ভ্যারিয়েন্ট
‘ওমিক্রন’: বিশ্বজুড়ে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ
বিশ্বে একটি নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এটা সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যমান অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট থেকে বিপদজনক হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিওএইচও) একটি প্যানেল ভ্যারিয়েন্টটিকে ‘ওমিক্রন’ নাম দিয়েছে। এটিকে ডেল্টার মতো একটি অত্যন্ত সংক্রমণযোগ্য ভাইরাস হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
লাখ লাখ আমেরিকান পরিবারের জন্য থ্যাঙ্কসগিভিং সমাবেশের পুনসূচনা উদযাপনের মাত্র একদিন পরে এবং টিকা নেয়ার জন্য স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসছে এই বোধের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভ্যারিয়েন্টটি সম্পর্কে বলেন, এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে হচ্ছে। নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে সতর্ক থাকব।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে যোগাযোগ স্থগিত করা হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডব্লিওএইচও জানিয়েছে, এই ভ্যারিয়েন্টের ঝুঁকি কতোটা তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিক প্রমাণগুলি থেকে বলা যায় যে এটি অন্যান্য অত্যন্ত সংক্রমণযোগ্য ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের মতো ঝুঁকি বহন করবে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, বর্তমান ভ্যাকসিনগুলি এর বিরুদ্ধে কম কার্যকর কি না তা জানতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের প্রতিক্রিয়া হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, রাশিয়া এবং অন্যান্য অনেক দেশ এই অঞ্চলে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা
ওমিক্রন এখন বেলজিয়াম, হংকং ও ইসরাইলের পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্রমণকারীদের মধ্যেও দেখা গেছে।
২ বছর আগে
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা
করোনা ভাইরাসের একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন দেশটির সর্বাধিক জনবহুল প্রদেশ গাউতেং-এ তরুণদের মধ্যে উচ্চ সংখ্যক মিউটেশন এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে এটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ফাহলা বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানান।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন নতুন ভ্যারিয়েন্টটি আরও সংক্রমণযোগ্য বা মারাত্মক হতে পারে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে সময় লাগতে পারে।
একটি অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে ফাহলা বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন সংক্রমণ নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী মার্চের মধ্যে ইউরোপে করোনায় আরও ৭ লাখ মানুষ মারা যাবে: ডব্লিউএইচও
তিনি বলেন, গত চার বা পাঁচ দিন ধরে, শনাক্তের সংখ্যা বৃদ্ধি বেশি পেয়েছে। নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে এটা হচ্ছে বলে ধারণা করছি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে কত শতাংশ নতুন শনাক্ত হয়েছে তা নির্ধারণ করতে কাজ করছেন।
বর্তমানে এই নতুন বি.১.১.৫২৯ ভ্যারিয়েন্টটি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে বতসোয়ানা ও হংকং-এ পাওয়া গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপ নতুন ভ্যারিয়েন্টটি মূল্যায়ন করতে শুক্রবার মিলিত হবে এবং গ্রীক বর্ণমালা থেকে এটির নাম দেয়া হবে কি না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় একদিনে রেকর্ড ৪ হাজারের বেশি করোনা শনাক্ত
ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করেছে যে শুক্রবার দুপুর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অন্যান্য পাঁচটি দক্ষিণ আফ্রিকান দেশ থেকে তারা ফ্লাইট নিষিদ্ধ করছে। এবং যারা সম্প্রতি এই দেশগুলি থেকে এসেছে তাদের করোনভাইরাস পরীক্ষা করতে বলা হবে।
ইউকে হেলথ সেক্রেটারি সাজিদ জাভিদ বলেছেন, নতুন ভ্যারিয়েন্টটি ডেল্টা স্ট্রেনের চেয়ে আরও বেশি সংক্রমণযোগ্য হতে পারে। বর্তমানে আমাদের কাছে যে ভ্যাকসিনগুলি রয়েছে তা এর বিরুদ্ধে কম কার্যকর হতে পারে বলে উদ্বেগ রয়েছে।
২ বছর আগে
ব্যাপক ভ্যাকসিনেশনের হার বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের ঝুঁকি কমাতে পারে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
নতুন ভ্যারিয়েন্টের করোনার প্রকোপ রোধে শতকরা ৮০ শতাংশ ভ্যাকসিনেশন কভারেজ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার(ডব্লিউএইচও)মুখপাত্র।
ডব্লিউএইচও’র জরুরি কর্মসূচি বিষয়ক প্রধান ডা. মিশেল রায়ান সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ব্যাপক পর্যায়ে ভ্যাকসিনেশন কভারেজের মাধ্যমে এই অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব।’
রায়ান স্বীকার করেছেন যে, সংক্রমণের ক্ষেত্রে ঠিক কতে শতাংশ ভ্যাকসিনেশন কভারেজ প্রভাব ফেলবে সেই ডাটা এখনও পুরোপুরিভাবে স্পষ্ট নয়। তবে এক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ কভারেজ ব্যাপক হারে সংক্রমণের ঘটনাগুলো এড়াতে প্রভাব রাখতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মারিয়া ভ্যান বলেছেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যে ৬০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এটা ব্রিটেনের আল্ফা ভ্যারিয়েন্ট থেকেও বেশি সংক্রমণযোগ্য বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ১৭ কোটি ৩৫ লাখ ছাড়ালো
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিওএইচও) প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস ইতোমধ্যে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যাতে করেনা ভ্যাকসিন এর প্রাপ্যতা বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে জাতিসংঘের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে সহায়তার জন্য জি৭ এর আওতাভুক্ত দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন।
এই সপ্তাহের শেষে ইংল্যান্ডে জি৭ নেতাদের সাথে বৈঠকের কথা রয়েছে উল্লেখ করে টেড্রস বলেন, সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ যাতে বিশ্বের প্রতিটি দেশের ১০ শতাংশ মানুষ এবং বছর শেষে প্রতিটি দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ যাতে ভ্যাকসিন পায় তার সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে উক্ত নেতারা সহযোগিতা করতে পারে।
তিনি বলেন, এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের জুন-জুলাইয়ে ১০০ মিলিয়ন এবং সেপ্টেম্বর নাগাদ ২৫০ মিলিয়ন টিকা প্রয়োজন।
এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষমতা জি৭ দেশগুলোর রয়েছে বলে ডব্লিওএইচও প্রধান মন্তব্য করেন।
৩ বছর আগে
আইইডিসিআর সমীক্ষা: নমুনার ৮০ শতাংশই ভারতীয় করোনা শনাক্ত
করোনাভাইরাস ভারতীয় টাইপ বা ভ্যারিয়েন্টের নাম দেয়া হয়েছে ডেল্টা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই নামকরণ করে।
গত ১৬ মে থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) পরিচালিত এ পর্যন্ত ৫০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করে করে দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ৮০ শতাংশ পাওয়া গেছে। মোট ৫০টি নমুনার মধ্যে ৪০টি নমুনা ই ভারতীয় করোনার ধরন হিসেবে শনাক্ত হয়েছে।
আইইডিসিআর ও আইডিএসএইচআই-এর যৌথ গবেষণা অনুসারে এই তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় একটি অজানা ভ্যারিয়েন্ট বা করোনার ধরন চিহ্নিত হয়েছে। এর পাশাপাশি নমুনাগুলোর মধ্যে 8টি (১৬%) দক্ষিণ আফ্রিকার ভেরিয়েন্টে পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আক্রান্তদের মাঝে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়নি
আইইডিসিআর এবং আইডিএসআইআই ১৬ মে থেকে সীমান্তবর্তী জেলা ও রাজধানীসহ সারাদেশ থেকে ৫০টি নমুনা সংগ্রহ করে এই বিশ্লেষণ করেছে।
গবেষণায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, খুলনা, ঢাকা, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ ও পিরোজপুর থেকে ৫০টি নমুনা সংগ্রহ করে ৪০ ভারতীয় ডেল্টা ভেরিয়েন্ট হিসেবে সন্ধান পাওয়া গেছে।
এছাড়াও, ৪০ জন রোগীর মধ্যে আটজনকে ভারত থেকে ফিরে আসার পরে পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং ১৮ জন বিদেশফেরতদের সংস্পর্শে এসেছিলেন।
এদিকে, সংগ্রহ করা নমুনাগুলোর মধ্যে ১৪ সংক্রামিত ব্যক্তি বিদেশে যায়নি বা কোনও ধরনের ভ্রমণ করেনি। তাই এটা পরিষ্কার যে ভারতীয় ধরনটি দেশের অভ্যন্তরে কমিউনিটি পর্যায়ে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।
গত ৮ মে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ভারতীয় করোনাভাইরাসের ভেরিয়েন্টে শনাক্ত হয়েছিল। সংক্রমিত সবাই ভারত ফেরত যাত্রী ছিলেন।
অতিরিক্ত সংক্রামক ইন্ডিয়ান ডেল্টা রূপটি গত বছরের অক্টোবরে প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল।
৩ বছর আগে
মাগুরায় ভারত ফেরত ৩ জনের করোনা শনাক্ত
মাগুরার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভারত ফেরত যাত্রীদের মধ্যে ৩ জনের শরীরে বৃহস্পতিবার করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে।
তবে তারা ভারতের নতুন ভ্যারিয়েন্টের করোনা ভাইরাস বহন করছে কিনা তা জিনম সিকোয়েন্সের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানা গেছে।
করোনা শনাক্ত এই ৩ জনের বাড়ি সাতক্ষীরা, টাঙ্গাইল এবং কুষ্টিয়া জেলাতে। এদের একজন ৫০ বছর বয়সি নারী এবং বাকি দুইজন পুরুষ। বয়স ২৫ ও ৪০ বছর। তবে তাদের শরীরে কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ভারত ফেরত ১১ বাংলাদেশির করোনা শনাক্ত
মাগুরা সিভিল সার্জন ডা. মো. শহীদুল্লাহ দেওয়ান জানান, ৮ ও ৯ মে মোট ১০১ জন যাত্রী ভারত থেকে যশোর বেনাপোল বন্দর হয়ে দেশে প্রবেশ করে। দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা ভারত ফেরত এসব যাত্রীকে মাগুরার তিনটি আবাসিক হোটেল সৈকত, হোটেল মণ্ডল এবং ঈগল হোটেলকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ঘোষণা করে ১৪ দিনের জন্যে রাখা হয়।
এদের মধ্যে ৪ জনকে চিকিৎসার জন্যে মাগুরার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ঢাকা ও অন্যান্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্যে বুধবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হলে বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে ৬৭ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ওই ৩ জন পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত হয়।
আরও পড়ুন: বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভারত ফেরত ৩ শিক্ষার্থীর করোনা পজিটিভ
মাগুরা সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান জানান, করোনা পজিটিভ ৩ জনকে ইতিমধ্যেই মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তারা ভারতের নতুন ভেরিয়েন্টের জীবাণু বহন করছে কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্যে ইতিমধ্যে জিনোম সিকোয়েন্সের কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৫ মৃত্যু, শনাক্ত ৬.৬৯ শতাংশ
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে তিনি জানান।
৩ বছর আগে