শেখ হাসিনা
আমিরাতের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট ও আবুধাবির শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুতে শুক্রবার গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স ও দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এ শোক প্রকাশ করেন।
এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ আমার সঙ্গে আপনার মহামান্যের প্রতি গভীর ও আন্তরিক সমবেদনা জানাতে এবং আপনার মাধ্যমে রাজপরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্য ও আমিরাতের ভাইদের শোক ও দুঃখের এই সংকটময় মুহূর্তে সমবেদনা জানাতে যোগ দেয়।’
শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান একজন মহান রাষ্ট্রনায়ক, আবুধাবির একজন মহান শাসক ও মুসলিম উম্মাহর একজন দূরদর্শী নেতা ছিলেন বলে পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে শনিবার বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার গতিশীল নেতৃত্ব, বিচক্ষণতা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় উন্নয়ন এবং ইসলামী উদ্দেশ্যের অগ্রগতির প্রতি নিবেদন এমন কিছু বিষয় যা তাকে ইতিহাসে একজন স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব করে রাখবে।’
তিনি বলেন, শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বাংলাদেশের একজন মহান বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষী ছিলেন এবং বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের একজন অভিভাবক ছিলেন।
তিনি বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে তার বিদেহী আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁর চির শান্তির জন্য প্রার্থনায় হাত মিলিয়েছি যে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করবেন। আমরা শোকাহত রাজপরিবারের সদস্যদের এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণ যারা এই অপূরণীয় ক্ষতি বহন করবে তাদের সাহস ও সহনশীলতা দান করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছি।’
আরও পড়ুন: আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ মারা গেছেন
দুবাইয়ের শাসক, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কাছেও আরেকটি শোকপত্র পাঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি তার চিঠিতে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে এবং তার নিজের পক্ষ থেকে আবুধাবির শাসক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।
শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন গতিশীল ও দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। তিনি বলেন, তিনি তার পুরো জীবন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের জন্য উৎসর্গ করেছেন এবং দেশটিকে একটি সমৃদ্ধ ও অগ্রগামী জাতিতে পরিণত করেছেন।
একনেকে ৫ হাজার ৮২৬ কোটি টাকার ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) পাঁচ হাজার ৮২৬ কোটি টাকার মোট ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
মঙ্গলবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এতে যোগ দেন।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা তিনটি সংশোধিত প্রকল্পসহ ১১টি প্রকল্প অনুমোদন করেছি।’ প্রকল্পগুলোর সামগ্রিক আনুমানিক ব্যয় পাঁচ হাজার ৮২৫ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা (সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয়সহ)।
মোট ব্যয়ের মধ্যে তিন হাজার ৯৬৩ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হবে সরকারের তহবিল থেকে, এক হাজার ২২০ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা আসবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার তহবিল থেকে এবং বাকি ৬৪১ দশমিক ৯০ কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় তিনটি প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের অন্য দুটি; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি করে প্রকল্প দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নারীদের আইটি দক্ষতা বাড়াতে ২৫০ কোটি টাকার একনেক প্রকল্প অনুমোদন
ব্যয়ের নিরিখে তিনটি বৃহত্তম নতুন প্রকল্প হল- শেরপুর (কানাসাখোলা)-ভীমগঞ্জ-নারায়ণখোলা-পরাণগঞ্জ-ময়মনসিংহ (রহমতপুর) সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প; যার ব্যয় এক হাজার ৮৪২ কোটি টাকা; এক হাজার ১১৫ কোটি টাকায় শেখ কামাল আইটি প্রশিক্ষণ ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১৪টি); এবং বিআরইবি (ফেজ-১) প্রকল্পে বিদ্যমান ৩৩/১১কেভি কাঠের খুঁটি মাউন্টেড সাবস্টেশনগুলোর সংস্কার ও আধুনিকীকরণ; যার আনুমানিক ব্যয় ৬৮০ কোটি টাকা।
অন্য পাঁচটি নতুন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- ২৪১ কোটি টাকায় নেসকো এলাকায় স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম বাস্তবায়ন; ১৯৯ কোটি টাকায় শেখ জহুরুল হক পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, যশোর প্রতিষ্ঠাকরণ; ৩৪২ কোটি টাকায় মিঠামইন উপজেলার ঘোড়াউতরা, বোলাই-শ্রীগাং নদীর অংশবিশেষ ও ইটনা উপজেলার ধনু নদী, নামাকুড়া নদী এবং অষ্টগ্রাম উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর অংশ বিশেষের নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার।
৬৫ কোটি টাকায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্রাগার নির্মাণ (প্রথম পর্যায়ে ৪০টি) প্রকল্প; এবং দিনাজপুর সড়ক বিভাগাধীন হিলি (স্থলবন্দর)-ডুগডুগি-ঘোড়াঘাট জাতীয় মহাসড়কের যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ ৩টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিদ্যমান সরু/জরাজীর্ণ কালভার্ট পুনঃনির্মাণ এবং বাজার অংশে রিজিড পেভমেন্ট ও ড্রেন নির্মাণ’ প্রকল্প এবং দিনাজপুরের বাজার এলাকায় রাস্তার জন্য পাকা ফুটপাত ও ড্রেনেজ নির্মাণ প্রকল্পে ৪৬৪ কোটি টাকা।
তিনটি সংশোধিত প্রকল্প হল- ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপ লাইন (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প, যার অতিরিক্ত ব্যয় ৫৫৬ কোটি টাকা (দ্বিতীয় সংশোধনে ছয় হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা থেকে এখন ব্যয় দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ১২৫ কোটি টাকা); লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক) (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় ১৩৭ কোটি টাকা (মূল বিন্যাসে ১৬৭ কোটি টাকা থেকে ব্যয় বেড়ে ৩০৪ কোটি টাকা হয়েছে) এবং ১৮৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে একশটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপন (২য় সংশোধিত) প্রকল্প (প্রথম সংশোধনে দুই হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা থেকে খরচ বেড়ে দুই হাজার ৫২০ কোটি টাকা হয়েছে)।
আরও পড়ুন: ১২ হাজার ১৭ কোটি টাকার ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে একনেক
একনেকে চতুর্থ এইচপিএনএসপি প্রকল্পের ব্যয় বাড়ল ৩০ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উদ্ভাবনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষি বিজ্ঞানীদের জলবায়ু সহিষ্ণু ফসলের উদ্ভাবন এবং আধুনিক প্রযুক্তির অভিযোজনের ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি একই উদ্দেশ্যে খাদ্য সংরক্ষণ, ফসল-পরবর্তী ক্ষতি হ্রাস ও পুষ্টি নিরাপত্তার ওপর জোর দেন।
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে চার সদস্যের কানাডার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচোয়ানের গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির (জিআইএফএস) সিবিই, ডিরেক্টর ফর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ এবং চিফ অপারেটিং অফিসার স্টিফেন ভিসার।
আরও পড়ুন: বিদেশিদের কাছে অভিযোগ না করতে শ্রমিক নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন-ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচোয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট (গবেষণা) ড. বালাজিৎ সিং, ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচোয়ানের জিআইএফএসের বঙ্গবন্ধু রিসার্চ চেয়ার ইন ফুড সিকিউরিটি ড. অ্যান্ড্রু শার্প ও ঢাকায় কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচোয়ানের গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি (জিআইএফএস) কানাডা ও বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গবেষণা সহযোগিতা বাড়াতে গত বছর ঢাকায় একটি আঞ্চলিক কার্যালয় খুলেছে। প্রতিনিধি দলটি সেটি পরিদর্শন করতে এখানে এসেছে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা প্রতিনিধিদলকে বলেন, ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যখন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে তখন কানাডার তৎকালীন ট্রুডো সরকার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য পাকিস্তানে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কানাডিয়ান সরকার বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখে।’
সাক্ষাৎকালে স্টিফেন ভিসার বলেছেন, তারা বাংলাদেশে অবস্থিত জিআইএফএসের আঞ্চলিক কার্যালয়ে সব ধরনের কারিগরি সহায়তা প্রদান করবেন।
আরও পড়ুন: পেছনের দরজায় নয়, আ’লীগ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে: প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া ড. বালাজিৎ সিং বলেছেন, উচ্চ শিক্ষার জন্য সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা যাবেন তাদের সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবেন তারা।
ড. অ্যান্ড্রু শার্প বলেছেন, উচ্চ শিক্ষার জন্য সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন এমন ব্যক্তিকে তিনি দিক নির্দেশনা দেবেন।
বাংলাদেশের কাঁঠাল ও উদ্ভিদ জেনেটিক্সের বহুবিধ ব্যবহার নিয়ে কাজ করার বিষয়েও আগ্রহ দেখিয়েছে প্রতিনিধিদল।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পেছনের দরজায় নয়, আ’লীগ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, তার দল আওয়ামী লীগ কখনো পেছনের দরজা দিয়ে নয়, সব সময় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকুক। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ভোটারদের কাছ থেকে ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে এবং তারা কখনই পেছনের দরজা ব্যবহার করেনি।’
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে ক্ষমতাসীন দলের প্রধান শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বজনদের কবর জিয়ারত করছেন প্রধানমন্ত্রী ও শেখ রেহানা
বারবার তার দলকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এ কারণে গত ১৩ বছরে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে যার ফলে তাদের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। আওয়ামী লীগ এ দেশের মাটি ও মানুষের দল।’
উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখার ওপরও জোর দেন তিনি।
বিরোধীদল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতৃত্বের অস্তিত্ব নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন শেখ হাসিনা। তিনি অবাক হয়ে বলেন, ‘তাদের নেতৃত্ব কোথায়?’
