সাহিনুদ্দিন হত্যা
সাহিনুদ্দিন হত্যা : সাবেক এমপি আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
রাজধানীর পল্লবীতে ৬ বছরের ছেলের সামনে বাবা ব্যবসায়ী সাহিনুদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
সোমবার ঢাকা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পল্লবী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রউফ অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি জানান। ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটির পরবর্তী তারিখ ধার্য রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নঈম নিজামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ
অভিযোগ পত্রে অপর আসামিরা হলেন-সুমন বেপারী, মোহাম্মদ তাহের, মো. গোলাম কিবরিয়া খান, মোহাম্মদ মুরাদ, টিটু শেখ ওরফে টিটু, মোহাম্মদ রকি তালুকদার, নূর মোহাম্মদ হাসান, মোহাম্মদ শরীফ, ইকবাল হোসেন, মো. তরিকুল ইসলাম ইমন, তুহিন মিয়া, মো. হারুনুর রশিদ, মো. শফিকুল ইসলাম শফিক ও ইব্রাহিম সুমন।
এদের মধ্যে শফিক ও ইব্রাহিম পলাতক। আওয়ালসহ ১৩ আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছে।
হত্যাকান্ডে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ না পাওয়ায় ১৩ জনকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। এছাড়া আরও দুই অভিযুক্ত মনির ও মানিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
আরও পড়ুন: বন্দি নির্যাতন: চট্টগ্রামে জেল সুপারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ
গত বছর ১৬ মে পল্লবীতে ছয় বছরের ছেলে মাশরাফির সামনে বাবা সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। বিকাল সাড়ে চারটায় পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের ৩১ নম্বর রোডের ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে ঘটনাটি ঘটে। সাহিনুদ্দিন পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনে সিরামিক রোডের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৭ মে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২ বছর আগে
সাহিনুদ্দিন হত্যা: কথিত বন্দুকযুদ্ধে আসামি নিহত
রাজধানীর মিরপুর এলাকায় রবিবার ভোরে পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনীর সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার আসামি নিহত হয়েছেন।
নিহত মো. মনির সাহিনউদ্দিন হত্যা মামলার ৬ নম্বর অভিযুক্ত আসামি।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মনির মিরপুর এলাকায় ২২ তলা ভবনের কাছে ঈদগাহ মাঠে অবস্থান করছে, এমন সংবাদে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: বিজিবির সাথে এবার টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধ’, নিহত ‘মাদক কারবারি’
ডিএমপির অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ মনিরের সাথে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য রাজধানীর পল্লবীর সাগুফতা হাউজিংয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে রাত সোয়া ২ টার দিকে অপরাধীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে, আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে মনিরের গায়ে গুলি লাগে এবং ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। অন্যরা অপরাধীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা ‘ইয়াবা কারবারি’ নিহত
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও একটি গুলি উদ্ধার করেছে। এব্যাপারে পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কক্সবাজারে ‘ইয়াবা ব্যবসায়ী’ নিহত
রাঙামাটিতে দুই রাজনৈতিক পক্ষের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১
৩ বছর আগে