সাধারণ পরিষদ
২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন ইউনূস
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হবেন অন্তর্ববর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
জুলাই-আগস্ট মাসে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত সব শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমের কাছে সফর সংক্রান্ত বক্তব্য তুলে ধরেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের বিতর্ক পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে। এ অধিবেশনে যোগদানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন।
আরও পড়ুন: জাতি পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান ইউনূস
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মতো এবার বাংলাদেশ থেকে শতাধিক সদস্যের প্রতিনিধিদল চার্টার্ড বিমানে নিউ ইয়র্ক সফর করবেন না। বরং যার যেই সংশ্লিষ্টতা বা দায়িত্ব, সে অনুযায়ী যতটা সম্ভব সীমিত আকারে প্রতিনিধিদল গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি আমার দায়িত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উচ্চ-পর্যায়ের সভাসমূহে অংশগ্রহণের জন্য ভিন্ন একটি ফ্লাইটে দুই দিন আগে নিউ ইয়র্কে যাব। প্রধান উপদেষ্টা তিন দিন নিউ ইয়র্কে অবস্থান করে সফর শেষে ২৭ সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হবেন।
এবছর সাধারণ বিতর্কের প্রতিপাদ্য হলো- ‘কাউকে পেছনে ফেলে নয়: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন ও মানবিক মর্যাদার অগ্রগতির জন্য একযোগে কাজ করা।’
বিশ্বব্যাপী আস্থার সংকট, বহুপাক্ষিকতা ও আলোচনার পথ উপেক্ষা করার ফলে সৃষ্ট সংকট থেকে সংঘাত, মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতির পাশাপাশি উদ্ভূত নানারকম বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নে কার্যকর ও সমন্বিত পদক্ষেপের অনুপস্থিতি– ইত্যাদি প্রেক্ষাপটে এবারের প্রতিপাদ্যটি অত্যন্ত অর্থবহ।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবছরের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এবছরই জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বাংলাদেশ একটি উচ্চ-পর্যায়ের সংবর্ধনার আয়োজন করছে। এ সংবর্ধনায় বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদলের প্রধানদের পাশাপাশি জাতিসংঘের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা, কিছু সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান, বিভিন্ন সংস্থা প্রধান অংশগ্রহণ করার আশাবাদের কথা জানান তৌহিদ হোসেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ কথা বলার অবকাশ রাখে না যে, প্রধান উপদেষ্টার পরিচিতি এবং সুনাম বিশ্বব্যাপী। এ কারণে অনেকগুলো বিশ্বখ্যাত সংবাদ সংস্থা তার সাক্ষাৎকার গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ও সভায় অংশগ্রহণের জন্যও অনুরোধ এসেছে। যেহেতু তিনি মাত্র তিন দিন নিউ ইয়র্কে অবস্থান করবেন, সেহেতু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এই স্বল্প সময়েরর মধ্যে সবার অনুরোধ রক্ষা করা বেশ কঠিন।
তিনি বলেন, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্ক পর্বে বক্তব্য দেবেন। তিনি তার বক্তব্যে বিগত দুই মাসে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থানের বিবরণ ও আগামী দিনে জনভিত্তিক, কল্যাণমুখী ও জনস্বার্থে নিবেদিত একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় বিশ্বদরবারে তুলে ধরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ অবস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, বিশ্বব্যাপী সংঘাত, রোহিঙ্গা সংকট, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিকূলতা, উন্নয়নশীল দেশসমূহ থেকে সম্পদ পাচার প্রতিরোধ, নিরাপদ অভিবাসন, অভিবাসীদের মৌলিক পরিষেবা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা, জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রযুক্তির টেকসই হস্তান্তর, এবং ফিলিস্তিন সম্পর্কিত বিষয়সমূহ তার বক্তব্যে উঠে আসতে পারে।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। তিনি নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, নেপালের প্রধানমন্ত্রী, ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘ মানবাধিকার সম্পর্কিত হাইকমিশনার, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট এবং ইউএসএইডের প্রশাসকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিয়ে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
তৌহিদ বলেন, এরকম সময়ে অনেক বৈঠকের সিদ্ধান্ত শেষ মুহূর্তেও হয়ে যায়। সে বিবেচনায় নতুন বৈঠক তালিকায় যোগ হতে পারে; আবার সময়ের অভাবে কোনো বৈঠক বাদও যেতে পারে বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা হবে: ড. ইউনূস
উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, ইতালির প্রেসিডেন্ট এবং কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের আলোচনা চলছে। এছাড়াও, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, এবারের সাধারণ অধিবেশনের সাইড লাইনে আমিও বেশ কয়েকটি ইভেন্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করব। এর মধ্যে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলো সামিট অব দ্যা ফিউচার। এটি আগামী ২২-২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিতব্য সামিট অব দ্যা ফিউচার-এ বিশ্ব নেতারা প্যাক্ট অব দ্যা ফিউচার শীর্ষক একটি ভবিষ্যৎমুখী ঘোষণাপত্র গ্রহণ করবেন। এই প্যাক্ট অব দ্যা ফিউচারের সংযুক্তি হিসেবে ডিক্লারেশন অন দ্যা ফিউচার জেনারেশনস এবং গ্লোবাল ডিজিটাল কম্প্যাক্ট শীর্ষক আরও দু’টি ঘোষণাপত্র গৃহীত হবে বলে আমরা আশাবাদী।
