ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
নাটোরে বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
নাটোরে বন্ধুর হাসুয়ার আঘাতে শাওন আহমেদ (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের মল্লিকহাটী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শাওন একই এলাকার মো. দেলুর ছেলে।অভিযুক্রে নাম আলিফ।
আরও পড়ুন:চোর সন্দেহে ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা
এলাকাবাসী জানায়,পূর্ব বিরোধের জের ধরে সকালে ওই এলাকার একটি চা-দোকানে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে দুই বন্ধু শাওন ও আলিফ। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আলিফ হাসুয়া দিয়ে শাওনকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। সেখানে থাকা লোকজন শাওনকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে শাওনের মৃত্যু হয়।
নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানিয়েছেন,অভিযুক্ত আলিফকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন:জিয়া মারা না গেলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি হতেন: আইনমন্ত্রী
পাবনায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
মাগুরায় ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জ দিতে গিয়ে একজনের মৃত্যু, আহত ২
মাগুরা সদরের বাটিকাডাঙ্গা গ্রামে আসাদুজ্জামান আসাদ (৩০) নামে এক ইজিবাইক চালকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার মা আলেয়া বেগম (৫০) আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আসাদের মৃত্যু হয়।
নিহত আসাদ বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের তৈয়েবুর রহমানের ছেলে।
এলাকাবাসী ও হাসাপাতাল সূত্রে জানা যায় , শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আসাদ বাড়িতে ইজিবাইক চার্জ দিতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ সময় তার মা আলেয়া বেগম বাঁচাতে গেলে তিনিও
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে আসাদের মৃত্যু হয়। তবে তার মা এখন শঙ্কামুক্ত।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, বাটিকাডাঙ্গা গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ইজিবাইক চালকের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে মাগুরা সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৪
ইজিবাইকের ধাক্কায় চুয়াডাঙ্গায় বৃদ্ধা নিহত
বাড্ডায় তিন ভাইকে ছুরিকাঘাত, নিহত ১
রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ছুরিকাঘাতে এক দোকানদার নিহত হয়েছেন। এসময় তার দুই ভাই আহত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় ইফতারের আগে সাতারকোল রোডে এ ঘটনা ঘটে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের নাম সাইফুল ইসলাম (২৫) এবং আহত দুইজন নিহতের ভাই বাবু (১৮) ও সাবু (১৪) নামে পরিচিত। তারা বরিশাল জেলার সদর উপজেলার বাসিন্দা খালেক হাওলাদারের ছেলে। নিহত সাইফুল পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে দ্বিতীয়।
নিহতের ছোট ভাই রাসেল জানান, তার ভাই সাইফুল ইসলাম দুই ভাইদের নিয়ে সাতারকোল রোডে দোকান চালান।
তিনি বলেন, ‘আমার ভাইদের সঙ্গে তাদের দোকানের পাশের দোকানদার সামিউল, তার ভাই খায়রুল এবং তাদের বাবা জুয়েলের সঙ্গে একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তারা আমার তিন ভাই সাইফুল ইসলাম, বাবু ও সাবুকে ছুরিকাঘাত করে। তাদের দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সাইফুলকে মৃত ঘোষণা করা হয়। অপর দুই ভাইকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ইউএনবিকে বলেন, সন্ধ্যায় বর্জ্য ফেলাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ভিকটিম ও তার দুই ভাইকে অন্য দোকানের মালিকরা ছুরিকাঘাত করে বলে অভিযোগ।
ওসি বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আমরা ইতোমধ্যে সামিউল, খায়রুল ও তার বাবা জুয়েলকে গ্রেপ্তার করেছি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
রাজধানীতে ‘ছুরিকাঘাতে’ দন্ত চিকিৎসক নিহত
ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে কলেজ ছাত্র নিহত
ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে ফজলে রাব্বি (২১) নামের এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছেন। রবিবার বেলা ১২ টার দিকে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বাগানবাড়ি হাট নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাব্বি পীরগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের করনা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে এবং তিনি পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্র ।
সূত্র জানায়, রবিবার সকালে ফজলে রাব্বি করোনার টিকা নিতে বাড়ি থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান। টিকা নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ফেরার পথে বাগানবাড়ি হাটে পৌঁছালে বজ্রাঘাতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এসময় আশেপাশে থাকা লোকজন তাকে রাস্তা থেকে দ্রুত উদ্ধার করে পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বজ্রাঘাতে নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে ৩ বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য সতর্ক হোন
রাজবাড়ীতে মাহেন্দ্র-ট্রাকের সংঘর্ষ, নিহত ৩