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘ডানপন্থী, বামপন্থী ও চরম বামপন্থীরা এখন তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
নির্বাচন এগিয়ে আসায় তিনি তার দলকে আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
আওয়ামী লীগ নিয়মিত কাউন্সিল করে বলেও উল্লেখ করে শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘পরবর্তী কাউন্সিল দরজায় কড়া নাড়ছে। আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা অনেক কাজ সম্পন্ন করেছি। আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে।’
সরকার উৎখাতে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের জোটের পদক্ষেপের কথা বলতে গিয়ে তিনি আবারও এর পেছনের যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
‘আওয়ামী লীগের দোষ কি? কোন ক্ষেত্রে আমরা ব্যর্থ?’ প্রশ্ন করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০০৯ সাল থেকে গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এর ফলে গ্রামীণ এলাকার অবকাঠামোর অনেক উন্নতি হয়েছে এবং মানুষ তাদের গ্রামের বাড়িতে সহজে যেতে পারছে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন,এ বছর ঈদুল ফিতর উৎসবে মানুষ তাদের প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করতে ঝামেলামুক্তভাবে গ্রামে যেতে পেরেছে। এজন্য তিনি যোগাযোগমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘এই ধরনের যাতায়াত (শহর থেকে গ্রামে) গ্রামীণ এলাকায় অর্থের সরবরাহ বাড়িয়েছে যা দেশের অর্থনীতির জন্য উপকারী।’
এএমএ মুহিতের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাবেক অর্থমন্ত্রী ও ভাষাসৈনিক এএমএ মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে দীর্ঘ অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যান মুহিত।
এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের সদস্য মুহিত ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে চাকরিরত অবস্থায় পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের প্রথম সরকারে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: এএমএ মুহিত: আওয়ামী লীগের উন্নয়ন যুগের স্থপতি আর নেই
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত সফল এ অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ তাঁর স্ব কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শেখ হাসিনার গঠন করা ট্রাস্ট সব দলমতের সাংবাদিকদের জন্য অবারিত: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট শেখ হাসিনার আগ্রহে তৈরি হয়েছে। সাংবাদিকদের সহায়তায় স্থায়ী ব্যবস্থাপনার জন্য তিনি এই ট্রাস্ট করে দেন। বর্তমানে এটি সাংবাদিকদের ভরসার জায়গায় পরিণত হয়েছে। এর মাধ্যমে এপর্যন্ত সাংবাদিকদের মাঝে ২২ কোটি টাকা দেয়া সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার গঠন করা ট্রাস্ট সব দলমতের সাংবাদিকদের জন্য অবারিত।
শুক্রবার বিকালে খুলনা প্রেসক্লাবের শহিদ শেখ আবু নাসের ব্যাংকুয়েট হলে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরির রোডম্যাপ করছে প্রেস কাউন্সিল: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমি সাংবাদিকের দৃষ্টিতে তাদের সমস্যাগুলো দেখার চেষ্টা করি। অষ্টম ওয়েজ বোর্ড যারা বাস্তবায়ন করবেন না, তারা সরকারি ক্রোড়পত্র পাবেন না।
মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে শেখ হাসিনাই কাজ করেছেন। অন্যান্য সরকারের আমলে সাংবাদিকরা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন বাস্তবে রূপ পেলে সাংবাদিকরা সত্যিকার সুরক্ষা পাবেন।
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আপনাদের লেখনি দেশ ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। বিশ্বে আয়তনে ৯২তম ও অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। করোনা প্রতিরোধে এপর্যন্ত দেশে ২৫ কোটি ডোজ টিকা প্রদান সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকর্মী আইন পরিমার্জনে টিআইবির বিবৃতি সহায়ক নয়, বরং অন্তরায়: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, মুজিববর্ষে লাখো ভূমিহীন-গৃহহীনকে প্রধানমন্ত্রী জমিসহ পাকা ঘর উপহার দিয়েছেন। করোনায় দেশে হাহাকার হয়নি, কেউ অভুক্ত থাকেনি, বরং এ সময়ে মাথাপিছু আয়ে আমরা ভারতকে ছাড়িয়ে গিয়েছি। এই কথাগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মহাপরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদল, বিএফইউজের মহাসচিব দ্বীপ আজাদ, জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার ও প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্ট হতে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে ৩২ জনকে এবং করোনাকালীন আর্থিক প্রণোদনার অংশ হিসেবে ৮৬ জন সাংবাদিককে আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকরাও সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসবে: তথ্যমন্ত্রী
