ভাইস চ্যান্সেলর
গবেষণায় ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাবিপ্রবির ৪ গবেষক
গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) চার অনুষদের চারজন গবেষক (শিক্ষক)।
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ- শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে সাস্ট রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে অনলাইনে আয়োজিত ১১তম বার্ষিক গবেষণা সম্মেলনে এ পুরস্কার দেন।
আরও পড়ুন: শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শাবিপ্রবির ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
পুরস্কারপ্রাপ্ত ৪ জন গবেষক হলেন-
১) অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি (এফইটি) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আফজাল হোসাইন।
২) ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ওশেনোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সোলাইমান হোসাইন।
৩) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভুক্ত সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
৪) লাইফ সায়েন্সেস অনুষদের অন্তর্ভুক্ত জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক প্রধান।
বার্ষিক এ গবেষণা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং রিসার্চ সেন্টারের সদস্য অধ্যাপক ড. শামিম আহমেদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. হাসিনা খান, শাবিপ্রবির উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন, পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী।
দুই দিনব্যাপী এই বার্ষিক গবেষণা সম্মেলনে ১৯টি টেকনিক্যাল সেশনে মোট ১৮১টি গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করা হবে।
পাশাপাশি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাস্ট রিসার্চ সেন্টারে আওতায় এক বছর মেয়াদি ১৬১টি গবেষণা প্রকল্প, দুই বছর মেয়াদি ২৯টি গবেষণা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।
এই অর্থবছরে গবেষণায় মোট ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গবেষণা প্রণোদনা হিসেবে গবেষকদের জন্য আরও ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও চলবে ক্লাস-পরীক্ষা
সিলেটে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
১১ মাস আগে
ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাবির দুই অধ্যাপক
গবেষণায় অবদান রাখায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) দুই শিক্ষক ভিসি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
তারা হলেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান চৌধুরী।
রবিবার সকালে রিসার্চ সেন্টারের আয়োজনে বার্ষিক গবেষণা ফলাফল সম্মেলন-২০২০ এর ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়।
শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ড কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর।
এছাড়াও এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও সাফিউল ইসলাম খান চৌধুরী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের প্রথম দিন উদ্বোধনী সেশনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাস্ট রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম সাইফুল ইসলাম। এরপর অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি সাফিউল ইসলাম খান চৌধুরী এবং অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম এবং সাস্ট রিসার্চ সেন্টারের সদস্য অধ্যাপক ড. এ জেড এম মনজুর রশীদ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: শাবিতে অনলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ
শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পড়াশোনার পাশাপাশি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিয়ত গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে। গবেষণায় উন্নতি ছাড়া কোন বিশ্ববিদ্যালয় এগোতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গবেষণার বাজেট ৯ গুণ বাড়িয়েছি। গবেষণার অর্থ পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্বার্থক হবে। গবেষণায় সংশ্লিষ্টসহ পদক প্রাপ্তদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
৩ বছর আগে
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) আইন ১৯৯০ এর (১১)১ ধারা অনুযায়ী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনকে ৪ বছর মেয়াদে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) নিযুক্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি ও আচার্য মোঃ আবদুল হামিদ খান।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ আদেশ জারি করা হয়। ড. মাহমুদ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ভিসি এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে নিযুক্ত দ্বিতীয় ভিসি হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন মঙ্গলবার সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছে রেজিস্ট্রার কার্যালয়।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু
উল্লেখ্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান এর মেয়াদ গত ২৮ জানুয়ারি শেষ হয়। এ হিসেবে প্রায় ৪ মাস পর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পেলো নতুন উপাচার্য।
ড. মাহমুদ ১৯৯৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বনবিদ্যায় স্নাতক (সম্মান), ১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ার পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানগ্রোভ ইকোলজিতে স্নাতকোত্তর এবং ২০০৪ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৯৯ সালে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ২০০১ সালে তিনি সহকারী অধ্যাপক, ২০০৫ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০০৯ সাল থেকে ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনে অদ্যাবদি অধ্যাপক পদে দায়িত্বরত আছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবীতে সিলেটে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
তাঁর ১০৫টি গবেষণা নিবন্ধ আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩টি, ও অনুবাদ ২টি। এছাড়াও দেশি ও বিদেশি সংস্থার অর্থায়নে ২৬টি গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। তাঁর উদ্যোগ ও নেতৃত্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের মধ্যে প্রথম সয়েল আর্কাইভ স্থাপন করা হয়েছে।
৩ বছর আগে