এডিস মশার প্রজন
ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৭ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
দেশে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। নতুন রোগীদের মধ্যে ১২ জন ঢাকায় এবং বাকি ৫ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বিভাগের বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ১৬০ জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৯৯ জন রোগীকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর বাকি ৬১ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৮ হাজার ৮৫ রোগী ডেঙ্গু নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ২৭ হাজার ৮২৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
১ জানুয়ারি থেকে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত দেশে মোট ১০১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আরও ২৭ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু: আরও ২৩ রোগী হাসপাতালে
২ বছর আগে
এডিস মশার প্রজননে ভূমিকা রাখলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
নগরবাসীকে বারবার সচেতন ও সতর্ক করার পরেও ইচ্ছাকৃতভাবে বাসা-বাড়ি এবং এর আশপাশে পানি জমিয়ে রেখে এডিস মশার প্রজননে ভূমিকা রাখলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের পক্ষে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মশা নিধন করা কঠিন। তাই মাঠে ময়দানে প্রচারণা চালিয়ে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। একজন মানুষের গাফলতির কারণে পুরো সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না। মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করলে দুই সিটি করপোরেশন থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শনিবার রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আয়োজনে এডিস মশা এবং ডেঙ্গু-চিকনগুনিয়া সচেতনতা অভিযান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, দুই সিটি করপোরেশনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে ১০জন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে দেয়া হয়েছে। তাদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে দখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধার করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, মশার এই উপদ্রব থেকে আমাদেরকে রক্ষা করতে পারে জনসচেতনতা। এরই অংশ হিসেবে আমরা আজকের এই প্রচারণা চালাচ্ছি। এডিস মশা কমাতে হলে জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া সম্ভব না। সকল মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করলে এই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে না।
এডিস মশার প্রজনন বন্ধে সকলের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি হলে ছাদে পানি জমে, ফুলের টবে পানি জমে, টায়ার ও টিউবে পানি জমে। এসব পরিষ্কার পানি ছাড়াও নির্মাণাধীন বাসা-বাড়ি, বেজমেন্ট ও পরিত্যক্ত জায়গায় জমানো পানিতে এ মশা জন্ম নেয়। তাই বাড়ির আঙিনাসহ আশেপাশে আসবাবপত্রের মধ্যে যাতে পানি জমে না থাকে সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে। এটা যতো দ্রুত পরিষ্কার করা হবে ততো তাড়াতাড়ি এডিস মশার প্রজনন ধ্বংস হবে।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে আইইডিসিআর পরবর্তী বছরে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যার তিনগুণ হওয়ার পূর্বাভাস দিলেও মন্ত্রণালয়, দুই সিটি করপোরেশন এবং সকল শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহণে সেই পূর্বাভাস মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, 'এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সাব জোনে ভাগ এবং কার্যকর ওষধ নিয়মিত স্প্রে করার কারণে মশার উপদ্রব যথেষ্ট কমেছে। এক বছরের প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা যে প্রস্তুতি নিয়েছি তাতেই আমরা সফলতা পেয়েছি।'
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশনের সমন্বয়ে নগরবাসীকে সাথে নিয়ে এডিস মশাসহ সব ধরনের মশা নিয়ন্ত্রণে তারা কাজ করে যাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ এবং বেশ কয়েকটি বাসা বাড়ি পরিদর্শন করে এডিস মশার প্রজননস্থল থাকায় স্টিকার লাগিয়ে দেন এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং নাট্য অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে