বৃদ্ধি
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করায় ট্রাকের অনলাইন স্লট বুকিং নিচ্ছে না ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কারণে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দেশের ব্যবসায়ীরা।
এদিকে সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি আলু ও পেঁয়াজবাহী ট্রাক। শুধুমাত্র আগের অনলাইন স্লট বুকিং থাকায় সকালে আলুবাহী একটি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে।
এছাড়া অনলাইন স্লট বুকিং বন্ধ থাকায় রবিবার সন্ধ্যা থেকে বন্দরের মোকামে কেজিতে ৮-১০ টাকা বেড়ে ৬৪-৬৫ টাকায় পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় আলু। গত শনিবার একই মানের আলু প্রতি কেজি ৫৪-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়। তবে সোমবার পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বাংলাদেশে রপ্তানির অপেক্ষায় প্রায় ৫০-৬০টির মতো আলু ও পেঁয়াজবাহী ট্রাক ভারতের অভ্যন্তরে আটকা পড়েছে। অনলাইন স্লট বুকিং বন্ধ থাকার কারণে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো বাংলাদেশে যেতে পারছে না।
ভারতের হিলির রপ্তানিকারক পাপ্পু আগরওয়াল বলেন, ‘ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার রবিবার সকাল থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি না করার জন্য আলু ও পেঁয়াজবাহী ট্রাকের অনলাইন স্লট বুকিং বন্ধ রাখে। সোমবার অনলাইনে এই দুটি পণ্যবাহী ট্রাকের স্লট বুকিং দেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সার্ভারে ঢোকা যায়নি। আলু ও পেঁয়াজের রপ্তানি স্বাভাবিক রাখতে আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে আবেদনের উদ্যোগ নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: খেজুর আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে মালদা ও বালুঘাট জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মিটিংয়ের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। আগে যেসব আলু ও পেঁয়াজবাহী ট্রাকের স্লট বুকিং নেওয়া হয়েছিল, শুধুমাত্র সেসব ট্রাক গত রবিবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই মুহূর্তে আলু ও পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হলে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি। আমাদের অনেক এলসি করা আছে। আমাদের আলু ও পেঁয়াজ আমদানি করতে সুযোগ দেওয়া হোক। না হলে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব।’
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, ‘দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে আমদানিকারকরা আলু ও পেঁয়াজের আমদানি করছেন। এই দুটি পণ্য বন্দরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে আমরা খালাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি। যাতে আমদানিকারকরা পণ্যগুলো সঠিক সময়ে গন্তব্যে নিতে পারেন। তবে রবিবার শুনেছি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই দুটি পণ্যের রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরকে না জানিয়ে সেখান থেকে অন্য রাজ্যে এবং বাংলাদেশে আলু ও পেঁয়াজ রপ্তানি করা হচ্ছিল। ফলে সেখানে আলুসহ পেঁয়াজের দাম হু হু করে বাড়ছে। এমন অভিযোগ তুলে ধরে গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে আলু ও পেঁয়াজের রপ্তানি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেই বার্তার পরই শুক্রবার (২২ নভেম্বর) নবান্নে বৈঠকে বসে টাস্কফোর্স কমিটি। মুখ্য সচিবের সঙ্গে টাস্কফোর্সের এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ভিন্ন রাজ্যসহ বাংলাদেশে আপাতত আলু ও পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
বিভিন্ন সূত্রে আরও জানা গেছে, হিলি ছাড়াও আরও ৪টি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে যেকোন পণ্য রপ্তানি করার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহন দপ্তর থেকে পণ্যবাহী ট্রাকের জন্য অনলাইনে স্লট বুকিং দিয়ে সিরিয়াল নিতে হয়। সে অনুযায়ী রপ্তানি করা পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে। কিন্তু গত রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রপ্তানি করা আলু ও পেঁয়াজবাহী ট্রাকের স্লট বুকিং বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আমনের ফসলহানীতে সৃষ্ট ঘাটতি ঠেকাতে চাল আমদানি করা হচ্ছে: খাদ্য উপদেষ্টা
৩ সপ্তাহ আগে
কুড়িগ্রামে কমছে তাপমাত্রা, বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতের তীব্রতা
কুড়িগ্রামে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে থাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এ অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছেন এ অঞ্চলের শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষজন। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকছে বিস্তীর্ণ এলাকা। শীত ও ঘনকুয়াশার কারণে বিভিন্ন রুটে যানবাহনগুলো বিলম্বে যাতায়াত করছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত কুয়াশার কারণে সকাল ৯টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। পরে দিনের বেলা তাপমাত্রার কিছুটা বৃদ্ধি পায়। তবে মধ্যরাত থেকে শীতের তীব্রতা অনুভূত হতে থাকে।
শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সর্দি,জ্বর,শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা কমেছে, শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাঠের পাড় এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ‘দুইদিন থেকে শীত ও ঠান্ডা অনেকটা বাড়ছে। সারারাত বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে কুয়াশা। ঠান্ডা ও শীতের কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।’
ওই ইউনিয়নের রিকশা চালক রহমত বলেন, ‘সকালে যখন গাড়ি চালাই, তখন কুয়াশার কারণে রাস্তা দেখা যায় না। লাইট জ্বালিয়ে চালাতে হয়। এখনি যে কুয়াশা, কয়দিন পরে কি হবে।’
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘বর্তমানে শীতের সঙ্গে ঠান্ডার প্রকোপ কম থাকলেও আগামী সপ্তাহে হিমেল হাওয়া শুরু হতে পারে তখন আরও নিম্নগামী হতে পারে জেলার তাপমাত্রা।’
আরও পড়ুন: কম খরচে শীতকালীন ফসলের জাতভেদে ফলন বাড়ানো সম্ভব: বাকৃবি অধ্যাপক হারুন
৪ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশ ও মরোক্কোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি-সংক্রান্ত ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্প্রসারণসংক্রান্ত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে একটি ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।
মরোক্কোয় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে বাংলাদেশ ও মরোক্কোর ব্যবসায়িক নেতাদের মধ্যে এ ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট আশরাফ আহমেদ, এফবিসিসিআই সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আমিন হেলালী।
আরও পড়ুন: দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে যুক্তরাষ্ট্রের ‘নীতি সহায়তা’ চায় বাংলাদেশ
স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন মরোক্কোর রাবাত-সালেহ-কেনিত্রা অঞ্চলের চেম্বারের প্রেসিডেন্ট হাসান সাকি।
ওয়েবিনারে দুই পক্ষের তরফ থেকে বাংলাদেশ ও মরোক্কোয় ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধাসমূহের উপর আলোকপাত করে দুটি প্রেজেন্টেশন করা হয়। এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সেক্রেটারি জেনারেল মো. আলমগির বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য-বিনিয়োগের সুযোগ-সংক্রান্ত বিশদ তথ্যাবলী উপস্থাপন করেন।
এ ছাড়াও বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্প্রদায় থেকে তৈরি পোশাক, পাট, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক শিল্পের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
মরোক্কোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হারুন আল রশিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই ওয়েবিনারে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য-পর্যটন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কতগুলো পদক্ষেপের বিষয় আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দল বিনিময়, বাণিজ্য মেলার আয়োজন, দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি।
রাষ্ট্রদূত হারুন আল রশিদ বলেন, তার মিশন দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করছে। দুই দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি-সংক্রান্ত দূতাবাসের উদ্যোগসমূহ সফল করার লক্ষ্যে এগিয়ে আসার জন্য তিনি দুই দেশের ব্যাবসায়িক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
ওয়েবিনারটি সফল করার জন্য রাষ্ট্রদূত এফবিসিসিআই ও রাবাত চেম্বারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ দেন। গৃ
হীত প্রক্রিয়াটি যাতে অব্যাহত থাকে সে ব্যাপারেও তিনি সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে সম্মত বাংলাদেশ-মেক্সিকো
৫ মাস আগে
শিক্ষার্থীদের কর্মযোগ্যতা বৃদ্ধির আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কর্মযোগ্যতা বৃদ্ধিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে উপাচার্যদের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শিক্ষামন্ত্রী উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এ আহ্বান জানান।
৪৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্মরণশক্তিকে মেধা বলার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে শিক্ষা ও গবেষণা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা কর্মযোগ্যতায় অন্যান্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিষয়ভিক্তিক জ্ঞানের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সরাসরি সংযোগ ঘটাতে হবে, তাদের কর্মক্ষেত্রের উপযোগী শিক্ষা দিতে হবে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার সেন্টারের মাধ্যমে বেসিক ডিজিটাল লিটারেসি, প্রয়োজনীয় সফট স্কিলস, ভাষা শিক্ষা ও যোগাযোগে দক্ষ করার আহ্বান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নব প্রতিষ্ঠিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে জেলার সরকারি কলেজগুলোকে অধিভুক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর পরামর্শ দেন এবং এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অবকাঠামো ও নতুন বিভাগ না খোলারও পরামর্শ দেন।
