চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে কোটি টাকার স্বর্ণের বার উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী এলাকার হুদাপারায় প্রায় ১ কোটি টাকা মূল্যের ৮৭০ গ্রামের ৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বিজিবি।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান চুয়াডাঙ্গা বিজিবি-৬ ব্যাটেলিয়ন।
আরও পড়ুন: যশোরেশ্বরী মন্দিরে নরেন্দ্র মোদির উপহারের স্বর্ণের মুকুটের সন্ধান মেলেনি এখনও
বিজিবি জানায়, বুধবার দুপুর ২টার সময় গোপন সংবাদ পেয়ে উপজেলার সীমান্তবর্তী হুদাপাড়ায় রাস্তায় অবস্থান নেয় বিজিবি। এসময় একজন লোক মোটরসাইকেল নিয়ে সীমান্তে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি ওই মোটরসাইকেলের সাইলেন্সারের ভেতরে কসটেপ দিয়ে আটকানো অবস্থায় ৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২
৩ সপ্তাহ আগে
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়ার রোগীর ভিড়
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ২৫ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। এত রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের বহির্বিভাগেও চাপ রয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য রোগী ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রবিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আসিয়া খাতুন নামে ৮০ বছর বয়সি এক নারীর মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদরের বাঘানপাড়ার মৃত আশরাফ আলীর স্ত্রী আসিয়া।
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা বৃদ্ধি: পিরোজপুরে এক সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি ৫৬৮ ডায়রিয়া রোগী
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজমুস সাকিব মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রবিবার সকালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ওই রোগী ভর্তি হন এবং বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ জুন থেকে ২৩ জুন বিকেল ৩টা পর্যন্ত ওয়ার্ডে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ মোট ১৭৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন জানান, ডায়রিয়া ও আবহাওয়াজনিত অসুস্থতা নিয়ে প্রতিদিন অনেক রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রোগীর স্বজন আসমা বলেন, ‘ঈদের পর থেকে আমার দাদি পেটের ব্যথায় ভুগছেন। দুদিন আগে তার পেটে প্রচণ্ড ব্যথা এবং পরে ডায়রিয়া হয়। আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি করেন।’
সজিব নামে এক রোগী জানান, কোরবানির ঈদের পরদিন থেকেই তার বমি ও প্রচণ্ড গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। দুদিন আগেও প্রচুর ভাজাপোড়া খাবার আর চটপটি খেয়েছেন। এগুলো খাওয়ার পর তার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেলেও তার অবস্থার উন্নতি হয়নি। রবিবার সকাল থেকে ডায়রিয়া শুরু হয়। বর্তমানে তিনি সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি।
চিকিৎসক ওয়াহিদ ইউএনবিকে বলেন, ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে ঈদের সময় অতিরিক্ত মাংস খাওয়া এবং বাইরে সময় কাটানোর সময় ফুচকা ও চটপটির মতো স্ট্রিট ফুড আইটেম গ্রহণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া।
ডায়রিয়া হলে রোগীদের প্রচুর পরিমাণে স্যালাইনের পানি পান করতে এবং সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেড়েছে ডায়রিয়া, হাসপাতালে স্যালাইন সংকট
৪ মাস আগে
ইজিবাইক চালকের কোমরে মিলল ২টি স্বর্ণের বার
চুয়াডাঙ্গার মুন্সিপুর সীমান্তে কাওছার আলি নামে এক ইজিবাইক চালকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
এ সময় তার কাছ থেকে দুইটি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজিবির সদস্যরা। বার দুইটির ওজন ২৩২ গ্রাম। দাম আনুমানিক ২২ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: প্রবাসীর কাছ থেকে ১৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই, এসআইসহ আটক ২
বুধবার সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সিপুর বিজিবি ক্যাম্পের টহলদল স্থানীয় সীমান্তের কুতুবপুর পাকা রাস্তার কাছ থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক কাওছার আলি দামুড়হুদা উপজেলার মুন্সিপুর গ্রামের কুদ্দুস আলির ছেলে কাওছার আলি।
বিজিবি জানায়, সীমান্তের কাছে কাওছার ইজিবাইক নিয়ে সীমান্তের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি আটক করে। পরে তার শরীর তল্লাশি করে কোমরে বাধা অবস্থায় দুইটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।
চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, আটক আসামিকে থানায় সোপর্দ করে স্বর্ণেরবার চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হয়েছে।
এঘটনায় বিজিবির টহল হাবিলদার মুন্সি মজিবর রহমান বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘স্বর্ণের সন্ধান পাওয়া’ রাণীশংকৈলের ইটভাটা এলাকায় ১৪৪ ধারা
প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাইয়ের অভিযোগে পুলিশের এসআই বরখাস্ত, রিমান্ড মঞ্জুর
৫ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী রেশমা খাতুন নামে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে উপজেলা পৌর এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
রেশমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদরের দৌলতদিয়া এলাকার গোবিন্দপুর এলাকার মোল্লা বাড়ির পঞ্চম তলায় ভাড়া থাকতেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৪ বছর আগে পারিবারিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সৌদিতে যায় শিমুল। তবে ৩ মাস আগে রেশমা তার পঞ্চম শ্রেণির স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে আলাদা বাসায় একাই ভাড়া থাকতেন। মঙ্গলবার সকালে মেয়েকে স্কুলে পাঠায় রেশমা। পরে দুপুর ২টার দিকে তার মেয়ে স্কুল থেকে ফিরে ডাকাডাকি করেন। ভেতর থেকে সাড়া না পেয়ে তার রুমের জানালা দিয়ে দেখেন রেশমা ফাঁসিতে ঝুলে রয়েছে। পরে এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। পরে বিকাল ৪টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন, খবর পেয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরের দরজার তালা ভেঙে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে আদিবাসী স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
৫ মাস আগে
দাবদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই
দিন দিন তাপমাত্রার পারদ বেড়েই চলেছে চুয়াডাঙ্গায়। তাপদাহে ওষ্ঠাগত জনজীবন। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।
শনিবার দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ২৫ বছরের ইতিহাসে খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৮ ডিগ্রির রেকর্ড, সতর্কতা জারি
এদিকে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণীরা। চলমান দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ।
জেলাটিতে গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র দাবদাহ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, টানা ১৯ দিন (৬ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত) চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৯ ডিগ্রির মধ্যে উঠা নামা করছিল।
শুক্রবার (২৪ মে) দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ।
শনিবার (২৫ মে) দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা উঠেছে ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ।
ভ্রাম্যমাণ ডাব বিক্রেতা মো. আক্তার হোসেন জানান, কয়েকদিন বৃষ্টির পর আবার তাপমাত্রা বাড়ছে। আজ ভ্যাপসা গরমে ডাব বেশি বিক্রি হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গায় শহীদ চত্বর মোড় ঘুরে দেখা যায়, জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া মানুষের মুখে ক্লান্তির ছাপ। অনেকেই ক্লান্তি দূর করতে ভিড় জমাচ্ছে শরবতের দোকানে। এক গ্লাস শরবতে মিলছে ক্ষণিকের প্রশান্তি।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, গত ৬ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত ৩৪ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস মধ্যে উঠানামা করছিল।
সবশেষ শনিবার (২৫ মে) দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ। বাতাসে জলীয় বাষ্পর পরিমাণ বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার শুক্রবারের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি
৪৩ ডিগ্রিও ছাড়িয়ে গেল পাবনার তাপমাত্রা!
৫ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গার শুক্রবারের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি
প্রায় ২০ দিন পর আবারও তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে চুয়াডাঙ্গা। ফের বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ।
শুক্রবার (২৪ মে) বিকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: ৪৩ ডিগ্রিও ছাড়িয়ে গেল পাবনার তাপমাত্রা!
এরফলে অসহ্য গরমে দরদরিয়ে ঘামছে মানুষ। তাপমাত্রার সঙ্গে ভ্যাপসা গরম বাড়ায় জনজীবনে অস্বস্তি নেমে এসেছে।
সাকিব ও সাকিল দুই বন্ধু হেঁটে মার্কেটে যাচ্ছিলেন। তারা বলেন, কয়দিন তো তাপমাত্রা ভালোই ছিল। শুক্রবার এত গরম লাগছে, যা সহ্য করার মতো না। রাস্তায় ভ্যান-রিকশা পাচ্ছি না, আমরা দুইজন হেঁটে হেঁটে মার্কেটে যাচ্ছি।
ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যানের চালক শুকুর আলী বলেন, এমনিতেই ছুটির দিন। তারপর আবার গরম, তাই বাড়ি থেকে বের হননি। সন্ধ্যায় বের হওয়ার ইচ্ছা আছে। কারণ এই গরমে ও রোদে যাত্রী পাওয়া যাবে না।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ দিন চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৮ ডিগ্রির মধ্যে উঠা নামা করছিল। সর্বশেষ এ মাসের ৫ তারিখে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জৈষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, গত ৬ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত ৩৩ ডিগ্রি থেকে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছিল। সর্বশেষ শুক্রবার (২৪ মে) দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ। এছাড়া বাতাসে জলীয়বাষ্পর পরিমাণ বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ কমলেও পুড়ছে তীব্র রোদে
৫ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে
৫ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি
১০ বছর পর আবারও রেকর্ড তাপমাত্রা দেখা গেল চুয়াডাঙ্গায়। সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে এই জেলার তাপমাত্রা। আবার গত ১০ বছর পর ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা হলো চুয়াডাঙ্গায়।
বিকাল ৩টায় তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা সন্ধ্যার মধ্যে আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় বাতাসের আর্দ্রতা ১৩ শতাংশ।
এর মধ্যে গত ২৪ এপ্রিল মধ্যরাতে কালবৈশাখীর প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টি হলেও কমেনি তাপমাত্রা। বরং বেড়ে গিয়ে ১০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে।
এপ্রিলের শুরু থেকেই ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির মাঝামাঝি তাপমাত্রা রেকর্ড হলেও মাসের মাঝামাঝি থেকে ৪০-৪২ ডিগ্রি পার করেছে। মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থেকে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে জেলাটিতে।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, সোমবার বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে এ জেলায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ১০ বছর পর আবার ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলো।
তিনি আরও জানান, আগামী দু-একদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বা একইরকম থাকবে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, যশোর ও রাজশাহী জেলায় অত্যধিক তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং খুলনা বিভাগ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা ও নীলফামারী জেলার কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে।
বরিশাল বিভাগ, ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু অংশ, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাপসা গরম থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এর আগে রবিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জে ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
৬ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাটে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ
চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এছাড়াও রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু অংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
তবে কিছু জায়গায় তীব্রতা কমতে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।
আরও পড়ুন: ৮ বিভাগে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: আরও ৫ দিন অব্যাহত থাকতে পারে তাপপ্রবাহ: বিএমডি
৭ মাস আগে
৪০.২ ডিগ্রি দাবদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হাঁপিয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ
চুয়াডাঙ্গায় শনিবার (৬ এপ্রিল) এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে, হাঁপিয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ। এছাড়া পুরো সপ্তাহজুড়ে এ জেলার উপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি।
আরও পড়ুন: ৫ বিভাগে তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন, শনিবার দুপুরে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বিকেল ৩টায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা দেশের ও চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
তিনি আরও বলেন, এপ্রিলের শুরু থেকে চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় প্রচুর ঘাম ঝরছে এবং গরমের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, তাপমাত্রা আগামী কয়েকদিন এমন থাকতে পারে এবং জেলায় এ মাসে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের আশঙ্কা আছে।
আলতাফ হোসেন বলেন, এ পরিস্থিতি থাকবে আরও কয়েকদিন। দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও এ অঞ্চলে তেমন সম্ভাবনা নেই।
এদিকে, তীব্র গরমে রোজাদারসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। বিশেষ করে প্রাণিকূলের অবস্থা আরও খারাপ।
চুয়াডাঙ্গা সদরের আমিরপুর মাঠে গরু চরান জব্বার আলী। তিনি বলেন, যে গরম এতে করে মাঠে দাঁড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। গরুও মাঠে থাকছে না। খুব কষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টি হলে ভালো হয়।
ভ্যানচালক মিঠুন মিয়া বলেন, এই গরমে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া যাচ্ছে না। সামনে ঈদ অথচ গরমের কারণে যাত্রী নেই। খুব খারাপ অবস্থা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মৃদু তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা যদি ৩৮-৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তবে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০-৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে তা হয় তীব্র বা প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। আর ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে তা হয় চরম বা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি, হিট অ্যালার্ট জারি
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই
৭ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় বাস চাপায় প্রতিবন্ধী কিশোরের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় যাত্রীবাহী বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নুরনবী (১৬) নামে এক প্রতিবন্ধী কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের আমতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নুরনবী একই উপজেলার সিংনগর গ্রামের মসজিদ পাড়ার হাসেম আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলের ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, ৪ দিন পর মৃত্যু
এ ঘটনায় ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় উত্তেজিত জনতা।
খবর পেয়ে জীবননগর থানা পুলিশ এবং জীবননগর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় ২ ঘণ্টা পর সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রতক্ষদর্শীরা জানায়, সিংনগর গ্রামের প্রতিবন্ধী নুরনবী বাইসাইকেলযোগে বিকেল সাড়ে ৪টার সময় বাড়ি থেকে বের হয়ে উথলী বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিল। সে সাড়ে ৫টার দিকে উথলীর আমতলায় প্রধান সড়কে উঠলে জীবননগর থেকে ছেড়ে আসা চুয়াডাঙ্গাগামী যাত্রীবাহী বাস খাতুন এন্টারপ্রাইজ তাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে নুরনবী রাস্তার ওপর ছিটকে পড়লে বাসের পেছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
জীবননগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ২৬ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু নেই
কুমিল্লায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক জনের মৃত্যু
৮ মাস আগে