ফারুক হাসান
ভাঙচুর বন্ধ না হলে জীবন ও সম্পদের সুরক্ষায় মালিকেরা কারখানা বন্ধ রাখতে পারবে: বিজিএমইএ
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, যদি কোনো কারখানায় শ্রমিক ভাই-বোনেরা কাজ না করেন, কাজ না করে কারখানা থেকে বের হয়ে যান এবং কারখানা ভাঙচুর করেন; তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিক ভাই-বোন ও সম্পদের নিরাপত্তা রক্ষায় শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন।
রবিবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় সংগঠনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় বিজিএমইএ সভাপতি বলেছেন, যতদিন না শ্রমিক ভাঙচুর বন্ধ হচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারছে, ততদিন পর্যন্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ শিল্প ও সম্পদ রক্ষায় ১৩ (১) ধারায় কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন। প্রতিটি উদ্যোক্তার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে বহিরাগতদের হাত থেকে তার নিজস্ব শিল্প ও সম্পদ রক্ষার।’
তিনি বলেন, যেহেতু বর্তমানে পোশাকখাতে অনেক কারখানায় কাজ কম, ক্রেতারা নতুন করে অর্ডার দেওয়া বন্ধ রেখেছেন, তাই আমরা নতুন নিয়োগ বন্ধ রাখতে বলেছি। পরিস্থিতি অনূকূলে এলে আবার নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে।’
ফারুক হাসান বলেন, সরকারের প্রতি আমাদের অনুরোধ, এ শিল্পকে নিয়ে যারা চক্রান্ত করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিন। সেইসঙ্গে শিল্প-কারখানা চালানোর জন্য আমাদেরকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিন। রাজনীতি ও অর্থনীতি একে অপরের পরিপূরক। এ মূহুর্তে প্রবাসী আয়খাতে মন্থর ধারা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ অবস্থায় রপ্তানি আয়ের অন্যতম প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প বিশেষ মনোযোগের দাবি রাখে।
সময়ের পরিক্রমায় নূন্যতম মজুরি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেলেও শিল্পের সক্ষমতা সে অর্থে খুব বেশি বাড়েনি জানিয়ে ফারুক হাসান বলেন, চলতি ২০২৩ (পঞ্জিকা বছর) এর প্রথম ৯ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক পোশাক আমদানি ভ্যাল্যুতে কমেছে ২২ দশমিক ৮১ শতাংশ, যেখানে বাংলাদেশ থেকে তাদের আমদানি কমেছে প্রায় ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নে প্রস্তুত বিজিএমইএ: ফারুক হাসান
একই সময়ে সারা পৃথিবী থেকে পরিমাণে আমদানি কমেছে ২৫ দশমিক ১৬ শতাংশ, আর বাংলাদেশ থেকে কমেছে ২৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ। শুধুমাত্র আগস্টেই বাংলাদেশ থেকে ভ্যালুতে কমেছে ৩৩ দশমিক ৭১ শতাংশও সেপ্টেম্বরে ৩৪ দশমিক ৭২ শতাংশ।
চলতি ২০২৩ (পঞ্জিকা বছর)- এর প্রথম আট মাসে ইউরোপের বৈশ্বিক আমদানি কমেছে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং বাংলাদেশ থেকে কমেছে ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ, শুধুমাত্র আগষ্ট মাসেই কমেছে ২৬ দশমিক ০৬ শতাংশ।
২০২৩ সালের অক্টোবরে দেশের সামগ্রিক রপ্তানি অক্টোবর ২০২২ এর তুলনায় ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে পোশাক রপ্তানির কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রকৃত রপ্তানি পারফরমেন্স ২৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ নিচে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের অন্যতম প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের পোশাকের দরপতন শুরু হয়েছে, যেটা শিল্পের জন্য নতুন শঙ্কা তৈরি করছে। সার্বিকভাবে বিশ্ববাজার থেকে গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া পোশাকের দর ৮ দশমিক ০৩ শতাংশ কমেছে।
তিনি আরও বলেন, একই মাসে (আগস্ট ২০২৩) বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া পণ্যের দর কমেছে ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক কারণের জের ধরে পোশাক শিল্পে উৎপাদন ব্যয় বহুগুণ বেড়েছে। বিগত ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সময়ে গ্যাসের মূল্য বেড়েছে ২৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বিদ্যুতের মূল্য বেড়েছে ২১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গত ৫ বছরে পোশাক শিল্পে উৎপাদন ব্যয় প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয়; উন্নত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যাংক সুদের হার বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে আমাদের ক্রেতাদেরও কস্ট অব ফান্ড বেড়ে গেছে, যার চাপ বহন করতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের।