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যোগাযোগ জোরদারের মাধ্যমে ভারতের আসাম ও ত্রিপুরার মতো উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো নিজেদের প্রয়োজনে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘যদি যোগাযোগ বাড়ানো যায় তাহলে আসাম ও ত্রিপুরার মতো ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের অনুমোদন পেতে পারে।’
বৃহস্পতিবার বিকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে ১৯৬৫ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া আন্তঃসীমান্ত রুটগুলো পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বৈঠকে তারা উভয়েই দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবস্থান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: রেলওয়ে এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠান: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়।
জয়শঙ্কর বলেন, (এ সফরে) দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং এটি (আলোচনা) ভালোভাবে এগোচ্ছে।
এছাড়া প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, কুশিয়ারা ও ফেনী নদীর পানি বণ্টন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় এসেছে।
এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী উপস্থিত ছিলেন।
জয়শঙ্কর এক দিনের সফরে বৃহস্পতিবার ঢাকায় এসেছেন।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ মেয়াদে কাতার থেকে এলএনজি কিনতে চায় বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ঝুঁকি সীমার অনেক নিচে: অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়
সরকার গণতান্ত্রিক পরিবেশ জোরদারে কাজ করছে: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ জোরদারে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সরকার দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন- যেটি নির্বাচন পরিচালনা করে- তা সম্পূর্ণ স্বাধীন প্রতিষ্ঠান।’
সোমবার সফররত নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানিকেন হুইটফেল্ড গণভবনে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, সামরিক শাসকরা ক্ষমতা দখল করলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ‘তারা (সামরিক শাসক) বন্দুক ব্যবহার করে ক্ষমতায় আরোহণ করেছিল এবং তারপরে রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজনীতিতে নেমেছিল।’
বৈঠকের শুরুতে তারা দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আমরা জানি এটা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক চাপ।
অ্যানিকেন হুইটফেল্ড বলেন, দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর হবে।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশের প্রতি নরওয়ের সমর্থনের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা-উত্তর দেশ গঠনের কাজে নরওয়ে এগিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, ‘নরওয়ে তখন থেকে আমাদের ঘনিষ্ঠ ও মূল্যবান উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টার-সেভেনডসেন উপস্থিত ছিলেন।
যাত্রাবাড়ীতে ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে আহত দম্পতির মৃত্যু
রাজধানীর যাত্রীবাড়ী এলাকায় ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে আহত এক দম্পতি সোমবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
নিহতরা হলেন- আব্দুল করিম (৩০) ও খাদিজা আক্তার (২৫)।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল যাত্রাবাড়ী এলাকার কোনাপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সরিষাবাড়ী ইউএনও কার্যালয়ে আগুন, নথিপত্র পুড়ে ছাই
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ খাদিজা ভোর ৪টার দিকে এবং ৫৪ শতাংশ দগ্ধ করিম ভোর ৬টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।’
তিনি জানান,নিহতদের মেয়ে ফাতেমা আক্তার (২) ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
