সমিতি
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির ও সেক্রেটারি জেনারেল কাজী আনিস
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের প্রতিষ্ঠাতা-উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির (এপিইউবি) বার্ষিক সাধারণ সভা এবং কার্যনিবাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচনে ২০২৩-২০২৫ মেয়াদে ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন চেয়ারম্যান এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারাল আর্টস বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. কাজী আনিস আহমেদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ১৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে ইউজিসি’র গণবিজ্ঞপ্তি জারি
মঙ্গলবার (৩০ মে) এপিইউবির বার্ষিক সাধারণ সভা এবং কার্যনিবাহী পরিষদের নির্বাচনে তাদের আগামী দুই বছরের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
নির্বাচনে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজী (বিইউবিটি) এর অধ্যাপক শফিক আহমেদ সিদ্দিক ভাইস-চেয়ারম্যান; ইউনিভার্সিটি অব লিবারাল আর্টস বাংলাদেশ এর ড. আনিস আহমেদ সেক্রেটারি জেনারেল, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর ইশতিয়াক আবেদিন জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল এবং ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর কেবিএম মঈন উদ্দিন চিশতি, ট্রেজারার পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
কার্যনিবাহী পরিষদের অন্যান্য নির্বাচিত সদস্যরা হলেন- একেএম এনামুল হক শামীম, পোর্টসিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; নজরুল ইসলাম বাবু, সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি; কাজী রফিকুল আলম, আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এ্যন্ড টেকনোলজী; সাদাফ সাজ সিদ্দিকী, ব্রাক ইউনিভার্সিটি; জনাব শফিকুল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি; চৌধুরী নাফিজ সরাফত, ক্যানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ; মো. সবুর খান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; একেএম নুরুল ফজল বুলবুল, এক্সিম ব্যাংক এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি; আব্দুল হাই সরকার, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, রিয়াদ আহমেদ তুষার, ঈশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ, নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ; মো. রেজাউল করিম, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি এবং কাইয়ূম রেজা চৌধুরী, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজী (বিইউবিটি) এর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবু সালেহ এর নেতৃত্বে চার সদস্যের নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি) এর কার্যনিবাহী পরিষদের নির্বাচন নির্বাচন ২০২৩ পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন: মান বজায় রাখতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইউজিসি সতর্ক করেছে: বিশ্বজিৎ চন্দ
মান বজায় রাখতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইউজিসি সতর্ক করেছে: বিশ্বজিৎ চন্দ
পুরো কমিটি নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির যাত্রা শুরু
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচন নিয়ে কম জল ঘোলা হলো না। সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তারের লড়াই আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত সকল কিছুর অবসান হলো।
বর্তমানে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিপুণ পালন করবেন।
রবিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে এফডিসির চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির অফিসে শপথবাক্য পাঠ করান সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।
