গোয়েন্দা পুলিশ
পুরানা পল্টন থেকে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ
পূর্বঘোষিত আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনে জড়ো হওয়া বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে ইউএনবির ফটোগ্রাফার জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাত সমন্বয়ককে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আটক এবং 'চলমান আন্দোলন প্রত্যাহারে চাপ' দেওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা সমাবেশ করছিলেন। ।
এছাড়া মিরপুর ১০ নম্বর মোড় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের জমায়েতের খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার রাতে ডিবি হেফাজতে থাকা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এক ভিডিও বার্তায় তাদের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
এই ঘোষণার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিবৃতি দিয়ে তাদের নয় দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
৪ মাস আগে
ডিবি অফিসে খাবার খাওয়ার ব্যাখা দিলেন গয়েশ্বর
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় শনিবার আটকের সময় পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে দুপুরের খাবার খাওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
রবিবার (৩০ জুলাই) নয়াপল্টন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ডিবি কার্যালয়ে তার দুপুরের খাবারের ভিডিও ও ছবি জনগণকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে প্রচার করা হয়েছে।
গয়েশ্বর বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার ভিডিও এবং ছবি ছড়িয়ে দেওয়া একটি নিম্ন রুচির পরিচায়ক এবং একটি অত্যন্ত লজ্জাজনক ও ঘৃণ্য কাজ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও জানান, সোনারগাঁও হোটেল থেকে ডিবি অফিসের আনা খাবার খান নি তিনি; তার পরিবর্তে ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদের বাড়ি থেকে পাঠানো খাবার খান তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘যারা এটা করেছে (ভিডিও ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে) তারা তাদের নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছে। এটি এক ধরনের তামাশাপূর্ণ নাটক এবং আমি জানি না কে এর স্ক্রিপ্ট লিখেছেন।’
আরও পড়ুন: আটকের পর ডিবি প্রধানের সঙ্গে গয়েশ্বরের দুপুরের ভোজ
শনিবার ডিবি অফিসের প্রধান হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে গয়েশ্বর দুপুরের খাবার খাচ্ছেন এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় ধোলাইখাল থেকে ওই বিএনপি নেতাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গয়েশ্বর বলেন, রক্তচাপ কমে যাওয়ায় ডিবি কর্মকর্তারা তাকে খেতে অনুরোধ করেন।
প্রবীণ এই নেতা বলেন, ‘তারা বলল, স্যার আপনি সারাদিন কিছু খাননি। আমরা শুনেছি আপনি পানিও পান করেননি। আপনাকে স্যালাইন দিয়ে ইনজেকশন দেওয়া হবে। কিছু না খেয়ে স্যালাইন নেবেন? আমাদের যা আছে তা একটু খান। আমরা আপনাকে না খাইয়ে রাখতে পারি না। কারণ আমরা আপনাকে গ্রেপ্তার না করলেও আমাদের দায়িত্ব রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডাইনিং রুমে ঢুকে দেখলাম খাবারের বিশাল আয়োজন…আমি বললাম সোনারগাঁও বা অন্য কোন হোটেলের খাবার আমি খাই না। আমি ৯০ভাগ নিরামিষাশী এবং আমি এক বা দুটি আইটেমের বেশি খাই না। আমি দেখেছি যে তারা ছবি তুলছে এবং আমি তাদের বলেছিলাম যে খাবারের সময় ছবি তোলা কোনও ভদ্রলোকের কাজ নয়।’
পরে তিনি বলেন, ডিবি প্রধান তার (হারুনের) বাড়ি থেকে আনা খাবার নিয়ে আসতে বলেছেন তার কর্মীদের।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তাহীনতায় বাংলাদেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক ক্রমান্বয়ে দেশ ছাড়ছে: গয়েশ্বর
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (হারুন) টিফিন ক্যারিয়ার থেকে আমাকে দুই চামচ সাদা ভাত দিয়েছিলেন। আমি তাকে শুধু তার সবজি দিতে বললাম। তারপর তিনি বললেন, স্যার এক টুকরো রুই মাছ নিন, এটা কিশোরগঞ্জ থেকে আনা হয়েছে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, এর আগেও অনেকবার ডিবি অফিসে গিয়েয়েন তিনি। সেসময় আশেপাশের হোটেল থেকে খাবার দিয়ে তাকে আপ্যায়ন করা হত। কিন্তু সোনারগাঁ থেকে এবার খাবার কেনার তহবিল দিল কে? তাদের কি এটা করার নিয়ম আছে? যাদের তারা হেফাজতে নেয় তারা কি তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করে? তাই বোঝা যায়, তারা লোক দেখানো নাটক মঞ্চস্থ করেছে। এটি একটি নিম্ন রুচির পরিচয়। বাংলাদেশের মানুষ এতটা বোকা নয় যে সাজানো ছবি ও ভিডিও দেখে বিপথগামী হবে।
