পরিস্থিতি উদ্বেগজনক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের লকডাউন আরও ৭ দিন বাড়ল
করোনা পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলমান লকডাউন ১ জুন থেকে আরও এক সপ্তাহ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ এই লকডাউন ঘোষণা করেন।
এ সময় পুলিশ সুপার এ এইচ এম আব্দুর রকিব, সিভিল সার্জন ডাক্তার জাহিদ নজরুল চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাকিউল ইসলাম, সদর হাসপাতালের আর.এম.ও ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবিরসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
লকডাউন চলাকালে সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ থাকবে, তবে রোগী পরিবহনে অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ও জরুরি সেবা দানের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ দিনের লকডাউন শুরু
লকডাউন চলাকালীন কোন প্রকার যানবাহন রাজশাহী-নওগাঁ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রবেশ করতে পারবে না এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকেও কোনো যানবাহন জেলার বাইরে যাবে না। সকল ধরনের দোকানপাট ও সাপ্তাহিক হাট বন্ধ থাকবে। কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি দোকান ও ফার্মেসি খোলা থাকবে। তবে প্রয়োজন ছাড়া কেউ এসব স্থানে যেতে পারবে না। আমের আড়ৎ /বাজার পৃথক পৃথক জায়গায় ছড়িয়ে আড়ৎদারের মাধ্যমে বিক্রয় করা যাবে।
এছাড়াও বাগান থেকে আম ট্রাকে করে প্রেরণ করা যাবে। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আম পরিবহন চালু থাকবে। উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
জরুরি প্রয়োজনে চলাচলকারী সকলকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। শিল্প-কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে শ্রমিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিজস্ব পরিবহনে আনা নেয়া ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা যেমন কৃষি উপকরণ সার বীজ কীটনাশক কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি খাদ্যশস্য ও খাদ্য দ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান বিদ্যুৎ, পানি, ফায়ার সার্ভিস, স্থলবন্দরের কার্যক্রম টেলিফোন, ইন্টারনেট, সরকারি-বেসরকারি গণমাধ্যমকর্মীদের সরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ডাকসেবা সহ অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস সমূহ তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞা আওতা বহির্ভূত থাকবে।
অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ওষুধও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রয় চিকিৎসাসেবার মৃতদেহ /সৎকার ইত্যাদি কোনভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। তবে টিকা কার্ড প্রদান সাপেক্ষে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাবে। খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয় সরবরাহ করা যাবে। স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে জুমার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্তে নামাজ এর সর্বোচ্চ ২০জন মুসল্লি অংশ গ্রহণ করতে পারবে। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে সমাসংখ্যক ব্যক্তি উপাসনা করতে পারবে।
এর আগে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে জেলা জুড়ে ২৪ মে রাত এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।
৩ বছর আগে