উল্লেখ্য, এই তিনটি ডকুমেন্টের চলমান সমঝোতা প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ বিষয়ে আলোচনা ও মত বিনিময়ের লক্ষ্যে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের সহযোগিতায় ঢাকায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল বাংলাদেশ।
উপদেষ্টা বলেন, এছাড়া আমি আরও যেসব সভায় অংশগ্রহণ করব বলে আশা করছি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের মন্ত্রীপর্যায়ের সভা, কমনওয়েলথ রাষ্ট্রসমূহের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সভা, ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের সভা, স্বল্পোন্নত দেশসমূহের বার্ষিক মন্ত্রীপর্যায়ের সভা এবং এশিয়া সহযোগিতা সংলাপের মন্ত্রী পর্যায়ের সভা ইত্যাদি।
এছাড়া আমরা রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে একটি উচ্চ-পর্যায়ের সাইড ইভেন্টও আয়োজন করছি।
তিনি বলেন, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার কাজ শুরু করেছে। এ প্রেক্ষাপটে এবারের অধিবেশন নতুন বাংলাদেশের জন্য জাতিসংঘে বা বিশ্ব সভায় নতুন পদচারণা। বিশ্ব দরবারে বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশকে উপস্থাপনের জন্য এবারের অধিবেশনে আমাদের কাছে একটি বিরাট সুযোগ।
জাতিসংঘের অগ্রাধিকার ইস্যুগুলো প্রত্যেকটি বাংলাদেশের জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই ইস্যগুলোর উপর যেসব ইভেন্ট আছে, বাংলাদেশ তার সব কয়টিতেই সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বাংলাদেশ জাতিসংঘসহ বহুপক্ষীয় কূটনীতিকে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে মনে করে। সার্বিক বিবেচনায় এবারের অধিবেশনে উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে বিস্তৃত ও সুদৃঢ় করবে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্বৈরাচারের প্রতিষ্ঠিত গুম সংস্কৃতির সমাপ্তি ঘটাতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: ড. ইউনূস
৩ মাস আগে
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘প্রাকৃতিক তন্তু’ সম্পর্কিত রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশিপ রেজুলেশন 'ন্যাচারাল প্ল্যান্ট ফাইবারস অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' গ্রহণ করেছে।
পাট, তুলা ও সিসাল জাতীয় প্রাকৃতিক তন্তুর সুচিন্তিত ও টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের অবিচল অঙ্গীকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতির প্রমাণ এই বিপুল সমর্থন।
বুধবার নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ মিশন বলেছে, যুগান্তকারী উন্নয়ন হিসেবে দেখা রেজুলেশনটি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর টেকসই উৎপাদন, ব্যবহারকে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছে।
এটি বৈশ্বিক, আঞ্চলিক, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর টেকসই উৎপাদন, ব্যবহার ও ব্যবহারের গতি বাড়ানোর জন্য রাজনৈতিক সমর্থন, সম্পদ সংগ্রহ, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেয়।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত
রেজুলেশনে প্রাকৃতিক তন্তুকে সিন্থেটিক ও প্লাস্টিক-ভিত্তিক পণ্যের একটি প্রশংসনীয় বিকল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা প্রাকৃতিক তন্তুর উৎপাদন ও ব্যবহার ২০৩০ এজেন্ডা অর্জনে অবদান রাখতে পারে।
২১ নভেম্বর রেজুলেশনটি উত্থাপনের সময় নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনের প্রতিনিধি এটি শক্তিশালীকরণ ও ঐকমত্য অর্জনে সক্রিয় সম্পৃক্ততা, নমনীয়তা ও অবদানের জন্য সকল প্রতিনিধি দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার প্রস্তাবটি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর পরিপূরক ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশ প্রতিনিধি রেজুলেশনের পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ২০১৯ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে প্রথম এই রেজুলেশনটি উত্থাপন করে এবং তারপর থেকে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো দ্বিবার্ষিকভাবে এই রেজুলেশনটি গ্রহণ করে আসছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা রেজুলেশন বাস্তবায়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল: শেখ হাসিনার উদ্যোগ তুলে ধরে জাতিসংঘে রেজুলেশন গৃহীত
১ বছর আগে
গাজায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত
প্যালেস্টাইনের গাজায় মানবিক যু্দ্ধ বিরতির জন্য আনা প্রস্তাব দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে। যদিও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধ বিরতির আলোচনা সফলতার মুখ দেখেনি।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) প্রস্তাবটি পাস করা হয়।
গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত প্যালেস্টাইনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় সাড়ে ৩ হাজার শিশুসহ প্রায় ৭০০০ বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১০ লাখের বেশি মানুষ।
গত ২০ দিন ধরে নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধ বিরতির কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হলেও তা পাস হয়নি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় গাজার অন্তত ৬০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ
শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনুষ্ঠিত জরুরি সেশনে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে ভোটাভুটি আহ্বান করা হলে তা দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত হয়। উপস্থিত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ১২১টি দেশ পক্ষে, ১৪টি বিপক্ষে এবং ৪৪টি দেশ ভোট দানে বিরত থাকে।
বাংলাদেশের পক্ষে এ প্রস্তাবে ভোট দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার পর তিনি বলেন, ‘প্যালেস্টাইন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। তিনি এই বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বক্তব্যে প্যালেস্টাইনের জনগণের ন্যায্য অধিকার অর্জনে বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার দৃঢ় আহ্বান জানান এবং বাংলাদেশ সবসময় প্যালেস্টাইনের পাশে থাকবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়।’
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে বেসরকারি খাতের আর্থিক সহায়তা অপরিহার্য: জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী
রাষ্ট্রদূত মুহিত আরও বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদ বিশ্বের কোথাও শান্তি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে কোনো প্রস্তাব গ্রহণে ব্যর্থ হলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে জরুরি সেশন অবিলম্বে আহ্বান করতে আমরা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে লিখিত অনুরোধ জানিয়েছি। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতির জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সব স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্যদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছি।’
এই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার ফলে অবিলম্বে গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতি হবে। বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা হবে। সেখানে মানবাধিকার সংগঠন ও মানবাধিকার কর্মীরা অবাধে প্রবেশের সুযোগ পাবে। বিদ্যুৎ, পানি, খাদ্য ও প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত হবে। হাসপাতালগুলো যাতে আহত ও অসুস্থ নাগরিকদের সেবা দিতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার পথ উন্মুক্ত হবে। একটি স্বাধীন, টেকসই ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফিলিস্তিনের জনগণের বৈধ আকাঙ্ক্ষার ন্যায়সঙ্গত ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধান অর্জনে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন
১ বছর আগে
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে: প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে ‘সফল’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: আপনার অর্জন খুবই আকর্ষনীয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বাইডেন
তিনি বলেন, ‘বহুপাক্ষিক ফোরামে আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। আন্তর্জাতিক ইস্যু সম্পর্কে, আমি আশা করি এটি সহযোগিতার পরিধি প্রসারিত করবে। সামগ্রিক বিবেচনায়, আমি মনে করি এই অধিবেশনে (ইউএনজিএ) বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অত্যন্ত সফল হয়েছে।’
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগদান ও সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এ বছরের অধিবেশনে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে উদারতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তার ভাষণ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে মানবতার অভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলো সম্মিলিতভাবে মোকাবিলায় বিভক্তি, বিচ্ছিন্নতা ও বিচ্ছিন্নতার ওপর ঐক্য, সংহতি ও বহুপাক্ষিকতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে উল্লেখ করেছেন যে, সরকার দেশের সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে ও এটি অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন, ইউক্রেন যুদ্ধ, মহামারি ও রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাব নিয়ে সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে এ অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সন্ত্রাসী হুমকি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অপব্যবহার, সহিংসতা উস্কে দেওয়া, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও উস্কানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন। তিনি বলেন, তার সরকার সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতি অনুসরণ করে।