অধিভুক্ত কলেজের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য একাডেমিক মনিটরিংসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা অবকাঠামো গড়ে তোলারও আহ্বান জানান।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে কারিকুলামে বৈচিত্র্য নিয়ে আসা, শিক্ষকদের দিয়ে একাডেমিক মাস্টার প্ল্যান তৈরি, ল্যাব ও অবকাঠামো সুবিধা বিনিময় করা, গবেষণার ফলাফল বাধ্যতামূলকভাবে প্রকাশের ব্যবস্থা এবং নিজস্ব র্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করার পরামর্শ দেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক ড. হাসিনা খান, অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন, সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার ও সফলভাবে এপিএ বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গিয়াস উদ্দীন মিয়া।
আরও পড়ুন: এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের পারস্পরিক বদলিতে সমস্যা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ২৯ জুন থেকে ১১ আগস্ট বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার: শিক্ষামন্ত্রী
৫ মাস আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক-বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে প্রত্যেক দেশই আগ্রহী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশই বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক এগিয়ে নিতে এবং অনেকেই বিনিয়োগ বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, কয়েকটি দেশ আমাদের দক্ষ জনশক্তি আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আফ্রিকায় কৃষি খাতেও এই সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে, বিবৃতি নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ১৪টি দেশের অনাবাসী রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অনাবাসী রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সঙ্গে সাক্ষাত প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, তারা প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। কেউ কেউ ১০ বছর আগে এখানে এসেছিল, দুই-একজন বলেছেন তিনি ১২ বছর আগে এখানে এসেছিলেন আবার ২০২০ সালেও এসেছিলেন।
তারা বলেন, আগের এবং আজকের মধ্যে অনেক পার্থক্য, বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে।
বোতসোয়ানা, কম্বোডিয়া, চেক রিপাবলিক, গাম্বিয়া, হাঙ্গেরি, জ্যামাইকা, লুক্সেমবার্গ, মঙ্গোলিয়া, নর্থ মেসিডোনিয়া, পেরু, স্লোভাক রিপাবলিক, স্লোভেনিয়া, উরুগুয়ে ও ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎ শেষে তাদের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি ও আর্থিক খাতের সংস্কারে কঠোর পদক্ষেপ নিন: রাষ্ট্রপতি
সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাত-
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে আসেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে ও বিমসটেক মহাসচিব ইন্দ্র মনি পান্ডে।
রাষ্ট্রদূত লিন্ডের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান সবুজ শক্তি ও বর্জ্য থেকে শক্তি আহরণে সহযোগিতা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে সুইডেনের সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনায় মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে জানান, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান।
সুইডেন এ বিষয়ে সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানায়।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ায় ড. হাছান মাহমুদকে দেওয়া সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দনপত্রটি মন্ত্রীকে হস্তান্তর করেন আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে। ১৯৯৭ সালে গঠিত বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড এই সাত দেশের আঞ্চলিক সহযোগিতা সংগঠন বে অভ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকনোমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) নতুন সেক্রেটারি জেনারেল ইন্দ্র মনি পান্ডের সঙ্গে বৈঠকে বহুপাক্ষিক আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রসার নিয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান।
ঢাকায় বিমসটেক সচিবালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ, আঞ্চলিক পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা, যোগাযোগ অবকাঠামোসহ নানা বিষয়ের পাশাপাশি চলতি বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকও আলোচনায় স্থান পায়।
আরও পড়ুন: কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ আইনমন্ত্রীর
১০ মাস আগে
সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
সারাদেশে দাম বৃদ্ধি নিয়ে অস্থিরতার মধ্যে সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আবু সালেহ মো. হুমায়ূন কবির।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় নগরীর সবচেয়ে বড় পাইকারি আড়ত কালীঘাটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পুকুরে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
সোমবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক করা হয়। বৈঠকে পুলিশ প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ব্যবসায়ীদের বিকেলের মধ্যে সহনীয় ও যৌক্তিক পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে জেলা প্রশাসনকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সিলেটে পাইকারি বাজারে দেশি (মুড়িকাটা) পেঁয়াজ ১২০ ও এলসি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা করে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান হুমায়ূন কবির।
বৈঠকে অতিরিক্ত দামে সিলেটে পেঁয়াজ বিক্রি না করতে কঠোরভাবে নির্দেশ দেন সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান। পাশাপাশি নির্দেশনা অমান্য করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।সিলেটের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আবু সালেহ মো. হুমায়ূন কবির বলেন, আমরা বাজার মনিটরিংয়ে আছি। দুপুরের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে দাম নির্ধারণ করেছেন। কালীঘাটে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে পাইকারি বাজারে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১২০, এলসি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা করে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়াও আমরা এখানে অবস্থান করে এই দামে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করিয়েছি।
আরও পড়ুন: বিনা কর্তনে চলছে ‘অ্যানিমেল’, আটকে আছে ‘কাঠগোলাপ’
চরকির পর্দায় যৌথ প্রযোজনার ‘দম’
১ বছর আগে
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধি
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. তফিকুল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, ২০২৪ সালের হজযাত্রীদের চূড়ান্ত তালিকা আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত হজযাত্রীর সংখ্যা পাওয়া না গেলে মিনায় সুবিধাজনক স্থানে তাবু পাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে মিনায় জামারাহ’র তুলনামূলক দূরবর্তী এলাকায় তাবু নিতে হবে। এমন পরিস্থিতি এড়াতে নিবন্ধন সময়সীমা বাড়ানো হলো। তবে এরপর আর সময় বাড়ানো হবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীরা হজের নিবন্ধন করতে পারবেন। সরকারি মাধ্যম ও এজেন্সির জন্য নির্ধারিত কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারি মাধ্যমে সব প্যাকেজে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা সোনালী ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করা যাবে।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর নির্দেশ সরকারের
প্যাকেজ মূল্যের অবশিষ্ট টাকা ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখের মধ্যে আবশ্যিকভাবে একই ব্যাংকে জমা দিতে হবে। প্রাথমিক নিবন্ধনের পর অবশিষ্ট টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে ব্যর্থ হলে তিনি হজে যেতে পারবেন না এবং প্রদত্ত টাকা মক্কা-মদিনায় বাড়ি ভাড়া ও মোয়াল্লেম ফি বাবদ ব্যয় হবে। তাই টাকা ফেরত দেওয়া হবে না।
হজযাত্রীর নিবন্ধনের ক্রম অনুসারে সরকারি মাধ্যমে ভাড়া করা বাড়ির মধ্যে হারাম শরিফ থেকে অপেক্ষাকৃত কাছের বাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রাথমিক নিবন্ধনের অর্থ জমা দেওয়ার পর প্যাকেজ পরিবর্তনের কোনো সুযোগ থাকবে না। সরকারি মাধ্যমে সাধারণ হজ প্যাকেজে ট্রেন ব্যতীত নিবন্ধনের অপশন বাতিল করা হলো।
এছাড়া, বিমান ভাড়া ও সৌদি আরবের ব্যয় বাবদ ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে বেসরকারি এজেন্সিতে প্রাথমিক নিবন্ধন করা যাবে। হজ এজেন্সির মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধন ফি ১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ থেকে ৩০ হাজার ৭৫২ টাকার পরিবর্তে ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
হজ এজেন্সির নির্ধারিত ব্যাংক হিসাব ব্যতীত প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনের টাকা কোনো ব্যক্তির কাছে নগদ দেওয়া যাবে না এবং হজ এজেন্সিও নগদ অর্থ গ্রহণ করতে পারবে না। হজ কার্যক্রমের সব সেবা ও প্যাকেজ মূল্য বিস্তারিত উল্লেখ করে হজযাত্রী ও এজেন্সির মধ্যে লিখিত চুক্তি সম্পাদন কর হবে। এর ব্যত্যয় হলে কোনো পক্ষের অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, হজে যাওয়ার শর্তাবলী, করণীয় ও হজযাত্রীর সুযোগ-সুবিধা ‘হজ প্যাকেজ ২০২৪’থেকে বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে ১১৭ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
৮ জুলাই পর্যন্ত ৯১ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন: মন্ত্রণালয়
১ বছর আগে
সৌদি বিনিয়োগ দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদাহরণ: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে আঞ্চলিক ব্যবসায়িক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে চায় সৌদি আরব।
তিনি জানান, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগেও উৎসাহী দেশটির ব্যবসায়ীরা। সৌদি আরবের এই বিনিয়োগকে দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদাহরণ হিসেবে দেখছে সরকার। সরকারের বিনিয়োগবান্ধব উদ্যোগের ফলেই এ ধরনের বিনিয়োগ বাড়ছে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে এসব কথা জানান সালমান এফ রহমান।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ করে নির্বাচন থামানো যাবে না: সালমান এফ রহমান
