মুজিব কিল্লা
১ হাজার বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবে সরকার: এনামুর
সারাদেশে এক হাজার মুজিব কিল্লা (যেকোনো দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয় কেন্দ্র) এবং বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র (বন্যা দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্র) নির্মাণ করবে সরকার।
বৃহস্পতিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এছাড়া জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে নদীগুলোর পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সরকার নদীর তলদেশ খননের মাধ্যমে গভীরতা বৃদ্ধিতে ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা নিয়েছে।
রাজধানী ঢাকায় দৈনিক কালের কণ্ঠের কার্যালয়ে “উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা: শিক্ষণীয়, করণীয় ও পুনর্বাসন” শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে ৩ বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক ও কালের কণ্ঠের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলাম।
গোলটেবিল বৈঠকে ব্র্যাকের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির পরিচালক সাজেদুল হাসান, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কতা কেন্দ্রের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান, উত্তর-দক্ষিণ জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তারা এবং বন্যাকবলিত এলাকার প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ জমি পানিতে তলিয়ে গেছে, গত ১২২ বছর জেলায় এমন বন্যা দেখা যায়নি।
এনামুর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়ন হলে বন্যাপ্রবণ ৪০ জেলায় বন্যার ভয়াবহতা দেখা যাবে না।
তাজুল ইসলাম বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় গর্ভবতী এবং দুগ্ধদানকারী মায়েদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
২ বছর আগে
ফরিদপুরে মুজিব কিল্লার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সারাদেশে একযোগে উদ্বোধনের অংশ হিসেবে ফরিদপুর জেলায় ৫টি মুজিব কিল্লার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও ত্রাণ গুদামসহ দুর্যোগ তথ্য কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অনলাইনের মাধ্যমে এই উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন কার্যক্রম শুরু হয়।
এ সময় ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার সংযুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
তিনি জানান, এই মুজিব কিল্লাগুলো তিনটি টাইপে নির্মিত হবে। একতলা, দুইতলা ও তিনতলা বিশিষ্ট ইমারত নির্মাণ হবে। একাধিক কক্ষ থাকবে, যা বন্যাকবলিত ও অসহায় গৃহহীন মানুষের ব্যবহার করবে। এছাড়া থাকবে নিরাপদ সুপেয় পানির ব্যবস্থা সম্বলিত নলকূপ।
গণভবন থেকে সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. আসলাম মোল্লা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আশিক আহমেদ, সহকারী কমিশনার (গোপনীয়) তারেক হাসান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ৯ বছরেও সংশোধন হয়নি মুজিবনগরে জাতীয় চার নেতার ভাস্কর্যের ভুল তথ্য
সারা দেশে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রসহ ২১৫টি স্থাপনার উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সকল স্থাপনার মধ্যে ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল মৌজায় মুজিব কিল্লা, সদরপুর উপজেলায় খাটারিয়া চর নাছিরপুর মুজিব কিল্লা, ভাঙ্গা উপজেলায় পাতরাইল দিঘির পূর্বপাশে মুজিব কিল্লা, নাছিরাবাদ মুজিব কিল্লা, চরভদ্রাসন উপজেলার চরঝাউকান্দা মুজিব কিল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। একই সাথে জেলা ত্রাণ গুদামসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়।
আরও পড়ুন: মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের স্মৃতিকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: মন্ত্রী
৩ বছর আগে