একই সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য মানবাধিকার ইস্যুকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করার দাবি জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে জরুরি পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক 'ফুড ব্যাংক' প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি জলবায়ু সহনশীল ফসলের গবেষণা ও উন্নয়নে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
পাশাপাশি তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা পুনর্বাসন, মহামারি, এসডিজি অর্জনে খাদ্য সহযোগিতা এবং অন্যান্য ইস্যুতে অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের অধিবেশনে যোগ দেন।
কমিউনিটি ক্লিনিক সম্পর্কিত একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যয় হ্রাস, ডিজিটাল ও আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেবা প্রদান এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ পাঁচটি সুনির্দিষ্ট অগ্রাধিকার উপস্থাপন করেন।
এ ছাড়া তিনি নিউইয়র্কে ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে 'এসডিজি সামিট-লিডার্স ডায়ালগ-৪ (এসডিজি অর্জনে সমন্বিত নীতি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণ) শীর্ষক আরেকটি সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাইড ইভেন্টে ভবিষ্যতে যেকোনো মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার একটি কাঠামো প্রণয়নের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি আয়োজিত কমিউনিটি সংবর্ধনায় যোগ দেন এবং বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে সংবাদ সম্মেলন করেন।
নিউইয়র্কে অবস্থানকালে গভীর সমুদ্র থেকে বৃহৎ আকারে মাছ আহরণ রোধ এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় 'গভীর সাগর সম্পর্কিত জাতিসংঘের চুক্তি' সই করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ ছাড়া হাঙ্গেরির সঙ্গে তিনটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক এবং কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতির বিষয়ে কাজাখস্তানের সঙ্গে আরেকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানকালে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন এবং অন্যান্য কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ ছাড়া ভয়েস অব আমেরিকাকে সাক্ষাৎকার দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গাবিষয়ক এপিপিজি'র সভাপতি রুশনারা আলীর নেতৃত্বে সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপের একটি প্রতিনিধি দল এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসাবিষয়ক ছায়ামন্ত্রীসহ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী এখন লন্ডনে
ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীরা রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪২ মিনিটে নিউইয়র্কে জেএফ কেনেডি বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
আরও পড়ুন: ৭৮তম ইউএনজিএ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ বিতর্কের প্রথম দিনে যোগ দেবেন এবং ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে ভাষণ দেবেন।
১৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দিতেও শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে তিনি রোহিঙ্গা ও জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), সার্বজনীন স্বাস্থ্য ও অর্থায়নসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের রকফেলার সেন্টারে ইউনিডো ও ডেলয়েট আয়োজিত 'থট ফর ফুড-কোলাবরেটিং ফর ফুড সাপ্লাই চেইন ইনোভেশন টু অ্যাক্সিলারেট দ্য এসডিজি’স' শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে বক্তব্য পেশ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পর্কে সজাগ থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
একই দিন ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে 'এসডিজি সামিট-লিডার্স ডায়ালগ-৪' (এসডিজি অর্জনে সমন্বিত নীতি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করা) শীর্ষক আরেকটি সম্মেলনে ভাষণ দেবেন তিনি।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে লেক্সিংটন ভেন্যুতে জাতিসংঘ মহাসচিবের গ্লোবাল এডুকেশন বিষয়ক বিশেষ দূত গর্ডন ব্রাউন এবং গ্লোবাল বিজনেস কোয়ালিশন ফর এডুকেশনের এক্সিকিউটিভ চেয়ার সারাহ ব্রাউন আয়োজিত জাতিসংঘের ২০২৩ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত একটি উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিগত নৈশভোজে যোগ দেবেন।
তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সিআর-১৬ এ স্পেনের প্রধানমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় কাউন্সিল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রেসিডেন্ট আয়োজিত 'টুওয়ার্ডস আ ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার' শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে ভাষণ দেবেন।
একই দিন শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সিআর-১১ এ বাংলাদেশ, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, ভুটান, চীন, মালয়েশিয়া, চ্যাথাম হাউস এবং সূচনা ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে চিকিৎসা সেবাভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিক বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরের দ্বিপক্ষীয় বুথে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় (নিউইয়র্ক সময়) ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন এবং সেখানে ২৩-২৯ সেপ্টেম্বর অবস্থান করবেন।
এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (বিএ-২৯২) লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (লন্ডন সময়) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিজি ২০৮) একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন এবং ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে রবিবার নিউইয়র্ক যাবেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক যাবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে (ইউএনজিএ৭৮) যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের (ইউএনজিএ৭৮) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে 'রিবিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড রিইগনিটিং গ্লোবাল সলিডারিটি: অ্যাক্সিলারেটিং অ্যাকশন অন দ্য ২০৩০ এজেন্ডা অ্যান্ড ইটস সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস টুওয়ার্ডস পিস, প্রসপারিটি, প্রোগ্রেস অ্যান্ড দ্য সাসটেইনেবিলিটি ফর অল' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব নেতারা নিউইয়র্কে সমবেত হবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মোমেন বলেন, উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ বিতর্কের প্রথম দিন ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী ২২ সেপ্টেম্বর সাধারণ বিতর্কে বাংলাদেশের পক্ষে ভাষণ দেবেন।
তিনি তার ভাষণে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য উন্নয়ন অগ্রগতি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য খাতের সাফল্যের ওপর আলোকপাত করবেন।
আরও পড়ুন: মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করুন: জনপ্রতিনিধিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
এ ছাড়া বিশ্ব শান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক সংকট, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন বিষয় তার বক্তব্যে উঠে আসবে।
এ ছাড়াও প্রতি বছরের মতো এ বছরও সাধারণ বিতর্ক পর্বে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক (উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক/উচ্চ পর্যায়ের বিতর্ক) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেগুলোতে প্রধানমন্ত্রী অংশ নিতে পারেন।
মোমেন বলেন, জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ বহুপক্ষীয় ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে এবং বাংলাদেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে বিস্তৃত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বক্তব্য রাখেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন এবং সংশ্লিষ্ট উইংয়ের মহাপরিচালকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক সংকটের মধ্যেও খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষিত: প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাজ্য ও জার্মানির পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার হবে বাংলাদেশ: কমনওয়েলথ বিনিয়োগকারীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে বিশ্ব শান্তির ওপর গুরুত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার বিকালে (নিউইয়র্ক সময়ানুযায়ী) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব নিয়ে তার ভাষণ দেবেন।
বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশটি শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়। আমরা বলব যে সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বলব যে কোনো ধরনের সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার সর্বোত্তম উপায় হল সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ সমাধান।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তার (প্রধানমন্ত্রী) বক্তব্য জলবায়ু সমস্যাও তুলে ধরবে। তিনি এর সাথে যোগ করেন, বাংলাদেশ আশা করে যে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ীরা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকারদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব ভাগ করে নেবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বহুপাক্ষিকতা প্রচারেরও আহ্বান জানাবেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ নীতিতে আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বে শীর্ষ সফল দেশগুলোর একটি হয়ে ওঠার ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্যের কথাও প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে ভূমিহীনদের ঘর উপহার দিচ্ছে। আমরা মানুষকে একটি বাড়ি ও একটি জীবন দিচ্ছি। আমরা বিশ্বকে দেখাব যে আমরা বেশ ভালো কাজ করেছি।’
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে পদ্মা সেতুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমে তিনি লন্ডন যাবেন এবং পরবর্তীতে নিউইয়র্কে অধিবেশনে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে।
ফ্লাইটটির স্থানীয় সময় বিকাল পৌনে ৫টায় লন্ডন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
শেখ হাসিনা ১৯ সেপ্টেম্বর ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগ দেয়ার পরপরই নিউইয়র্কের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করবেন। এরপর আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন তিনি।
আরও পড়ুন: খালি হাতে ফিরিনি, তেল-গ্যাসের নিশ্চয়তা বড় অর্জন: প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে কমনওয়েলথের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড, যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকা বিষয়কমন্ত্রী লর্ড আহমেদ অব উইম্বলডন, লেবার পার্টির বিরোধী দলীয় নেতা স্যার কেয়ার স্টারমারও আলাদাভাবে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
এছাড়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বাকিংহাম প্যালেসে যুক্তরাজ্যের রাজা কর্তৃক রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের জন্য আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
শেখ হাসিনা ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের উদ্দেশে লন্ডন ছেড়ে যাবেন এবং একই দিনে তার ফ্লাইট জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
শেখ হাসিনা ২০ সেপ্টেম্বর ইউএনজিএ বিতর্ক উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে (স্থানীয় সময় সাড়ে ৪টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টার মধ্যে) ৭৭তম সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
নিউইয়র্কে থাকাকালীন তিনি ২০ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং বেশ কয়েকজন নেতার সাথে আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ত সময়সূচি: মোমেন
২০ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কর্তৃক আয়োজিত সংবর্ধনা, ৭৭তম ইউএনজিএ বিতর্কের উদ্বোধনী অধিবেশন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত সংবর্ধনা এবং 'ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্ম অব উইমেন লিডার্স' শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
একই দিনে তিনি স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বোরুত পাহোর এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন।
২১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী টেকসই আবাসন সংক্রান্ত একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন (বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র এবং ইউএন হ্যাবিট্যাট এর সহ আয়োজক) এবং গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ (জিসিআরজি) চ্যাম্পিয়নস মিটিংয়ে অংশ নেবেন এবং ইউএনএইচকিউতে পদ্মা সেতুর ওপর একটি স্থিরচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন।
একই দিনে তিনি কসোভোর প্রেসিডেন্ট ড. ভজোসা ওসমানি-সাদ্রিউ এবং ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো মেন্ডোজার সঙ্গে পৃথক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
এছাড়া ২১ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার সঙ্গে ডব্লিউইএফ এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক শোয়াব ক্লাউস এবং জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা আলাদাভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: রানির প্রতি শোক জানাতে ব্রিটিশ হাইকমিশনে প্রধানমন্ত্রী
২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর), রোহিঙ্গা ইস্যুতে উচ্চস্তরের অনুষ্ঠান এবং যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ যৌথ ব্যবসায়িক কাউন্সিলের সাথে একটি উচ্চ পর্যায়ের নীতিগত গোলটেবিল বিষয়ে প্রাতঃরাশ বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। একই দিনে আইওএম মহাপরিচালক আন্তোনিও ভিটোরিনো এবং আইসিসির প্রসিকিউটর নিক ক্লেগ ও করিম খানের সাথে দুটি পৃথক বৈঠক করবেন।
২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম সাধারণ বিতর্কে ভাষণ দেবেন।
এছাড়া তিনি ২৪ সেপ্টেম্বর প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
এরপর তিনি ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন এবং সেখানে ২ অক্টোবর পর্যন্ত থাকবেন।
ওয়াশিংটন থেকে যাওয়ার পথে লন্ডনে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির পর ৪ অক্টোবর ভোরে দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের নতুন রাজাকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
২ বছর আগে
জাতিসংঘে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা সাধারণ পরিষদ সভাপতির
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি (পিজিএ) আবদুল্লাহ শাহিদ সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের ‘প্রশংসনীয় নেতৃত্ব, তাৎপর্যপূর্ণ অংশগ্রহণ ও উল্লেখযোগ্য অবদানের’ প্রশংসা করেছেন।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পিজিএ বাংলাদেশের নেতৃত্বে বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এ প্রশংসা করেন।
২০২১ সালের ৭ জুন মালদ্বীপের আবদুল্লাহ শাহিদ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হন। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।
