পাইকারি
সিলেটে আলুর কেজি ৮০ টাকা
সিলেটে আলুর দাম কেজিতে ৮০ টাকা হয়েছে। বাজারে নতুন আলু আসার পরও দামবৃদ্ধির জন্য আমদানি বন্ধকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে আলুর দাম বৃদ্ধির কারণ খুঁজতে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বাজারে নামবেন বলে জানিয়েছেন বাজার মনিটরিং টিম।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ইউএনবির সিলেট প্রতিনিধি দেখতে পান, নতুন আলু ৭০-৭৫ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। তবে পাড়া-মহল্লার দোকানে ৮০ টাকার নিচে মিলছে না আলু।
আরও পড়ুন: আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে অর্ধেক দামে ডাল-তেল, আলু-পেঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি
ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি মাসের ১৫ ডিসেম্বর থেকে আলু আমদানির অনুমতিপত্র-আইপি ইস্যু বন্ধ করে দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, এরপরই সক্রিয় হয়ে উঠে সিন্ডিকেট। বাড়তে থাকে আলুর দর। নগরীর পাইকারী বাজারে আলুর কেজি মান ভেদে ৬০-৬৫ টাকা। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকার আশেপাশে।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা জ্যৈষ্ঠ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘হঠাৎ করে আলুর দাম বেড়েছে। বাজারে ৬৫ থেকে ৭০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমরা এর কারণ খুঁজছি। সোমবার বড়দিনের সরকারি ছুটি ছিল। মঙ্গলবার বাজার মনিটরিংয়ে নেমে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানব।’
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে পেঁয়াজ-আলুর দাম কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ভারত থেকে আমদানি করা ৭৪ টন আলুর প্রথম চালান দেশে
১০ মাস আগে
পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ল, কার্যকর ১ ফেব্রুয়ারি
পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে, যা কার্যকর হবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
বিদ্যুৎ বিভাগ প্রশাসনিক আদেশ ও পৃথক দুটি গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই দাম বৃদ্ধি করেছে।
নতুন আদেশ অনুযায়ী, ভোক্তাদের বিভিন্ন স্তরে খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয়। নিম্ন স্তরের গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিট (প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা) তিন দশমিক ৯৪ টাকা থেকে গড়ে পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে চার দশমিক ১৪ টাকা করা হয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে ইউনিট প্রতি ছয় দশমিক ২০ টাকা থেকে আট দশমিক ০৬ শতাংশ বাড়িয়ে ছয় দশমিক ৭০ টাকা করা হয়েছে।
পাইকারি দাম বাড়ানোর অর্থ হলো যে বিতরণ কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) থেকে ইউনিট প্রতি শূন্য দশমিক ৫০ টাকা হারে বিদ্যুৎ কিনবে এবং খুচরা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য বর্ধিত হারে বিদ্যুৎ ক্রয় করতে হবে।
আরও পড়ুন: গণশুনানি ছাড়াই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের জন্য সংসদে বিল পেশ
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি করে সরকার। সে সময় সব গ্রাহকের গড় দাম ৭ দশমিক ১৩ টাকা থেকে বেড়ে শূন্য দশমিক ৩৬ টাকা থেকে বেড়ে সাত দশমিক ৪৯ টাকা হয়।
গত ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) পাইকারি বিদ্যুতের দাম প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় ২০ শতাংশ বাড়িয়ে ৬ টাকা ২০ পয়সা করে।
সরকার সম্প্রতি বিইআরসি (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) আইন সংশোধন করে বিদ্যুৎ বিভাগকে যেকোনো সময় প্রশাসনিক ক্ষমতা দিয়ে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম জ্বালানি উত্তোলনের ক্ষমতা দিয়েছে।
ওই সংশোধিত আইন প্রয়োগ করে জ্বালানি নিয়ন্ত্রকের কর্তৃপক্ষকে উপেক্ষা করে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য গত ৩০ জানুয়ারি নতুন গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এদিকে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনেই এই দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যা সম্প্রতি বাংলাদেশকে চার দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়াবে সরকার
বিদ্যুৎ ও বিদ্যুতের দামের মাসিক সমন্বয় নিয়ে সরকার ভাবছে: নসরুল হামিদ
১ বছর আগে
পাইকারি পর্যায়ে অপরিবর্তিত থাকবে বিদ্যুতের দাম: বিইআরসি
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বৃহস্পতিবার ইউএনবিকে বলেন, ‘বর্তমান দাম আপাতত অপরিবর্তিত থাকবে।’
বৃহস্পতিবার কমিশনের সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, ‘বিপিডিবির প্রস্তাব গৃহীত হয়নি।’
তিনি অবশ্য বলেন, যদি কোনো পক্ষ ক্ষোভ বোধ করে, তাহলে তারা ৩০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করতে পারে।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বাড়ছে না: বিইআরসি
তিনি উল্লেখ করেন, কিছু বেসরকারি কোম্পানি যারা বিপিডিবি থেকে বিদ্যুৎ কেনে তারা তাদের লেনদেনের তথ্য জমা দেয়নি।
ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এক্ষেত্রে তথ্যের অস্পষ্টতা আছে। এই কারণেই আমরা ভোক্তাদের ওপর পাইকারি পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির প্রভাব বিশ্লেষণ করিনি।’
তিনি বলেন, বিইআরসি সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় বর্তমান আর্থ-সামাজিক ও বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নেয়া হয়।
বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিইআরসি’র শেষ সিদ্ধান্তটি প্রাধান্য পাবে। কোনো দাম পরিবর্তন করা হবে না। আগের দাম অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বিপিডিবি সরকারের কাছ থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি পেয়েছে। সুতরাং, বিপিডিবি’র খরচ সামঞ্জস্য করতে কোনো সমস্যা হবে না।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর সর্বশেষ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয় ১৮ মে।
আরও পড়ুন: ১ আগস্ট থেকে ৩ দিন গ্যাস বন্ধ থাকবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়
গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান নসরুল হামিদের
২ বছর আগে
পাইকারিতে বিদ্যুতের শুল্ক ‘সমন্বয়’ বিষয়ে সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন(বিইআরসি)বৃহস্পতিবার(১৩ অক্টোবর) পাইকারিতে বিদ্যুতের শুল্ক সমন্বয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে। মঙ্গলবার কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল ইউএনবিকে বলেন, শিগগিরই এ বিষয়ে নোটিশ জারি করা হবে।
এর আগে বিইআরসি প্রধান বলেছিলেন যে জনশুনানি শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে যে কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার নিয়ম অনুসারে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর সর্বশেষ ১৮ মে গণশুনানি করেছিল রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড(বিপিডিবি)।
শুনানির প্রক্রিয়া শেষ করতে বিইআরসি স্টেকহোল্ডারদের প্রাসঙ্গিক নথি জমা দেয়ার সময় বাড়িয়েছে।
বিইআরসি’র সদস্য বলেছেন, সেই অতিরিক্ত সময় থেকে বিইআরসি ৯০ দিন গণনা করছে এবং ১৪ অক্টোবর নির্ধারিত সময় শেষ হবে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে পাইকারিতে বিদ্যুতের শুল্কের কোনও সমন্বয় বিদ্যুতের বর্তমান খুচরা শুল্কের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে না।
কিন্তু বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর ওপর -এর প্রভাব পড়বে।এর মধ্যে যারা বিপিডিবি থেকে বিপুল পরিমাণে বিদ্যুৎ কিনে তাদের খুচরা গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করে তারাও প্রভাবিত হবে। এর অর্থ হলো- যদি নিয়ন্ত্রকের কাছ থেকে কোনো ঊর্ধ্বমুখী সমন্বয় আসে, বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো পরবর্তীতে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াবে।
জ্বালানি নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এমন সময়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে যাচ্ছে যখন দেশে তীব্র বিদ্যুত সংকট চলছে এবং গ্রাহকরা প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা লোডশেডিংয়ের শিকার হচ্ছেন।
অন্যদিকে, আর্থিক সহায়তা হিসেবে ভর্তুকি পেতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে অনেক বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে গ্রাহকদের কাছে কম দামে বিক্রি করায় বিপিডিবি ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
এই পটভূমিতে, বিপিডিবি গণশুনানিতে পাইকারিতে বিদ্যুতের শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়ানোর একটি প্রস্তাব পেশ করে যখন বিইআরসি-এর একটি প্রযুক্তিগত মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি) ৫৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছিল।