সকালে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের পর দুপুরে অনির্ধারিত সফরে বিশেষ বিমানে সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রী এবং রেড সি গেটওয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামে যান প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বন্দর নগরীতে এসে সরাসরি পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে যায় এই প্রতিনিধিদল। ঘুরে দেখেন পুরো টার্মিনাল এলাকা।
পরে সাংবাদিকদের সালমান এফ রহমান বলেন, সরকার বেসরকারি খাতকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। প্রধানমন্ত্রী এই খাতের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন সবসময়। সরকার ব্যবসা করে না, বরং ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করে– এটাই প্রমাণ করেছেন তিনি।
এই চুক্তির মাধ্যমে সৌদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা মনে করেন, বিশ্ব বাণিজ্যে শক্ত অবস্থান নেওয়ার সুযোগ আছে বাংলাদেশের। বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ সেই সুযোগকে আরও প্রসারিত করবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে ভৌগোলিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
এসময় পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের প্রশংসা করেন সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী।
এই অঞ্চলকে ঘিরে ভবিষ্যতে আরও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রেড সি গেটওয়ের সঙ্গে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার বিষয়ে ২২ বছরের চুক্তি হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ল্যান্ডলর্ড বন্দর ধারণার যুগে প্রবেশ করল চট্টগ্রাম।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভোটে না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে: সালমান এফ রহমান
সরকার পরিবর্তন করতে হলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে: সালমান এফ রহমান
১ বছর আগে
‘ভেক্টর বাহিত রোগ বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী’
ডেঙ্গুসহ ভেক্টর বাহিত রোগ বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে প্রথমে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক আয়োজিত ‘এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের নেতৃত্বে জলবায়ু ও স্বাস্থ্য উদ্যোগ চালু’ শিরোনামে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: জনবল সংকটকে চিকিৎসা খাতে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান সরকারের উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন।
স্বাস্থ্যদিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গুরোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। ডেঙ্গুরোগসহ অন্যান্য ভেক্টর বাহিত রোগ বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনই দায়ী।
তিনি আরও বলেন, এই জলবায়ু পরিবর্তন ও এর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তারে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো দায় এড়াতে পারে না। এ কারণে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতি কমিয়ে নিতে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোকে সহযোগিতার হাত আরও প্রসারিত করতে হবে, পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতে সহোযোগিতা বাড়াতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ভেক্টর বাহিত রোগব্যাধিও বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে এডিস মশা বেড়ে বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়া অন্যতম।
মন্ত্রী তার বক্তব্যে এ প্রসঙ্গে নানাবিধ তথ্যউপাত্ত তুলে ধরেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কিছু রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। যার ফলে আমাদের এই সমস্ত রোগসমূহ ম্যানেজ করতে অনেক বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে। হাসপাতালের বিছানা ডেঙ্গু রোগীদের দিয়ে ভর্তি থাকছে। যার ফলে একদিকে যেমন ব্যয় বাড়ছে অন্যদিকে বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকায় অন্য রোগীরা স্বাভাবিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিকর দিক সমূহ তুলে ধরে সভায় বিশ্বব্যাপী আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা বৃদ্ধির কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের উদ্যোগ ও সহায়তায় বাংলাদেশে জলবায়ুবান্ধব ভ্যাক্সিন প্ল্যান্ট স্থাপিত হতে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এসময় এডিবি প্রতিনিধিদের বিশেষ ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিনির্মাণে কার্যকরী পদক্ষেপসহ কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ‘ওয়াকিং দ্য টক উইথ দ্য ক্লাইমেট অ্যান্ড হেলথ অ্যাকশন’ শীর্ষক আরেকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখানে মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যসেবায় কী ধরনের ক্ষতি হয় এবং কীভাবে এর সঠিক ব্যবস্থাপনা করা যায়, তা তুলে ধরেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী পুষ্টি ও জনসংখ্যা উন্নয়ন প্রোগ্রামে (পঞ্চম সেক্টর প্ল্যান) নামে আরেকটি বৈঠকে অংশ নিয়ে জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি সব উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাকে স্মার্ট ও জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিনির্মাণে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এরপর বিকালে স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে ‘ক্লাইমেট হেলথ মিনিস্টেরিয়াল’ শীর্ষক আরেকটি প্রোগ্রামে অংশ নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।
