনমূলক ৩২ ধারায় ঔপনিবেশিক আমলের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট-১৯২৩’ সন্নিবেশনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিলো রোজিনা ইসলামের ঘটনার মধ্য দিয়ে তার নগ্ন পরিণতি পেয়েছে। এর নিন্দা জানাবার ভাষাও হারিয়ে ফেলেছি। আমরা কি সামনের দিকে এগোচ্ছি না-কি উল্টো যাত্রা শুরু করেছি? এর শেষ কোথায়! এক শ্রেণির অসাধু, নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত কর্মকর্তা ও উচ্চপদে আসীনদের কাছে সরকার কি ক্রমাগত জিম্মি হয়ে পড়ছে!”
ইতোপূর্বে সাংবাদিক নির্যাতনের একটি ঘটনারও সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হওয়ার যে দৃষ্টান্ত রয়েছে তার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করে টিআইবি গণতন্ত্র, ন্যায়বোধ, সুশাসন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখার স্বার্থে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের ভবিষ্যতের জন্য অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের জোর দাবি জানিয়েছে।
৩ বছর আগে
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় বিএসআরএফের প্রতিবাদ
প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য সচিবের দপ্তরে অন্যায়ভাবে আটকে রেখে নির্যাতন এবং ৫ ঘন্টা পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করে মিথ্যা মামলায় ফাসাঁনোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টাস ফোরাম(বিএসআরএফ)।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা গ্রেপ্তার
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, একজন স্বনামধন্য পেশাদার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের এমন আচরণ মুক্তমত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিপন্থী।
তারা মনে করেন, এরূপ আচরণ দেশের গণতন্ত্র এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাভাবিক গতিকে চরমভাবে ব্যাহত করবে।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত
নেতারা দ্রুত রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিএসআরএফের নেতারা এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
৩ বছর আগে