রাজবাড়ীতে মাহেন্দ্র ও ট্রাকের সংঘর্ষে মাহেন্দ্রের চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে রাজবাড়ী-ফরিদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের জেলা সদরের আলীপুর ইউনিয়নের কল্যাণপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মাহেন্দ্রের চালক ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের নবুওসিউদ্দিন পাড়ার আব্দুর রশিদ শেখের ছেলে সুজন (৩৫), সদর উপজেলার হরিহরপুর গ্রামের জিলাল প্রামাণিকের ছেলে মমিন প্রামাণিক (২৪) এবং ফরিদপুর জেলার মধুখালি উপজেলার কামালদিয়া গ্রামের জালাল শেখের ছেলে সাইফুল শেখ (২০)।
রাজবাড়ী আহল্লাদীপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, দুর্ঘটনায় মাহেন্দ্রের চালকসহ অপর দুই জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় ট্রাককে আটক করা সম্ভব হলেও চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরা হলো না তার!
রাজবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের নিহত ৩
গাজীপুরে পরিত্যক্ত বাড়িতে মিললো কিশোরের লাশ
গাজীপুরের কালীগঞ্জে অজ্ঞাত এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে কালীগঞ্জ পৌরসভার বালীগাঁও এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ওই কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান জানান, আনুমানিক ১৩ বছর বয়সী কিশোরের লাশের কপালে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার পড়নে হালকা কফি কালারের প্যান্ট ও গাঢ় সবুজ রঙের হাফ হাতা গেঞ্জি ছিল। নিহতের পরিচয় সনাক্ত হলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। অন্যথায় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হবে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, পরিত্যক্ত ওই বাড়ির বেদ্যুতিক মিটার স্থানান্তর করতে যায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। এ সময় দুর্গন্ধ পেয়ে ইলেকট্রিশিয়ান একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে বাড়ির মালিক স্থানীয় রড ব্যবসায়ী আইয়ুব হোসেনকে জানালে তিনি পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
আর পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
গাজীপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
পাওনা টাকা চাওয়ায় লালমনিরহাটে নারীকে পিটিয়ে হত্যা
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে পাওনা টাকা চাওয়ায় রহিমা বেগম (৫৫) নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের দুরারকুটি কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রহিমা বেগম ওই গ্রামের আব্দুল মান্নানের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দুরারকুটি কলোনি এলাকার আব্দুল গণির ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩০) বাড়ির পাশে একটি গালামালের দোকান করতেন। সেই দোকানে মালামাল কেনার সময় প্রতিবেশী নারী রহিমা বেগমের কাছ থেকে কিছুদিনের জন্য ৭০ হাজার টাকা ঋণ নেন। কিন্তু সেই টাকা পরিশোধ করতে দেরি করেন সাইফুল। টাকার জন্য চাপ দিলে উল্টো রহিমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেন সাইফুল। পুলিশ সেই মামলার তদন্তে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে সাইফুলের দোকানে গিয়ে মামলার করার কারণ ও পাওনা টাকা চাইলে রহিমার ওপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। একপর্যায়ে দোকানে থাকা লাঠি দিয়ে রহিমাকে বেধম মারধর করেন সাইফুল। পরে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রহিমাকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে পানিতে ডুবে দুই কিশোরের মৃত্যু
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
ভোলায় ধান কাটা নিয়ে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১
ভোলায় ধানকাটাকে কেন্দ্র করে মো. রুহুল আমিন বেপারী (৫৭) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, নিহত মো. রুহুল আমিন বেপারীর সাথে তার আত্মীয় (বেয়াই ) কাসেমের চৌকিদারের আগে থেকে বিরোধ ছিল। বর্তমানে ওই জমি রুহুল আমিনের ভোগ দখলে। দুপুরের দিকে বাড়ি থেকে ভাত নিয়ে খেতে যাচ্ছিল রুহুল আমিন। পথে ধান খেতের মধ্যেই রুহুল আমিনের ওপর কাশেম, তার স্ত্রী জরিনা বেগম, দুই ছেলে নোমান ও আলামিন হামলা চালায়। তারা রুহুল আমিনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। চিৎকার শুনে পরে স্থানীয় ও স্বজনরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ভোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, জমির নিয়ে বিরোধের জেরে কৃষক মো. রুহুল আমিন বেপারী নিহত হয়েছে। তারা খবর পেয়ে ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফরিদ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাশেমের স্ত্রী জরিনা বেগমকে আটক করেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলের ভোলা জেলা শাখার সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম জানান, নিহত কৃষক মো. রুহুল আমিন বেপারী রাজাপুর ইউনিয়ন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি। এ ঘটনায় দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বুধবার সকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভোলা শহরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মামলার সাক্ষী হওয়ায় চাচাকে কুপিয়ে হত্যা!