নিপুণের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি শুরুতে জায়েদ খানের প্যানেলের বিজয়ীরা মেনে নিতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত সেই অভিমানের অবসান হলো।
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি: নিপুণ-জায়েদের বিষয়ে শুনানি ২২ ফেব্রুয়ারি
রবিবার এফডিসিতে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে শপথ গ্রহণ করেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী।
তিনি কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
শপথ গ্রহণ শেষে মৌসুমী গণমাধ্যমে বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে সবাইকে একসঙ্গে পেয়ে। আমাদের সবকিছুর অবসান হলো। এত কিছুর পর আমরা আবার এক হয়ে গেলাম।’ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘অনেক ভালো লাগছে সবাইকে একসঙ্গে পেলাম। আমি এটাই চেয়েছিলাম। আমি একটা দায়িত্ব নিলে সেটা সঠিকভাবে পালন না করা পর্যন্ত শান্তি পাই না। দীর্ঘ ৯ মাস আমি একটা যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। সেই যন্ত্রণা রবিবার লাঘব হলো। সমিতির সকল সদস্যরা এসেছেন। সবাই কথা দিয়েছেন আমরা শিল্পীদের স্বার্থে কাজ করব।’
সকল দ্বন্দ্ব ভুলে সমিতিতে আসা প্রসঙ্গে ডিপজল গণমাধ্যমে বলেন, ‘শিল্পীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব কখনোই চাই না। সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে দ্বন্দ্বটি যেহেতু আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। শুরু থেকেই আমরা বলেছি, আদালত যে রায় দেবেন আমরা মেনে নেব। আদালতের তরফ থেকে জানা গেছে, নিপুণের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনে বাধা নেই। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মিটিংয়ে অংশ নিয়ে সমিতির কার্যক্রমের সঙ্গে থাকব।’
শিল্পী সমিতিতে রবিবার আরও আসেন একই প্যানেল থেকে সহসভাপতি পদে নির্বাচিত ডিপজল ও রুবেল।
এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচিত কমিটির রিয়াজ, সাইমন, ইমন, জয় চৌধুরী, অঞ্জনা, কেয়া, জাদু আজাদ, আরমান, জেসমিন, নাদির খান, শাহনূরসহ অনেকেই।
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: চেম্বার কোর্টের আদেশ কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশ
বন্যার্তদের পাশে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি
সমিতির গ্রাহকদের ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, ম্যানেজার আটক
খুলনায় রিয়েল সঞ্চয় ও ঋণদান কো অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে একটি সমিতির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের প্রায় সাত কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। টাকা আদায়ের জন্য সমিতির ম্যানেজার ইসতিয়াক রাব্বি শোভনকে শুক্রবার রাতভর অবরুদ্ধ রাখার পর শনিবার পুলিশে সোপর্দ করেন গ্রাহকেরা।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রেশন নিয়েই প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন বলে জানা গেছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, খুলনা মহানগরীর ৪ নম্বর ঘাট এলাকায় বস্তিবাসীর কাছে ২০১২ সাল থেকে ডিপিএস, এফডিআর, দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক মেয়াদে ওই সমিতি টাকা নিতো। নির্দিষ্ট মেয়াদের পর লভ্যাংশসহ টাকা ফেরত দিতো তারা। কিন্তু করোনা মহামারির পর থেকে তারা গ্রাহকদের আর কোনো টাকা ফেরত দেয়নি।
তারা জানান, শুধু ঘাট এলাকা নয়; খালিশপুর, দৌলতপুর ও সোনাডাঙ্গা এলাকায় সব মিলিয়ে তাদের গ্রাহক সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি। দুবছর ধরে তারা কেউ সমিতির কাছ থেকে টাকা পান না। সম্প্রতি সমিতির লোকজন সবাই গা-ঢাকা দেয়।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় দম্পতি কারাগারে