করিমের ভাই কামাল হোসেন জানান, ২০ এপ্রিল সেহেরি করার সময় করিম ও খাদিজার বাড়ির রান্নাঘরে এ বিস্ফোরণ ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর লালবাগে প্লাস্টিক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
পানি সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যৌথ পদক্ষেপের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
পানি সম্পর্কিত অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভালো অনুশীলন, জ্ঞান ও প্রযুক্তি ভাগ করে নিতে শক্তি একত্রিত করতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার জাপানের কুমামোটোতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ এশিয়া-প্যাসিফিক ওয়াটার সামিটে প্রদর্শিত একটি ভিডিও বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান তিনি।
আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর পানি ব্যবস্থাপনার জন্য অববাহিকা ভিত্তিক পদ্ধতির প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালনসহ আঞ্চলিক বা উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতাকে গুরুত্ব দিই।’
তিনি বলেন, আজকের মানুষ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পানি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণে দায়বদ্ধ। এর মধ্যে পানি সম্পর্কিত এসডিজিও রয়েছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণদের অবশ্যই ক্ষমতায়ন করতে হবে যাতে তারা পানির অন্তর্ভুক্তি, দক্ষতা ও স্থায়িত্বের জন্য দায়িত্বশীল অংশগ্রহণকারী হতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পানি জীবনের জন্য অত্যাবশ্যক এবং এটি টেকসই উন্নয়ন ও শান্তির সংস্কৃতি প্রচারের জন্য মৌলিক।
তিনি বলেন, “চলমান কোভিড-১৯ মহামারি থেকে ‘ভালোভাবে ফিরে আসার’ জন্য আমাদের সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।’
২০১৬ সালে তিনি পানি সম্পর্কিত জাতিসংঘের উচ্চ-স্তরের প্যানেলের সদস্য ছিলেন যেটি একটি ‘কল টু অ্যাকশন’ গ্রহণ করেছিল বলেও স্মরণ করেন তিনি।
আগামী বছরের ওয়াটার অ্যাকশন দশকের মধ্য-মেয়াদী পর্যালোচনা আমাদের অ্যাকশন এজেন্ডা বাস্তবায়নে একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করবে। কুমামোটো ঘোষণা সেই প্রক্রিয়ায় একটি কার্যকর অবদান হবে বলেও যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশে, তিনি বলেন, সরকার পানি ব্যবস্থাপনায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, পুরো সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে যেখানে এর ৮৫ শতাংশেরও বেশি মানুষের নিরাপদ পানীয় পানি এবং উন্নত স্যানিটেশন সুবিধার প্রবেশ রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা খোলামেলা মলত্যাগের বিষয় প্রায় শেষ করে ফেলেছি। পানিবাহিত রোগের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই একটি নিরন্তর প্রচেষ্টা। আগামী মাস থেকে আমরা রাজধানীতে ২৩ লাখ কলেরা টিকা প্রদান করবো।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পানি সংক্রান্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশকে ‘রোল মডেল’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তিনি উল্লেখ করেন যে বন্যার বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, উপকূলীয় পোল্ডার, গ্রিন বেল্ট, ভাসমান কৃষি, নদী খনন, শহুরে ঝড়ের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় বিনিয়োগ বাংলাদেশের সহনশীলতা বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমরা পূর্ব সতর্কতা ব্যবস্থা এবং গোষ্ঠী ভিত্তিক হস্তক্ষেপের বিকাশ থেকে উপকৃত হয়েছি। আমাদের প্লাবনভূমি ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য পানির প্রাপ্যতার ঋতুগত বৈচিত্র্য পরিচালনা করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি সহনশীল ও সমৃদ্ধ ব-দ্বীপের দিকে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, সরকার পরিকল্পনার আওতায় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সম্পদ সংগ্রহের জন্য আগামী মাসে একটি আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সম্মেলনের আয়োজন করছে।
জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাব সম্পর্কে বাংলাদেশ সচেতন।
জাপানের কুমামোটো সিটি ও এশিয়া-প্যাসিফিক ওয়াটার ফোরাম (এপিডব্লিউএফ) যৌথভাবে ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য পানি- সর্বোত্তম অনুশীলন ও পরবর্তী প্রজন্ম’ শীর্ষক এই সামিটের আয়োজন করে।