এডিস মশা নিধন
জলাশয়ের ময়লা অপসারণে অত্যাধুনিক মেশিন আনা হচ্ছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
এডিস মশা ছাড়াও অন্যান্য প্রজাতির মশা নিধনে খাল এবং জলাশয়ে থাকা কচুরিপানা এবং ভাসমান ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করতে জার্মানি থেকে অত্যাধুনিক মেশিন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ঢাকাসহ সকল সিটি করপোরেশনের খাল ও জলাশয় থেকে কচুরিপানা এবং অন্যান্য ভাসমান পদার্থ পরিষ্কার করে মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস ও পানির প্রবাহ ঠিক রাখার লক্ষ্যে এই মেশিন আমদানি করা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার অনলাইনে আয়োজিত এডিস মশা নিধন এবং ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ১৪০টি ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন: প্রতিমন্ত্রী
তাজুল ইসলাম বলেন, চীন, জাপান, কোরিয়া এবং ব্রিটেনসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এই মেশিনগুলো চালু রয়েছে। সবগুলো দেশের মেশিন যাচাই-বাছাই করে জার্মানি থেকে ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই মেশিন কচুরিপানাসহ ভাসমান পদার্থ এমনকি পানির এক মিটার নিচের ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করতেও সক্ষম।
চলমান সময়টিকে এডিস মশার প্রজননের ঊর্বর সময় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এডিস মশা স্বচ্ছ পানিতে জন্মে থাকে তাই বাসা বাড়িতে কোথাও পানি জমিয়ে রাখা যাবেনা। নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। এ ব্যাপারে অনেক সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। এরপরও যারা এডিস মশার প্রজননে ভূমিকা রাখবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধুই দেশের সকল উন্নয়ন চিন্তা-চেতনার ভিত্তিপ্রস্তর করেছেন: এলজিআরডি মন্ত্রী
তিনি জানান, এডিস মশা নিধনে প্রয়োজনীয় কীটনাশক ওষুধ বিশেষ করে এডাল্টিসাইড ও লার্ভিসাইড পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। এছাড়া, পর্যাপ্ত ফগিংমেশিন, প্রশিক্ষিত জনবলও প্রস্তুত আছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে অভিযান চালাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য সিটি করপোরেশনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। নগরবাসীকে মশার উপদ্রপ থেকে বাঁচাতে সব ধরনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, মানুষ সচেতন না হলে এবং খাল-জলাশয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করতে পারলে মশার প্রজনন বৃদ্ধি ঠেকানো সম্ভব হবে না। জনমানুষের অংশগ্রহণ অর্থাৎ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে যেকোন প্রতিকূলতা মোকাবিলা করা সম্ভব।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় এবং সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাদের আওতাধীন অফিস এবং অন্যান্য অবকাঠামোতে যেন এডিস মশার লার্ভা না জন্মে সেদিকে নজর রাখতে হবে এবং নির্দেশনা প্রদান করতে হবে।
আরও পড়ুন:হাতিরঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালুর প্রকল্প নেয়া হয়েছে: এলজিআরডি মন্ত্রী
সভায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, খুলনা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়ক এবং ওয়াসার এমডি অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন।
৩ বছর আগে