তারা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউমার্কেট এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে বসে সমিতির ম্যানেজার ইসতিয়াক রাব্বি শোভন খাবার খাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে ৪ নম্বর ঘাট বস্তির শতাধিক লোক গিয়ে তাকে আটক করেন। পরে তাকে ৭ নম্বর ঘাট জেটি হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসে নিয়ে আটকে রাখে।
তবে ম্যানেজার শোভনের দাবি, সমিতির মালিক শিবলু নামে এক ব্যক্তি। তিনি কিছুদিন আগে বিদেশে পালিয়ে গেছেন। তিনি তাদের ম্যানেজার ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি কী করে টাকা ফেরত দেবো! শ্রমিকরা আমাকে অযথা আটকে রেখে মারধর করেছে।’
গ্রাহক ইতি আক্তার বলেন, আমি দৈনিক ৩০ টাকা করে তাদের কাছে জমা রাখতাম। বছর শেষে তারা সুদসহ মূল টাকা ফেরত দিতো। কিন্তু গত দুবছর আমার টাকা ফেরত পাইনি। তিনি বলেন, আমাদের ৪ নম্বর ঘাট বস্তিতে শত শত মানুষ তাদের বিশ্বাস করে টাকা দিয়েছে।
অপর গ্রাহক রওশানারা বলেন, আমাদের পরিবারের চারজন তাদের কাছে টাকা জমা রাখতো। তবে গত দুবছর তারা কোনো টাকা দিচ্ছে না।
আরও পড়ুন: খুলনায় অর্থ আত্মসাৎ মামলায় অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে
এ বিষয়ে খুলনা সিটি করপোরেশনের (খুসিক) প্যানেল মেয়র মো.আমিনুল ইসলাম মুন্না জানান, তার ওয়ার্ডেরও অনেক লোক টাকা জমা রেখে এখন আর ফেরতে পাচ্ছে না। শুক্রবার রাতের ঘটনা তিনি জানেন। শোভনকে থানায় হস্তান্তর এবং ওই সমিতির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তিনি জানান, গ্রাহকদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ওই সমিতিটি প্রায় সাত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
এ ব্যাপারে খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন খান জানান, এখনও কেউ থানায় অভিযোগ বা মামলা করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আগামীকাল থেকেই চালের দাম নিম্নমুখী দেখতে চাই: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত ধান ও চাল উৎপাদন হয়। তারপরও চালের দাম বাড়ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আগামীকাল থেকেই চালের দাম নিম্নমুখী দেখতে চাই।
রবিবার বেলা ১২টার দিকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অবৈধ মজুতদারি রোধে করণীয় ও বাজার তদারকি সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। তারপরও ধাপেধাপে চালের দাম বাড়ছে, যা কাঙ্খিত নয়। এর কারণ খতিয়ে দেখতে আমরা মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। মাঠ পর্যায়ের সঠিক তথ্য আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণে কাজে লাগবে।
আরও পড়ুন: সয়াবিনের দাম লিটার প্রতি ৮ টাকা কমলো
দেশের বাজারে চালের অভাব না থাকা সত্ত্বেও দাম কেন বাড়ছে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশনা দিয়ে খাদ্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিলের স্টক ভেরিফিকেশন করতে হবে, কতটুকু ক্র্যাসিং হল, কতটুকু সরবরাহ হল তা প্রতিদিন নিয়মিত রিপোর্ট করতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রমজান মাসে চালের দাম বাড়ানো যাবে না। কাল থেকে ধাপেধাপে কমাতে হবে। তাছাড়া চালের বস্তায় ধানের জাত ও উৎপাদনের তারিখ উল্লেখ করতে হবে। তার গাইড লাইন আমরা দ্রুত পাঠিয়ে দিব। কেউ অবৈধভাবে চাল মজুত করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাজারে মোটা চালের দাম বাড়েনি: খাদ্যমন্ত্রী
এসময় চালের বাজার নিম্নমুখী রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চান তিনি।
