বাবর আজম
এশিয়া কাপ ২০২২: পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারাল ভারত
দুবাইয়ে এশিয়া কাপের টান টান উত্তেজনার ম্যাচে রবিবার পাঁচ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়েছে ভারত।
এর আগে টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতীয় দল। ১৯.৫ ওভারে ১৪৭ রান করে অলআউট হয় পাকিস্তান দল।
পাকিস্তান ও ভারত টি২০ দল এর মধ্য দিয়ে দশম বারের মতো একে অপরের বিরুদ্ধে খেলছে। এরমধ্যে ভারত ছয়টিতে জয় পেয়েছে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০০৭ সালে টি২০ খেলায় সর্বোচ্চ জয় পেয়েছিল ভারত। মাত্র পাঁচ রানের ব্যবধানে পাকিস্তান হেরেছিল।
বছরের পর বছর পাকিস্তান টি২০ দলে সম্পৃক্ত এবং ভারতও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আইপিএল কাঠামোয় এসেছে। আইপিএল প্রতিবছর ভারতের জন্য নতুন প্রতিভাবানদের খুঁজে নেয় যখন পাকিস্তানও পিএসএল থেকে একইরকম সুবিধা নিয়ে আসছিল।
পড়ুন: এশিয়া কাপ: ১৪৮ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
পাকিস্তান একাদশ
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেট রক্ষক) ফখর জামান, ইফতেখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, আসিফ আলি, মোহাম্মদ নওয়াজ, নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও শাহনেওয়াজ ধনি।
ভারত একাদশ
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, দিনেশ কার্তিক(উইকেট রক্ষক), হার্দি ক পান্ডে, রবীন্দ্র যাদেজা, ভুবেনশ্বর কুমার, অভিষ খান, যুজবেন্দ্র চাহাল, আর্শদীপ সিং।
পড়ুন: এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক আফিফ
২ বছর আগে
ঢাকা টেস্ট: আজহার ও বাবরকে ফেরাল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হয়েছে। প্রথম সেশনে বাংলাদেশের পেসার খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন সফরকারীদের দুই অপরাজিত ব্যাটারকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
এবাদত আজহার আলীকে এবং খালেদ অধিনায়ক বাবর আজমের উইকেট তুলে নেন।
চার উইকেটে ২৪২ রান করে লাঞ্চে যায় পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে ফাওয়াদ আলম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান যথাক্রমে ১৯ এবং ২৬ রানে অপরাজিত আছেন।
মঙ্গলবার সকালে বৃষ্টি না থাকলেও ম্যাচটি ১০টা ৫০ মিনিটে শুরু হয়।
সোমবার দুপুর ২টায় ম্যাচ র্যাফারি তৃতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। এর আগে রবিবার দ্বিতীয় দিনের খেলা হয়েছে মাত্র ৬ দশমিক ২ ওভার। এছাড়া প্রথম দিনের খেলাও খারাপ আবহাওয়ার কারণে বাধাগ্রস্ত হয়।
সর্বশেষ খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করা হলে পাকিস্তান দুই উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান সংগ্রহ করে। বাবর আজম ৭১ ও আজহার আলী ৫২ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা টেস্ট: বৃষ্টিতে তৃতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের দুই সদস্যের করোনা শনাক্ত
২ বছর আগে
চট্টগ্রাম টেস্ট: বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে আট উইকেটে হারিয়েছে সফররত পাকিস্তান। এর ফলে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল বাবর আজমের দল। ৪ ডিসেম্বর থেকে ঢাকায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে।
ম্যাচের পঞ্চম দিনে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৯৩ রান। হাতে ছিল ১০ উইকেট। মাত্র নয় রানের জন্য দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি মিস করেন পাকিস্তানি ওপেনার আবিদ আলী। তিনি এই টেস্টে ২২৪ রান করে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে নেতৃত্ব দেন। অভিষেক হওয়া আবদুল্লাহ শফিকও পাকিস্তানের নতুন টেস্ট ওপেনার হিসেবে জোড়া-ফিফটি করে লাইমলাইটে এসেছেন।
২০২ রানের লক্ষ্য দিলেও ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশ মাত্র দুটি উইকেট নিতে পেরেছে। আবিদ এবং আবদুল্লাহর ১৫১ রানের উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের সব আশা শেষ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে কম সময়ে আয়রনম্যান ট্রায়াথলন শেষ করলেন আরিফুর রহমান বেলাল
এই টেস্টের বেশিরভাগ সময় বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে ছিল। প্রথম ইনিংসে লিটন দাসের সঞ্চুরি এবং মুশফিকুর রহিমের ৯১ রানের উপর ভর করে ৩৩০ রান করে স্বাগতিকরা। পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রান করলে বাংলাদেশ ৪৬ রানের লিড পায়। কিন্তু তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৩৯ রানে তৃতীয় দিন শেষ করে মুমিনুলের দল। চতুর্থ দিনে আরও ১১৮ রান করে মোট ১৫৭ রানে অলআউট হলে পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০২ রান।
চতুর্থ দিনে কোনো উইকেট না হারিয়েই ১০৯ রান করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিনে প্রথম সেশনে দুই ওপেনারকে (আবিদ আলী ৯১ ও আব্দুল্লাহ শফিক ৭৩ রান) হারালেও বাবর আজম ও আজহার আলী জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েরা
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস): ১১৪.৪ ওভারে ৩৩০/১০ (লিটন ১১৪, মুশফিক ৯১, মেহেদি ৩৮); হাসান ৫/৫১, ফাহিম ২/৫৪)