পাঁচ সদস্যের কমিশন যেকোনও প্রস্তাবের বিষয়ে গণশুনানির পর স্টেকহোল্ডারদের যুক্তি ও পাল্টা যুক্তি শুনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।
১৮ মে গণশুনানিতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংস্থার প্রতিনিধিসহ ভোক্তা অধিকার গোষ্ঠীগুলো এই মুহূর্তে বিদ্যুতের শুল্কের যে কোনও বড় বৃদ্ধির তীব্র বিরোধিতা করেছে। কারণ মানুষ ইতোমধ্যেই উচ্চ দ্রব্যমূল্যের কারণে উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে৷
তারা প্রস্তাবটিকে অযৌক্তিক আখ্যায়িত করে বলেন, অদক্ষ বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উচ্চ হারে বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অনৈতিক প্রথা মোকাবিলার মাধ্যমে বিপিডিবি তার রাজস্ব ঘাটতি পূরণ করতে পারে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের নামে সরকারের ব্যাপক লুণ্ঠন প্রকাশ পেয়েছে: বিএনপি
বিপিডিবি কর্মকর্তারা প্রস্তাবটি উপস্থাপন করে বলেছিলেন যে সংস্থাটি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোতে ৮৮ হাজার ৯৯৩ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘন্টা (ইউনিট) সরবরাহ করতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৭৪ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা রাজস্বের প্রয়োজন হবে।
‘কিন্তু বিপিডিবি যদি তার বর্তমান বিদ্যুত পাঁচ টাকা ১৭ পয়সা প্রতি ইউনিট দরে বিক্রি করে, তাহলে ২০২২ সালের ক্যালেন্ডার বছরে ৩০ হাজার ২৫১ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতির সম্মুখীন হবে। সরকারের ভর্তুকি ছাড়াই গণনা করার কথা উল্লেখ করে শুনানিতে
বিপিডিবির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, বিপিডিবিকে বিদ্যুতের দাম ৬৫ দশমিক সাত শতাংশ বৃদ্ধি করে প্রতি ইউনিটের মূল্য ৫ দশমিক ১৭ টাকা থেকে ৮ দশমিক ৫৬ টাকা করতে হবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির পর বিদ্যুৎ বিভাগ তার ডিজেল-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যক্রম এবং তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি স্থগিত করেছে।
ফলে, যদিও দেশের স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় দুই হাজার ৫৫০ মেগাওয়াট, এটি এখন প্রায় ১৪ হাজার মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে প্রায় ১২ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করে এবং প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াটের লোডশেডিং দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: লোডশেডিং: ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি হবে না
কর্ম সপ্তাহের শুরুতে ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি আরও খারাপ
২ বছর আগে
সয়াবিন তেল: বাজারে দাম কমার কোন প্রভাব নেই
এখনও আগের দামেই লিটারপ্রতি ১৯২ টাকা দামে বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি করা হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন বাজারের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আগে যে দামে কেনা হয়েছিল, মঙ্গলবার তারা সেই দামে বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন। তাই বাজারে কম দামে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা রূপক সাহা ইউএনবিকে বলেন, সরবরাহ চেইনের সমস্যার কারণে কম দামে সয়াবিন তেল পেতে আগামী দুই দিন সময় লাগবে।
রিফাইনাররা মঙ্গলবার (আজ) থেকে খোলা ও বোতলজাত তেলের শুল্ক কমানোর ঘোষণা দিলেও এখনও বোতলজাত তেল লিটারপ্রতি ১৯২ টাকা এবং খোলা তেল লিটারপ্রতি ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা কমল
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, সয়াবিন তেলের নতুন দাম নিশ্চিত করতে তাদের মনিটরিং টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন যে ইতোমধ্যেই মিল গেটে নতুন দাম কার্যকর হয়েছে এবং এটি স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনারস অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরবিএমএ) সোমবার থেকে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
ঘোষণা অনুযায়ী খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৫৮ টাকা, বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৭৮ টাকা এবং ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম হবে ৮৮০ টাকা।
আরও পড়ুন: প্রতিকেজি পাম তেলের দাম ১২ টাকা ও চিনির দাম ৬ টাকা কমল
কমতে পারে ভোজ্যতেলের দাম: বাণিজ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
ফরিদপুরের পেঁয়াজের বাজারে হঠাৎ দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি
ফরিদপু, ২২ মে (ইউএনবি)- ফরিদপুরে রমজান মাসে পেঁয়াজের বাজারদর ছিল বেশ স্থিতিশীল। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই স্থিতিশীর বাজার দর বাড়তে শুরু করেছে। ক্রেতা-ভোক্তরা বলছেন বাজার তদারকি কমে যাওয়া এবং লকডাউনের কারণেই এমনটি ঘটেছে।
ফরিদপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারে ঈদের কয়েক দিন আগে থেকেই আস্তে আস্তে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে বাজারে খুচরা মূল্য কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫৫ টাকা দরে। তবে অধিকাংশ খুচরা দোকানদার ৫০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।
আরও পড়ুন: টিসিবির পণ্য: সাতক্ষীরায় পঁচা পেঁয়াজ না নিলে দেয়া হচ্ছে না তেল, চিনি
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, পাইকারিতে দাম বাড়ায় খুচরায় দাম বেড়েছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। ফরিদপুরের পেঁয়াজের অন্যতম বাজার কানাইপুরে শুক্রবার কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৪ থেকে ৩৮ টাকা দরে।
ফরিদপুর চেম্বর অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মো: সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘পেঁয়াজের খুচরা বাজারে কেনো দাম বেড়েছে তা বুঝতে পারছি না। তবে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা করা হবে। আমরা চাই না কোনও ক্রেতা পণ্য কিনে অসন্তুষ্ট হোক।’
ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. হয়রত আলী জানান, পেঁয়াজ উৎপাদনের দিক থেকে দেশের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ফরিদপুর। সরকারি হিসাব মতে, চলতি মৌসুমে এই জেলায় ৪০ হাজার ৯৭ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ১৮৫ মে.টন। যা গত বছরের তুলনায় ৮৮ হাজার টন বেশি।
তিনি আরো জানান, ফরিদপুর জেলার নয় উপজেলার মধ্যে পেঁয়াজ চাষের জন্য খ্যাতি রয়েছে সালথা, নগরকান্দা, ভাঙ্গা, বোয়ালমারী, ফরিদপুর সদর, মধুখালী এবং সদরপুর উপজেলা।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ বীজ ফরিদপুরের চাষিদের কাছে ‘কালো সোনা ’
গত মৌসুমে জেলায় পেঁয়াজের আবাদ হয়ে ছিল, ৩৭ হাজার ৬৭৮ হেক্টর, এর বিপরীতে উৎপাদন হয়েছিল ৫ লক্ষ ৫ হাজার মেট্রিকটন। চলতি মৌসুমে ৪০ হাজার ৯৭ হেক্টোর জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ১৮৫ মে.টন।
কেনো হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পেঁয়াজের যে দাম চলছে সেটি স্থিতিশীল থাকলে কৃষক লাভবান হবে, তবে এর চেয়ে বেড়ে গেলে ক্রেতারা সমস্যায় পড়বে। এই কারণেই বাজার তদারকির ওপর জোড় দিতে হবে।’
ফরিদপুরের কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মণ প্রতি পাইকারি পেঁয়াজের দর বেড়েছে গত কয়েক সপ্তাহে তুলনায় ৩’শ থেকে ৪’শ টাকা। এতে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে খুচরা বাজারেও।
ফরিদপুর শহরের হাজী শরিয়াতুল্লা বাজারের ক্রেতারা জানালেন, রমজানে খুচরা পেঁয়াজ দাম ছিল ২৫ থেকে ২৮ টাকা কেজি, আর এখন সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫টাকা দরে। এটা কেনো হচ্ছে বিষয়টি প্রশাসনের ক্ষতিয়ে দেখার দরকার।
হাজী শরীয়াতুল্লা বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পেঁয়াজ পাইকারি মণ প্রতি কিনতে হচ্ছে ১৫ থেকে সাড়ে ১৬শ টাকায়। যা রমজানে ছিলো ১১শ টাকা মণ।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
এইদিকে শহরতলীর কানাইপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানালেন, রমজানে লকডাউন কঠোর থাকায় মানুষ বের হয়েছে, তাই পেঁয়াজের চাহিদা কম থাকায় দামও কম ছিল। কিন্তু এখন মানুষ ঘর থেকে রেব হওয়া শুরু করেছে পণ্যের চাহিদাও বাড়ছে। এই কারণে দাম বাড়ছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিসি) অতুল সরকার জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা দ্রুতই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলবো, প্রয়োজনে বিভিন্ন বাজারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে বাজার দর নিয়ন্ত্রণের পাশা-পাশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
৩ বছর আগে