তিনি আর জানান, ২০১৩ সাল থেকে প্রতিবছরই নিয়মিতভাবে ন্যূনতম ৫ শতাংশ হারে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে কেন্দ্রীয় তহবিল কার্যকর করা হচ্ছে, যা শ্রমিকদের নানামূখী কল্যাণে ব্যয় করা হয়। এই তহবিলের অর্থ শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা পোশাক রপ্তানিতে প্রভাব ফেলবে না: বিজিএমইএ
বাংলাদেশ জুলাইয়ে আরএমজি রপ্তানি করে ৩.৯৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: বিজিএমইএ
১ বছর আগে
দীর্ঘ অবরোধে দেশের অর্থনীতিতে মন্দা
দেশব্যাপী গত কয়েকদিনের টানা অবরোধে দেশের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাইকারি বাজারগুলো ক্রমে জনশূন্য হয়ে গেছে এবং সপ্তাহব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি হয়েছে।
এর প্রভাব পড়েছে ঢাকার নিউমার্কেট, চাঁদনী মার্কেট, ইস্টার্ন প্লাজা, এলিফ্যান্ট রোড, ফার্মগেট, গুলিস্তান মার্কেট, শান্তিনগর, কাকরাইল, মৌচাক মার্কেট, রামপুরা-বাড্ডা, মিরপুর, ধানমন্ডি, গুলশান-বনানী ও উত্তরার মতো এলাকায়।
নবাবপুর, চকবাজার, ইসলামপুর, বাবুবাজার, শাঁখারিবাজার, মৌলভীবাজার ও বঙ্গবাজারেও বাণিজ্য কার্যক্রম কমেছে।
ঢাকা নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম জানান, অবরোধের সময় বেচাকেনা খুবই কম ছিল।
তিনি বলেন, ‘কোনো ক্রেতা নেই, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। অবরোধ চলতে থাকলে আমরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হব।’
বায়তুল মোকাররম এলাকার অলিম্পিয়া বেকারিশপের কর্মচারীরাও একইভাবে বিক্রি কমে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। এ কারণে তারা পরিচিত নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে বিকল্প বিক্রয় কৌশল অবলম্বন করেছেন।
পল্টন মোড়ের চা বিক্রেতা সবুজ জানান, গত সপ্তাহে তার দোকানে বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিদিন ১০-১২ হাজার টাকার কেনাবেচা করি। এখন এটা ২-৩ হাজার টাকায় নেমে গেছে।
বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান ইউএনবিকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে আগে থেকেই ক্রেতা সংকটে ভুগছিল খাতটি। এখন অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে আরও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এর ফলে শুধু রপ্তানি খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি। এটি রিজার্ভের উপরও প্রভাব ফেলবে।’
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি: বিশ্লেষকরা
বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান লোকসান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পণ্যের অভ্যন্তরীণ পরিবহন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। শিল্প উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। রপ্তানি খাত চলমান অবরোধের কারণে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।’
এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী ইউএনবিকে বলেন, অবরোধের কারণে পরিবহন সংকটে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন বন্দরে আটকে থাকা কাঁচামাল সংগ্রহ করতে পারছেন না।
চলমান ধর্মঘট অবরোধ সম্মিলিতভাবে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।
তিনি বলেন, এই ধরনের কর্মসূচি দীর্ঘায়িত হলে অর্থনীতির চাকা স্থবির হয়ে যেতে পারে।
গত ২৯ অক্টোবর বিএনপিসহ অন্যান্য সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকে সারাদেশে হরতাল পালিত হয়।
৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিনের অবরোধের পর ৫ ও ৬ নভেম্বর অবরোধ চলে। এরপর একদিন বিরতি দিয়ে ফের ৮ ও ৯ নভেম্বর অবরোধ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চলমান রাজনৈতিক সংকটে উৎকণ্ঠায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকেরা
২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে জিডিপির ১১.২% কর আদায়ের লক্ষ্য সরকারের
১ বছর আগে
বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান বিজিএমইএ সভাপতির
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান অস্ট্রেলিয়ান বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা ও বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তরুণ জনসংখ্যা, ক্রমবর্ধমান অবকাঠামো এবং অনুকূল ব্যবসায়িক নীতি ও জলবায়ুর কারণে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় ও আদর্শ জায়গা।
সোমবার (২৪ জুলাই) বিজিএমইএ এ তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি সিডনির ফোর সিজন হোটেলে বিজিএমইএর একটি সফররত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত নেটওয়ার্কিং ইভেন্টে তিনি এ আহ্বান জানান।
অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, ক্রেতা এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আরএমজি শিল্পের উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের নীতিগত সহায়তা চান বিজিএমইএ সভাপতি
সেখানে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে সম্ভাব্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ সম্পর্কে জানান।
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকীও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
হাইকমিশনার বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগকে বাস্তবে রূপান্তর করতে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপর জোর দেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, সাবেক সহসভাপতি মো. মশিউল আজম শজল, বিজিএমইএ স্থায়ী কমিটির প্রেস, প্রকাশনা ও প্রচারবিষয়ক সভাপতি শোভন ইসলাম, বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটির ফরেন মিশন সেলের চেয়ার শামস মাহমুদ, এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মো. মাহবুব উর রহমান এবং রোজ ইন্টিমেটস লিমিটেডের ডিরেক্টর সঞ্জয় কুমার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: শিল্পের প্রবৃদ্ধি ছাড়া ৭.৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন অসম্ভব: বিজিএমইএ সভাপতি
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ সাহায্যনির্ভর থেকে বাণিজ্যনির্ভর অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হয়েছে। এ দেশের ব্যবসায়ীরা বিদেশি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারের মাধ্যমে বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য অপেক্ষা করছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইসিটি, ইলেকট্রনিক্স, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল, চামড়া ইত্যাদি শিল্প খাতে সুযোগ বেড়েছে।
বিজিএমইএ পরিচালক আসিফ আশরাফ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উপর একটি প্রেজেন্টেশন দেন।
কীভাবে খাতটি কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশগত স্থায়িত্ব এবং শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যাপক অগ্রগতি করেছে এ বিষয়ে প্রেজেন্টেশনটি দেওয়া হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি অস্ট্রেলিয়ান ক্রেতাদের বাংলাদেশের পোশাক, বিশেষ করে হাই-এন্ড সেগমেন্টের সোর্সিং বাড়ানোর আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: এলডিসি উত্তোরণে বাংলাদেশকে সহায়তায় ইইউ’র প্রতি বিজিএমইএ প্রধানের আহ্বান
১ বছর আগে
এলডিসি উত্তোরণে বাংলাদেশকে সহায়তায় ইইউ’র প্রতি বিজিএমইএ প্রধানের আহ্বান
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান জিএসপির পরিবর্তনের মেয়াদ বর্তমান তিন বছর থেকে বাড়িয়ে ছয় বছর করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এই সম্প্রসারণ বাংলাদেশকে এলডিসি বিভাগ থেকে মসৃণ গ্র্যাজুয়েশনের জন্য প্রস্তুত করতে এবং এলডিসি-পরবর্তী যুগেও প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত রাখতে সহায়তা করবে।