পাকিস্তান (প্রথম ইনিংস): ১১৫.৪ ওভারে ২৮৬/১০ (আবিদ ১৩৩, শফিক ৫২, ফাহিম ৩৮); তাইজুল ৭/১১৬, এবাদত ২/৪৭
বাংলাদেশ (২য় ইনিংস) ৫৬.২ ওভারে ১৫৭/১০ (লিটন ৫৯, ইয়াসির ৩৬*); শাহীন ৫/৩২, সাজিদ ৩/৩৩
পাকিস্তান (২য় ইনিংস) ৫৮.৩ ওভারে ২০৩/২ (আবিদ ৯১, শফিক ৭৩); মেহেদী ১/৫৯, তাইজুল ১/৮৯
ফল: প্রথম টেস্টে পাকিস্তান আট উইকেটে জয়ী।
আরও পড়ুন: টেস্ট ক্রিকেট থেকে মাহমুদুল্লাহ’র বিদায়
২ বছর আগে
ভারতকে ১০ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
অবশেষে বিশ্বকাপের যে কোন ফরম্যাটে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত হারাল পাকিস্তান। দুবাইয়ে রবিবার রাতে টি-২০ বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির ভারতকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাবর আজমের পাকিস্তান। চলমান টি -টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে দুদলেরই এটি ছিল প্রথম ম্যাচ।
এর আগে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। শাহীন শাহ আফ্রিদির দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৫১ রান তুলে।
প্রথম তিন ওভারের মধ্যেই আফ্রিদি ভারতীয় ওপেনার-রোহিত শর্মা এবং কেএল রাহুলকে ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠান। শুরুর এই ধাক্কা এরপর আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি ভারত। তারা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। তবে অধিনায়ক বিরাট কোহলি ছিলেন ব্যতিক্রম। ভারতীয় অধিনায়ক দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন। এছাড়া ঋষভ পান্ত এবং রবীন্দ্র জাদেজা যথাক্রমে ৩৯ এবং ১৩ রান করেন।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: শ্রীলঙ্কার কাছে হারলো বাংলাদেশ
১৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি ওপেনার বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৩ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য নির্ধারিত রান করে ফেলেন। বাবর ৫২ বলে ৬৮ এবং রিজওয়ান ৫৫ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
মাহেলা জয়াবর্ধনে এবং কুমার সাঙ্গাকারার ১৬৬ রানের পর এটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেকোনো উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওপেনিংয়ে এটি সর্বোচ্চ জুটি।
এই ম্যাচের আগে ভারত এবং পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাঁচটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল। সবগুলো ম্যাচেই ভারত জয়লাভ করেছিল। এছাড়া ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচেই ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট সাকিবের দখলে
৩ বছর আগে
আইসিসি র্যাংকিং: নেতৃত্বে আছেন সাকিব, বাবর আর বোল্ট
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে (ওডিআই) ব্যাটিং, বোলিং এবং অলরাউন্ডার ক্যাটাগরিতে আইসিসির শীর্ষ স্থান দখল করেছে যথাক্রমে বাবর আজম, ট্রেন্ট বোল্ট এবং বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান।
পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজম গত কয়েক বছরে ওডিআই ফরম্যাটে দারুণ খেললেও র্যাংকিং এর শীর্ষ স্থানটি নিজের দখলে নিতে পারছিলেন না। কিন্তু এবার ভিরাট কোহলিকে টোপকে শীর্ষ স্থান বাগিয়ে নিলেন এই ক্রিকেটার।
অন্যদিকে বোলিংয়ের ক্ষেত্রে কিউই বোলার ট্রেন্ট বোল্ট সেরা বোলারদের একজন। আর আইসিসি র্যাংকিং যথাযথ বিচারই করেছে তার নামের প্রতি।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা সিরিজের ২ ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা, বাদ পড়লেন শান্ত
অপরদিকে দীর্ঘ এক বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে এসে আবারও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের তকমা নিজের দখলে নিলেন টাইগার সাকিব আল হাসান।
সাম্প্রতিক ওডিআই র্যাংকিং
ব্যাটিংয়ে ৮৬৫ স্কোর নিয়ে সেরার অবস্থানে আছেন পাকিস্তানের বাবর আজম। এরপরেই ৮৫৭ স্কোর নিয়ে ভিরাট কোহলি ও ৮২৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। চতুর্থ ও পঞ্চম তালিকায় আছে যথাক্রেমে অস্ট্রেলিয়ান অ্যারন ফিঞ্চ এবং নিউজিল্যান্ডের রস টেইলর।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের মধ্যে সেরার অবস্থানে আছে মুশফিকুর রহিম।
আরও পড়ুন: সাকিব-মোস্তাফিজ ঢাকায়
বোলিংয়ের ক্ষেত্রে ৭২৭ স্কোর নিয়ে শীর্ষে আছেন কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। এরপরের সেরা চারটি অবস্থানে আছে যথাক্রমে আফগানিস্তানের মুজিব-উর-রহমান, নিউজিল্যান্ডে ম্যাট হেনরি, ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ এবং বাংলাদেশের মেহেদি হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশ থেকে ১৬তম অবস্থানে আছে সাকিব এবং ১৮তম অবস্থানে আছে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান।
আরও পড়ুন: ওয়ানডে খেলতে ঢাকায় শ্রীলঙ্কা দল
অলরাউন্ডারদের তালিকার শীর্ষ স্থানকে আবারও নিজের নামেই লিখিয়েছেন সাকিব। তার স্কোর ৪০৮। এরপরে শীর্ষ চার অবস্থানে আছেন যথাক্রমে ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস্, আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী, ইংল্যান্ডে ক্রিস ওয়েক্স এবং আফগান তারকা রশীদ খান।
বাংলাদেশের মেহেদি হাসান মিরাজ এই তালিকার ২০ নাম্বারে অবস্থান করছেন।
৩ বছর আগে