ইউপি নির্বাচন: নবীনগরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা
বিশ্বনাথে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
বারহাট্টায় সৎ ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ছোট ভাই খুন
নেত্রকোণার বারহাট্টায় জমিতে সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে সৎ বড় ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ছোট ভাই খুন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পলাশ মিয়া (৩০) মারা যাওয়ার পর পরই অভিযুক্ত বড় ভাই আলামিন মিয়া (৪০) বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। তারা ওই উপজেলার গোড়াউন্দ গ্রামের রব মিয়া ছেলে।
নিহত পলাশের ছোট ভাই মো. পিতাস বলেন, আমার বড় ভাই পলাশ মিয়া ও সৎ বড় ভাই আলামিন মিয়াসহ আমরা শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ির উঠানে আলোচনা করছিলাম জমিতে সেচ দেয়ার বিষয়ে। আলোচনার এক পর্যায়ে আলামিন উত্তেজিত হয়ে আমার ভাই পলাশকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারাত্মক আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত সাড়ে ১১টার সময় পলাশ মারা যায়।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: জমি সংক্রান্ত বিরোধে চাচার হাতে ভাতিজা খুনের অভিযোগ
জমি নিয়ে বিরোধ: পাবনা, খুলনা ও ভোলায় নিহত ৪
অঝরে কাঁদলেন ওসি প্রদীপ!
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ৭ম দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অঝরে কাঁদলেন মামলার ২নং আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ। সিনহা হত্যাকান্ডের ১৫ মাস পর এই প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে কান্নারত অবস্থায় তাকে দেখা গেলো।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টায় আদালত কার্যক্রম শেষে এজলাস থেকে বের করে পুলিশের প্রিজনভ্যানে তোলার সময় কাঁদলেন তিনি। এসময় হাতকড়া পরানো প্রদীপের দুই পাশে ছিলেন কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর উল গীয়াস ও পরিদর্শক হাফিজুর রহমান।
এর আগে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালতে আনা-নেয়ার সময় এভাবে প্রকাশ্যে কখনো কাঁদেননি ওসি প্রদীপ। সপ্তম ধাপের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে কেন কাঁদলেন তিনি এটা জানার আগ্রহ জনে জনে।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা: ৩ আসামির জামিন আবেদন খারিজ
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, 'মেজর অব. সিনহা হত্যা মামলার আসামি ওসি প্রদীপ হয়তো বুঝতে পেরেছেন শিগগিরই তার অপরাধের শাস্তি পেতে যাচ্ছেন। তিনি যে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তাকে হত্যা করে অপরাধ করেছেন সেই অনুশোচনা তার মধ্যে কাজ করছে। এবং তার অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত নিশ্চিত হবে ভেবেও হয়তো কেঁদেছেন।
এদিকে এ মামলার ৭ম দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ২৯-৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইলের আদালত।
৬৫তম সাক্ষী ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর তৎকালীন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলামের জেরা অসমাপ্ত রেখে ৭ম ধাপের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষের দিন আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশ প্রিজনভ্যানে তোলার সময় কাঁদেন ওসি প্রদীপ।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মেরিনড্রাইভ চেক পোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা: তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