শাহিদ বলেন, বাংলাদেশ এখন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত– ইউএন উইমেন নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি, শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের চেয়ার এবং আইএমআরএফের কো-ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে, যা এর সামর্থ্য ও নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
বৈঠকের শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন পিজিএ’র কাছে দুটি প্রস্তাব পেশ করেন। এগুলো হলো- জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী,‘এসডিজি বাস্তবায়নের পর্যালোচনা’ শীর্ষক একটি উচ্চ-পর্যায়ের ইভেন্ট আয়োজন করা এবং সাউথ সাউথ কো-অপারেশনের অধীনে উন্নয়নশীল দেশের জন্য অর্থ, পররাষ্ট্র ও উন্নয়ন মন্ত্রীদের সমন্বয়ে একটি ফোরাম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া।
বিশেষ করে করোনা মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তহবিল ঘাটতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অধিকাংশ তহবিল ব্যবহৃত হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মোমেন বলেন, প্রস্তাবিত উচ্চ-পর্যায়ের ইভেন্টটির আয়োজন করা হলে তা এসডিজি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করার এবং তহবিলের ঘাটতি পূরণের পথ পর্যালোচনা করার সুযোগ তৈরি করবে।
এছাড়া সাউথ-সাউথ কো-অপারেশনের আওতায় মন্ত্রী পর্যায়ের এই ফোরামের বিষয়ে মোমেন বলেন, এই ফোরাম সাউথ-সাউথ কো-অপারেশনের বিষয়ে সংলাপের জন্য একটি উপযুক্ত প্লাটফর্ম তৈরি করবে।
এ সময় পিজিএ এই প্রস্তাবগুলোকে স্বাগত জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় আইসিটি খাতে বাংলাদেশিদের চাকরির সুযোগ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে করোনার মধ্যেও বাংলাদেশের জিডিপির উচ্চ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া তিনি করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন এবং করোনার টিকাকে ‘সর্বজনীন বৈশ্বিক সম্পদ’ হিসেবে ঘোষণার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বৃতির কথাও উল্লেখ করেন।
এ সময় পিজিএ জিডিপির প্রবৃদ্ধি, করোনা মোকাবিলাসহ বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
রোহিঙ্গা সঙ্কট বিষয়ক আলোচনাকালে রোহিঙ্গা শিশুদের নিজ ভাষায় শিক্ষাদান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার যেসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে তা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া এখনও পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গা নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত যায়নি উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাধারণ পরিষদের সভাপতি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশের ভূমিকার উচ্চ প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিজিএ’কে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তাতে সম্মতি প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে সরকারি সফরে নিউইয়র্ক অবস্থান করছেন। তার জাতিসংঘে ‘গ্যালভানাইজিং মোমেন্টাম ফর ইউনিভার্সাল ভ্যাকসিনেশন’ বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের সভায় অংশগ্রহণ এবং মহীসোপান সীমা বিষয়ক কমিশনে (সিএলসিএস) বাংলাদেশের এ সংক্রান্ত সংশোধিত তথ্যাদি উপস্থাপন করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে আরও জনবল নেবে
২ বছর আগে
এলডিসি থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত রেজুলেশন জাতিসংঘে গৃহীত
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশের উত্তরণের ঐতিহাসিক রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রেজুলেশনটি গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে পরবর্তী ধাপে উত্তরণের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করল।
এটি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় একটি যুগান্তকারী অর্জন,যা এমন এক সময়ে অর্জিত হল যখন আমরা বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি।
রেজুলেশনটি গৃহীত হওয়ার পর বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
তার বক্তব্যে রাবাব ফাতিমা রেজুলেশনটি গ্রহণের ক্ষেত্রে ঐক্যমতে পৌঁছাতে সহায়তার জন্য সকল সদস্য দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদারদের ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: এলডিসি থেকে উত্তরণে প্রণোদনা চায় বাংলাদেশ
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে এবং এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত করার স্বপ্ন দেখেছেন। কোভিড-১৯ অতিমারির ভয়াবহতম সময়েও সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তিনি বাংলাদেশের এই অদম্য অগ্রযাত্রায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার ফলে আজ রূপকল্প-২০২১ পূর্ণতা পেল।’
স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটেগরি থেকে উত্তরিত (স্নাতক) হওয়া কেবল সুনির্দিষ্ট একটি দেশেরই সাফল্য নয়, এটি জাতিসংঘের নেতৃত্বে বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বের শক্তির প্রমাণও উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ‘উত্তরণ কোনোভাবেই শাস্তি হতে পারে না, এটি হতে পারে পুরস্কার।’
৩ বছর আগে