এই সভায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সভায় উন্নত দেশগুলোকে বাংলাদেশ তথা যেসব দেশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের কমিটমেন্ট অনুযায়ী সহযোগিতা করার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে ২০২৩ (কপ ২৮) একদিনের জন্য একটি বিশেষ হেলথ ডে (স্বাস্থ্য দিবস) উদযাপন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বৈঠক ও আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ অন্যরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, এই সভায় প্রথমবারের মতো ‘হেলথ মিনিস্টেরিয়াল ডিক্লারেশন’ গৃহীত হয়। বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে এই ঘোষণাকে জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এই সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক তিনটি সুপারিশ করেন —
১. জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানানসই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
২. স্বাস্থ্যখাতে জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণ খুঁজে বের করে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে।
৩. আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব এবং সহযোগিতার উপর জোর দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট বক্তা হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমও অংশ নেন।
সচিব তার বক্তব্যে বাংলাদেশের জলবায়ু ও স্বাস্থ্যবিষয়ক পলিসি এবং সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন।
পরে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট নানাবিধ চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় সবার করণীয় কী কী তাও তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন এবং সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: এডিস মশা থাকলে ডেঙ্গু রোগীও থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হেলথ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত দিনের প্রতিটি অনুষ্ঠানেই উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলোর ভুয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যখাতে আরও সহযোগিতা ও বিনিয়োগের আশ্বাস দেন।
দুবাই এর কপ ২৮ এর বিশেষ স্বাস্থ্য দিবসে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্মসচিব মো. মামুনুর রশিদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. রিয়াজুল হক ছিলেন।
১ বছর আগে
শব্দদূষণ রোধ না করলে মানুষের শ্রবণ সমস্যা বৃদ্ধি পাবে: উপমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেছেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে প্রায় শতভাগ মানুষের শ্রবণে সমস্যা হবে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) শব্দদূষণ রোধকল্পে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সচিবালয়ের সামনের রাস্তায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিশেষ কর্মসূচি চলাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ড্রাইভারগণ অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত শব্দ সৃষ্টির মাধ্যমে নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অন্যদেরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এখনো সময় আছে সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
আরও পড়ুন: ইরানের উপমন্ত্রী ও শাহরিয়ার আলমের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
তিনি আরও বলেন, সবাই একযোগে কাজ করতে পারলে আমরা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, শব্দদূষণের কারণে যে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা অনেকে জানে না। ড্রাইভারদের সচেতন করতে পারলে তারা শব্দ সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, এক গবেষণায় দেখা গেছে, শব্দদূষণের কারণে দুই শতাংশ কর্ম ঘণ্টা নষ্ট হয়, মানুষের স্বাস্থ্যহানি ঘটে, প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্ম হয়, নবজাতকদের বিকাশে বাধাগ্রস্ত হওয়াসহ অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। নিজেদের টিকে থাকার জন্য, পরিবেশের মান উন্নয়নের জন্য শব্দ দূষণ রোধ করতেই হবে।
কর্মসূচি চলাকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) মো. মিজানূর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ সহ মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ প্ল্যাকার্ড নিয়ে সচিবালয়ের গেটে অবস্থান গ্রহণ করেন।
এ সময় তারা ড্রাইভারদের অপ্রয়োজনীয় শব্দ সৃষ্টি না করতে অনুরোধ করেন এবং বিভিন্ন গাড়িতে শব্দদূষণ রোধে সচেতনতা মূলক স্টিকার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষক সংকট নিরসনে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার: শিক্ষা উপমন্ত্রী
সরকারের পদক্ষেপের কারণেই সারাদেশে নদীভাঙন কমে এসেছে: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী
১ বছর আগে