প্রথম আলোর সাংবাদিক
প্রথম আলোর সাংবাদিক শামস আদালতে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১০টা ১০ মিনিটের দিকে পুলিশের একটি দল তাকে আদালতে নিয়ে যায়।
বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকার বাসা থেকে সাদা পোশাকে শামসকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা।
ওই দিনই যুবলীগের এক নেতা দৈনিক প্রথম আলোতে 'মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন' প্রকাশের অভিযোগে শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা একটি মামলায় প্রথম আলোর প্রতিবেদককে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে বিরোধী দল বিএনপি শামসের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি একটি 'ভয়াবহ ঘটনা'।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনও প্রথম আলোর সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছে।
এছাড়া প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ১৯ মিনিটে প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে এ বিষয়ক একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে প্রথম আলোর সাংবাদিক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর
১ বছর আগে
সাংবাদিক রোজিনা অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবেন: সিএনএনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন এবং সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবেন।
শুক্রবার বার্তা সংস্থা সিএনএনকে দেয়া এক লাইভ সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা অত্যন্ত স্বাধীন। তিনি (রোজিনা) অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবেন। আমরা চাই না কেউ বিনা কারণে শাস্তি পাক।’
এ সময় ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশে আইন আছে এবং বর্তমানে এটা একটি আইনি বিষয়। তাই এ বিষয়ে আমরা এ বিষয়ে বেশি কথা বলতে চাই না।
এর আগে বৃহস্পতিবার তিনি জানান, প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা অত্যন্ত হতাশাজনক এবং সরকার কোনও কিছুই লুকাতে চায় না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত গণমাধ্যম বান্ধব। আমাদের কিছুই লুকানোর নেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমি জানি, এই ঘটানার কারণে আমাদের অনেকের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। আমরা আর এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার জামিন শুনানির আদেশ রবিবার
গণমাধ্যমের কারণে বালিশ কান্ড, শাহেদ করিমসহ বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয় উঠে আসার ঘটনাকে সাধুবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতির খবর প্রকাশ হবার পরপরই সরকার সেসকল বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। আপনারা (গণমাধ্যম) সরকারের কাজে সাহায্য করেছেন। আপনারা সরকারের অংশ। আমরা আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।’
গত সোমবার সচিবালয় থেকে সরকারি গোপন নথি চুরি এবং অবৈধভাবে নথির ছবি তোলার অভিযোগে প্রথম আলো পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনের আওতায় ৩ ও ৫ ধারায় এবং প্যানাল কোডের ৩৭৯ এবং ৪১১ ধারায় মামলা করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
মঙ্গলবার অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টের মামলায় অভিযুক্ত রোজিনা ইসলামকে কারাগারে পাঠায় আদালত।
অভিযোগ আছে সচিবালয়ে সাংবাদিক রোজিনাকে ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনা যাতে ন্যায় বিচার পান তার চেষ্টা থাকবে: তথ্যমন্ত্রী
এদিকে, বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগকে ‘নিপীড়নমূলক’ উল্লেখ করে মামলা বাতিলে আহ্বান জানিয়েছে।
৩ বছর আগে