জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) পাঁচ হাজার ৮২৬ কোটি টাকার মোট ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
মঙ্গলবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এতে যোগ দেন।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা তিনটি সংশোধিত প্রকল্পসহ ১১টি প্রকল্প অনুমোদন করেছি।’ প্রকল্পগুলোর সামগ্রিক আনুমানিক ব্যয় পাঁচ হাজার ৮২৫ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা (সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয়সহ)।
মোট ব্যয়ের মধ্যে তিন হাজার ৯৬৩ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হবে সরকারের তহবিল থেকে, এক হাজার ২২০ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা আসবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার তহবিল থেকে এবং বাকি ৬৪১ দশমিক ৯০ কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় তিনটি প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের অন্য দুটি; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি করে প্রকল্প দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নারীদের আইটি দক্ষতা বাড়াতে ২৫০ কোটি টাকার একনেক প্রকল্প অনুমোদন
ব্যয়ের নিরিখে তিনটি বৃহত্তম নতুন প্রকল্প হল- শেরপুর (কানাসাখোলা)-ভীমগঞ্জ-নারায়ণখোলা-পরাণগঞ্জ-ময়মনসিংহ (রহমতপুর) সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প; যার ব্যয় এক হাজার ৮৪২ কোটি টাকা; এক হাজার ১১৫ কোটি টাকায় শেখ কামাল আইটি প্রশিক্ষণ ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১৪টি); এবং বিআরইবি (ফেজ-১) প্রকল্পে বিদ্যমান ৩৩/১১কেভি কাঠের খুঁটি মাউন্টেড সাবস্টেশনগুলোর সংস্কার ও আধুনিকীকরণ; যার আনুমানিক ব্যয় ৬৮০ কোটি টাকা।
অন্য পাঁচটি নতুন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- ২৪১ কোটি টাকায় নেসকো এলাকায় স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম বাস্তবায়ন; ১৯৯ কোটি টাকায় শেখ জহুরুল হক পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, যশোর প্রতিষ্ঠাকরণ; ৩৪২ কোটি টাকায় মিঠামইন উপজেলার ঘোড়াউতরা, বোলাই-শ্রীগাং নদীর অংশবিশেষ ও ইটনা উপজেলার ধনু নদী, নামাকুড়া নদী এবং অষ্টগ্রাম উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর অংশ বিশেষের নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার।
৬৫ কোটি টাকায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্রাগার নির্মাণ (প্রথম পর্যায়ে ৪০টি) প্রকল্প; এবং দিনাজপুর সড়ক বিভাগাধীন হিলি (স্থলবন্দর)-ডুগডুগি-ঘোড়াঘাট জাতীয় মহাসড়কের যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ ৩টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিদ্যমান সরু/জরাজীর্ণ কালভার্ট পুনঃনির্মাণ এবং বাজার অংশে রিজিড পেভমেন্ট ও ড্রেন নির্মাণ’ প্রকল্প এবং দিনাজপুরের বাজার এলাকায় রাস্তার জন্য পাকা ফুটপাত ও ড্রেনেজ নির্মাণ প্রকল্পে ৪৬৪ কোটি টাকা।
তিনটি সংশোধিত প্রকল্প হল- ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপ লাইন (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প, যার অতিরিক্ত ব্যয় ৫৫৬ কোটি টাকা (দ্বিতীয় সংশোধনে ছয় হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা থেকে এখন ব্যয় দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ১২৫ কোটি টাকা); লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক) (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় ১৩৭ কোটি টাকা (মূল বিন্যাসে ১৬৭ কোটি টাকা থেকে ব্যয় বেড়ে ৩০৪ কোটি টাকা হয়েছে) এবং ১৮৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে একশটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপন (২য় সংশোধিত) প্রকল্প (প্রথম সংশোধনে দুই হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা থেকে খরচ বেড়ে দুই হাজার ৫২০ কোটি টাকা হয়েছে)।
আরও পড়ুন: ১২ হাজার ১৭ কোটি টাকার ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে একনেক
একনেকে চতুর্থ এইচপিএনএসপি প্রকল্পের ব্যয় বাড়ল ৩০ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা