আলোচনা হচ্ছে
টিকা পেতে কয়েকটি দেশের সাথে আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশে জরুরি প্রয়োজনে করোনা টিকার চাহিদা মেটাতে ভারতকে অব্যাহত অনুরোধ করা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, চীন, কানাডা, রাশিয়া, যুক্তরাজ্যসহ একাধিক দেশ থেকে সরকার ভ্যাকসিন পাওয়ার চেষ্টা করছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘চীনের সাথে টিকার পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা অনেকটা চূড়ান্ত পর্যায়ে। এছাড়া আমেরিকার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার আশা করছে সরকার।’
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারতের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সরবারহ না থাকায় আমাদের অনেকে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে পারছেন না।
এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং কিউন সাক্ষাত করেন।
তিনি রাশিয়ার সাথে চলমান আলোচনার বিষয়টি তুলে ধরেন বলেন, 'আশা করছি সপ্তাহের মধ্যে সব কিছুর সমাধান হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: সিনোফার্মার টিকা ক্রয়ের অনুমোদন দিল সরকার
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা অনানুষ্ঠানিকভাবে জানতে পেরেছি করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা কম থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের টিকা সরবরাহের অগ্রাধিকার তালিকায় বাংলাদেশ নেই।
বাংলাদেশের জন্য এটি জরুরি বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এটাকে বাংলাদেশের সঙ্কট ভাবছে না এবং আমি এই ধারণা পছন্দ করি না। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি সঙ্কট।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টে গ্লোবাল কোভিড-১৯ প্রতিক্রিয়া এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার সমন্বয়কারী গেইল ই স্মিথ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ৮০ মিলিয়ন অতিরিক্ত ভ্যাকসিন শেয়ার করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে কীসের ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশকে ভ্যাকসিন বণ্টন করা হবে এই মুহূর্তে বলতে পারব না। আমি আগেই বলেছি আমরা ভারত এবং তাদের প্রতিবেশিদের করোনার অবস্থার প্রেক্ষিতে জরুরি মানবিক সহায়তা প্রদান করব।’
ভারত সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ভারত কখনোই বলেনি যে টিকা দেবে না। তবে তারা দিতে পারছে না।
তিনি বলেন, জরুরি প্রয়োজন মেটাতে উপহার স্বরূপ ভ্যাকসিন সরাবারহের ব্যাপারে বাংলাদেশ ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছে, যদিও রপ্তানির ব্যাপারে ভারতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমি অবশ্যই বলব যে ভারতের সাথে এই ব্যাপারে আমাদের ইতিবাচক কথা হচ্ছে।'
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে বাংলাদেশের জরুরি প্রয়োজন অনুযায়ী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন সরবারহ নিশ্চিত করতে অনুরোধ করেন।
বাংলাদেশ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এর সাথে ৩ কোটি ডোজ অক্সফোর্ডের করোনা টিকা সরবরাহের চুক্তি করেছিল। সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মার চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করার কথা ছিল।
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়, জরুরি ভিত্তিতে প্রতি মাসে অন্তত ৩০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ভারতকে দ্রুত টিকা পাঠানোর আহ্বান বাংলাদেশের
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মাত্র ৭০ লাখ ডোজ টিকা বুঝে পেয়েছে। এছাড়া ভারত সরকারের কাছ থেকে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে পেয়েছে বাংলাদেশ।
এদিকে, দ্বিতীয় ডোজের চাহিদা মেটাতে কানাডার কাছে জরুরি প্রয়োজনে কমপক্ষে ২ মিলিয়ন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ।
৩ বছর আগে