গত ১০ মে ঢাকায় ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) অর্থনৈতিক ও বৈশ্বিক সমস্যা বিষয়ক ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল হেলেনা কোনিগের সঙ্গে বৈঠকে বিজিএমইএ প্রধান এ অনুরোধ জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন-ইইএএস এর সাউথ এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন মনিকা বাইলাইট; বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি; বাংলাদেশে ইইউ প্রতিনিধি দলের ডেপুটি হেড ড. বার্ন্ড স্প্যানিয়ার; মিনিস্টার কাউন্সেলর এবং হেড অফ কোঅপারেশন মাউরিজিও সিয়ান; এবং কাউন্সেলর এবং টিম লিডার- শিক্ষা, মানব উন্নয়ন এবং বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের পিএফএম জুরেট স্মালস্কাইট মারভিল এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি সমীর সাত্তার।
আরও পড়ুন: ঈদের আগেই বিজিএমইএ আওতাধীন কারখানার মার্চ মাসের মজুরি পরিশোধ: বিজিএমইএ
বৈঠকে তারা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ), এলডিসি-পরবর্তী সময়ে ইইউর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এবং দ্বিপক্ষীয় গুরুত্বসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান হেলেনা কোনিগকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রধান অগ্রগতি, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা, পরিবেশগত টেকসইতা এবং শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণের বিষয়ে অবহিত করেন।
তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে, বিশেষ করে দেশের লাখ লাখ মানুষের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারীর ক্ষমতায়ন, মেয়েদের স্কুলে ভর্তি বৃদ্ধি এবং বাল্যবিবাহ কমানোর ক্ষেত্রে কীভাবে আরএমজি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণও দেন।
ফারুক হাসান এসব ক্ষেত্রে এ পর্যন্ত যে অর্জনগুলো অর্জন করেছেন তা ধরে রাখতে শিল্পের অব্যাহত প্রবৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
ইইউকে বাংলাদেশের আরএমজি রপ্তানির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি ইইউর জিএসপি স্কিমের আওতায় শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সুনির্দিষ্ট বাণিজ্য পছন্দ সম্প্রসারণের গুরুত্ব তুলে ধরেন, যার ফলে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি ইইউকে ইইউ-এর সুরক্ষা টেক্সটাইল থ্রেশহোল্ড মানদণ্ড পরিত্যাগ বা ২০২৪-২০৩৪ সালের জন্য প্রস্তাবিত জিএসপি স্কিমে বাংলাদেশের জন্য প্রক্রিয়াটি পুনর্বিন্যাস করার কথা বিবেচনা করারও আহ্বান জানান, যাতে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরে জিএসপি প্লাস থেকে উপকৃত হতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে হাইকমিশনের সহায়তা চায় বিজিএমইএ
তৈরি পোশাক শিল্পে জুলাই-ডিসেম্বরে ১৬% বেড়ে রপ্তানি ২৩ বিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
১ বছর আগে
এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজেট: বিজিএমইএ
বিশ্ব অর্থনীতি যখন কোভিড-১৯ এ বিপর্যস্ত সেই সময়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত ৫০তম বাজেটকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমরা প্রস্তাবিত বাজেটের ডিজিটাল কপি পেয়েছি এবং এটি পর্যবেক্ষণ করছি। তবে আমাদের একটি সরকারি পর্যবেক্ষণ নিয়ে আসতে সময় প্রয়োজন।’
বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী অর্থবছরেও ১ শতাংশ হারে অতিরিক্ত রপ্তানি প্রণোদনা চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করেছেন।
বিজিএমইএ সভাপতি আশা করেন যে বর্তমান বাজেট বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে জীবন ও জীবিকার সাথে সম্পর্কিত সব বিষয়ে মনোনিবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব
ফারুক বলেন, বিজিএমইএ বোর্ড শনিবার বাজেটের বিস্তারিত মূল্যায়ন করবে এবং শনিবার দুপুর ২টায় গণমাধ্যমে বিস্তারিক তুলে ধরবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সরকার বস্ত্র ও পোশাক শিল্পকে বিদ্যমান রপ্তানি প্রণোদনের পাশাপাশি অতিরিক্ত ১ শতাংশ নগদ প্রণোদনা প্রদান করে এবং ফলস্বরূপ খাতটি মহামারির প্রভাব সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।
৩ বছর আগে