সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট ও আবুধাবির শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুতে শুক্রবার গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স ও দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এ শোক প্রকাশ করেন।
এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ আমার সঙ্গে আপনার মহামান্যের প্রতি গভীর ও আন্তরিক সমবেদনা জানাতে এবং আপনার মাধ্যমে রাজপরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্য ও আমিরাতের ভাইদের শোক ও দুঃখের এই সংকটময় মুহূর্তে সমবেদনা জানাতে যোগ দেয়।’
শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান একজন মহান রাষ্ট্রনায়ক, আবুধাবির একজন মহান শাসক ও মুসলিম উম্মাহর একজন দূরদর্শী নেতা ছিলেন বলে পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে শনিবার বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার গতিশীল নেতৃত্ব, বিচক্ষণতা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় উন্নয়ন এবং ইসলামী উদ্দেশ্যের অগ্রগতির প্রতি নিবেদন এমন কিছু বিষয় যা তাকে ইতিহাসে একজন স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব করে রাখবে।’
তিনি বলেন, শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বাংলাদেশের একজন মহান বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষী ছিলেন এবং বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের একজন অভিভাবক ছিলেন।
তিনি বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে তার বিদেহী আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁর চির শান্তির জন্য প্রার্থনায় হাত মিলিয়েছি যে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করবেন। আমরা শোকাহত রাজপরিবারের সদস্যদের এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণ যারা এই অপূরণীয় ক্ষতি বহন করবে তাদের সাহস ও সহনশীলতা দান করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছি।’
আরও পড়ুন: আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ মারা গেছেন
দুবাইয়ের শাসক, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কাছেও আরেকটি শোকপত্র পাঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি তার চিঠিতে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে এবং তার নিজের পক্ষ থেকে আবুধাবির শাসক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।
শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন গতিশীল ও দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। তিনি বলেন, তিনি তার পুরো জীবন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের জন্য উৎসর্গ করেছেন এবং দেশটিকে একটি সমৃদ্ধ ও অগ্রগামী জাতিতে পরিণত করেছেন।