অনুষ্ঠানে চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রশিদ বলেন, এখন আর চালের দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। আগামী এক মাসের মধ্যে কিছু জায়গায় ধান কাটা শুরু হয়ে যাবে। সেই ধান বাজারে আসার পরপরই চালের দাম অনেকটা কমে আসবে। এ ছাড়া আগামীকাল থেকেই চালের দাম কমানো হবে। তিনি বলেন, ৫০ কেজির সরু চালের বস্তায় দাম ১০০ টাকা কমানো হবে।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচন ২০ মার্চ
বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি’র নির্বাচন আগামী ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত এবারের নির্বাচনে একাধিক প্যানেল অংশ নিচ্ছে। ১২০টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার রাজধানীর ঢাকা কলেজে শিক্ষা সমিতির নির্বাচনে ‘আজমতগীর-জাফর’ প্যানেলের (ব্যালট-খ) পরিচিতি সভা ও নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা উপলক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) গুরুত্বপূর্ণ পদ ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ করা হয়। এই প্যানেলের প্রার্থীদের অভিযোগ, মাউশির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে প্রার্থী হয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের ওপর প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে। ‘আজমতগীর-জাফর’ প্যানেলের নির্বাচনী প্রচারের কাজে বাধা দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই নির্বাচনে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন। এটি মাউশির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ।
সম্মেলনে ‘আজমতগীর-জাফর’ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর বলেন, আমরা বিভিন্ন স্থানে বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। তবে সব বাধা এগিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
আরও পড়ুন: বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ৮৪ জনকে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
মহাসচিব প্রার্থী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাফর আলী বলেন, শিক্ষা ক্যাডার আজ পেশাগত ও সাংগঠনিক সমস্যায় জর্জিরিত। চরম হতাশায় রয়েছে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা।
তিনি বলেন, ক্ষুদ্র গোষ্ঠী স্বার্থে সংগঠনকে কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। এই গোষ্ঠীর হাত থেকে সংগঠনকে মুক্ত করতে চাই।
ঢাকা মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক প্রার্থী পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার বলেন, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা প্রার্থী যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা দেখেই নির্বাচিত করবেন।
এই প্যানেলের ইশতেহারের মধ্যে আছে, শিক্ষা ক্যাডারের সমস্যা সমাধানে সবার মতামতের উপর ভিত্তি করে অগ্রাধিকার বিবেচনায় ১০০ দিনের কর্মসূচি প্রণয়ন। ২০১৫ সালের পে-স্কেল আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত কোর কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পদ আপগ্রেডেশন ও পদ সৃষ্টির জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা। যথাসময়ে পদোন্নতি নিশ্চিত করতে ১৯৮৭ সালের সমীক্ষা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পদ সৃষ্টির ব্যবস্থা করা। পদোন্নতির শর্ত পূরণকারী সব সদস্যের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে দ্রুত পদোন্নতির ব্যবস্থা নেয়া।
আরও পড়ুন: ৪২তম বিশেষ বিসিএস: ৪ হাজার চিকিৎসককে নিয়োগের সুপারিশ
১৯ মার্চই ৪১তম বিসিএস পরীক্ষা, রিট খারিজ
শিল্পী সমিতির নির্বাচন শেষে ভোট গণনা চলছে
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিকী নির্বাচন বিএফডিসিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে, এখন চলছে ভোট গণনার কার্যক্রম।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএফডিসি প্রাঙ্গণ তারকাদের মিলমেলায় পরিণত হয়। এবারে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে ইলিয়াস কাঞ্চন—নিপুণ ও মিশা—জায়েদ প্যানেল। দুই প্যানেলে যোগ দিয়েছেন অনেক নতুন তারকা। ২১টি পদে লড়ছেন ৪৮ জন প্রার্থী। আর ৪২৮ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন।
সুনামগঞ্জে লেগুনা মালিক সমিতির উদ্যোগে সড়ক সংস্কার
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার কান্দাপাড়া-জয়শ্রী সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করেছে স্থানীয় লেগুনা মালিক সমিতি। সপ্তাহখানেক ধরে সমিতির লোকজন নিজস্ব অর্থায়নে সড়কের সংস্কার কাজ করছে।
আগামী কিছু দিনের মধ্যে ধর্মপাশা থেকে জয়শ্রী পর্যন্ত লেগুনা চলাচল শুরু হবে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে রুরাল ট্রান্সপোর্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (আরটিআইপি) প্রকল্পের আওতায় ২০০৭ সালে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ কিলোমিটার ও পরবর্তীতে ১৩ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫.১ কিলোমিটার সড়কের কাজ করা হয়।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে আঞ্জু হত্যা: ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল
নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করায় এ সড়কের কান্দাপাড়া থেকে জয়শ্রী পর্যন্ত সাত কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় চার কিলোমিটারই পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়েছে। ফলে জয়শ্রী ইউনিয়নবাসীসহ সুখাইড় রাজাপুর উত্তর, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও সুনামগঞ্জগামী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কান্দাপাড়া থেকে জয়শ্রী বাজার পর্যন্ত সড়কের মাটি হাওরে বিলীন হয়ে গেছে। ব্লকগুলো এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। সড়কের চারটির সেতুর উভয়পাশ থেকে মাটি সরে গেছে। জয়শ্রী বাজার সংলগ্ন সেতুটি পুরোপুরি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে কান্দাপাড়া ঢালা ও তার অদূরে পূর্ব দিকের সেতুর উভয়পাশে মাটি ফেলে কোনো রকমে চলাচলের ব্যবস্থা করে যাচ্ছে লেগুনা মালিক সমিতি।
লেগুনা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বলেন, ‘বিকল্প সড়ক না থাকায় প্রত্যেক বছরই নিজস্ব অর্থায়নে আমরা সড়ক সংস্কার কাজ করে লেগুনা চালাই। সড়কটির বেহাল দশার কারণে বৈশাখে কৃষকেরা ধান বাজারজাত করতে পারেনা। আমরা দুইবার সড়ক সংস্কারের জন্য সরকারি টাকা পেয়েছি। আমাদের লেগুনা চালানোর স্বার্থে লাখ টাকার ওপরে খরচ করে সড়কটি সংস্কার করতে হয়। সড়কটি সংস্কার করতে ২০-২৫ দিন সময় লাগে। আমরা সরকারি সহযোগিতা কামনা করি।’
এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. আরিফ উল্লাহ খান বলেন, ‘এ সড়ক মেরামতের জন্য প্রাক্কলন পাঠানো হয়েছে। লেগুনা মালিক সমিতি প্রতি বছরই সড়কে কাজ করে। আমাদের কাছে তারা সাহায্য চেয়েছে। কাজের মান ভালো হলে আমরা বিষয়টি দেখবো।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ বন্ধু নিহত
চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে বাস ধর্মঘট
মাংস সমিতি: সীমিত আয়ের মানুষের ঈদ আনন্দ
১২ বছর আগে ছোট ছোট দুয়েকটি সমিতি গঠনের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলায় মাংস সমিতি উদ্যোগটির উদ্ভাবনা। ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে সারা বছর ধরে নিজেদের জমানো টাকায় পশু কিনে মাংস ভাগাভাগি করে নেন এই সমিতির সদস্যরা। গ্রামের কতক সীমিত আয়ের মানুষ একত্রিত হয়ে গঠন করেন এই সমিতি। উদ্দেশ্য- নিজেদের ঈদ উদযাপনে কিছুটা বাড়তি আনন্দ যোগ করা।
বিগত বছরগুলোতে উদ্দেশ্যটি যথাযথ ভাবেই সুনিশ্চিত করে আসছে এই সমিতি।
মাংস সমিতি থেকে সদস্যরা যে সুবিধা পাচ্ছেন
গ্রাম পর্যায়ে এ ধরণের ছোট ছোট সমিতির কারণে গ্রামবাসীদেরকে ঈদের সময় বাজার থেকে মাংস ক্রয় করতে হয় না। কোন কোন সমিতিতে সপ্তাহে আবার কোথাও প্রতি মাসে তারা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা সমিতির ভারপ্রাপ্ত একজনের নিকট জমা করেন। অতঃপর বছর শেষে সবার জমানো টাকা থেকে একটি পশু কেনা হয়। তারপর সেই পশু জবাই দিয়ে সমিতির সদস্যদের মাঝে বন্টনের মাধ্যমে শেষ হয় এর কার্যক্রম। এ থেকে একটি পরিবারের জন্য যথেষ্ঠ মাংসের যোগান হয়, যা ঈদের বাজার থেকে কিনতে গেলে অনেক বেশী খরচ হোতো।
আরও পড়ুন: খুলনা বিভাগে ঈদের পরে বেড়েছে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত
সাধারণত ঈদের মৌসুমে নতুন জামা-কাপড়, সেমাই সহ নিত্য খাবার কেনার পর খেটে খাওয়া মানুষগুলোর মাংস কেনার অবস্থা থাকে না। মাংস সমিতি করার ফলে তারা প্রতি মাসে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে ঈদের সময় ৬ থেকে ৮ কেজি মাংস পাচ্ছেন। এই পরিমাণের মধ্যে নিজেরা আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে খাওয়ার পরেও অতিথিদেরকে আপ্যায়ন করাতে পারছেন।
প্রতি মাসের রোজগার থেকে কিছু টাকা আলাদা করে সমিতিতে জমা করতে তাদের কষ্ট কম হয়। উপরন্তু ঈদের আগের দিন সবাই মিলে নিজেদের পছন্দ মত পশু কিনতে পারেন।
পুরুষদের পাশাপাশি এ ধরণের সমিতিগুলোতে মহিলারাও অংশ নিচ্ছেন। ফলশ্রুতিতে ঈদের সময় পরিবারগুলো মুক্তি পাচ্ছে আর্থিক চাপ থেকে। সংসারের খরচে বজায় থাকছে সমতা। আর মাংসের চাহিদা পূরণের সাথে সাথে আত্মীয়স্বজন নিয়ে ঈদ পালনে যুক্ত হচ্ছে বাড়তি আনন্দ।
দেশ জুড়ে মাংস সমিতির জনপ্রিয়তা
প্রথম দিকে দুয়েকটি করে শুরু হলেও এখন এ ধরণের সমিতির সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। কসাই ও পেশাদার মাংস বিক্রেতাদের মাধ্যমে সূত্রপাত ঘটলেও এখন সব ধরণের পেশাজীবী মানুষেরা মাংস সমিতি গঠন করছেন। শুধু তাই নয়, স্বল্প আয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গন্ডি পেরিয়ে এ ধরণের সমিতি এখন ছড়িয়ে পড়েছে শহরাঞ্চলের স্বচ্ছল মহলগুলোতেও।
আরও পড়ুন: করোনার চেয়ে শক্তিশালী ঈদযাত্রায় সড়কে ঝরলো ৩২৩ প্রাণ
রাজশাহীর বাঘা, টাঙ্গাইলের সখীপুর, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভাগুলোতে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে মাংস সমিতির কার্যক্রম। প্রথম দিকে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ জন সদস্য নিয়ে গড়ে উঠতো এ ধরণের সমিতি। কিন্তু এখন তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৫০ থেকে ৬০ জন। এমনকি এখনো প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে সদস্য সংখ্যা।
রাজশাহীর কুশাবাড়িয়া, হামিদকুড়া, জতরঘু, গোচর; শুধু এই চার গ্রামেই মাংস সমিতির সংখ্যা ৫০ এর বেশী। ঈদের আগের দিন এখানে জবাই হয় ৩৮ টি গরু ও দুই শতাধিক ছাগল। টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভায় চলতি বছর মাংস সমিতির সংখ্যা হাজার খানেক ছাড়িয়েছে। নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারে ৩১৬ টি গ্রামে সমিতি সংখ্যা দাড়িয়েছে সর্বমোট এক হাজারেরও বেশী।
আরও পড়ুন: ঈদে করোনামুক্তি ও ফিলিস্তিনে শান্তির জন্য তথ্যমন্ত্রীর প্রার্থনা
এলাকাগুলোতে ধনী গরিব নির্বিশেষে সবাই এখন এ সমিতির সদস্য। একসাথে অনেক লোকের অংশগ্রহণের দরুণ পশু কেনা থেকে শুরু করে ভাগ বাটোয়ারা সব কিছু সহজতর হয়। তাছাড়া এ ঐক্য ঈদের আনন্দ আরও দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়।
পশু ভাগাভাগির পর পশুর চামড়া বিক্রির টাকা জমা হয় সমিতির ফান্ডে, যা পরবর্তীতে ব্যয় হয় সমিতির কার্যক্রম পরিচালনায়।
পরিশেষ
একের চেয়ে সমষ্টিগত প্রচেষ্টার সুফলের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই মাংস সমিতি। উদ্দেশ্য শুধু ঈদ আনন্দ হলেও এ কাজের মাধ্যমে বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষের একসাথে কাজ করার প্রবণতা, পুরণ হচ্ছে নিম্নবিত্তদের মাংসের চাহিদা এবং সংসারে বজায় থাকছে ভারসাম্য।