মানবাধিকার কাউন্সিল
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে রাশিয়ার সদস্যপদ স্থগিত
ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে রাশিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রস্তবটির পক্ষে বিপক্ষে যথাক্রমে ৯৩ ও ২৪ ভোটের পর এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বাংলাদেশসহ ৫৮ দেশ ভোট প্রদান থেকে বিরত ছিলো।ভোটদানে বিরত থাকা অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো হলো- ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভুটান,নেপাল ও মালদ্বীপ।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইউক্রেনে চলমান মানবাধিকার ও মানবিক সংকটের বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন তারা, বিশেষ করে রাশিয়ান ফেডারেশন কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের ব্যাপারে।
আরও পড়ুন: পশ্চিমা দেশের কাছে আরও অস্ত্রের আবেদন ইউক্রেনের
যদিও প্রস্তাবটি সমর্থন না করা দেশগুলো বলছে এটি মানবাধিকার কাউন্সিল এবং জাতিসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষুন্ন করবে।
আবার অনেকেই বলছেন,এই প্রস্তাবটি আমেরিকান ও ইউরোপীয় ভূ-রাজনৈতিক এজেন্ডাকে প্রতিফলিত করেছে।
রাশিয়ার ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর গেনাডি কুজমিন ভোটের পর জানিয়েছেন, পরিষদ পদক্ষেপ নেয়ার আগে মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে বৃহস্পতিবারের শুরুতে দেশটি নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
তিনি পরিষদের বিরুদ্ধে ‘স্বল্পমেয়াদী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ’ নিয়ে কাজ করার অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ: পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি শেষ
২ বছর আগে
ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে জাতিসংঘকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান বাংলাদেশের
ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সকল আন্তর্জাতিক আইন বিরোধী কার্যক্রমের ব্যাপারে ন্যায়বিচার নিশ্চিতকল্পে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে মানবাধিকার কাউন্সিলের বিশেষ এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ইসরাইলের অনৈতিক এবং যুদ্ধভাবাপন্ন মনোভাবের তীব্র নিন্দা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরাইলের উচিত এরূপ অনৈতিক, বেআইনি উপনিবেশ এবং দখলদারিত্বমূলক কার্যক্রম বন্ধ করা।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনকে ৪০ লাখ টাকার ওষুধ ও ৫০ হাজার ডলার দিল বাংলাদেশ
ফিলিস্তিন সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার আহ্বান বাংলাদেশের
তিনি এ ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলের এমন নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় অধিষ্ঠিত শক্তিকে আরও উৎসাহী করছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
মোমেন বলেন, সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি আমাদের এই দায়িত্ববোধ অব্যাহতির কোনো কারণ হতে পারে না। তিনি এ ব্যাপারে দায়িত্ববোধ এবং ন্যায়বিচারের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং কমিশনের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেন।
এছাড়াও তিনি ফিলিস্তিনকে মানবিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান।
এ ব্যাপারে মোমেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রক্রিয়ানির্ভর সহযোগিতামূলক এবং অর্থপূর্ণ কার্যক্রমের ওপর জোড় প্রদান করেন।
ফিলিস্তিন, তুরস্ক, নামিবিয়া, পাকিস্তান, লিবিয়া, তিউনিসিয়া, কুয়েত, সিরিয়া, কাতার, মিশর ও মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
৩ বছর আগে