গয়েশ্বর বলেন, গয়েশ্বর রায়ের মাথা কেনার মতো এত টাকা রাষ্ট্রের নেই। ‘রাষ্ট্রের ক্ষমতা আছে আমাকে এক গুলিতে মেরে ফেলার এবং ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমের মতো আমাকে গুম করার ক্ষমতা আছে... কিন্তু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মতো একজনকে কেনার ক্ষমতা সরকারের নেই।’
রাজধানীর ধোলাইখালে দলটির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে শনিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গয়েশ্বরকে পিটিয়ে আহত করে।
পরে মাথা কেটে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে আটক করে প্রথমে ওয়ারী থানায় ও পরে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই বিএনপির দায়িত্ব: গয়েশ্বর
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তিনি দুপুরের খাবার খেয়েছিলেন। তারপরে তাকে তার কার্যালয়ের সামনে নামিয়ে দেওয়া হয়।
তার ওপর হামলার বর্ণনা দিয়ে গয়েশ্বর বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা ধোলাইখালে রাজধানীর প্রবেশপথে তাদের দলের অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে জড়ো হলে পুলিশ তাদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ শুরু করে, যার ফলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
তিনি বলেন, ‘আপনারা মিডিয়ার মাধ্যমে দেখেছেন যে কীভাবে তারা আমাদের নেতাকর্মীদের লাঠি দিয়ে পিটিয়েছিল... তারা আমাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে আমি মাটিতে পড়ে যাই এবং তারপরও তারা আমাকে মারধর করে। দেখে মনে হচ্ছে তারা একটি সাপকে মারছে।’
এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়াপল্টনে তার কার্যালয়ে গয়েশ্বরকে দেখতে যান এবং তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।
১ বছর আগে
কক্সবাজারে ১৯১ টি চোরাই মোবাইল জব্দ, আটক ৩
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ১৯১ টি চোরাই মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। এসময় তিনজনকে আটকের দাবি করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ নাছির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটককৃতরা হলেন- ফাঁসিয়াখালীর মৃত রাজা মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম এবং বরইতলীর শাহজাহানের ছেলে আবু তাহের।
আরও পড়ুন: ১০ বছর আত্মগোপনের পর মিরপুরে ২২ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
ওসি জানান, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার একটি শপিং কমপ্লেক্সের লাইভ টেলিকম-১, লাইভ টেলিকম-২, লাইভ টেলিকম-৩ নামের তিনটি মোবাইলের দোকানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ১৯১ টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য ২৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
তিনি আরও জানান, এ সময় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়।
ওসি জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন যে দেশের বিভিন্ন স্থান হতে চোরাই মোবাইল কারবারিদের সঙ্গে যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে চোরাই মোবাইল কেনা-বেচা করে আসছিলো।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির ৮৩৫ নেতাকর্মীর নামে ১৪ মামলা, ৮৯ জন কারাবন্দী
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৪২
১ বছর আগে
মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ: বিএনপি
বিএনপি দাবি করেছে, রাজধানীতে পৃথক অভিযানে সাদা পোশাকের পুলিশ মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে।
শুক্রবার ভোরে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল গভীর রাতে ফখরুলের উত্তরার বাসায় গিয়ে ভোররাত ৩টার দিকে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
তিনি জানান, একই সময়ে ডিবি পুলিশের আরেকটি দল আব্বাসের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ঢাকার শাহজাহানপুরের বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ফখরুলকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে যেতে বাধা
তাদের আটক বা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ছয় ঘণ্টা বৈঠক করে, যেখানে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) কমলাপুর স্টেডিয়াম বা মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করার বিষয়ে কথা হয়।
পরে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে নিয়ে আব্বাস দুটি অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেন।
ওই বৈঠকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় খুলে দেয়ার আশ্বাস দেন পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
বুধবার ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে দলটির প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে।
ডিএমপি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠকের পর সমাবেশের বিষয়ে সরকার ও বিএনপির মধ্যে দৃশ্যত একটি সমঝোতা হয়েছিল।
তবে, দলটির দুই শীর্ষ নেতাকে তুলে নেয়ার ফলে বিএনপির বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান প্রকাশ পেয়েছে।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে যে কোনো নৈরাজ্য হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
ইউএনবি’র সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির কয়েকজন নেতা আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, শনিবারের পরিকল্পিত সমাবেশ ঠেকাতে সরকার দলের আরও সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করতে পারে। বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত বুধবারের সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বিএনপির ৪৪৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও প্রকাশনা সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ শীর্ষ নেতাদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: রিজভী, এ্যানিসহ কারাগারে ৪৪৫ বিএনপি নেতাকর্মী
নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: ৫৫৩ বিএনপি নেতাকর্মীসহ ২৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২ বছর আগে
রাজধানীতে ৮ ‘ডাকাতকে’ আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ
মহানগর ও আন্তঃজেলা ডাকাত দলের মূল হোতাসহ নগরীর সন্দেহভাজন আট ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। রবিবার রাতে মোহাম্মদপুর বসিলা এলাকা থেকে তাদের আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা এ তথ্য জানিয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- মো. মোজাম্মেল হোসেন আপেল, হাজী মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. জামির খান, মো. মুজিবুর রহমান মজিদ মোক্তার, মো. মাসুম গাজী, শফিকুল খারাদী, মো. কুদ্দুস আলী ও মো.কাউছার মিয়া।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ‘ডাকাত’ সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ৩
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির (তেজগাঁও বিভাগ) একটি দল এদের আটক করে। গোয়েন্দারা তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, একটি বন্দুক, একটি ওয়্যারলেস সেট, একটি হাতকড়া, দু’টি নকল ডিবি জ্যাকেট এবং চারটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই চক্রটি গত কয়েক মাসে সারাদেশে বেশ কয়েকটি ডাকাতি করেছে। এছাড়া বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত ও বরখাস্ত সদস্য এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ৯
২ বছর আগে
রোজিনার মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেল গোয়েন্দা পুলিশ
প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি বুধবার গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (রমনা জোন) হারুন অর রশীদ জানান, মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টা সচিবালয়ে আটকে রাখার পর সোমবার রাতে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা গ্রেপ্তার
অবৈধভাবে ‘সরকারি নথি সংগ্রহের চেষ্টা এবং তার ছবি তোলার’ অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ৩৭৯, ৪১১ ধারা এবং অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট এ মামলা করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিক রোজিনাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়া হলে, তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত। বৃহস্পতিবার তার জামিন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি এবং সচিবালয়ে তাকে হয়রানিতে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সাংবাদিকরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন করেছে।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত
দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও দোষী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)।
বুধবার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে এই মানববন্ধন হয়।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার মুক্তি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে টিআইবি
মানববন্ধনে বিএসআরএফ’র সভাপতি তপন বিশ্বাস বলেন, ‘প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তাকে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে-এর বিরুদ্ধে আমরা আজকে মানববন্ধনে দাড়িয়েছি। আমরা তার মুক্তি চাই, তার সঙ্গে যারা অন্যায় কাজগুলো করেছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
৩ বছর আগে